সন্ত্রাসীদের কাছে একসময় পছন্দের তালিকায় সেরা অস্ত্র নাইন এমএম হলেও বর্তমানে তার বদলে স্থান পেয়েছে সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ বিদেশি পিস্তল।
লিখেছেন লিখেছেন আইল্যান্ড স্কাই ১০ মে, ২০১৩, ১২:০৯:৩১ দুপুর
সন্ত্রাসীদের কাছে একসময় পছন্দের তালিকায় সেরা অস্ত্র নাইন এমএম হলেও বর্তমানে তার বদলে স্থান পেয়েছে সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ বিদেশি পিস্তল। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা বাহিনীর সূত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়। সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকা দিয়ে ঢুকে পড়া এই সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ হ্যান্ড গানটি অস্ত্র ব্যবসায়ীদের হাত হয়ে কখনো কখনো ফল ও সবজির ট্রাক এবং ট্রেনের মাধ্যমে চলে আসছে রাজধানীতে। সীমান্তে যেখানে একটি সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তল বিক্রি হয় ২০-২৫ হাজার টাকায়, সেটাই ঢাকায় সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করা হয় তিন-চার গুণ বেশি দামে। নাইন এমএম পিস্তল বিক্রি হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকায়। আগে এই অস্ত্রটির দাম ছিল ৫০-৬০ হাজার টাকা।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বর্তমান সময়ের বহুল আলোচিত সৌদি ক‚টনীতিক খালাফ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তল দিয়ে। খালাফ হত্যাকাণ্ডে আটককৃতরা তাদের দেয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছে, খুব কাছে থেকে তারা এই পিস্তল দিয়ে খালাফকে গুলি করে হত্যা করেছে। সূত্রটি আরো জানিয়েছে, ঢাকা শহরের বেশিরভাগ সন্ত্রাস কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত সংঘটিত হচ্ছে এই অস্ত্রের মাধ্যমে। সন্ত্রাসীরা বর্তমানে সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তলটি ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সূত্রটি জানায়, গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে জব্দ করা এসব অত্যাধুনিক সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তলগুলো বেশিরভাগ তৈরি হয় জার্মানি, চেক প্রজাতন্ত্র ও অস্ট্রিয়ায়।
জানা যায়, রাজধানীর মিরপুরের শেয়ার ব্যবসায়ী জিয়া হায়দার হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতারকৃত মূল কিলার জিতু ওরফে ইমরান জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জানায়, উল্লিখিত হত্যাকাণ্ডটি ঘটানোর জন্য ২০১১ সালের দিকে অস্ত্র কেনার জন্য সে খোঁজ-খবর শুরু করে। ডিএমপিকে সে জানায়, তার প্রথম পছন্দের অস্ত্র ছিল নাইন এমএম। পরে কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সে জানতে পারে যে কোনো হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার ক্ষেত্রে সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তল অধিক কার্যকর এবং ছোট, বহনে সুবিধাজনক ও ব্যবহারে সুবিধাজনক। তাই বর্তমানে সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তলটিই সবাই ব্যবহার করছে। জিতু জানায়, অস্ত্র কেনার জন্য প্রথম তার সঙ্গে যোগাযোগ হয় গাজীপুরের অস্ত্র ব্যবসায়ী আলীর সঙ্গে। পরে আলীর মাধ্যমে সে যুবদলের নেতা মিলনের কাছ থেকে পঁয়ষট্টি হাজার টাকায় একটি সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তল কেনে। গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে কিলার জিতু আরো জানায়, পঁয়ষট্টি হাজার টাকায় সে সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তলের সঙ্গে পাঁচটি বুলেটও পেয়েছে।
ডিবি পুলিশের পশ্চিম জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান জানিয়েছেন, শেয়ার ব্যবসায়ী জিয়া হায়দার হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতারকৃত আওয়ামীলীগের লালিত কিলার জিতুর দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে একাধিক গোয়েন্দা বাহিনী মাঠে নামে। গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাজধানীতে এসব অস্ত্রের সিংহভাগ চালান মূলত উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্তপথ হয়ে আসছে। রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বেশিরভাগ ছোট ছোট বিদেশি অস্ত্রের চালান আসে। রাজশাহী ও চাঁপাই সীমান্তে সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তলের চালান ধরা পড়েছে। র্যাব-৫-এর হাতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুবলীগের অস্ত্র ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে, সীমান্ত এলাকা দিয়ে বর্তমানে সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তলটির চালানই বেশি আসছে। জহুরুল তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানিতে আরো জানায়, অসাধু ব্যবসায়ী চক্র সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশে ঢুকে পড়া অস্ত্রগুলোর কেনাবেচা ও বহনের কাজে ব্যবহার করে শিক্ষিত বেকার দরিদ্র যুবকদের। সীমান্ত এলাকা দুর্গম হওয়ায় দরিদ্র যুবকরা অর্থের লোভে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফলমূলের ট্রাক কিংবা ট্রেনে করে অস্ত্র নিয়ে রাজধানী চলে আসে। ট্রেনে রাজধানীতে নামলে যুবলীগ ছাত্রলীগের অস্ত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের লোকজন এসে তাদের কাছ থেকে নির্বিঘ্নে অস্ত্র নিয়ে চলে যায়। অস্ত্র বুঝিয়ে দিয়ে তারা আবার ফিরতি ট্রেনে গন্তব্যস্থলে চলে যায়। অস্ত্র ব্যবসায়ীরা সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্রের চালানের জন্য ট্রেনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে দেয়া জবানবন্দিতে গ্রেফতারকৃত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জানিয়েছে, নাইন এমএম পিস্তলটি তাদের কাছে জনপ্রিয় ছিল। একসময় তারা ব্যবহার করত। বড় ও ওজনে ভারী হওয়ায় অপারেশনে যাওয়ার সময় অস্ত্রটি বহন করার ক্ষেত্রে তাদের বেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হতো। সীমান্তের ওপার থেকে অত্যাধুনিক সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তলটি এলে তারা তা লুফে নেয়। এই অস্ত্রটির দাম একটু বেশি হলেও ছোট ও বহনে সুবিধাজনক হওয়ায় সন্ত্রাসীদের কাছে নির্ভরযোগ্য হয়ে ওঠে।
গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত দুই বছরে অস্ত্র ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীচক্রের কাছে দ্রুত গতিতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই পিস্তলটি।
সন্ত্রাসীদের কাছে একসময় পছন্দের তালিকায় সেরা অস্ত্র নাইন এমএম হলেও বর্তমানে তার বদলে স্থান পেয়েছে সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ বিদেশি পিস্তল। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা বাহিনীর সূত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়। সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকা দিয়ে ঢুকে পড়া এই সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ হ্যান্ড গানটি অস্ত্র ব্যবসায়ীদের হাত হয়ে কখনো কখনো ফল ও সবজির ট্রাক এবং ট্রেনের মাধ্যমে চলে আসছে রাজধানীতে। সীমান্তে যেখানে একটি সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তল বিক্রি হয় ২০-২৫ হাজার টাকায়, সেটাই ঢাকায় সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করা হয় তিন-চার গুণ বেশি দামে। নাইন এমএম পিস্তল বিক্রি হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকায়। আগে এই অস্ত্রটির দাম ছিল ৫০-৬০ হাজার টাকা।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বর্তমান সময়ের বহুল আলোচিত সৌদি ক‚টনীতিক খালাফ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তল দিয়ে। খালাফ হত্যাকাণ্ডে আটককৃতরা তাদের দেয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছে, খুব কাছে থেকে তারা এই পিস্তল দিয়ে খালাফকে গুলি করে হত্যা করেছে। সূত্রটি আরো জানিয়েছে, ঢাকা শহরের বেশিরভাগ সন্ত্রাস কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত সংঘটিত হচ্ছে এই অস্ত্রের মাধ্যমে। সন্ত্রাসীরা বর্তমানে সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তলটি ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সূত্রটি জানায়, গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে জব্দ করা এসব অত্যাধুনিক সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তলগুলো বেশিরভাগ তৈরি হয় জার্মানি, চেক প্রজাতন্ত্র ও অস্ট্রিয়ায়।
জানা যায়, রাজধানীর মিরপুরের শেয়ার ব্যবসায়ী জিয়া হায়দার হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতারকৃত মূল কিলার জিতু ওরফে ইমরান জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জানায়, উল্লিখিত হত্যাকাণ্ডটি ঘটানোর জন্য ২০১১ সালের দিকে অস্ত্র কেনার জন্য সে খোঁজ-খবর শুরু করে। ডিএমপিকে সে জানায়, তার প্রথম পছন্দের অস্ত্র ছিল নাইন এমএম। পরে কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সে জানতে পারে যে কোনো হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার ক্ষেত্রে সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তল অধিক কার্যকর এবং ছোট, বহনে সুবিধাজনক ও ব্যবহারে সুবিধাজনক। তাই বর্তমানে সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তলটিই সবাই ব্যবহার করছে। জিতু জানায়, অস্ত্র কেনার জন্য প্রথম তার সঙ্গে যোগাযোগ হয় গাজীপুরের অস্ত্র ব্যবসায়ী আলীর সঙ্গে। পরে আলীর মাধ্যমে সে যুবদলের নেতা মিলনের কাছ থেকে পঁয়ষট্টি হাজার টাকায় একটি সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তল কেনে। গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে কিলার জিতু আরো জানায়, পঁয়ষট্টি হাজার টাকায় সে সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তলের সঙ্গে পাঁচটি বুলেটও পেয়েছে।
ডিবি পুলিশের পশ্চিম জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান জানিয়েছেন, শেয়ার ব্যবসায়ী জিয়া হায়দার হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতারকৃত কিলার জিতুর দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে একাধিক গোয়েন্দা বাহিনী মাঠে নামে। গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাজধানীতে এসব অস্ত্রের সিংহভাগ চালান মূলত উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্তপথ হয়ে আসছে। রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বেশিরভাগ ছোট ছোট বিদেশি অস্ত্রের চালান আসে। রাজশাহী ও চাঁপাই সীমান্তে সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তলের চালান ধরা পড়েছে। র্যাব-৫-এর হাতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের অস্ত্র ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে, সীমান্ত এলাকা দিয়ে বর্তমানে সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তলটির চালানই বেশি আসছে। জহুরুল তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানিতে আরো জানায়, অসাধু ব্যবসায়ী চক্র সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশে ঢুকে পড়া অস্ত্রগুলোর কেনাবেচা ও বহনের কাজে ব্যবহার করে শিক্ষিত বেকার দরিদ্র যুবকদের। সীমান্ত এলাকা দুর্গম হওয়ায় যুবকরা অর্থের লোভে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফলমূলের ট্রাক কিংবা ট্রেনে করে অস্ত্র নিয়ে রাজধানী চলে আসে সরকার সমর্থক লোকদের মাধ্যমে। ট্রেনে রাজধানীতে নামলে অস্ত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের লোকজন এসে তাদের কাছ থেকে নির্বিঘ্নে অস্ত্র নিয়ে চলে যায়। অস্ত্র বুঝিয়ে দিয়ে তারা আবার ফিরতি ট্রেনে গন্তব্যস্থলে চলে যায়। অস্ত্র ব্যবসায়ীরা সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্রের চালানের জন্য ট্রেনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে দেয়া জবানবন্দিতে গ্রেফতারকৃত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জানিয়েছে, নাইন এমএম পিস্তলটি তাদের কাছে জনপ্রিয় ছিল। একসময় তারা ব্যবহার করত। বড় ও ওজনে ভারী হওয়ায় অপারেশনে যাওয়ার সময় অস্ত্রটি বহন করার ক্ষেত্রে তাদের বেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হতো। সীমান্তের ওপার থেকে অত্যাধুনিক সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তলটি এলে তারা তা লুফে নেয়। এই অস্ত্রটির দাম একটু বেশি হলেও ছোট ও বহনে সুবিধাজনক হওয়ায় সন্ত্রাসীদের কাছে নির্ভরযোগ্য হয়ে ওঠে।
গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত দুই বছরে অস্ত্র ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীচক্রের কাছে দ্রুত গতিতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই পিস্তলটি।
বিষয়: বিবিধ
৩৫৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন