নবী, রাসূল, ওলী, গাউস, কুতুব সর্বদা জীবিত যারা স্বীকার করেন তারা শির্ক করছেন

লিখেছেন লিখেছেন ঘারতেরা ১৭ জুলাই, ২০১৪, ১০:৪৮:০১ সকাল

কথা বলছিলাম মাযার সম্পর্কে, আমি বললাম আমাদের দেশে যেভাবে মাযারে ইবাদতের নামে শির্ক হচ্ছে তাতে উচিত হবে সমস্ত মাযারকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া। সাথে সাথেই কয়েকজন আমাকে ঘিরে ধরলো এবং আমাকে বললো ওলী আউলিয়াদের মাযার সম্পর্কে আজে বাজে কথা বললে কবর সম্পর্কে বললে তারা আমাকে দেখে নেবে। তারা বললো নবী রাসুল ওলী গাউসরা কখনো মারা যায়না তারা সর্ব অবস্থায় জীবিত তাদের ক্ষমতা এখনও বিদ্যমান তারা অনেক কেরামতের গল্প শুনালো একজন বললো আমি ড্রাইভার সাইদবাদ কোন এলাকা যাচ্ছিলেন হটাৎ সামন্য উচু জায়গায় আমার গাড়ী কিছুতেই উঠছে না তখন আমি নামলাম এবং ক্ষমা চেয়ে সাত টাকা দিলাম অমনি আমার গাড়ি চলতে শুরু করলো ইত্যাদি-----ইত্যাদি--। এখন দেখা যাক কোরআন ও হাদিস এ ব্যপারে কি বলে--

একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ চিরঞ্জীব নয়। আল্লাহ বলেন: অর্থাত ভূপৃষ্ঠে যা কিছুই রয়েছে তা সবই নশ্বর। যা একদা ধ্বংস হয়ে যাবে। শুধু থাকবে আপনার প্রতিপালক। যিনি মহিমাময়।(সূরা রহমান:২৬-২৭)

অন্য আয়াতে বলেন: সকল জীবকে একদা মৃত্যুর আস্বাদ গ্রহণ করতেই হবে। কেউ সর্বদা বেঁচে থাকবে না। (সূরা আল ইমরান ১৮৫)

এরপরেও তারা অযথা ত্বর্কে লিপ্ত হয়। শুধু কি তাই কাউকে কোন কথা বলতেই সুযোগ দিতে চায়না। অথচ আমাদের নবী (সঃ) এর মৃত্যু সম্পর্কে স্পষ্ট আয়াত রয়েছে যেমন:

অর্থাৎ নিশ্চই আপনি মরণশীল এবং নিশ্চই তারাও মরণশীল। কেউই এ দুনিয়াতে চিরদিন থাকবে না (সূরা যুমার: ৩০) আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন অর্থাৎ আমি আপনার পূর্বের কাউকেই (কোন মানুষকেই) অনন্ত জীবন দেইনি। সুতরাং আপনি যদি মৃত্যু বরণ করেণ তাহলে তারাকি চির জীবন এ দুনিয়াতে থাকতে পারবে বলে আশা করে? সবাইকেই একদা মরতে হবে। কেউই চিরঞ্জীব নয়। (আম্বিয়া: ৩৪)

রাসূল (সHappy মৃত্যু বরণ করলে উমর ফারুক (রাHappy দাড়িয়ে বললেনঃ আল্লাহর কসম! রাসূল (সHappy মুত্যু ররণ করেননি। ইতিমধে আবু বকর (রাHappy সূনহ নামক এলাকা থেকে আসলেন এবং রাসূল (সHappy এর চেহারা উম্মোচন করে তাতে চুমো দিলেন এবং বললেন: আমার পিতা-মাতা আপনার উপর কোরবান হোক! আপনি জীবিত ও মৃত উভয় অবস্থায় পূত-পবিত্র। সে সত্তার কসম যার হাতে আমার জীবন আপনাকে আ্ল্লাহ তায়ালা দুবার মৃত্যু দিবেন না। শুধু সে মৃত্যুর আপনি বরণ করেছেন যা আপনার জন্য বরাদ্ধ ছিল। তিনি কসম কারীকে শান্ত হতে বললেন এবং বললেন: তোমরা জেনে রেখ যে ব্যক্তি মুহাম্মদ (সHappy এর ইবাদাত করতো তার জানা উচিৎ তিনি এখন আর জীবিত নেই। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার ইবাদাত করে তার কোন অসুবিধা নেই। তিনি নিশ্চই জীবিত। তিনি কখনই মৃত্যু বরণ করবেন না। এর পর তিনি যুমার ও ইমরান এর উপরোক্ত আয়াতদ্বয় তিলাওয়াত করলেন। (বুখারী হাদিস: ১২৪১, ১২৪২, ৩৬৬৭, ৩৬৬৮, ৪৪৫২, ৪৪৫৩, ৪৪৫৪)

এখন দেখি মৃত্যুর পর তাদের ক্ষমতা কেমনঃ আল্লাহ তায়াল বলন:

"মৃত ব্যক্তিকে তুমি কোন কথা (আহবানই) শুনাতে পারবে না। (সুরা আন নামল:৮০) কাজেই যারা কারও কথাই শুনতে পায়না তারা আবার কেমন করে আপনাদের জন্য কিছু করবে? এসম্পর্কে আল্লাহ আরও বলেন: (আল্লাহ-কে) বাদ দিয়ে যাদেরকে তোমরা ধারনা করছ, তাদের ডেকেই দেখ না, তারা তোমাদের দুঃখ কষ্ঠ মোটেই দুর করতে সক্ষম নয়, আর কোন ক্ষমতাও ওদের নেই। এরা যাদেরকে ডাকছে, তারা নিজেরাই নিজেদের পালনকর্তর দরবারে পৌছানোর উপায় খুজে রেড়াচ্ছে, তাদের মধ্যে কে বেশি ঘনিষ্ঠ হতে পারে আর তারই মেহেরবানী কামনা করছে, তার আযাবকেও ভয় করছে । কথা সত্যি যে আপনার পালনকর্তার আযাব ভয় করার মতোই।(সূরা বনী ইসরাইল:৫৬-৫৭)

এ থেকে স্পষ্ট যে ক্ববরস্থ ব্যাক্তগণ আমাদের জন্য বিন্দুমাত্র উপকার করতে পারেই না বরং আমাদের সম্পর্কে অবগত নয়।

অথচ মানুষ মাযারে গিয়ে তাদের কাছে মানত করে আশা পূরনের জন্য আরজ করে । আল্লাহ আমাদের এরুপ অবস্থা থেকে হেফাজত করুন এবং শির্ক মুক্ত রাখুন। আমীন-

বিষয়: বিবিধ

১৬৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File