ধর্মের লেবাসধারী এই সরকারের কাছে ইসলাম এখন কোণঠাসা ?

লিখেছেন লিখেছেন আইল্যান্ড স্কাই ০৫ মে, ২০১৩, ০৮:৪৯:৫০ সকাল



প্রশাসনের সর্বক্ষেত্রে বৈষম্যের কুফল এখন জলজ্যান্ত, পরিষ্কার। প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে সহসচিব উপসচিব ও সচিব পদে সংখ্যালঘু কর্মকর্তার সংখ্যা আনুপাতিকভাবে বেশি। জেলা প্রশাসক ডেপুটি কমিশনারদের এবং পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর থেকে পুলিশ সুপার পর্যন্ত নির্বাহী স্তরের কর্মকর্তাদের বেশির ভাগই অমুসলিম এবং হিন্দু। আওয়ামী লীগ এ পরিকল্পনা নিয়েই গদিতে বসেছিল যে, নিজেদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে তারা এমন বহু ব্যবস্থা নেবে, দেশের গরিষ্ঠ মানুষ যা সমর্থক করতে পারবে না। সে জন্যই তারা তাদের ভোটব্যাংক হিন্দুদের মধ্য থেকে এসব কর্মকর্তা নিয়াগ করেছেÑ এ বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে যে, তারা সরকারের ইসলামবিরোধী এবং নিপীড়নমূলক যে কোনো নির্দেশ বিনা প্রতিবাদে মেনে নেবে, প্রয়োজন বোধে সাজানো নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কারচুপি ও কারসাজি করবে। এ ব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদে যে সংখ্যাগুরুদের ভেতর ‘ব্যাকল্যাশ’ দেখা দিতে পারে সেটা সরকার একবারও ভেবে দেখেনি।

এরপর তারা ইসলামকে কোণঠাসা করার কাজে হাত দেয়। সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ এবং ইসলামের নাম পরিত্যক্ত হয়। একই সাথে দেশজোড়া বিভিন্ন কাল্পনিক সন্ত্রাসী দলের সদস্য অপবাদ দিয়ে দাড়ি ও টুপি পরিহিত ব্যক্তিদের ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়, যারা নিয়মিত মসজিদে নামাজ পড়তে যান তাদের ওপর গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি চালু হয়। এ প্রক্রিয়ায় এ যাবৎ বহু হাজার মুসলমানকে গ্রেফতার করে জেলে বন্দী রাখা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের পরেই জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল। একাত্তরে তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। সে অধিকার তাদের ছিল, কেননা তারা তখন পাকিস্তানি ছিল এবং পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখা তাদের কেউ কেউ দেশপ্রেম বিবেচনা করেছিল। তাদের হিসাবে ভুল হয়েছিল এবং চূড়ান্ত ফলাফলদৃষ্টে তারা সে প্রমাণ পেয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পরে তারা বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য বজায় রেখেছে বলেই মনে হয়। সে হিসেবে এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার তাদের আছে। ধর্মীয় রাজনীতি বর্তমানে আলজেরিয়া ছাড়া অন্য কোনো দেশে নিষিদ্ধ বলে আমার জানা নেই। তবে আলজেরিয়াকে সাংঘাতিক খেসারত দিতে হয়েছে সে জন্য। ১৯৯২ সাল থেকে সে দেশটিতে হত্যা ও সঙ্ঘাতে লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ দিয়েছে এবং বহু দেশই প্রমাণ পেয়েছে যে, জনসাধারণের ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত দেয়ার ফলাফল মারাত্মক হতে পারে।

বিষয়: বিবিধ

১২৬৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File