বিপদে আছি দয়া করে পড়ুন এবং মতামত দিন
লিখেছেন লিখেছেন ঘারতেরা ১২ জুলাই, ২০১৪, ০৫:৩৩:৩৬ বিকাল
ব্লগার ভাইজানেরা আমি বড় বিপদে আছি আমাকে যুক্তিসহ মতামত দিয়ে সহযোগিতা করুন। আমি একটা মসজিদে নিয়মিত ফজর নামাজ পড়ি সেখানে ইমাম সাহেব নামাযের সালাম ফিরানোর পর হাশরের তিন আয়াত পড়ার পরেই বালাগাল ওলা বি কামালিহি .......পড়ে থাকেন । এখন আমি আমার পরিচিত কয়েকজন মুরুব্বীকে বালাগাল পড়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন যে, এটা নাকি দরুদ শরীফ, আমি তাদের যতই বুঝাতে চেষ্টাকরি যে, এটি শেখ সাদী (রহ এর কবিতা কিন্তু তারা আমার কথা শুনতে নারাজ, উল্টো তাদের মুয়াজ্জিনকে সাথে নিয়ে প্রায় মারতে উদ্ধত। তারা আমাকে বলে যে এটা আপনি কোন হাদিসে পাইছেন। বলে রাখি তারা যখন বললো এটা দরুদ তখন আমি বলেছিলাম যে, কেউ যদি এটা দরুদ মনে করে পড়ে তাহলে তা অপরাধ হবে।
এতে করে তারা আমার উপর খুব ক্ষিপ্ত হলো এবং আমাকে সবাই মিলে ভৎসনা করতে লাগলো। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও নাহলে শয়তান হয়ে মরতে হবে। আমাদের এলাকায় এরকম শয়তানি কথা কেউ আগে আর কখনো বলে নাই। বলে রাখা দরকার মোয়াজ্জিন সাহবে বললেন বালাগাল ওলাবে কামালিহি এর শেষ লাইন " সাল্লে আলাইহি ওয়ালিহি" নাকি রাসুল (স স্বয়ং স্বপ্ন যোগে শেখ সাদীকে বলেগেছেন তাই এটা দরুদ হিসাবে পড়া যাবে।
এছাড়া আমি বর্তমান মাজার সম্পর্কে কথা বলতে বলেছিলাম মাজারে যে পরিমাণ শির্ক হচ্ছে তাতে এদেশের অধিকাংশ মাজার ফেতনা দুর করতে ভেঙ্গে ফেলা উচিত। এটা বলায় তারা তো মহা ক্ষিপ্ত তারা বললো ওলি আউলিয়াদের কবর সম্পর্কে কথা বললে ঈমান থাকবে না। তাদের অনের ক্ষমতা তারা কখনই মরে না তাদের কাছ থেকে কিছু চাইলে পাওয়া যায়।
তারা গোলাপশাহ মাজার সম্পর্কে বললেন ইরশাদের সময় এটা ভেঙ্গে ফেলার অনেক চেষ্টা করা হইছে কিন্তু বুলডজার সামনের দিকে আগায়নি ইত্যাদি ....ইত্যাদি।
এখন ব্লগার ভাইজানেরা আমাকে সঠিক পথ দেখান যুক্তি সহকারে।
বিষয়: বিবিধ
১৭১৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর আমাদের এই সব মুরুব্বীরা নিজেরা আসলেই যা জানে তা যে ঠিক না বেঠিক তা তারা নিজেরাও জানে না । তারা সঠিক কোনটা তা বলতেও পারে না । আবার কেউ যদি এর অনুসন্ধান করতে চায় তাহলে তাকে দমিয়ে দেবার জন্য কোরাস গায়।
মাজারের ব্যাপারে যেটা বলা যায় - এটা এক কথায় শির্ক । সমস্ত আমল নষ্ট করতে এই শির্কই যথেষ্ট।
একবার আমার এক বয়স্ক পরিচিত লোক মারা যাওয়ার পর তারই এক আত্মীয় কোরআনে হাফেজ মসলা দিলেন যে লাশ একবারের বেশী জানাজা দেয়া যায় না(কারন, তিনি শহরে মারা গিয়েছিলেন এবং লাশ তার গ্রামের বাড়ীতে দাফন করা হবে)। আমি শুনে বললাম, এই লাশ যে গ্রামের বাড়ীতে নিরাপদে পৌছবে, এ গ্যারান্টি কি তিনি দিতে পারবেন কিনা? আমার জানামতে একজন মুসলমানের লাশ বিনা জানাজায় দাফন করা উচিৎ নয়। "পবিত্র কুরআনে যদি স্পস্ট লেখা থাকে তাহলে আমি মেনে নেব"- এই চ্যালেন্জ করার পর আমি জানাজার ব্যবস্হা করি এবং জানাজা পড়ি।
মাজারের ব্যাপারে যেটা বলা যায় - এটা এক কথায় শির্ক । সমস্ত আমল নষ্ট করতে এই শির্কই যথেষ্ট।
আমি মহানবীর(সঃ)রওজা মোবারকেও কাউকে সেজদা করতে দেখি নাই!
হুজুর যখন কবিতাটি শেষ করেন তখন বুঝা যায়, মিলাদ শেষ, মুনাজাত হবে, তারপর খুরমা ইত্যাদি (শুকরানা) বিতরণ হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন