জেনে রাখা ভাল ?
লিখেছেন লিখেছেন আইল্যান্ড স্কাই ২৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:৫০:৫৭ দুপুর
পৃথিবীতে থাকা অবস্থায় যে দশজন সাহাবী জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেনঃ
১. হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ)
২. হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ)
৩.হযরত ওসমান ইবনে আফফান (রাঃ)
৪. হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
৫. হযরত ত্বালহা ইবনে ওবাইদুল্লাহ (রাঃ)
৬. হযরত জুবাইর ইবনুল আওয়াম (রাঃ)
৭. হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ)
৮. হযরত সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ)
৯. হযরত সা'ঈদ ইবনে যায়দ (রাঃ)
১০.হযরত আবু উবাইদা ইবনে জাররাহ (রাঃ)
বিষয়: বিবিধ
১৫৮৯ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ.
নবী রাসূলদের এ কাজ ছিলো। আমি তাঁদের উত্তরাধিকারী। তাঁদের রিসালাতের আযান পূনরুচ্চারণকারী।
بَلْ نَقْذِفُ بِالْحَقِّ عَلَى الْبَاطِلِ فَيَدْمَغُهُ فَإِذَا هُوَ زَاهِقٌ
“আমি সত্যের ক্ষেপনাস্ত্র মিথ্যার প্রতি নিক্ষেপ করি। তাতে বাতিলের মগজ চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে মিটে যায়।” (সূরা আম্বিয়া-১৮)সত্য ন্যায়ের ইস্পাত কঠিন মানদন্ড ১৪১২ বছর ধরে অযত্নে ও অবহেলায় পরিত্যাক্ত পড়ে থাকার ফলে জং-মরিচা তাকে খেয়ে প্রায় বিকল করে ফেলেছে।Corrosive Rust বা ক্ষয়কারী জং-মরিচাকে পাল্টা Corrosive দিয়ে বিদুরণের জন্য আমাকে নিরুপায় হয়ে Corrosive ভাষা ব্যবহার করতে হয়েছে। “আল্ হাক্কু মুররুন”। সত্য তিক্ত।
সত্যের তিক্ত ঔষধ সেবন করে রোগমুক্ত হয়ে যারা ইহকাল ও পরকালের চরম সফলতা চায়, তাদের জন্য এ লেখা। এ লেখার ভাষা।এখন প্রমাণ করে ছাড়বো যে আল্লাহ, তাঁর ক্বোরআন ও রাসূল মিথ্যুক, না আমরা! দীর্ঘ ১৪১২ বছর থেকে আমরা ক্বোরেশী, আরবী, ইরানী, হিন্দি ও বাঙ্গালী হয়ে শুধু লানত আর লানতই ভোগ করছি। আমরা মুখেমুখে মুসলমান দাবী করছি। পৃথিবীর যেখানেই মুসলিম নামধারী জাত রয়েছে, আকাশ ভেঙ্গে তাদের উপর আল্লাহর লা’নত কেনো! বাংলাদেশের মতো একটি মুসলিম প্রধান দেশেও ইসলামের দাবীদার শাইখুল হাদীস ও মুফতিয়ে আযম গোলাম আযমরা গিয়ে এক বেপর্দা বিধবার আচলে আশ্রয় নিয়ে অস্তিত্ব রক্ষার জিহাদ করছে! আমি সারা বিশ্বের সামনে ঘোষণা করছি যে আল্লাহর ও তার রাসুলগণ মিথ্যুক নন! ক্বোরআনও অসত্য নয়! মিথ্যুক আরবী, মিশরী, ইরাকী, ইরানী, আফগানী, পাকিস্তানী, হিন্দুস্তানী ও বাঙ্গালীরা, যারা মুসলিম না হয়েও ইসলামের নাম নিচ্ছে বলে। এ মিথ্যা দাবী শুরু হয়েছে আল আইম্মাতু মিন ক্বোরেশ থেকে। আজ তার যবনিকা পাতের সময় উপস্থিত। তাই দুনয়াকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে আল্লাহ কে সঙ্গে নিয়ে আযান দিচ্ছি। ওসমান ইসলামের তৃতীয় খলিফা নয়। কারণ ইসলামে খেলাফত নেই। ইব্রাহীম ও মুহাম্মাদ সঃ ইমাম ছিলেন। সকল মানুষ আল্লাহর খলিফা। যারা আল্লাহকে মানে, তারা বাধ্য খলিফা। তাদের নেতা ইমাম। যারা আল্লাহ কে মানেনা, তারা বিদ্রোহী খলিফা। তাদের নেতা তাগুত। মুস্তাকবির। ওসমান ক্বোরেশের বনী উমাইয়ার খলিফা। হাকাম,মারওয়ান, ওয়ালিদ ইবন উকবাও আব্দুল্লাহ ইব্ন সারাহ, এরা সবাই রাসূল সঃ এর অভিশপ্ত ও মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অপরাধী। এদের সবাইকে ওসমান ক্ষমতায় বসে মুসলিম উম্মাহর দন্ডমুন্ডের মালিক করেছিলো। মারওয়ানকে নির্বাসন থেকে এনে তার সাথে মেয়ে বিয়ে দিয়ে তাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলো। তার পিতা হাকামকে নির্বাসন থেকে মাদীনায় এনে বনী ক্বোযাআর সদকার তহসীলদার বানিয়ে পরে তাকে তা দান হিসেবে প্রদান করেছিলো। উপরোল্লেখিত ইবন সারাকে মিশরের গভর্নর নিযুক্ত করার পর ইবন সারা আফ্রিকা বিজয় করলে তার এক পঞ্চমাংশ রাজস্ব তাকে দান করে। ওয়ালিদ ইবন উকবাকে ইরাকের গর্ভনর নিযুক্ত করে সাআদ ইবন আবি ওয়াককাসকে পদচ্যুত করে। সাআদ ওসমানের মতো আশারায়ে মুবাশ্বারার একজন। ওয়ালিদ রাসূল সঃ কর্তৃক ঘোষিত জাহান্নামী। ওয়ালিদের পিতা উকবা মক্কায় রাসূলকে বকা দিয়ে, তার মুখে থুথু দিয়ে গন্ড মুবারকে চড় মেরেছিলো ঠান্ডা মাথায়। তাই বদরের যুদ্ধের পর আল্লাহর হুকুমে বদর থেকে ফেরার পথে ঠান্ডামাথায় উকবার মুন্ডপাতের নিদের্শ দেন রাসূল। নির্দেশ শুনে উকবা বলেছিলো, “মুহাম্মদ আমি মারা গেলে আমার ছেলেরা কোথায় যাবে?” রাসূল সঃ উত্তরে বলেছিলেন, “জাহান্নামে যাবে” । তার পর থেকে উকবার সন্তানদের “সাবিইয়াতুন নার” বা জাহান্নামের সন্তান নামে ডাকা হতো। এ জাহান্নামী ওয়ালিদকে ওসমান সাআদের মতো বেহেশতীকে (?) পদচ্যুত করে তার স্থলে ইরাকের গর্ভনর নিযুক্ত করে। তাতে প্রমাণিত হয় যে, এক হলে ওসমান বেহেশতী নয়, বা সাআদ বেহেশতী নয়। বা উভয়ই বেহেশতী নয়। গোটা দশ ব্যক্তির বেহেশতী হওয়ার হাদীসটিই বানোয়াট ও মিথ্যা। মূলে যা সত্যি তা না হলে কি এক বেহেশতী আর এক বেহেশতীকে পদচ্যুত করে অপর এক জাহান্নামীকে গর্ভনর বানায়? সে গর্ভনর হওয়ার পদাধিকার বলে ইরাকবাসী মুসলিমদের নামাজের ইমামতীও করবে! জাহান্নামী কি করে মুসলিমদের ইমাম হয়? এ জাহান্নামীই মদ্যপান করে নেশাগ্রস্থ হয়ে ফজরের নামাজ তিন রাকাত পড়ায় দু’রাকাতের জায়গায়। আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদের মতো ব্যক্তিকেও ওসমানের কান্ডে ঐ জাহান্নামীর পেছনে সালাতে দাড়াতে হয়। ইবন মাসউদ এর প্রতিবাদ জানালে তাকে তলব করে এনে মসজিদে নববীতে শারীরিক ভাবে মার-ধর করা হয়। যার ফলে ইবন মাসউদের মৃত্যু হয়। উসমানকে তার জানাযায় ডাকা হয়নি। আম্মার ইবন ইয়াসির তার জানাযা পড়ে। (দেখো ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ইবন কুতাইবাহ। আলী ইবন আবি তালিব, আব্দুল করীম আল খাতীব, পৃষ্ঠা- ৬৯, ৭০, এবং ৭১, ৭২)।
সকল অভিশাপের মা-বিদ্আত
ইবন মাসউদ বর্ণনা করেছে যে রাসূল সঃ বলেছেন, “উত্তম হাদীস আল্লাহর কিতাব, উত্তম পথপ্রদর্শন মুহাম্মাদ সঃ এর পথ প্রদর্শন। নিকৃষ্ট কাজ হলো সর্বপ্রকারের বিদ্আত। প্রত্যেক বিদআতকারী বিপথগামী এবং প্রত্যেক বিপথগামী জাহান্নামের আগুনের জ্বালানি”। (মুসলিম, আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবন্ মাজা ও আহমাদ)। বিদ্আত মানে মিথ্যা এবং মিথ্যা মানে বিদ্আত। ভিত্তিহীন মিথ্যাকেই ইসলামী পরিভাষায় ও আরবীতে বিদ্আত্ বলা হয়। বিশেষ করে ধর্মীয়,আরো বিশেষ করে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের রিসালাত ভিত্তিক দ্বীনের শিক্ষা ও আচার আচরণে যে কোনো নুতন সংযোজন বিদ্আত। রাসূল সঃ নবীদের শেষ নবী ও খাতামুন্ নাবিয়্যীন। রাসূল মুহাম্মাদ সঃ বলেছেন, “আমার রিসালাত দিয়ে আল্লাহ্ তাঁর দ্বীনকে পূর্ণ করেছেন। আমার পর আর কোনো নবী রাসূল আসবেনা, এবং আমার দ্বারা পূর্ণ করা দ্বীনের ব্যাপারে যে কোনো কথা ও কাজ নুতন সংযোজন করা হবে, তা প্রত্যাখ্যাত ও বর্জিত।” কিন্তু আমরা বিস্মিত হয়ে দেখি যে রাসূল সঃ এর নামে ও তাঁর প্রচারিত দ্বীনে এতো সব মিথ্যা বা বিদআত্ সংযোজিত হয়েছে যে তার উপদ্রবে আসল দ্বীনই খুঁজে পাওয়া যায়না। ফলে মানব ঐক্য ও রহমতের ধর্ম ইসলামের দাবীদার জাতি বিশ্বে সবচেয়ে বিভক্ত,বিচ্ছিন্ন ও বিপন্ন। তাই এ অবস্থার জন্য দায়ী অল্পকিছু বিদআতকে নিম্নে চিহ্নত করতে চাই। যাতে, চাইলে এক শ্রেণীর মানুষ তওবা করে নতুন করে ইসলামে প্রবেশ করে বিশ্বের মানুষের আসন্ন মুক্ত আন্দোলনে শরিক হতে পারে। আর যারা তা মানবে না, তারা বিদআত নিয়ে জাহান্নামে যাবে।
আত্মঘাতি মিথ্যা সমূহ
(এক) রাসূল সঃ এর মৃত্যুর পর “আল আইম্মাতু মিন ক্বোরেশ” বলা। (বোখারী, মুসলিম) (দুই) আল্লাহ্ ও রাসূলের পর কথিত সাহাবীদেরও মানতে হবে বলা। (বোখারী, মুসলিম) (তিন) খেলাফতে রাশেদা বলে চারের চক্র দাঁড় করা, যাদের চারজনের তিনজনই অন্তর্দ্বন্দের অপঘাতে মৃত্যুবরণ করেছে। (চার) একটি মাত্র বংশ থেকে বেছে বেছে দশজনকে আগাম বেহেশত্ প্রাপ্ত, বা আশারায়ে মুবাশ্শারা বলে চালু করা। (বোখারী, মুসলিম) (পাঁচ) রাসূল সঃ এর পর বারো জন খলিফা পর পর সবাই ক্বোরেশ থেকে হবে বলা। (বোখারী, মুসলিম) (ছয়) রাসূল সঃ এর পর বারো জন ইমাম পরপর সবাই ক্বোরেশ থেকে হওয়া। (বোখারী, মুসলিম) (সাত) রাসূল সঃ এর চল্লিশজন পুরুষের যৌন ক্ষমতা সম্পন্ন হওয়া, এবং একরাত্রে বিরামহীন ভাবে পরপর এগারো জন স্ত্রীর সাথে সহবাস করা। (বোখারী, মুসলিম) অস্বাভাবিক যৌন ক্ষমতা সম্পন্ন হওয়া নবুওত ও রিসালাতের জন্য শর্ত নয়। তা ছাড়া রাসূল সঃ বলেছেন, যারা স্বামী স্ত্রীর মিলনকালের কথা অন্যের কাছে প্রকাশ করে, তারা নিকৃষ্ট নির্লজ্জ। তারপরও কি রাসূল সঃ স্বয়ং নিজেই স্ত্রীদের সাথে মিলে তা অন্যদের বলেছেন?! তা ছাড়া রাসূল সঃ এর কখনো একত্রে ন’জনের বেশী এগার জন স্ত্রী ছিলোনা। থাকলেও দু’চার জনের মাসিক থাকতো! একরাতে এগারো জনের সাথে মিলনের কথা বা ঘটনা কি কখনো সত্য হতে পারে? এ সমস্ত গর্হিত কথা বলে বিকৃত রুচি ও চরিত্রের মুহাদ্দিস ও আরবরা ইসলাম ও রাসূল সঃ এর শত্রæদের বলার সুযোগ ও প্রমাণ সরবরাহ করেছে যে, মুসলমানদের নবী যৌন বিকৃত যৌনোম্মাদ ছিলো। নাউযুবিল্লাহ্। (আট) “রক্তের সম্পর্ক ছিন্নকরা চলবে না।” অথচ ঈমানের পথে রক্তের সম্পর্ক ছিন্ন করে আত্মার সম্পর্ক স্থাপনের দ্বারাই ঈমানী জীবন আরম্ভ হয়। উদাহরণ স্বরূপ, আমরা দেখতে পাই যে, হযরত ইব্রাহীম আঃ তাঁর পিতার রক্তের সম্পর্ক ছিন্ন করে মিল্লাতে ইব্রাহীমের পত্তন করেছেন। আখেরী নবী সঃ বদরের যুদ্ধে রক্তীয়দের কচুকাটা করে ইসলামের বিজয় যাত্রা শুরু করেন। বদরের নিহত রক্তীয়দের রাসূল সঃ বদরের ডোবায় দাফন কাফন ছাড়া নিক্ষেপ করেছেন। আপন মুশরিক পিতা-মাতার জন্য দোয়া করাও ছেড়েছেন। ক্বোরআনে আল্লাহ্ বলে দিয়েছেন, “ঈমানদারেরা, তোমাদের যে সমস্ত বাপ ভাই ঈমানের চেয়ে কুফরকে ভালোবাসে, তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করো। যারা তা না করবে তারা যালিম।” মুসলিম নয়। (তওবা-২৩) ক্বোরআন, মিল্লাতে ইব্রাহীম ও রিসালাতে মুহাম্মাদী বর্জনকারী উমাইয়া ও আব্বাসী দস্যূরা ইসলামের নামে স্বজন প্রীতি ও স্বজন তোষন পোষণের জন্য তাদের ভাড়াটে মুহাদ্দিস ও মুফাস্সির দ্বারা এগুলো তৈরী করেছে। এ যুগের চোর বাটপাররাও তাদের বংশ বৃদ্ধির জন্য ঐ সমস্ত মিথ্যা বিদআত ধারণ করে আসছে। এখন যারা সত্যিকারে মুসলিম ও ঈমানদার হতে চায়, তাদের সর্বপ্রথম সূরা তওবার ২৩ ও ২৪ নং আয়াত অনুযায়ী পিতা- মাতা, ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, স্ত্রী, শ্বশুর-শ্বাশুড়ী ও জ্ঞাতি-গোষ্ঠি, যারা আল্লাহ্ ও রাসূলের দ্বীন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয়, তাদের ঘোষণা দিয়ে তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে কাফেলায় যোগ দিতে হবে। তা না হলে তারা যালিম ও ফাসেক বলে নিজেদের প্রমাণ করবে, আর আল্লাহ্ ফাসেক্বদের মুক্তির পথ দেখান না। তাদের ধ্বংস সাধন আল্লাহ্র বিধান। (সূরা তওবা -২৪) (নয়) “মায়ের পায়ের নিচে বেহেশ্ত” এটা যদি সত্যি হয়, তা হলে বাবা আদম বেহেশত্ পাবেন না। কারণ তাঁর মা নেই। তাই তাঁর বেহেশত নেই। মা থাকলেও মা বেহেশতী বা জান্নাতী হলেই তাদের সন্তানদের তার পদতলে জান্নাতের কল্পনা করা যায়। মা জাহান্নামী হলে কি লক্ষকোটি মাইল দূরের জাহান্নাম থেকে মায়ের ঠ্যাং টেনে এনে বেহেশতে সন্তানদের মাথার উপর ঝুলানো হবে? এ কেমনতরো গাঁজাখোরী বিদআতী মিথ্যাচার! হযরত ইব্রাহীম ও আখেরী নবী সঃ উভয় দু’মুশরিক জাহান্নামী দম্পতির সন্তান। তাঁদের পিতা-মাতার জান্নাতবাসী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তারা আল্লাহ্র ঘোষিত অমোঘ বিধানের নরকী। তাদের পদতলে জান্নাত হলে বাবা ইব্রাহিম ও খাতামুন নাবিয়্যীন কোথা যাবেন? নাউযুবিল্লাহ্! তা ছাড়া জান্নাত জাহান্নাম প্রত্যেক মানুষের কর্মের ফল। আল্লাহ্ তার দাতা। জান্নাত পেতে হলে তরবারি উচিয়ে বেঈমান রক্তীয়দের বদরের মতো ধরাশায়ী করে সে তরবারির ছায়াতলে জান্নাত তালাশ করতে হবে। আল জান্নাতু তাহতা যিলালিস সুয়ূফ। জান্নাত তরবারী সমূহের ছায়া তলে। এ ব্যাপারে বড়োজোর রূপক অর্থে বলা যায় যে, মায়েরা যদি পিতার বিবাহিতা নেককার স্ত্রী হয়, নেক স্বামীর অনুগত হয়ে যদি নিজের বেহেশতের পথ করে নেয়, তা হলেই সে মায়েদের পায়ে পায়ে অনুসরণ করে জান্নাতে পৌঁছানো সহজ হতে পারে। তবুও তা কখনো আল্লাহ্র বেহেশত মায়েদের পায়ের তলায় নয়। ঢালাও ভাবে গর্ভধারিণীদের ব্যাপারে এ উদ্ভট কথা প্রচারের ফলে নিবোর্ধ নারীরা মনে করতে পারে, যে তারা যেভাবেই পেটে সন্তান নিক্না কেনো, সন্তানের জান্নাত তাদের পায়ের তলেই নির্ধারিত রূপে অবস্থিত। তাই বাপছাড়া জন্মানো হারামজাদারা ও হারামজাদিরাও তাদের মায়েদের অনুসরণ করে বেহেশত বা জান্নাতবাসী হয়ে যাবে? মায়েরা নীড় ও ঘরের প্রতীক। তারা স্রষ্টার বিধানে তাদের পেটের সতীত্ব রক্ষা করে স্বামীর ঘরকে শান্তি ও শিক্ষার ভূস্বর্গ বানালে, সে ঘরটি একটি বেহেশতের নমুনা বটে। কিন্তু পাশব যৌনক্ষুধার তাড়নায় বাপের বাড়ী ছেড়ে ঐরূপ আরেকটা পুরুষের সাথে মোল্লা কাজীর পকেটে হাজার পাঁচ শ’ টাকার নোট গুঁজিয়ে কাবিনের কাগজ বানিয়ে হারাম হালাল নির্বিশেষে খেয়ে বেপর্দা বেহায়া চলে, ভিসিআর, ভিডিও ও ইন্টার নেটের প্রজন্ম জন্মায়ে মায়েরা নিজেদের বেহেশত হারাম করে ও সন্তানদের বেহেশত হারাম করে যারা নিজেদের ঘরবাড়ীকে জাহান্নামের গুচ্ছ গ্রাম বানায়, যা বর্তমানে প্রায় সব ঘরই তাই, সেখানে বেহেশত নামের বস্তুটার নাম উচ্চারণের অবকাশ কোথায়? এ প্রসঙ্গে তিক্ত হলেও একটি খাঁটি কথা বলতে চাই। তা হলো, পিতা-মাতা তিন প্রকারের (১) পিতা-মাতা, মাতা-পিতা (২) পিতা-পিতা,মাতা-মাতা (৩) পিতাও পিতা নয়, মাতাও মাতা নয়। প্রথম শ্রেণীর পিতার মাঝে, পিতা ও মাতার উভয়ের গুণের সমন¦য় থাকে। মায়ের অনুপস্থিতিতে সন্তানদের, পিতা উভয় দায়িত্বে দেখা-শুনা করে। মায়ের মাঝে পিতার শাসনেরও গুনাবলী থাকে। ফলে পিতার অনুপস্থিতিতে মা বাপের দায়িত্বও পালন করে। এ শ্রেণীর স্বামী স্ত্রী উভয় মাতা-পিতা। দ্বিতীয় শ্রেণীর পিতা, শুধু পিতা। সে পিতৃত্বের পূর্ণদায়িত্ব পালনে সক্ষম। মাতৃত্বের কোনো পরশ দিতে অক্ষম। মাতা, শুধু মাতা, সন্তানদের মায়ের আদরে পালতে জানে। পিতার শাসনে অক্ষম। এ অবস্থায় স্ত্রী, অর্থাৎ সন্তানদের মায়ের উপর ফরজ যে সে সন্তানদের লালন করবে ঠিকই, কিন্তু সন্তানদের কোনো দোষ সন্তানদের পিতা, তার স্বামীর কাছে লুকাবেনা। বরং সন্তানদের বলে দিতে হবে, যে তোমরা অন্যায় করলে তোমাদের বাবাকে বলে দেয়া হবে তোমাদের শাসনের জন্য। স্ত্রী সম্পূর্ণ এ ব্যাপারে স্বামীকে সহায়তা করবে এবং নিজেও স্বামীর কথা শুনবে। মনে রাখতে হবে যে অবাধ্য মায়েদের সন্তানরা পিতাকেও মানেনা। সে ক্ষেত্রে সংসার ধ্বংসের জন্য মা দায়ী। এরা স্বামীর অনুগত হলে তারা পিতার সম্পূরক এবং স্বামীর অবাধ্য হলে স্বামীর আমানত খেয়ানতকারিণী। তৃতীয় শ্রেণীর দম্পতি, এরা স্বামীও স্বামী নয়। স্ত্রীও স্ত্রী নয়। এরা সন্তান পেটে দিতে জানে ও সন্তান পেটে নিতে জানে। অন্য কিছু জানেও না করেও না। এরা ইতর প্রাণীর চেয়েও অধম। এরাও এদের সন্তানরাই বর্তমান মানব প্রজন্মের সংখ্যা গুরু। ডেমোক্রেট। “নিসাউকুম্ হারসুল্লাকুম।” তোমাদের নারীরা তোমাদের জন্য ফসলের মাঠ”। (বাক্বারা-২২৩) মাতৃজাতি ফসলের মাটি। পুরুষ কৃষক। কৃষককে মাটি কর্ষণ করে সার বীজ প্রয়োগ করে বুনন নিড়ান করে ফসল পাকা মাত্র তা মাটি থেকে আলাদা করে ফেলতে হয়। পাকা ফসল বা ফল পাকার পর মাটির সংস্পর্শে রাখলে মাতৃমাটি তাকে পঁচিয়ে শেষ করে দেয়। তাই ফল বা ফসল পাকার পর মাটির সংস্পর্শে দিতে নেই। দিলে কৃষকের সর্বনাশ হয়ে যায়। তদরূপ সন্তানদের ভালো মায়েদের পেটে জন্মায়ে লালন পালনের শৈশব পার হতেই ক্রমে যৌবনের কাছে আস্তেই পিতার সংস্পর্শে ততোটুকু বেশী নিতে হবে, শৈশবে মায়ের কাছে যতটুকু বেশী ছিলো। তাতে পিতার ঐতিহ্যে সন্তান গড়ে উঠে পিতার বংশ অটুট থাকবে। তা না করে সন্তান বড়ো হওয়ার পরও মায়ের কর্তৃত্ব ও দায়িত্বে রাাখলে তাদের পৌরুষ গড়ে উঠেনা। ফলে ছেলেরা বিশেষ করে মায়ের কোল থেকে বৌ এর কোলে গিয়ে পিতাকে বাড়ীতে লজিং থাকা মাষ্টার বা আশ্রিত একপুরুষ সদস্যের পর্যায়ে নিয়ে যায়। এটি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলদের শিক্ষার সম্পূর্ণ বিরোধী আত্মঘাতি ভুল। এজন্য যে কোনো মূল্যে যৌথ পারিবারিক নিয়ম শক্ত ভাবে চালু রেখে পরিবারের প্রধান পুরুষের কর্তৃত্বকে “মিনি রাজত্ব” রূপে সবাইকে মানতে হবে। তা না হলে পশ্চিমা ইবলিসীর পরিবার ও ঘর ভাঙ্গা মহামারী থেকে মানব সভ্যতা বা ইসলামী সমাজ ব্যবস্থাকে কোনো প্রকারেই রক্ষা বা উদ্ধার করা যাবেনা। পশ্চিমা জারজসভ্যতা মা মা করে, মানব সমাজে পিতার ভূমিকাকে কুকুর, শূকর, শিয়াল, বিড়াল ও ভেড়া বকরির নরের পর্যায়ে নিয়ে মানুষকে পশুর চেয়েও নিচে নিয়ে গিয়েছে। তাই আর একদিনও নষ্ট না করে “আল্জান্নাতু তাহ্তা আক্বদামিল্ উম্মাহাতের” বিদআতকে ত্যাগ করে দাদা পিতার ইসলামী কর্তৃত্ব পুনঃ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিলেই পশ্চিমা পরিবার ও ঘর ভাঙ্গা প্লাবনে ভাসা মানুষগুলো ইসলামের আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিয়ে মানব সভ্যতার হারানো সূত্র “মিসিং লিঙ্ক” ফেরত পাবে। (পরে “মিসিং লিঙ্ক” বা হারানো সূত্রের অধ্যায় আসছে) বেইজিং ও কায়রো সম্মেলনে বিশ্বের বেশ্যামেয়ে ও তাদের পুরুষ দালালরা যে বিশ্বে বেশ্যায়নের ইশ্তিহার বা চার্টার ঘোষণা করেছে, তা মানব সভ্যতার মৃত্যু-ঘন্টা। তা থেকে আদম সন্তান ও নবী রাসূলদের প্রজন্মকে রক্ষা করে বিশ্বে পুনঃ আল্লাহ্র খেলাফত প্রতিষ্ঠা ও ইবলিসের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও যৌনাঙ্গের স্বাধীনতার প্রবক্তাদের স্তব্ধ করতে এখনি দিগি¦জয়ী ধ্বনি তুলতে হবে, যে সতীত্ব রক্ষা করে, সহধর্মিনীর বিবাহের মাধ্যমে যারা বিশ্বস্ত স্বামীর ঘর করে সন্তান ধারণ করবে, তারাই মা, জায়া ও জননী। অন্যরা সব বেশ্যা ও তাদের সন্তানরা অবৈধ প্রজন্ম। এইডস রোগ দিয়ে আল্লাহ্ এ আন্দোলনের ক্ষেত্র তৈরী করে দিয়েছেন। এখন কর্তব্য হলো, এ বইতে লেখা “এ ছিলেন মুহাম্মাদ, এ হলো ইসলাম, বর্ণবাদ নয়, সকল বর্ণের সমাহার ও অন্যরা যা বলে তা নয়” এর মর্ম বুঝে যায়দ, বিলাল, ইবন মাসউদ, আম্মার ও সালমানদের মতো মুস্তাদআফ হয়ে উসামাহ্ আদর্শের নেতৃত্বের পতাকা তুলে বর্তমানে ইসলামী আন্দোলনের নাম ঝুলিয়ে যে বিপদগামী বিভ্রান্তকারীরা ঘরভাঙ্গা নারীদের পেছনে পালা বদলের কাজী গিরি করে বেড়াচ্ছে, তাদেরকে উৎখাত করে নির্মূল করা। এরাই বড়ো দাজ্জাল আসার পূর্বে ক্ষুদে দাজ্জাল। বড়ো দাজ্জাল আসার জন্য এরা ক্ষেত্র তৈরী করছে। ভালো করে বুঝতে হবে যে যায়দ, বিলাল, আম্মার, সুহাইব, সালমান ও উসামাহ্ বা মুস্তাদআফ বলতে সর্বহারাদের দল বুঝায়না। সর্বভোগীদের ন্যায় সর্বহারারাও সমাজের কলঙ্ক। সর্বত্যাগী মানব শ্রেণী বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানব প্রজন্ম। এদের সংখ্যা যতই কম হোক, তারা নবী রাসূলদের দল, হিযবুল্লাহ। তাদের সাথে আল্লাহ্ ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। সর্বত্যাগীরা সংঘবদ্ধ নয় বলে তাদের পক্ষে আল্লাহ্র সাহায্য আসছেনা। যা-ই দেয়া হয়, সবই হারায়, কিছুই রাখতে জানেনা, তারা সর্বহারা। তাদের শুধু সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য করতে হবে। প্রয়োজনের বেশী তাদের হাতে দেয়া চলবেনা, দিলেই আবার নষ্ট হবে, আবার হারাবে। তাদের কোনো দায়িত্বও দেয়া হবেনা। তাহলে তাদের উপর যুলুম করা হবে। যে যার যোগ্য নয়, তার উপর সে বোঝা চাপিয়ে দেয়া ইসলামে নিষেধ। (সূরা নিসা-৫) যারা যা পায়, সব খায়, আরো আহরণ করে, আরো খায়, তারা সর্বভুক, সর্বভোগী। এরা তাগুত ও মুস্তাকবির। তারা বর্তমান সমাজ ও যুগের আবু জেহ্ল, আবু লাহ্ব, আবু সুফয়ান, মুয়াবিয়া, মারওয়ান ও ইয়াযীদ। রাস‚ল সঃ কর্তৃক এরা উৎখাত হলে পর, পুনঃ বিদআত চালু হলে এরা পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হয়। আবু বকর উমররা তাদের নব দীক্ষার সীমাবদ্ধতায় বিদআত করে ওদের পুনঃ আসার পথ করে দিয়ে নিজেরাও ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং তাদের সন্তানদেরও নির্র্মূল হওয়ার পথ করে যায়। তাদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহন করে আমরা সকল বিদ্আত ত্যাগ করে শুধু আল্লাহ্ ও রাসূলদের আনুগত্যের “প্রাণপণ” বা “বায়আত্” করবো। তাহলে আল্লাহ্ আমাদের সে জাতিরূপে বেছে নেবেন, যাদের দিয়ে পুনঃ বিশ্বকে তিনি সাজাবেন বলে সূরা মুহাম্মাদের শেষ আয়াতে ঘোষণা দিয়েছেন। এখন আমাদের সকল পুরাতন বিদআত অন্তর থেকে মুছে ফেলে আমরা ভবিষ্যতে আর কোনো বিদআত করবোনা, তার শপথ নিতে হবে। আমি সে সব প্রস্তাব স্বয়ং পূর্ণ করেই সজ্জনদের সে পথে ডাকছি। আল্লাহ্ তুমি আমার ডাককে সবার কাছে পৌছে দাও। আমীন। (দশ) কথিত রাসূল সঃ এর পরিবার, বনী হাশেম ও আব্বাসের বংশধররা যাকাত খাবেনা। তা তাদের জন্য হারাম। মুয়াত্তা, দারেমী, নাসায়ীও মাসনাদে আহমাদে যখন দেখি যে রাসূল সঃ তাঁর আহলে বাইতের জন্য যাকাত্ সদকা খাওয়া জায়েয নয়, তখন আমার নিকট এটা স্পষ্ট হয় যে রাসূল সঃ ও তাঁর সত্যিকারের অনুসারিই তাঁর আহলে বাইত। ক্বোরআনে আল্লাহ্ সকল রাসূূলদের আদেশ করেছেন, يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا “হে রাসূল সম্প্রদায়, তোমরা সর্বদা হালাল খাবে, তারপর ভালো কাজ করবে।” ঈমান ও আমলের পূর্বশর্ত হালাল খাওয়া ও হালাল পরা। হারাম খেয়ে-পরে ঈমান-আমল হয়না। তাই নবী রাসূলদের প্রত্যেক অনুসারী দ্বীনের ধারক বাহককে হালাল খেতেই হবে। তবেই তারা নবী রাসূলদের আহলে বাইত হবে। তা না হলে নবীদের স্ত্রী ও ছেলে সন্তানরাও তাঁদের আহলে বাইত নয়। এ অবস্থায় সুদখোর আব্বাস ও বাইতুল মালের অর্থচোর, এবং সে লুন্ঠিত ধনে তায়েফে প্রাসাদ তৈরী করে তাতে নিত্য নতুন নারীভোগী আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাসের বংশধরের যাকাত সদক্বা হারাম হওয়ার হাদীস ইসলামের সাথে নির্দয় উপহাস বই কিছু নয়। পূর্বে যেরূপ উল্লেখ করা হয়েছে যে আব্বাস আদৌ ইসলাম গ্রহণ করেনি, সে তার অবৈধ প্রণয়ী হিন্দার স্বামী আবু সুফইয়ানের প্রাণরক্ষার জন্য চাচা হওয়ার সুবাদে রাসূল সঃ এর সাথে মিশে ছিলো মাত্র। আব্বাস আদৌ ঈমান আনলে তার সত্যতা প্রমাণের জন্য অবশ্যই আবু সুফইয়ানকে হত্যা করার ব্যবস্থা করতো। তা হলেই আব্বাসের অতীত পাপের কিছু কাফ্ফারা হতো। সে কাজটি না করে সে কুট-কৌশলে ইসলামের চির-শত্রæ আবু সুফইয়ান, হিন্দা ও মুয়াবিয়াকে রক্ষা করেছিলো। পরে আব্বাস আবু সুফইয়ানের জয়েন্ট ভেনচারের দু’ভাই, ইবন আব্বাস ও মুয়াবিয়া মিলেই রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে পরবর্তীতে সর্বগ্রাসী ও সর্বনাশী উমাইয়া আব্বাসী সাম্রাজ্যবাদের ভিত্তি প্রস্তর রেখে যায়। তাই আব্বাসের বংশধরের জন্য যাকাত সদক্বা হারামের ফতোয়া শকুনের জন্য মরা গরু হারাম হওয়ার ফতোয়ার মতো কৌতুকের নামান্তর । আজ আমি যখন এ লাইনগুলো লিখছি, আজ শুক্রবার। পার্শ্বের মসজিদ থেকে বেতনভুক মোল্লার খোতবা পড়া শোনা যাচ্ছে। ঠিক এ মুহুর্তে নির্বোধ তোতাপাখি পড়ছে শুনছি , “আল্লাহুম্মাগ্ফির লি আব্বাস ওয়া ওলাদিহি ...।” আল্লাহ্ তুমি আব্বাস ও তার ছেলের জাহেরী-বাতেনী সকল গুনাহ মাফ করে দাও । আব্বাসী সাম্রাজ্যের আমলের দিনারের বিনিময়ে দ্বীন বিক্রিকারীদের বানানো খোতবার আদলে থানবীদের বানানো খোতবা পড়ে আজো তাদের পাপের বোঝা আমাদের উপর চাপাচ্ছে। এ সমস্ত বিদ্আতের পাপে গোটা মুসলিম জাতি “এখন মরে তো তখন মরে”। তবু ভুল বর্জন করে নতুন জীবন প্রাপ্তির জন্য আহবনকারী কেউ নেই । আমি সে ডাক দিচ্ছি ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন