'এরিয়া ৫১' রহস্যের সমাধান নাকি নতুন রহস্য?Thinking Thinking Thinking

লিখেছেন লিখেছেন সন্ধার মেঘমালা ১৮ আগস্ট, ২০১৩, ০৬:৫৭:১৩ সন্ধ্যা



'এরিয়া-৫১'- আমার মতো অনেকের কৌতূহলী মনের খোরাক ।আমেরিকার নেভাদা অঙ্গরাজ্যের সামরিকঘাটি এই 'এরিয়া-৫১' ।স্থাপনাটি লাসভেগাস থেকে ৯৫ কিমি দুরে "গ্রুম" লেকের পাশে অবস্থিত। দুর্ভেদ্য বেষ্টনীতে ঘেরা এ ঘাটির প্রবেশপথে লেখা আছে অনধিকার প্রবেশকারীকে গুলি করা হতে পারে। আজপর্যন্ত বেসামরিক কেউ দাবী করেনি তিনি এরিয়া৫১ এ ঢুকেছেন। যদি কেউ ঢুকেও থাকেন তাহলে তিনি জীবিত আর বের হতে পারেন নি তা নিশ্চিত।এর আশপাশের বাসিন্দারা কিছু রহস্যময় কথা বলেছেন ।তাদের অনেকের দাবী এরিয়া৫১ এর আকাশে ফ্লাইং সসারের মত মত কিছু উড়তে তারা দেখেছেন।আবার অনেকেই নাকি এমন দ্রুতগতির বিমান উড়তে দেখেছেন যার গতি সাধারন বিমান বা যুদ্ধবিমান কোনোটার সাথেই মিলে না।জানা যায় মহাজাগতিক অন্যান্য প্রাণী বিশেষ ধরনের নভোযান বা ‘ফ্লাইং সসারে’ করে পৃথিবীতে আসে। যার অন্যতম কেন্দ্র হচ্ছে ‘এরিয়া ৫১’। মহাজাগতিক যোগাযোগের গোপনীয়তা রক্ষার জন্যই ‘এরিয়া ৫১’।



এখানে কর্মরত পদার্থবিজ্ঞানী বব লেজার বলেন সেখানে নাকি এলিয়েন দের নিযে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এক ফ্লাইং সসার আছে।ওখানে এলিয়েনটির ব্যবচ্ছেদ করে নাকি পাওয়া গেছে ঐ প্রাণীটি এসেছে 'রেটিকুলাম-৪' নামক জ্যোতিষ্ক থেকে।প্রাণীটির উচ্চতা সাড়ে তিনফুট শরীর রোমহীন কালো বড় বড় চোখ এবং শরীর কৃশকায়।দেহ ব্যবচ্ছেদ করে নাকি ফুসফুস ও হৃৎপিন্ডর বদলে বিশাল এক পতঙ্গ পাওয়া গেছে!‘এরিয়া ৫১’কে কেন্দ্র করে অসংখ্য বিজ্ঞান কল্পকাহিনীনির্ভর ব্যয়বহুল ছবি তৈরি করেছে হলিউড ।পদার্থবিজ্ঞানী বব লেজার আরো জানান এই এরিয়ায় এমন মৌল নিয়ে গবেষণা হচ্ছে যা কিনা সময়কে স্থির করতে পারবে !

মানব সভতার সবচেয়ে বড় রহস্যটি বোধ করি 'এরিয়া৫১' -কে নিয়েই !

'মানুষ কখনো চাঁদে যায়নি এবং চাঁদে যাওয়ার ঘটনাটির পুরো নাটকটি সাজানো হযেছে এই এরিয়া৫১ এর ভিতর' - এমন বিতর্কও রয়েছে এরিয়া৫১ নিয়ে ।খোদ আমেরিকাতেই ২০% মানুষ সন্দেহবাদী ।তারা বিশ্বাস করে আমরা কখনো চাঁদে যাইনি ।



এমন এমন রোমহর্শক বিতর্কের অবসান ঘটাল আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ।অবশেষে মার্কিন গোপন বিমান ঘাঁটি ‘এরিয়া-৫১’-এর কথা স্বীকার করেছে তারা ।সম্প্রতি গোপন কিছু নথিপত্র প্রকাশ হয়ে পড়লে এ স্বীকারোক্তি জানায় দেশটি। গত বৃহস্পতিবার(১৫-০৮-২০১৩) আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি আর্কাইভ অতীতের বিভিন্ন রেকর্ড থেকে চারশ’ পৃষ্ঠার তথ্য প্রকাশ করে। এতে মার্কিন ‘ইউ-২’ গোয়েন্দা বিমানের কথাও জানা যায়। এই এরিয়ায় বিভিন্ন ধরনের গোপনীয় গোয়েন্দা বিমানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হতো। বিশেষ করে ‘ইউ-২’ প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য ওই এলাকা নির্বাচিত করে সিআইএ ও মার্কিন বিমান বাহিনী। সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে শীতল যুদ্ধের সময় এসব ‘ইউ-২’ গোয়েন্দা বিমান ব্যবহার করত আমেরিকা। অবশ্য, এখনও তার গোপন ব্যবহার অব্যাহত রয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।এখানে গ্রহান্তরের আগন্তুকের কোন চিহ্ন মেলেনি ।



রোমহর্শক বিতর্ক ও প্রচারণার আড়ালে গোপন গবেষণা ও গোয়েন্দা তৎপরতা চলছিল এই রহস্যময় 'এরিয়া ৫১' তে !

বিষয়: আন্তর্জাতিক

৩৮২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File