''জয়ের ইশারায় অধ্যাপক আরাফাতের ইসলামবিদ্বেষী মিশন''

লিখেছেন লিখেছেন আইল্যান্ড স্কাই ২৯ মে, ২০১৩, ১১:৩৬:০৯ সকাল



''আওয়ামীলীগঃ বাংলাদেশ থেকে ইসলাম ধ্বংস করাই যার মূল উদ্দেশ্য''

কে এ আরাফাত ???

ইন্ডিপেন্ডেন্ট নামক একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাপক তিনি। বর্তমান সময়ে টেলিভিশন টকশোর আলোচিত ও সমালোচিত মুখ। প্রায় প্রতিদিনই তাকে কোনো না কোনো টেলিভিশনে দেখা যায়। তেমন বিখ্যাত কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক না হয়েও, এমনকি বুদ্ধিজীবী মহলে তার কোন সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও তিনি কেন, কিভাবে টকশোর আলোচক হিসেবে এতো গুরুত্ব পান সে বিষয়টি জানার কৌতূহল জাগে অনেকের। কারণ নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুরিভুরি অধ্যাপকরাও বিশেষজ্ঞরা টিভি টকশোতে সুযোগ পাচ্ছেন না। টিভি টকশোতে আরাফাতের মত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জুনিয়র অধ্যাপকের এতো উপস্থিতি সবাই সন্দেহের চোখে দেখছেন। কিন্তু কি বিশেষ যোগ্যতা রয়েছে আরাফাতের, যার জন্য টকশোতে তার সরব উপস্থিতি? সেটা জানতেই আরাফাতের সম্বন্ধে বিশেষ অনুসন্ধান চালানো হয়। অনুসন্ধান থেকে বেরিয়ে আসে সুশ্রী চেহারার এই আরাফাতের গোপন মিশনের খবর।

আরাফাতের পরিচয় শিক্ষক হলেও সে মূলত শেখ হাসিনা পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের ঘনিষ্ট বন্ধু। জয় ও আরাফাত যুক্তরাষ্ট্রে একসাথেই পড়ালেখা করেছে। সেখান থেকে তারা দুজন ঘনিষ্ট বন্ধু। আরাফাত বিদেশে স্টাডি করলেও তাকে জয়ই দেশে পাঠিয়েছে এজেন্ট হিসেবে। জয়ের ইহুদিচক্র ও ভারতীয় ‘র’ এর ইসলামবিদ্বেষী মিশনের বাংলাদেশের প্রধান এই আরাফাত। জয় দেশের বাইরে অদৃশ্য থেকে দেশিয় এজেন্টদের ব্যবহার করে ‘মোসাদ’ ও ‘র’ এর মিশন বাস্তবায়ন করাচ্ছে। এই মিশনে আরাফাতের দায়িত্ব যুব সংগঠক হিসেবে। যুবকদের সংগঠিত ও জয়ের রাজনৈতিক উপদেষ্টার কাজ করছেন আরাফাত। সামাজিক মাধ্যমে নাস্তিক গ্রুপটিও আরাফাতের ছত্রছায়ায় সৃষ্ট। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের অনলাইন এক্টিভিস্টরা আরাফাতের সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের সদস্য। আরাফাতই জয়ের নির্দেশে ডা. ইমরানের নেতৃত্বে শাহবাগে আন্দোলন শুরু করায়। জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার রায় এবং তার প্রতিবাদে গণজাগরণ মঞ্চের নাটকটি পূর্বপরিকল্পিত। ভারতের মদদে জয়ই আরাফাতের মাধ্যমে মিডিয়ার যোগসাজশে এ নাটকটি মঞ্চস্থ করে। আরাফাতের পরিকল্পনাতেই মূলত আওয়ামী নীতিনির্ধারণ হচ্ছে। কারণ তিনি জয়ের এজেন্ট। পর্দার সামনে আরাফাত আওয়ামী বুদ্ধিজীবীর দায়িত্বপালন করছে আর পর্দার আড়ালে নীতিনির্ধারণে ভুমিকা রাখছে। বিশেষ করে ইসলাম নির্মূলের বিষয়ে। শাহবাগ থেকে প্রতিটি উচ্চারিত শ্লোগান তারই প্রমাণ। এমনকি হেফাজতে ইসলামির অর্থ লেনদেনের কাহিনীও আরাফাতেরই বানানো।

আরাফাতের আরো গোপন কর্মকান্ড ধারাবহিকভাবে তুলে ধরা হবে। আজকের লেখা শেষ করছি আরাফাতের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু বিষয় উল্লেখ করে।

আরাফাতের স্ত্রী অভিনেত্রী শমি কায়সার। শহিদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে। শমি প্রথম বিয়ে করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নির্মাতা রিংগোকে। রিংগোর সাথে বনিবনা না হওয়ায় ডিভোর্স হয়ে যায়। তারপর সে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মালিকের সাথে লিভ-টুগেদার করেন দীর্ঘ সময় (নামটা ইচ্ছাকৃত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকলাম)। সর্বশেষ আরাফাত তাকে বিয়ে করেন। শমীর সাথে আছে দেশে বড় বড় কূটনীতিকদের সম্পর্ক। দলীয়ভাবে তাকে ব্যবহার করেন আরাফাত। পাশাপাশি ভারতীয় এজেন্ট সামলান তিনি। তারেক ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে নিয়ে ভারতীয় খরচে বাংলাদেশী মিডিয়া যে অপপ্রচালায় চালায় জয়ের হয়ে এই আরাফাত সেই। সঙ্গে কিছু ব্যবসায়ী।

তাকে নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনে একটি সংবাদও ছাপা হয়। বাংলাদেশ প্রতিদিনের ওই রিপোর্টি পাঠকদের উদ্দেশে তা হুবুহু প্রকাশ করা হল

বাংলাদেশ প্রতিদিন

(৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২, ২৫ মাঘ ১৪১৮, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৩৩)

জয়ের বন্ধু পরিচয়দানকারী কে এই আরাফাত ?

আগে তিনি বিভিন্ন পার্টিতে নিজেকে পরিচয় দিতেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের বন্ধু। ইদানীং সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে নিজের নামের আগে জয়ের বন্ধু পরিচয় দিচ্ছেন। সর্বশেষ গত শনিবার 'সাম্পান' নামের একটি প্রতিষ্ঠান তাদের একটি সেমিনারের প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে মোহাম্মদ এ আরাফাতের পরিচয় উল্লেখ করেছে তিনি 'সজীব ওয়াজেদ জয়'র ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সূচিন্তা ফাউন্ডেশনের কর্নধার। আসলে কে এই আরাফাত? যিনি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পরিচয় দেন জয়ের বন্ধু? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে আরাফাত নামের এ ব্যক্তির সঙ্গে জয়ের পরিচয়ই ছিলো না। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর কোন এক সেমিনারে দেখা হওয়ার সুবাদে নাম ভাঙ্গানো শুরু করেন। এই পরিচয়েই তিনি বিটিভিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাগিয়ে নিচ্ছেন। তার চেয়ে অধিক বয়সী একজন অভিনেত্রীকে বিয়ে করে আরাফাত প্রথম মিডিয়ার শিরোনাম হন। এখন প্রভাবশালীদের নাম ভাঙ্গানোই তার কাজ। 'সাম্পান' নামে প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের পলিটিক্যাল রিসার্চ অরগানাইজেশন হিসেবে দাবি করে গত রোববার সেমিনারের আয়োজন করে। এতে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের এমপি গোলাম মাওলা রনি, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, মো. এ. আরাফাত, মেয়র প্রার্থী ড. তুহিন মালিক, জাকের পার্টির কায়সার হামিদ ও 'গড়বো বাংলাদেশ' এর কামরুল হাসান নাসিম। ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ওই সেমিনারে বক্তারা জাতীয় নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থাও প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক থেকে আসা একটি বেসরকারি টিলিভিশনের পরিচালকও একইভাবে প্রভাবশালীদের নাম ভাঙ্গিয়ে চলেন। অবশ্য এখন নাম ভাঙ্গানো ব্যক্তিটি তার নিজের ব্যক্তিগত কেলেঙ্কারির কারণে বেসরকারি টেলিভিশনেও যেতে পারেন না। আরাফাত এবং এই ব্যক্তিটি খুবই ঘনিষ্ঠ

বিষয়: বিবিধ

২৩৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File