ইসলামী সমাজ গঠনের উপায়
লিখেছেন লিখেছেন আইল্যান্ড স্কাই ২০ আগস্ট, ২০১৩, ০৪:০৬:৪১ বিকাল
ব্যক্তি ও সমষ্টি একযোগে আল্লাহ ব্যতীত সকল শক্তির দাসত্ব সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করার পরই ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। অপরাপর শক্তির পূর্ণ আনুগত্য হোক অথবা আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের সাথে সংমিশ্রিত আনুগত্য হোক — উভয় প্রকারের অধীনতা থেকেই মুক্ত হতে হবে। কেননা, আল্লাহ তাআলার কোন অংশীদার নেই। আল্লাহ তাআলার নিকট এভাবে আত্মসমর্পণের ভিত্তিতে পরিচালিত করতে সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। এ সংকল্প থেকেই একটি নতুন উম্মাত জন্মলাভ করবে। জাহেলিয়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত প্রাচীন সমাজের বুকে এক নতুন সমাজ আত্মপ্রকাশ করে, নতুন আকীদা-বিশ্বাস, নতুন মতবাদ এ নতুন ধরনের জীবনযাত্রা প্রণালীর মাধ্যমে এ নব সমাজ কালেমায়ে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’র পূর্ণরূপ ধারণ করে। জাহেলিয়াতের প্রাচীন সমাজ এ নতুন সমাজের মধ্যে বিলীন হয়ে যেতে পারে কিংবা এ সমাজের সাথে একটা আপোষ রফা করতে অথবা এর বিরুদ্ধে লড়াইও করতে পারে। ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি যে, জাহলী সমাজ ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রথম উদ্যোগেই আন্দোলনের সূচনাকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। সূচনায় স্বল্প সংখ্যক লোক এ আন্দোলনের ডাকে সাড়া প্রদানের সাথে সাথেই জাহেলিয়াতের পক্ষ থেকে লড়াই শুরু হয়। আন্দোলন দানা বেঁধে উঠলে তাদের লড়াই প্রবল হয়ে উঠে। এমন কি ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার পরও জাহেলিয়াতের পতাকাবাহী দল লড়াই অব্যাহত রাখে। হযরত নুহ (আ) থেকে শুরু করে হযরত মুহাম্মাদ (সা) পর্যন্ত প্রত্যেক নবীর আহবানের জবাবে বাতিল সমাজ একই পন্থা অবলন্বন করেছে।
তাই একথা সুস্পষ্ট যে, জাহিলয়াতের আক্রমণ প্রতিরোধ করার উপযোগী শক্তি অর্জন না করা পর্যন্ত মুসলিম উম্মাত গঠিত হতে পারে না। আর যদি তা গঠিত হয় তাহলে কিছুতেই টিকে থাকতে পারবে না। সর্বক্ষেত্রেই শক্তি অর্জনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ঈমান ও আকীদার শক্তি, প্রশক্ষণ ও নৈতিক শক্তি, একটি উম্মাতের সংগঠন ও তাকে টিকিয়ে রাখার শক্তি এবং বাতিলের উপর প্রাধান্য বিস্তার করার জন্যে না হলেও বাতিল শক্তির আক্রমণ প্রতিহত করার উপযোগী শক্তি অর্জন করা খুবই জরুরী।
বিষয়: বিবিধ
১৫২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন