ছাত্রলীগের শতাধিক ক্যাডার হেফাজতের লেবাসে
লিখেছেন লিখেছেন আইল্যান্ড স্কাই ১০ মে, ২০১৩, ১০:৫৮:৪৯ রাত
দলীয় ঘোষণাকে সামনে রেখে হেফাজতে ইসলামের ভিতরে ঢুকে পড়েছে ছাত্রলীগ। দাড়ি, টুপি ও পাগড়ী পরিহিত এসব ছাত্রলীগ কর্মীরা নাশকতার কাজে জড়িয়ে পড়ছে। এ কাজে সহযোগিতার জন্য কিছু ভাড়াটে লোকও সংগ্রহ করেছে তারা। উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ হেফাজতের কর্মসূচিকে অশান্ত করা।
বিশ্বস্ত সূত্র মোতাবেক গত ৪ এপ্রিল শনিবার রাতে কেরানীগঞ্জের স্থানীয় এক চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতার নেতৃত্বে একটি গোপন মিটিং হয়। আ’লীগ নেতার মিটিং-এ সিদ্ধান্ত হয় যে, ২০ জন করে ৬টি গ্র“পে বিভক্ত হয়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা হেফাজতের কর্মীদের সাথে থাকবে। প্রত্যেকেই টুপি, লাল রুমাল, মাথায় পাগড়ি, হাতে তসবিহ নিয়ে মিছিলে থাকবে। স্লোগান দিয়ে আস্থা অর্জন করবে। সুযোগ বুঝেই নিজেদের মিশন শুরু করবে। এর মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনার বিরেুদ্ধে ঘৃণ্য স্লোগান, ফুটপাতের দোকান ভাঙচুর, আ’লীগ বিরোধী স্লোগান, সাংবাদিককে পিটানো, হেফাজত কর্মীদের ভাঙচুরে উসকে দেয়া। গ্র“পিং করা। জিহাদের নামে মারামারি করতে বলা। পুলিশকে গালি দেয়া ও পুলিশদের ল্য করে বিদ্রুপ করা, উত্তেজনাকর পরিবেশ তৈরি ইত্যাদি। এজন্য তারা কৌশলে হেফাজতের কিছু লোকের কাছ থেকে স্বেচ্ছাসেবক ব্যাজও সংগ্রহ করেছে। এ জন্য তাদের প্রত্যেককে দৈনিক তিন হাজার টাকা, খাবার এবং যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেলের ব্যবস্থা করা হয়। তাদের নিরাপত্তার জন্য আশপাশেই দলীয় লোক থাকবে। ভাঙচুর-মারামারি শুরু হলেই সটকে পড়বে তারা। আ’লীগ অফিসের সামনে হামলার নেতৃত্বও দেয় এ গ্র“পটি। এ অবস্থায় সরেজমিন তদন্তের জন্য মতিঝিল, পল্টন, দৈনিক বাংলা, বক চত্বর, গুলিস্থান, আ’লীগ কার্যালয়সহ কয়েকটি জায়গায় গিয়ে দেখা যায় তাদের ছক মোতাবেক কাজের নমুনা। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সময় টিভির রিপোর্টার সাইফুল বায়তুল মোকাররমের সামনের ওভার ব্রিজের নিচে ক্যামেরার তার গোছানোর সময় তার ওপর অতর্কিতে হামলা করে কয়েকজন যুবক। কোনো প্রকার উত্তেজনা ছাড়াই তাকে কিলঘুষি মারা হয়। মোহনা টেলিভিশনের রিপোর্টারকে জিজ্ঞেস করে তার চ্যানেলের নাম কি? মোহনা’ উত্তর দিতেই তার ওপর হামলে পরে হেফাজতের লেবাসের কর্মীরা। পালিয়ে রা পায় সে। এভাবেই গোপন মিশনে নামে ছাত্রলীগের কিছু প্রশিতি কর্মী ও ভাড়াটে লোক। অবরোধ কর্মসূচির ব্যাপারে হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নেতারা ও স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। কোনো রকম মারামারি বা ভাঙচুরের সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। কোনো বিশেষ দলের বিরুদ্ধেও আমাদের অবস্থান নয়। যারা বিশৃঙ্খলা করতে চায় আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে কিছু দুষ্কৃতিকারী আমাদের বিপদে ফেলার জন্য এসব কাজ করছে। নেতারা আরো বলেন, হেফাজতের কর্মসূচি নবীপ্রেমিক আলেম-ওলামা, সাধারণ জনগণকে নিয়ে। কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেফাজতকে ব্যবহার করতে চাইলে আমরা প্রতিহত করি। এ ব্যাপারে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা সহযোগিতা করব। কোনো হামলার সাথে হেফাজতের কোনো স¤পৃক্ততা নেই।
বিষয়: বিবিধ
১২৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন