Roseনিরাপদ মাতৃত্বRoseসকল সচেতন মানুষের প্রত্যাশা

লিখেছেন লিখেছেন সন্ধার মেঘমালা ২৮ মে, ২০১৩, ০২:১১:২২ দুপুর



মহান সৃষ্টিকর্তা নারীকে দান করেছেন সৃষ্টির বিস্ময়কর শক্তি। সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমা! অনাদিকাল থেকে এভাবেই এগিয়ে চলছে পৃথিবী -নিজের নিয়মে। নারীর মধ্যে জন্ম নেয় নতুন শিশু ।সে শিশুই পরবর্তীতে পৃথিবী সাজায় নিজের মেধা ও মনন দিয়ে।



সন্তান জন্মদান একটি জটিল জৈবিক প্রক্রিয়া। মানসিক(অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ) প্রক্রিয়াও বটে। গর্ভধারণ থেকে প্রসব ও প্রসবপরবর্তী সময়ে নারীরা অত্যন্ত জটিল একটি প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যান। এসময় সঠিক পরিচর্যা প্রয়োজন ।অন্যথায় মা ও শিশুর জীবন বিপন্ন হবে যখন তখন ।তাই নিরাপদ মাতৃত্ব অত্যন্ত প্রয়োজন। নিরাপদ মাতৃত্ব হচ্ছে এমন একটি পরিবেশ/অবস্থা সৃষ্টি করা যাতে একজন নারী তাঁর নিজ সিদ্ধান্তে গর্ভবতী হওয়ার পর গর্ভ ও প্রসব সংক্রান্ত জটিলতা ও মৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সেবা নিশ্চিতভাবে পেতে পারেন। মায়েদের গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের সময়ে মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবার কোন বিকল্প নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো ,জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্য জটিলতায় আক্রান্ত মোট নারীর মাত্র ৫ শতাংশ তাদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা পায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. সিফায়েতউল্লাহ বলেন, গর্ভকালীন সময় শতকরা ১৫ জন মহিলাই নানাবিধ ঝুঁকিপূর্ণ জটিলতায় ভোগেন, যা মাতৃ মৃত্যুর জন্য বহুলাংশে দায়ী।সিডও সনদের ১২ ধারার অনুচ্ছেদ -১ এর বিধানে বল হয়েছে- সেই সাথে গর্ভাবস্থায় ও শিশুকে মায়ের দুগ্ধদানকালে পর্যাপ্ত পুষ্টির ব্যবস্থা করে গর্ভকাল, সন্তান জন্মদানের ঠিক আগে এবং সন্তান জন্মদানের পরে নারীদের উপযুক্ত সেবা প্রদান করবে। বাংলাদেশ সিডও সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ হলেও এখনো এই সেবাসমূহ নিশ্চিত করতে পারেনি। মাতৃস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও মাতৃমৃত্যু রোধকল্পে ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতিবছর ২৮শে মে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’ পালন করে আসছে বাংলাদেশ। যদিও বিশ্বের নানা দেশে নানা তারিখে এ দিবস পালন করা হয়।স্বাস্থ্য সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার ভয়াবহ। এখন পর্যন্ত সরকার মাত্র ৫৫ শতাংশ মায়ের নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে পেরেছে। বাকি ৪৫ শতাংশ মা এখনও নিরাপদ মাতৃত্ব সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগের মাতৃমৃত্যুর চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, এখনও সিলেটে প্রতি লাখে ৪৬২ জন এবং ঢাকাতে ১৯৬ জন মা সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মারা যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য সচিব বলেন, নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিতে সরকারের অঙ্গীকার ও টাকার অভাব নেই, অভাব কমিটমেন্ট ও মনিটরিং ব্যবস্থার।

আমি আশাবাদী পৃথিবীতে মাতৃমৃত্যুর হার শূন্য -এ নেমে আসবে। কারণ মাতৃত্ব মানবজাতির অহংকার। নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

বিষয়: বিবিধ

১৭৩৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File