নীতিমালা যেন ভিতীমালা না হয়....
লিখেছেন লিখেছেন জাহিদ ফয়সাল ০৭ মে, ২০১৩, ১০:২১:০৭ রাত
আমাদের দেশে স্যাটেলাইট টেলিভিষন সম্প্রচার শুরু করে ১৯৯৯ সালে। সে সময় এদেশে একুশে টিভির হাত ধরে স্যাটেলাইট টিভির যাত্রা শুরু। এরপর একের পর এক টেলিভিষন যাত্রা শুরু করে। কিন্তু এই টেলিভিষন সম্প্রচার নীতিমালা ছিল না।
টেলিভিষন গুলো যে যেই ভাবে পেরেছে ,,সেই ভাবে সব কিছু সম্প্রচার করে। আমরা যারা সাংবাদিকতার সাথে জড়িত তাদের অনেক দিনের দাবি ছিল এই নীতিমালার। শুধু টেলিভিষন নীতিমালা নয় আমাদের দাবি ছিল , অনলাইন গনমাধ্যমের জন্য আলাদা নীতিমালা, রেডিও এর জন্য আলাদা নীতিমালা, এবং প্রিন্ট মাধ্যমের জন্য আলাদা নীতিমালা।
এবার টেলিভিষন নীতিমালার কথায় আসা যাক! আমাদের দেশের টেলিভিষন গুলো বর্তমানে খুব প্রতিযোগিতার সাথে দিন পার করছে। কে কার আগে নিউজ প্রচার করবে এই রকম প্রতিযোগিতা সবার মধ্যে। বর্তমানে বাংলাদেশে স্যাটেলাইট টেলিভিষন এর সংখ্য ৩০এর উপর । এর মধ্যে আবার ৪টি রয়েছে সংবাদ ভিত্তিক টেলিভিষন। এই সব টেলিভিষন গুলো এখন বেশী হিরোনাইজম দেখানো শুরু করছে।
গত ২৪শে এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এর পর পরই সেখানে উদ্বার অভিযান শুরু হয়। সেই উদ্বার অভিযান প্রথম থেকেই সরাসরি সম্প্রচার শুরু করে আমাদের টেলিভিষন গুলো। প্রথম দিকের বেশ কয়েক দিন তারা দিন রাত সরাসরি সম্প্রচার করে। আমাদের তরুন সাংবাদিকরা তারা লাইভে দাড়িয়ে ঘটনার বর্ননা দিতে গিয়ে প্রকৌশল সংক্রান্ত বর্ননা খুব ভালো করে বলেছিল। কিন্ত এটা কতটুকু যৌক্তিক তা একমাত্র ওই রির্পোটার বলতে পারবে।
এছাড়া রানা প্লাজা থেকে আহত লোক উদ্বার হবার পরে তার অনুভুতি জানার আগ্রহ কতটুকু সাংবাদিকতার মধ্যে পড়ে তা দেখতে হবে। উদ্বার অভিযানে যেই সব ছবি প্রচার করা হয়েছে তা আমাদের শিশুরা দেখেছে। তাদের মনে এই ছবির এক ধরনের প্রভাব ফেলবে। আমাদের রির্পোটাররা লাইভে জুরাইন কবর স্থানের ভিতরে পিটিছি দেয়। কিন্তু এই পিটিছি দেওয়া কতটুকু সাংবাদিকতার ভিতরে পড়ে তা দেখতে হবে।
আমাদের তথ্যমন্ত্রী আজ (০৬.০৫.২০১৩) বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্সের সঙ্গে এক বৈঠকে টেলিভিষন নীতিমালা করা হবে সেই কথা বলেছেন। কিন্তু আমার কথা এই নীতিমালা যেন কোন প্রকার ভিতিমালায় পরিনত না হয়। এই নীতিমালা টেলিভিষনের খবর প্রচার , টকশো অনুষ্ঠানের ওপর কোন প্রকার বাকশালী হস্তক্ষেপ করা চলবে না। তারপরে এই নীতিমালায় কোন প্রকার অশ্লীল ছবি প্রকাশ না করে সেই কথা থাকতে হবে।
কিন্তু টেলিভিষন এর সংবাদ এবং টকশোর উপর কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করলে সাংবাদিক সমাজ এটা মেনে নেবে না। এছাড়া লাইসেন্স ফি যেন সাদ্যর মধ্যে থাকে সেটাও দেখতে হবে।
আমরা এর আগে অনলাইন গনমাধ্যম নীতিমালা দেখেছিলাম। ওই নীতিমালা এক প্রকার ভীতিমালায় পরিনত হয়েছিলো। সেই নীতিমালা পুরাই প্রত্যাখান করেছে অনলাইন সাংবাদিকরা । অনেকে অনলাইন নীতিমালা পড়েছে এবং এই নীতিমালা জানে তাই আমার এই লেখার মদ্যে উল্লেখ করালাম না।
সবশেষে আমি আবারও বলতে চাই সংবাদ এবং টকশো অনুষ্ঠানের ওপর কোন রকমের হস্তক্ষেপ না করে খুব সুন্দর একটি নীতিমালা প্রনয়ন করা হইক। যাহা আমাদের সাংবাদিক সমাজ এবং সবাই মেনে নেবে।
বিষয়: বিবিধ
৯৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন