সে পথে পা বাড়ায়নি একাত্তরের রাজাকারেরা।
লিখেছেন লিখেছেন আইল্যান্ড স্কাই ১৭ জুন, ২০১৩, ১১:৩০:৫১ সকাল
বিভেদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ ইসলামে হারাম। বিচ্ছিন্নতায় যেটি প্রকাশ পায় সেটি আল্লাহর হুকুমের চরম অবাধ্যতা। বিচ্ছিন্নতার এ পথ সিরাতুল মোস্তাকিম থেকে ছিটকে পড়ার পথ। এপথ বস্তুতঃ নিজেদের ঘাড়ে আল্লাহর আযাব নামিয়ে আনার পথ। তাই সে পথে পা বাড়ায়নি একাত্তরের রাজাকারেরা। পবিত্র কোরআনের নির্দেশ অনুসারে ঈমানদার হওয়ার জন্য অপরিহার্য শর্ত হল আল্লাহর রশিকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরা, ভাষা ও বর্ণের বাঁধনকে নয়। আল্লাহর সে রশিটি হল পবিত্র কোরআন। ভাষা বা ভৌগলিক পরিচয়ের অহংকার নিয়ে বিভক্ত হলে বা বিচ্ছিন্নতাবাদে দীক্ষা নিলে তাতে ঈমান বাঁচে না। এতে প্রচন্ডভাবে যা বাড়ে তা হল পথভ্রষ্টতা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীরা রাস্তাঘাটে মূর্তিগড়ে, মোঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে, শরিয়ত প্রতিষ্ঠার প্রাণপনে বিরোধীতা করে, কোরআনের চর্চা না বাড়িয়ে রবীন্দ্রসংগীতের চর্চা বাড়ায় -তা তো সে পথভ্রষ্টতারই প্রমাণ। এমন পথভ্রষ্টতাই আল্লাহর প্রতিশ্রুত আযাবও নামিয়ে আনে। আনে বিশ্বজোড়া অসম্মান। বাংলাদেশ যেভাবে দূর্নীতিতে বিশ্বে বার বার প্রথম হল, ভিক্ষার ঝুলির খেতাব পেল –তা কি এসব মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারিদের অর্জন নয়? মুক্তিযুদ্ধ্বের চেতনাধারীরা কোরআনকে বাদ দিয়ে আঁকড়ে ধরেছিল সেকুলারিজম, জাতিয়তাবাদ, সমাজতন্ত্রের ন্যায় আস্তাকুঁড়ের মতবাদগুলোকে। এদিক দিয়ে ভারতীয় কাফেরদের থেকে তাদের পার্থক্য কোথায়? মুসলমান হওয়ার অর্থ শুধু মুর্তিপুজা থেকে দূরে থাকা নয়, কাফেরদের আদর্শগুলোও পরিত্যাগ করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীরা সেটি পারেনি। তাই বাংলাদেশে যতই বেড়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীদের সংখ্যা ও বিজয়, ততই বেড়েছে আল্লাহর আযাব। তাই সে আযাব জলোচ্ছ্বাসের বেশে ১৯৭০য়ের নভেম্বরে যেমন এসেছে, সেটি দুর্ভিক্ষের বেশে ১৯৭৪য়েও এসেছে, প্রলয়ের বেশে ১৯৯১তেও এসেছে। এখনও অবিরাম আসছে নানা বেশে। কোদালকে কোদালই বলতে হয়। কাফেরকে কাফের বলা, মোনাফিককে মোনাফিক বলা যেমন আল্লাহর সূন্নত, আযাবকে আযাব বলাও তেমনি সূন্নত। এসব আযাব নিয়ে কাফের বা সেকুলারদের ব্যাখা যাই হোক, সেটি ঈমানদারের ব্যাখা নয়। আল্লাহর অনুমতি ছাড়া গাছের একটি পাতাও পড়ে না। বান্দাহর গায়ে একটি আঁচড়ও লাগে না। ঈমানদারির কথা তো এটিই। কোরআনে সে সত্যটি বার বার বলা হয়েছে। তাই জলোচ্ছ্বাসে লাখ লাখ মানুষ ভাসে কি করে? সে ক্ষমতা কি পানির আছে? পানির সে ক্ষমতাটি তো আসে আল্লাহর হুকুমে। আল্লাহর হুকুমে ক্ষুদ্র মশাও বিশাল বোমার চেয়ে মারাত্মক হতে পারে। ক্ষুদ্র পাথর টুকরা পরিণত হতে পারে মিজাইলে। এমন মিজাইলে মারা পড়েছিল মক্কার উপর আগ্রাসী বাদশাহ আবরাহ’র বিশাল বিশাল হাতি। ক্ষুদ্র মশা গুড়িয়ে দিয়েছিল নমরুদের অহংকার। কোরআনে বর্ণীত আদ-সামুদ জাতি ও মাদায়েনের অধিবাসীর উপর কি এতবড় আযাব এসেছিল যা বার বার আসছে বাংলাদেশে? লক্ষ লক্ষ মানুষ কি সে আযাবে মৃত্যু বরণ করেছিল যা মারা গেছে বাংলাদেশে? আদ-সামুদ জাতি আল্লাহর অবাধ্যতা করেছিল ঠিকই। কিন্তু সে অবাধ্যতায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্রটি ধ্বংস হয়নি এবং একটি প্রতিবেশী কাফের দেশও বিশ্বশক্তি হওয়ার সুযোগ পায়নি। তাদের সে অবাধ্যতায় হাজার হাজার মুসলমানের জীবনে মৃত্যু, ধর্ষন, লুন্ঠন, নির্যাতন ও গ্লানিও নামিয়ে আনেনি।
বিষয়: বিবিধ
১০৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন