ইসলামী আন্দোলনের ভাইদের দৃষ্টি আকর্শন করছি ?
লিখেছেন লিখেছেন আইল্যান্ড স্কাই ৩০ জুলাই, ২০১৩, ১১:৪৭:২৭ রাত
যেকোন মুসলিমই রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠা বা ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠার আকাংখা রাখতে পারে । কিন্তু একজন ভাল Practicing মুসলিম হিসাবে সবই কি এটাকে উপযুক্ত গুরুত্ব দিতে পেরেছি বা আল্লাহ ও তার রাসূলের সন্তুষ্টির জন্য করছি? নাকি (concept & practice এ)কম-বেশী করে ফেলছি অথবা নিজের উপর অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব চাপিয়ে নিচ্ছি? আসুন নিচের নিয়ামক গুলির আলোকে একটু চিন্তা করি:
১. এটা দ্বীনের অনেকগুলি আবশ্যিক বিষয়ের একটির(জিহাদের)অংশ। এটা পুর্নাঙ্গ দ্বীন নয়।
২. সারা বাংলাদেশে (অথবা পৃথিবীতে) দ্বীন কায়েম হলেও আমার কোন লাভ হবে না যদি আমার শরীরে দ্বীন কায়েম না হয়, আমার পরিবারে দ্বীন কায়েম না হয় অথবা যথাযথ চেষ্টা না করা হয়। “মুমিনগণ, তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সেই অগ্নি থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও প্রস্তর, যাতে নিয়োজিত আছে পাষাণ হৃদয়, কঠোরস্বভাব ফেরেশতাগণ। “(৬৬:৬)
৩. দ্বীন কায়েম তথা যেকোন ইবাদতে/আমলে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কেই অনুসরন করব। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে শুধু নেতা বা রাষ্ট্র নায়ক না, বরং জীবনের প্রতিটি হ্মেত্রে একমাত্র আদর্শ হিসাবে মানবো।”
“বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।“ (Al-Imran:31), “…তারা ভাল কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তা’আলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী। (At-Tauba:71)
৪. দ্বীন কায়েম করতে যেয়ে দ্বীনের কোন ব্যপারে কম্প্রোমাইজ করবনা। (generally)। “হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (২:২০৮)”
৫. রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নবুওতের প্রথম ১৩ বছরের সুন্নাহ তথা দাওয়াতী জীবনের অনুসরন থেকে বিরত থাকব না। বরং রাসুলুল্লাহ সাঃ দ্বীন প্রতিষ্ঠার সুন্নাহগুলি অনুসরন করব।
৬. শুধু রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্বীন কায়েম করাটাকেই জীবনের একমাত্র/ultimate উদ্দেশ্য/লহ্ম বানিয়ে ফেলবনা। বরং জান্নাত-আল্লাহর সন্তুষ্টি-আল্লাহ ও তার রাসুলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন-…- ইত্যাদী লহ্ম ঠিক রাখব। এবং ইসলামের অন্যান্ন আবশ্যিক বিষয়গুলিতে কৃতকার্য হওয়ার জন্য সমান বা বেশী Priority দিয়ে চেষ্টা করব।
৭. রাসুল সাঃ ছাড়া কোন মানুষকেই অন্ধ অনুসরন করব না। এটা মনে রাখব যে যেকোন আলেমই ভুল করতে পারেন। তাই ততহ্মন কাওকে অনুসরন করব, যতহ্মন তা কোরআন ও সুন্নাহর বাইরে যাবে না।
৮. শুধুমাত্র ইসলামী সাহিত্য ও বিপ্লবী তাফসীরের মধ্যে নিজের ঞ্জানকে সীমাবদ্ধ রাখব না। পৃথিবীর অন্যান্ন বড় স্কলারদের লেখা বই বিশেষ করে যারা মাতৃভাষার মাধ্যমে ইসলামিক ঞ্জান অর্জন করেছেন (এবং শুদ্ধ আকিদার) তাদের বইও পড়ব। সুন্নাহ অধ্যয়ন করব। জীবনের প্রতিটি হ্মেত্রে ইসলাম পালনের জন্য যে ঞ্জান অর্জন করা দরকার তা অর্জন করব।
৯. কোরআনকে নিজের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝব না। বরং সেভাবেই বুঝার চেষ্টা করব যেভাবে রাসুলুল্লাহ সাঃ বুঝেছেন ও বুঝিয়েছেন এবং সাহাবীগন বুঝেছেন। এবং একটা আয়াত বা হাদীস পড়েই সেটা দিয়ে কোন Ruling draw করে বসব না। বরং শুদ্ধ আকিদার আলেমগনের সহচার্যে থাকব ও তাদের সাহায্য নিব।
১০. ইসলামের কোন ব্যাপারেই চরম পন্থা অনুসরন করব না।
১১. হিদায়াত পেয়ে গেছি বলে সন্তুষ্ট চিত্তে বসে থাকব না। বরং এভাবে চিন্তা করে দেখব – দিনে ৫ ওয়াক্ত নামাজে আল্লাহ আমাদের কো্রআনের যে সুরাটি প্রতিরাকাতে পড়তে আদেশ করেছেন, তাতে মুলত আমরা বারবার আল্লাহর কাছে হিদায়েত প্রর্থনা করি। নামাজ তো শুধু মুসলিমরাই পড়ার কথা। তাহলে আল্লাহপাক মুসলিমদেরকে প্রতিদিন ১৭ বার শুধু হিদায়েত প্রার্থনা বাধ্যতামুলক করে দিলেন কেন। এটা যদি এত সহজ হত তাহলে কি এত গুরুত্বের প্রয়োজন ছিল। তাই পুর্বপুরুষদের থেকে প্রাপ্ত অনুশাসনগুলিকে একটু সততার সাথে কুরআন সুন্নাহের আলোকে চিন্তা করে দেখব এবং হিদায়েতের পাওয়ার চেষ্টা করব।
১২. যা কিছু করব একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দ্যশ্যেই করব এবং লোকদেখানোর উদ্দেশ্যে বা আত্মতুষ্টির উদ্দেশ্যে করব না + রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাহ অনুযায়ী করব।
বিষয়: বিবিধ
১৬০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন