ধর্মনিরপেহ্ম নামের শকুন থেকে শতর্ক বাংলাদেশের তৌহিদী জনতা
লিখেছেন লিখেছেন আইল্যান্ড স্কাই ২২ আগস্ট, ২০১৩, ০৩:৩৯:২৫ দুপুর
সেকিউলারিজমের উত্পত্তি ইউরোপে।উনবিংশ শতকে একজন ইংরেজ চিন্তাবিদ সেকিউলারিজমকে একটা বিশ্বজনীন আন্দোলনে রূপ দিতে চেষ্টা চালান।এরা নিজেদেরকে সেকিউলারিষ্ট,ধর্ম বিমুক্ত চিন্তাবিদ পরিচয় দিয়ে আত্নপ্রকাশ করেন।
ইউরোপের পাদ্রীদের মনগড়া মতামতের সাথে যখন গবেষক ও বৈজ্ঞানীকদের গবেষনালব্ধ মতামতে দন্দ্ব দেখা দিল এবং তারই ভিত্তিতে পাদ্রীদের উত্খাত করার জন্য"গীর্জা বনাম রাষ্ট্রের লড়াই"নামক দু'শ বছর ব্যাপী রক্তহ্ময়ী সংগ্রাম পরিচালিত হল।তখন স্বংস্কারবাদীরা -একটা আপোষ রহ্মার জন্য মার্টিন লুথারের নেতৃত্বে প্রস্তাব দিল যে ধর্ম মানুষের ব্যাক্তিগত জীবনে সীমাবদ্ধ থাকুক আর সমাজের ও পার্থিব জীবনের সর্বহ্মেত্রে নেতৃত্ব রাষ্ট্রের উপর ন্যাস্ত থাকুক।
এখান থেকেই মূলত ধর্ম নিরপেহ্মতার যাত্রা শুরু হয়।এর পর থেকে খৃষ্টান ধর্ম যাজকদের সমাজ এবং রাষ্ট্রিয় জীবনে প্রভাব কমে যায়।ফলে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবন ধর্মীয় প্রবনতা থেকে মুক্তি পায়।
ধর্ম নিরপেহ্মবাদী আদর্শকে মুলত নাস্তিক্যবাদের উত্তম বিকল্প হিসাবে অভিহিত করা যায়।
ধর্ম নিরপেহ্মমতবাদীরা সবসময় নাস্তিক্যবাদীদের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে শুরু থেকেই।ধর্ম নিরপেহ্মবাদী নেতা ব্রডলেফ এর মতে"ধর্মীয় আকিদা বিশ্বাস প্রতিহত করায় হচ্ছে সেকিউলারিজমের বা ধর্মনিরপেহ্মবাদীদের কর্তব্য।
ইসলামে ধর্মনিরপেহ্মতা একটি কূফরী মতবাদ।কারন ইসলামের ধর্মের ব্যপকতায় রাজনীতি শিহ্মা,ব্যবসা,সামাজিক আচার আচরন সবকিছুই আওতাভূক্ত।ইসলামে এমন কিছু নেই যা অনুপস্হিত।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে"আমি তোমাদের প্রতি নাযিল করেছি এই কিতাব যা সবকিছুর সুস্পষ্ট বর্ণনা হেদায়েত রয়েছে"(সূরা নাহলঃ১৬:৬৯)
আল্লাহ পাক সূরা আনআমের ৩৮ নং আয়াতে আরো বলেন"আমি এই কিতাবে কোন কিছু বর্ণনা করতে ছেড়ে দেয়নি।
ইসলাম মানবজাতির জন্য শাশ্বত আদর্শ রেখে গেছেন। তবে কেন এই ৯০% মূসলিমের দেশে এই ধর্মনিরপেহ্ম মতবাদ চাপিয়ে দেয়া ? জনগনের কল্যান সাধন জনগনের মতামত কে প্রাধান্য দেয়াই যদি হয় গনতন্ত্রের উদ্দেশ্য তবে ৯০% মুসলিম জনগনের মতামতকে প্রাধান্য না দিয়ে আপনারা কার মনোরন্জনে ধর্মনিরপেহ্মতা কায়েম করছেন জাতি জানতে চায়।মুসলিম রাষ্ট্র গুলোতে ধর্মনিরপেহ্ম চাপিয়ে দেয়ার জন্য ইহুদী খৃষ্টানের দালালরা নামধারী কিছু মুসলমানকে বেছে নেয় এবং তাদের পিছনে কোটি কোটি ডলার খরচ করে ইসলামের অনুসারিদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়।তাদেরকে রাষ্ট্রীয় হ্মমতায় বসায় তারপর ঐ ধর্মনিরপেহ্ম ইহুদী খৃষ্টানের দালালরা তাওহীদে বিশ্বাসী, যারা মহাগ্রন্থ আল কোরআনকে জমিনে প্রতিষ্ঠীত করতে চাই তাদের উপর হিংস্র জানোয়ারের মতো ঝাঁপিয়ে পরে,শুরু করে নির্যাতনের ষ্টীম রোলার,মিথ্যা মামলা,মিথ্যা সাহ্মী যোগার করে জুডিশিয়াল কিলিং গঠন করে দেশের সেরা ইসলামী ব্যাক্তিত্ত্বদের ফাঁসিতে ঝুলানোর ব্যবস্হা করে।অপবাদের ঝড় উঠায়,মিশর,আলজেরিয়া,তুরস্ক,তিউনেশিয়া,বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে ধর্মনিরপেহ্মবাদীরা কৌশলে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে ইসলামকে মহান আল্লাহর এই জমিন থেকে উৎখাত করার গভীর ষঢ়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে,আমরা তৌহিদে বিশ্বাসী মুসলমানরা ধর্মনিরপেহ্মবাদীদের সব ষঢ়যন্ত্র মোকবেলা করতে হবে না হয় তারা ইসলামের সব নিশানা একে একে ধ্বংস করবে।চাপিয়ে দেবে এই নিকৃষ্ট ধর্মনিরপেহ্ম মতবাদ।বিশেষ করে বাংলাদেশের ব্যাপারে প্রত্যেক জাতীয়তাবাদী ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী ভাইদের সতর্ক থেকে আগামী নির্বাচনে ধর্মনিরপেহ্ম ইহুদী খৃষ্টানের দালালদের প্রতিহত করতে হবে না হয় বাংলাদেশ হবে এক মিশর,আফগানিস্তান,সিরিয়া,লিবিয়ার মতো রক্তাক্ত ও রক্তে রঞ্জিত।যার নমূনা দেখেছেন বাজধানী ঢাকার ৫ই মে শাপলা চত্তরে,দেখেছেন ফেব্রয়ারীর গণহত্যা সহ অসংখ্য নমূনা।
বিষয়: বিবিধ
১২৭৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন