নির্দোষ নিরাপরাধ বিশিষ্ট সফল ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ জনাব মীর কাশেম আলী।
লিখেছেন লিখেছেন আইল্যান্ড স্কাই ১০ মার্চ, ২০১৬, ০২:২০:৩৯ দুপুর
জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য বিশিষ্ট সফল ব্যবসায়ী জনাব মীর কাশেম আলীর মামলায় ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপিত যুক্তিতে এডভোকেট মিজানুল ইসলাম বলেন, এ মামলায় প্রসিকিউশনের দাবি হল মীর কাসেম আলী চট্টগ্রাম আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন। তার নির্দেশে এবং সিদ্ধান্তে ডালিম হোটেলে মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনকে অপহরণ করে এনে বন্দী করে রাখা, নির্যাতন করা এবং হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এখানে আমাদের ডিফেন্স পক্ষের দাবি হল মীর কাসেম আলী চট্টগ্রাম আলবদর বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন না। ডালিম হোটেল মতিউর রহমান ওরফে মইত্যা গুন্ডা নিয়যন্ত্রণ করত।
মিজানুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে যেসব ডকুমেন্ট জমা দিয়েছে তার কোথাও তিনি আল বদর কমান্ডার ছিলেন এ মর্মে উল্লেখ নেই। তবে একজন বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধা জনাব মাহবুবুল আলমের লেখা বইয়ে বলা আছে “ফেনির নাসির চট্টগ্রামের আলবদর কমান্ডার ছিল বলে উল্লেখ আছে। সেক্রেটারি ছিল সন্দ্বীপের ফয়জুল্লাহ। এছাড়া চট্টগ্রাম আলবদর নেতা হিসেবে জাকির হোসেন এবং মনসুর এর নাম উল্লেখ আছে”।তাহলে রাষ্ট্রপক্ষের ডকুমেন্টেই দেখা যাচ্ছে মীর কাসেম আলী চট্টগ্রাম আল বদর কমান্ডার ছিলেননা।
আসামী পক্ষের আইনজীবী জনাব মিজানুল ইসলাম আরও বলেন, ডালিম হোটেলে যে মতিউর রহমান ওরফে মইত্যা গুন্ডার নিয়ন্ত্রণে সে মর্মে আমরা দুটি ডকুমেন্ট জমা দিয়েছি। ১৯৭২ সালে মতিউর রহমান ওরফে মইত্যা গুন্ডার বিরুদ্ধে একটি মামলার ডকুমেন্ট দিয়েছি । এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম একটি প্রামাণ্য দলিল বইয়েও এ বিষয়ে উল্লেখ আছে।
এছাড়া মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মামলার রাষ্ট্রীয় তদন্ত কর্মকর্তা মো: নূরুল ইসলাম বলেছেন এটা সত্য যে, ১৯৭১ সালের এবং ১৯৭২-৭৫ সালের গোয়েন্দা রিপোর্টে মীর কাশেম আলীকে আল-বদর হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। গত ১১ এপ্রিল ২০১৪ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ নূরুল ইসলাম জবানবন্দী প্রধানের পর আসামীপক্ষের আংশিক জেরার জবাবে এ কথা বলেন।
মীর কাশেম আলীর আইনজীবী মিজানুর রাহমান বলেন, এই মামলায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আইন অনুসারে তদন্ত শুরু হয়নি। জেরায় তদন্ত কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে কোনো মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ ছিলনা। তদন্ত কর্মকর্তা প্রথমে ব্যক্তি হিসেবে মীর কাসেম আলীকে বাছাই করে তার নিজস্ব ধারণা অনুসারে তদন্ত শুরু করেছে। এরপর ডালিম হোটেলের ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছে সে মোতাবেক শিখিয়ে পরিয়ে সাক্ষী হাজির করা হয়েছে।
রাষ্ট্র পক্ষের সাক্ষী সৈয়দ এমরান মীর কাশেম আলীকে কেন চিনেন না?
রাষ্ট্র পক্ষের সাক্ষী সৈয়দ এমরান ট্রাইব্যুনালে জামায়েত নেতা “মীর কাশেম আলীকেঃ চিনতে পারছেন না। অতচ এই ব্যাক্তি নাকি মীর কাশেম আলীর সাথে এস এস সি পরীক্ষাও দিয়েছিলেন। হা-হা-হা-। ১৯৭১ সালে কি এস এস সি নামে কোন পাবলিক পরীক্ষা ছিল? যাহোক এখন রাষ্ট্র পক্ষ থেকে বলছে সাক্ষী মীর কাশেম চিনতে না পারার কারনঃ ট্রাইবুনালে তখন নাকি প্রচুর কুয়াশা ছিল। যার কারনে সাক্ষী মীর কাশেম কে ছিনতে পারেনি। যদিও বাংলাদেশের এপ্রিল মাস কোন শীত কাল নয়। ট্রাইব্যুনাল আইনে আসামী সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই। তবে বাংলাদেশে ফৌজদারি মামলায় আসামী সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া উল্লেখ আছে। কি পদ্ধতিতে সাক্ষী আসামীকে সনাক্তকরণ করবে তা বলা আছে। আসামীকে আট থেকে ১০ জন লোকের সাথে মিলিয়ে রেখে সাক্ষীকে আসামী সনাক্ত করতে বলা হয়। কিন্তু ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী কর্তৃক আসামী সনাক্ত করা খুব সহজ ছিল। কারণ এখানে ডকে আসামী ছাড়া আর কেউ থাকেনা। তারপর সাক্ষী সাক্ষ্য দেয়ার পর তাকে বলা হয় আপনি যার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন তিনি আজ ডকে উপস্থিত আছেন কি-না দেখেনতো। এভাবে খুব সহজেই সাক্ষী আসামীকে সনাক্ত করতে পারে। মিজানুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের এক নং সাক্ষী সৈয়দ এমরান বলেছেন মীর কাসেম আলী তার স্কুলের সহপাঠী ছিলেন সেই হিসেবে তিনি তাকে চিনতেন। সৈয়দ এমরান বলেছেন তিনি ১৯৬৮ সালে এমএনসি স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। অথচ মীর কাসেম আলী এসএসসি পাশ করেন ১৯৬৭ সালে। সহপাঠী হতে হলে একই ক্লাসে পড়তে হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মীর কাসেম আলী তার এক বছর আগে এসএসসি পাশ করেন।
লুকোচুরি লুকোচুরি খেলা আরও আছে মেলা মেলা............!!!!!!
তদন্ত কর্মকর্তাও স্বীকার করেছেন “ডালিম হোটেল নির্যাতন কেন্দ্র তার পক্ষ্যে রাষ্ট্র পক্ষ কোনো রিপোর্ট দেখাতে পারেন নি”।
এরপর মিজানুল ইসলাম মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ খণ্ডন করে যুক্তি পেশ করেন। এডভোকেট মিজানুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের চার্জে অভিযোগের যে বিবরণ রয়েছে তার সাথে সাক্ষী লুৎফর রহমানের বক্তব্যের মিল নেই।
লুৎফর রহমান বলেছেন, নির্যাতনের ফলে তার সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তিনি এ ঘটনার পরে বিয়ে করেছেন। তিনি যদি পুরুষত্বহীন হবেন তাহলে তিনি বিয়ে করলেন কিভাবে? এথেকে বোঝা যায় নির্যাতনের ঘটনা মিথ্যা।
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে আট নং অভিযোগ হল নুরুল কুদ্দুস, মো : নাসির, নুরুল হোসেনসহ চারজনকে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন। মিজানুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তিনজনই জীবিত আছে। তাদের জবানবন্দীও রেকর্ড করা হয়েছে এবং সাক্ষী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কাউকে সাক্ষী হিসেবে আনা হয়নি। কি কারণে আনা যায়নি তারও কোনো ব্যাখ্যা রাষ্ট্রপক্ষ দেয়নি।
গত ১৭ এপ্রিল মীর কাসেম আলীর পক্ষে সাফাই সাক্ষী গ্রহণের জন্য মাত্র তিনজনকে নির্ধারণ করে দিয়ে ২২ এপ্রিল সাক্ষী গ্রহণের দিন ঠিক করে দেয়। ধার্য দিনে কাসেম আলীর পক্ষে তার বোনসহ তিনজন মীর কাশেম আলীর পক্ষের তাদের জবানবন্দী পেশ করেন। অতছ তার আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নুরুল ইসলামসহ প্রসিকিউশনের ২৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। একেই বলে “বড়ু সালিকের ঘাড়ে রো”। মীর কাশেম আলীর বিরুধ্যে স্বৈরচারী আওয়ামী সরকার এই রকম কত শত আলো আঁধারের খেলা খেলেছে তার হিসাব অনেক।
মীর কাশেম আলীর পক্ষে বিশিষ্ট দুই জন মুক্টিযোদ্ধার ঐতিহাসিক সাক্ষীঃ
কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলীর পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন দুই মুক্তিযোদ্ধা। গত ৩০ এপ্রিল ২০১৪ বুধবার তারা ট্রাইব্যুনালে এসে ডিফেন্সপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ট্রাইব্যুনালে দেয়া জবানবন্দিতে তারা বলেছেন ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলে নির্যাতনের সাথে মীর কাসেম আলী জড়িত ছিলেন বলে কিছু শুনি নাই। সাক্ষীদ্বয় হলেন মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী ও আবু তাহের খান।
মামলার প্রথম সাক্ষীর বক্তব্যঃ
১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে আমি এবং আমার অপর ৩ বন্ধু নূরুদ্দীন চৌধুরী, মোঃ রফিক, বাবুল মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমেদের গাইডেন্সে ছালনাইয়া হয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে হরিনা ক্যাম্পে রিপোর্ট করি। সেখানে আমরা ২৮ দিনের সশস্ত্র ট্রেনিং গ্রহণ করি। ট্রেনিং শেষে ২০ নভেম্বর সাবরুম হয়ে বাংলাদেশের রামগড় দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করি। ২১ নভেম্বর আমরা ফেনী নদীর পাড়ে ঈদের নামাজ আদায় করি। দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে, নৌকায়, বাসে চড়ে আমি ২৪ নভেম্বর আমাদের চট্টগ্রামের ঘোষাল কোয়ার্টারস্থ বাসায় পৌঁছি। আমার অন্য ৩ বন্ধু যার যার বাসায় যায়। আমি বাবা-মা’র সংগে দেখা করার পর চট্টগ্রাম শহরস্থ ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ এর পার্শ¦বর্তী মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গোপন আশ্রয়ে যোগাযোগ করি। আমাদের কমান্ডার ছিলেন নূর উদ্দিন চৌধুরী। তাঁর নেতৃত্বে ‘হিট এন্ড রান’ পদ্ধতিতে অপারেশনে অংশ নেই। সেখানে থাকা অবস্থায় আমরা জানতে পারলাম চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ, সি আর বি, ষ্টেডিয়াম এবং টেলিগ্রাম অফিসে পাকিস্তান সেনারা মানুষদেরকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করতো। এ ছাড়াও জানতে পারি হাজারী গলি সংলগ্ন ডালিম হোটেলও একটি নির্যাতন ক্যাম্প ছিল। মতিউর রহমান মতি ওরফে মইত্যা গুন্ডা এই ডালিম হোটেলটি দখলে নিয়ে তার সাথে আরো কতিপয় রাজাকার এবং কিছু বিহারী ছেলেকে নিয়ে এখানে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করতো ও সাধারণ মানুষ জনকে ধরে এনে নির্যাতন করতো। এই মতি গুন্ডাকে আমি চিনতাম সে সিনেমা প্রেক্ষাগৃহের টিকেট কালোবাজারী করতো। ডালিম হোটেলের মালিক ছিলেন চন্দ্র মোহন নাথ। শুনেছি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ডালিম হোটেলের মালিক মতি গুন্ডার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিল। ডালিম হোটেলে নির্যাতন এবং কর্মকান্ডের সাথে মীর কাশেম আলী সাহেব জড়িত ছিলেন মর্মে আমি কখনও কিছু শুনিনি। ডালিম হোটেলটি আমার বাসা থেকে পূর্বদিকে আধা কিঃমিঃ দূরে ছিল। এই আমার জবানবন্দী।
দ্বিতীয় সাক্ষীকে জেরার উল্লেখযোগ্য অংশঃ
জেরার জবাবে সাক্ষী বলেন, আমার জন্ম তারিখ ১০ মে, ১৯৫৪। ১৯৭১ সালে যে এস.এস.সি পরীক্ষা হয়েছিল তাতে আমি অংশ গ্রহণ করিনি। হরিনা ক্যাম্পটি দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। একটি ক্যাম্পের নেতৃত্বে ছিলেন চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা এমএ হান্নান, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন ও সাতকানিয়ার ডাক্তার ফয়েজ এই ক্যাম্পটিতে ইপিআর ও অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তাদের অবস্থান ছিল। অপরটি ছিল ইয়োথ ক্যাম্প। এটি মীরের সরাইয়ের মন্টু বাবু পরিচালনা করতেন। আমাকে ট্রেনিং দিয়েছিল নায়েক সুবেদার বাদশা, আমরা ৮-১০ জন এক সংগে ট্রেনিং নিয়েছিলাম। ক্যাম্পের কাছেই আমাদেরকে একটি বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ট্রেনিং দেয়া হতো।
সত্যের আশ্রয়ে মিথ্যার লীলা খেলাঃ
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে দুই নং অভিযোগ হল লুৎফর রহমানকে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নির্যাতন। মিজানুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের চার্জে অভিযোগের যে বিবরণ রয়েছে তার সাথে সাক্ষী লুৎফর রহমানের বক্তব্যের মিল নেই। লুৎফর রহমান বলেছেন, নির্যাতনের ফলে তার সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তিনি এ ঘটনার পরে বিয়ে করেছেন। তিনি যদি পুরুষত্বহীন হবেন তাহলে তিনি বিয়ে করলেন কিভাবে? এথেকে বোঝা যায় নির্যাতনের ঘটনা মিথ্যা।
জামায়াতের উদয়মান নেতা মীর কাশেম আলীর বিরুধ্যে রাষ্ট্রীয় দশম সাক্ষীর জবানবন্দিঃ
দশম সাক্ষী মো. জাকারিয়া ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ১৯৭১ সালে রোজার ঈদের ৫/৭ দিন পর বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলাম। ভোররাতে হঠাৎ ঘরের দরোজায় কড়া নাড়ার শব্দ পাই। দরোজা খুলে দেখি, দুজন সশস্ত্র আলবদর দাঁড়িয়ে আছেন। তারা আমাকে ধরে নাজিরবাড়ীর মসজিদের সামনে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে আমি আমার ভাতিজা জাফর, সালাউদ্দিন, নাজিম এবং জেঠাতো ভাই এস্কান্দারসহ আরো অনেককেই দেখতে পাই। সেখান থেকে আমাদের প্রথমে এমএমসি স্কুল মাঠ, তারপর ট্রাকে করে ডালিম হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে রাজাকার ও আল-বদররা আপনাদের এলাকায় না এলাকার বাইরে ছিল?
উত্তর : বলতে পারব না।
প্রশ্ন : যে আল-বদররা আপনাকে ধরে নিয়ে যায় তারা কি মুখোশ পরা ছিল?
উত্তর : হ্যাঁ, মুখোশ পরা ছিল।
প্রশ্ন : আপনি মীর কাসেম আলীকে যুদ্ধের আগে চিনতেন?
উত্তর : না, চিনতাম না।
প্রশ্ন: স্বাধীনতা যুদ্ধের পরেও দেখেননি।
উত্তর : দেখিনি।
কোর্ট-টু : প্রশ্ন : আপনি মীর কাসেম আলীকে কবে কোথায় দেখেছেন?
উত্তর : ডালিম হোটেলে আটক অবস্থায় দেখেছি।
প্রশ্ন : আপনি মীর কাসেম আলী ছাড়া অন্য কোন রাজাকার বা আল-বদরকে চেনেন না?
উত্তর : না। আমি শুধু মীর কাসেম আলী ছাড়া অন্য কোন রাজাকার, আল-বদরকে চিনি না।
এটা কীভাবে হয়। সবাই মুখোশ পরা থাকলে তিনি কীভাবে মীর কাশেম আলীকে চিনলেন। এর এত বড় ঘটনা ঘটলো তার উপর, ৯ মাস ধরে যুদ্ধ চলছিল এত দীর্ঘ সময়ে তিনি কাউকে দেখেন নি! শুধু মীর কাশেম আলী কেই দেখেছেন? সুতরাং এটা সুস্পষ্ট এসব নামধারী চোর ডাকাতদেরকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে অথবা হুমকি ধামকির মাধ্যমে ততাকথিত সাক্ষী বানিয়ে নিরপরাধ মীর কাশেম আলীকে ফাঁসানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য ১৭৭১ সালে মীর কাশেম আলীর বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। তখন তিনি তার বাবার কর্মস্থল কুলিল্লায় ছিলেন। যুদ্ধ শুরুর কিছু দিন পর তিনি পুরান ঢাকাস্থ আগামসী লেনে তার বোনের বাড়িতে চলে আসেন এবং সেখানে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তার ভগ্নীপতির বাড়িতেই অবস্থান করেন।
ট্রাইব্যুনালে মীর কাসেম আলীর বোনের জবানবন্দী:
১৯৭১ সালের নবেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ’৭২ সালের মার্চ পর্যন্ত ভাই পুরান ঢাকায় আমাদের বাসায় ছিলেন। মীর কাসেম আলীর ডিফেন্স সাক্ষীঃ আমার নাম মমতাজ নুরুদ্দিন। আমার বয়স বর্তমানে ৬০ বছর। ১৯৭১ সালে বয়স ছিল ১৫/ ১৬ বছর। ৭১ সালে যুদ্ধের সময়টাতে আমি পুরান ঢাকার আগামসী লেনে আমার স্বামীর বাড়িতেই থাকতাম। ঐ সময়ে আমার বড় ভাই (সহোদর) মীর কাসেম আলী আমাদের বাসাতে থাকতেন। ১৯৭১ সালের নবেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ’৭২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত তিনি আমাদের বাসাতে থাকতেন। ঐ সময়টাতে বাইরে কোথাও যাননি। ’৭২ সালের মার্চ মাসের পরে আমার স্বামীর চাকরি কুমিল্লাতে বদলি হওয়ার পর আমরা কুমিল্লাতে চলে যাই। তখন আমার ভাই মীর কাসেম আলীও অন্যত্র চলে যান।
প্রসিকিউশনের জেরা শেষ হওয়ার পরে চেয়ারম্যান স্ব-প্রণোদিত হয়ে সাক্ষীকে কয়েকটি প্রশ্ন করেন। কোর্ট জানতে চান মীর কাসেম আলী সাক্ষীর পুরান ঢাকাস্থ আগামসী লেনের বাসায় কোথা থেকে আসেন। জবাবে সাক্ষী বলেন চট্টগ্রাম থেকে আমাদের বাসায় আসেন। তবে কুমিল্লাতে আমাদের বাবার কর্মস্থল ও বাসা থাকার সুবাদে সেখান থেকে হয়েই আমাদের বাসায় আসেন আমার ভাই মীর কাসেম আলী।
১৯৭১-৭৫ সালের গোয়েন্দা রিপোর্টে আলবদরে মীর কাসেম আলীর নাম ছিল না
জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো: নূরুল ইসলাম বলেছেন এটা সত্য যে, ১৯৭১ সালের এবং ১৯৭২-৭৫ সালের গোয়েন্দা রিপোর্টে মীর কাশেম আলীকে আল-বদর হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। গত ১১ এপ্রিল ২০১৪ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ নূরুল ইসলাম জবানবন্দী প্রধানের পর আসামীপক্ষের আংশিক জেরার জবাবে এ কথা বলেন।
একই বছরের ৩ নবেম্বর অভিযুক্ত মীর কাশেম আলীকে তদন্ত সংস্থার সেফ হোম-এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করি।
মামলা তদন্তে প্রাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, অভিযুক্ত আসামী মীর কাশেম আলী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে সম্মান প্রথমবর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি ঐ সময় ইসলামী ছাত্রসংঘের চট্টগ্রাম কলেজ শাখার সভাপতি ছিলেন। একই সাথে তিনি চট্টগ্রাম শহর শাখা ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতিও ছিলেন। তিনি ৬ নবেম্বর ১৯৭১ তারিখ ইসলামী ছাত্রসংঘের তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক কার্যকরী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং ইসলামী ছাত্রসংঘের পূর্বপাকিস্তানের সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত হন। সেই সুবাদে তিনি দখলদার পাকিস্তানী বাহিনী ও জামায়াতে ইসলামীসহ অপরাপর সহযোগী ডানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলির সহিত যোগসাজশে ইসলামী ছাত্রসংঘের বাছাই করা সদস্যদের সমন্বয়ে সশস্ত্র আল-বদর বাহিনী গঠন করেন এবং আল-বদর বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার হিসেবে উক্ত আল-বদর বাহিনীসহ স্বাধীনতাবিরোধী মূলধারার সহিত একাত্ম হয়ে সারা বাংলাদেশে বিশেষত চট্টগ্রাম অঞ্চলে ব্যাপক হারে অপরাধ সংঘটন করে। তদন্তে প্রাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণে আসামী মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল আইনে অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্তের প্রকাশ্য বিচারের নিমিত্তে গত বছরের ২ মে তদন্তে প্রাপ্ত এবং উদঘাটিত সাক্ষ্যপ্রমাণ সংশ্লিষ্ট নথিপত্রসহ তদন্ত প্রতিবেদন চীফ প্রসিকিউটর বরাবরে দাখিল করি।
মানবতাবিরোধী অপরাধে আটক বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ খ-নের ওপর আসামীপক্ষের প্রথম পর্যায়ের শুনানি শেষে সরকার পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে জবাবী শুনানির জন্য আগামী ২১ আগস্ট দিন ধার্য করে দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। গতকাল রোববার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর জিয়াদ আল মালুম বলেন, আমরা আজই ডিফেন্স ডকুমেন্ট পেয়েছি। এর জবাব দেয়ার জন্য সময় প্রয়োজন। অপরদিকে আসামীপক্ষের প্রধান কৌঁসুলী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক দেশের বাইরে থাকায় আগমী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্তু শুনানি মুলতবি রাখার আবেদন জানান ব্যরিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমিন। তবে সে আবেদন নাকচ করেন ট্রাইব্যুনাল। ডিসচার্জ আবেদনের ওপর তিনি সকাল-বিকাল দুই বেলা শুনানি করেন।
অভিযোগ খ-নের আবেদনের (ডিসচার্জ পিটিশন) শুনানিতে ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমিন বলেন, ৪০ বছর পর মামলা দায়েরের যে কারণ দেখানো হয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগেরই সরকার ছিল। দালাল আইনে বহু মামলা হয়েছিল। মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে তখন একটি মামলা, এফ আই আর বা জিডিও হয়নি। ৪০ বছর পরে এসে তার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি একজন শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। মিডিয়ার সাথেও তার সম্পর্ক রয়েছে। তিনি জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য। তাই রাজনৈতিক হয়রানির জন্য তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে। এসময় ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বলেন, এই আইনটি ১৯৭৩ সালে হলেও ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়নি। ট্রাইব্যুনাল এখন হয়েছে। ভিকটিমরা মামলা দায়ের করেছে। কাজেই তারা তো দেরি করেনি। সরকার ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে দেরি করেছে। এখানে ক্ষতিগ্রস্তদের দোষ কোথায়?
জবাবে তানভীর বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে ১৯৭২ সালেই দালাল আইনের অধীনে ট্রাইব্যুনাল হয়েছিল। তাতে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল তার মধ্যে মীর কাসেম আলীর নাম ছিল না। তাছাড়া প্রচলিত আইনেও স্বাধীনতার পরে মামলা করতে কোন বাধা ছিল না। এখন মামলার উদ্দেশ্যই হলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা। রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে দায়েরকৃত মামলা চলতে পারে না। ব্যারিস্টার তানভীর বলেন, আইসিটি ১৯৭৩-এর আইনে মানবতার বিরুদ্ধে আপরাধ কি তার সংজ্ঞা নির্দিস্ট নেই। এজন্যই আমরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইন ও নজিরকে সামনে আনছি। ১৯৭১ সালে নির্যাতনকে মানবতাবিরোধী কোন অপরাধ হিসেবে ধরা হতো না। নির্যাতনকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে ১৯৭৫ সাল থেকে। অথচ এই মামলায় ১৯৭১ সালের অপরাধের বিচার হচ্ছে। সে কারণেই আমার মতে টর্চারকে এই চার্জ থেকে বাদ দিতে হবে। অপহরণ এখন পর্যন্তু
মামলার কার্যক্রম A to Z:
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর শুরু হয়ে মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও ১৭ জন সাক্ষী। তারা হলেন সৈয়দ মো. এমরান, মো. সানাউল্লাহ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, সুনীল কান্তি বর্ধন দুলাল, শহীদপুত্র শিবু দাস, মৃদুল কুমার দে, প্রদীপ তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা এস্কান্দার আলম চৌধুরী, মো. সালাহউদ্দিন ছুট্টু মিয়া, মো. জাকারিয়া, নাজিমুদ্দিন, মো. হাসান (১), মো. হাসান (২), ফয়েজ আহমেদ সিদ্দিকী, জুলেখা খান, মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর চৌধুরী, হাসিনা খাতুন, এসএম জামাল উদ্দিন এবং এস এম সরওয়ার ঊদ্দিন।
এর আগে ১৮ নভেম্বর মীর কাশেমের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মীর কাশেমের মামলা দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করেন ট্রাইব্যুনাল-১। ৫ সেপ্টেম্বর, 2014 তারিখে হত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুন্ঠনের ১৪টি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করে মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল-১। এর আগে ২১ আগস্ট অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়। ১৬ মে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুমসহ প্রসিকিউশন ১৪টি অভিযোগে মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন। ২৬ মে এ অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের ৬ মে মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৪টি অভিযোগে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেন তদন্ত সংস্থা। এ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে মীর কাশেম আলীকে দু’দফা সেফ হোমে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্ত সংস্থা। ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে ওইদিন বিকেলে মতিঝিলে দৈনিক নয়া দিগন্ত কার্যালয়ের (দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশন) থেকে তাকে গ্রেফতার করে বিকেল সোয়া চারটার দিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনাল মীর কাশেম আলীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ১৯ জুন মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে মীর কাশেমের জামিন আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। কাশেম আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে মীর কাশেম আলী ইসলামী ছাত্রসংঘের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি ছিলেন অতচ তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৯ এবং তখন তিনি তার বাবার কর্মস্থল কুলিল্লায় ছিলেন। যুদ্ধ শুরুর কিছু দিন পর তিনি পুরান ঢাকাস্থ আগামসী লেনে তার বোনের বাড়িতে চলে আসেন এবং সেখানে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তার ভগ্নীপতির বাড়িতেই অবস্থান করেন। তার নেতৃত্বে আলবদর, আলশামস ও রাজাকার বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে বলে রাষ্ট্র থেকে দে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে তা সাধারণ মানুষ মোটেও বিশ্বাস করতে পারছে না। কি ভাবে এই পিচ্চি ছেলে এতো বড় বিভাগের কামান্ডার হবেন এবং ছট্রগ্রামে এতো বড় বড় মানুষ থাকতে কীভাবে আর্মি মীর কাশেমের মত বাচ্চা মানুষের কামান্ডে চলছিলো। অতচ মীর কাশেম আলী কোন আর্মি পারসন ছিলেন না। মানবতাবিরোধী কোন অপরাধ নয়। তবে কাউকে জোর করে আটকে রাখা অপরাধ। আইনজীবীরা বলেন, কমান্ড রেসপনসিবিলিটির যে অভিযোগ মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা টেকে না। কারণ তিনি কোন সামরিক বাহিনীর কমান্ডার বা লোকই ছিলেন না। আর কমান্ড রেসপনসিবিলিটি কোন সিভিলিয়নের থাকতে পারে না। কাউকে কমান্ড দেয়া বা কমান্ড মত কাজ না করলে তাকে শাস্তি দেয়ার কোন ক্ষমতা তার ছিল না।
বিষয়: বিবিধ
১৫৩৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন