মহান আল্লাহ বিচার শুরু করেছেন,নির্যাতিত শোকহতরা ধৈর্য্য হারা হয়ো না, এই খুনী ফ্যাসিষ্টরা ধ্বংস হবেই ?
লিখেছেন লিখেছেন আইল্যান্ড স্কাই ০৯ মে, ২০১৩, ১১:৪৭:০৪ সকাল
রাজধানীর গাবতলীর কাছাকাছি টেকনিক্যালে একটি সোয়েটার কারখানায় আগুনে ওই কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও পুলিশের এডিশনাল ডিআইজিসহ (অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক) ৮ জন মারা গেছেন।
তুং হাই নামে ওই কারখানাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমান পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক। এছাড়া তিনি কুমিল্লা উত্তরের আওয়ামী লীগ নেতা।
পুলিশের ডিআইজির (পুলিশ হেড কোয়ার্টার) নাম জেডএ মোর্শেদ।
মৃত অন্যরা হলেন- কুমিল্লা উত্তর যুবলীগের সভাপতি ও মাহবুবুর রহমানের পারিবারিক বন্ধু সোহেল মোস্তফা, এমডির আরেক বন্ধু এমদাদুর রহমান বাদল এবং নাসিম ও শাহাবুদ্দিন। অন্য দুই জনের নাম জানা যায়নি।
আগুন লাগার পর ভবনে আটকে পড়েন কারখানার এমডিসহ ওই ৮ জন। তাদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, অ্যাপোলো হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্কয়ার হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীও আহত গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বুধবার রাত ১১টার দিকে কারখানাটিতে আগুন লাগে। রাত পৌনে ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভাতে মিরপুর- ১০ ও হেড কোয়ার্টারসহ ফায়ার সাভিসের ৯টি ইউনিট কাজ করে।
জানা গেছে, ১১তলা ভবনের ৩ তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। এ আগুন ৪ তলায় ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি।
অন্যান্য দিনের মতো রাত ৮টায় কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে শ্রমিকরা চলে যায়। তবে মালিক ও কর্মকর্তারা ভেতরে কাজ করছিলেন।
রেড ক্রিসেন্টের উপপরিচালক খলিলুর রহমান বলেন, ‘আহত অবস্থায় চার ও পাঁচ তলা থেকে ওই ৮ জনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখনও আগুনের সূত্র পাওয়া যায়নি।’
আগুন লাগার কিছুক্ষণ পর বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট আতিকুল ইসলাম ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
আতিকুল ইসলাম রাত ১টার দিকে জানান, কারখানার এমডির নাম মাহবুবুর রহমান। তার মোবাইলে প্রথম দিকে যোগাযোগ করা গেলেও এখন আর সম্ভব হচ্ছে না।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন