কী হবে নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যত?

লিখেছেন লিখেছেন শিহাব আহমদ ১১ মে, ২০১৬, ০৬:০৯:৪৭ সন্ধ্যা

বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন তরুণ প্রজন্মের পদভারে মুখরিত। জনসংখ্যার এটি বিরাট অংশ জুড়ে এ নব্য প্রজন্মের পদচারণা জাতীয় অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করে চলেছে। শত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এ নতুন প্রজন্ম জাতীয় অর্থনীতির গতি সঞ্চারে যে অবদান রাখছে তাতে দেশের কপাল থেকে 'তলাবিহীন ঝুড়ির’ বদনাম ঘুচে গেছে। তাই দেশে এখন তরুণ প্রজন্মের জয়গান। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রজন্ম অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও প্রাণের বিনিময়ে দেশকে স্বাধীন করে। স্বাধীনতার আগে ও পরের প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, সম্পদের অপ্রতুলতা ও দূরদর্শী পরিকল্পনার অভাব বিপুল জনসংখ্যায় ভারাক্রান্ত নব্য স্বাধীন এ ছোট্ট দেশটির জন্য পর্বত প্রমাণ সমস্যার সৃষ্টি করে। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ, তলাবিহীন ঝুড়ি ও মিসকিনের দেশ হিসিবে পরিচিতি লাভ করে। এহেন নেতিবাচক পরিবেশ স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত এ জাতিকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। শত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে এবং বিপুল সমস্যাকে ডিঙিয়ে দেশের কষ্ট-সহিষ্ণু মানুষ অদম্য প্রচেষ্টায় বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের সাধারণ কর্মজীবি মানুষ বিপুল অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে দেশের এক বিশাল জনগোষ্ঠী বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য পাড়ি জমাতে থাকে। এর ফলে গত ৪০ বছরে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আমেরিকায় এবং এশিয়া ও আফ্রিকার অন্যান্য দেশে প্রায় এক কোটি বাংলাদেশী দক্ষ ও অদক্ষ জনশক্তি কাজ করার সুযোগ পায়। এই প্রবসীরা তাদের শরীরের ঘাম, রক্ত, এমনকি জীবন দিয়েও পরিবার ও দেশের ভাগ্য পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছেন। সরকারী তথ্য মতে, গত ৪০ বছরে তাদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৩২ কোটিরও বেশি টাকা যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারকে প্রতিদিনই স্ফীত করে চলেছে। দেশের কৃষক সমাজ প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মোকাবেলা করে বিভিন্ন জাতের ফসল ফলিয়ে দেশের খাদ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে ব্যস্ত। গার্মেন্টস সেক্টরে নারী শ্রমিকদের কর্মমুখরতা বাংলাদেশের রপ্তানী বাণিজ্যে ঘটিয়েছে বিপুল উন্নয়ন। সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশের অভাবিত উন্নয়ন অতীতের সব গ্লানিকে মুছে দিচ্ছে। দেশের মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে এবং ক্রমেই তারা স্বাবলম্বী হচ্ছে। আর এভাবেই স্বপ্নের সোনার বাংলার সোনালী দিগন্ত ধীরে ধীরে উদ্ভাসিত হচ্ছে।

বস্তুগত উন্নয়নের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এটাই একমাত্র সান্ত¦নার বিষয় হতে পারে না। দেশের মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ ও মানবিক মূল্যবোধের উন্নয়ন একটি বড় ব্যাপার। এর অভাবে কোন উন্নয়নই টেকসই হতে পারে না। দেশপ্রেমিক ও সচ্চরিত্রবান নাগরিকরাই পারে দেশকে সুপথে নিয়ে যেতে। আর এর জন্য চাই সুশিক্ষা। অথচ এ জায়গাটিতেই আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা শিশুদের নৈতিক চরিত্র ও মানবিক মূল্যবোধের পরিবর্তে পরীক্ষা পাশের জন্য ছকে বাঁধা কতকগুলো বুলি শেখানো হয় যা নৈতিক জীবনবোধ গঠনে তেমন সহায়ক নয়। মানুষ গড়ার কারিগর এবং জ্ঞান ও গুণাবলী শিক্ষার বিদ্যাপীঠ হিসেবে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গুরুত্ব হারাচ্ছে। একদিকে এসব প্রতিষ্ঠান যেমন পড়াশনার মান বজায় রাখতে পারছে না, তেমনই শিক্ষার্থীদের দৈহিক ও মানসিক উন্নয়নেও কোন অবদান রাখতে পারছে না। বরং পরীক্ষা পাশের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাদের ছাত্রছাত্রীদেরকে কোচিং সেন্টারমুখী বানিয়ে ফেলেছেন। তাই শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের কাছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এখন কোচিং সেন্টারগুলো হয়ে ওঠেছে গুরুত্বপূর্ণ। অভিবাকরা সন্তানদের পড়াশুনার ব্যাপারে স্কুল-কলেজের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না। তারা সন্তানদেকে নিয়ে দৌঁড়াচ্ছেন ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই শিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত কোচিং সেন্টারে। কারণ তারা এগুলোকেই নিরাপদ ভাবছেন তাদের সন্তানদের পরীক্ষায় ভাল রেজাল্টের ব্যাপারে। সংসারের কাজকর্ম ফেলে মায়েরাও দৌঁড়ান সন্তানের সাথে কোচিং সেন্টারে। এভাবে সন্তান ও মা উভয়েই হাঁপিয়ে ওঠেন। আগে অভিবাকরাই ছেলেমেয়েদের হোমওয়ার্ক করায় সাহায্য করেছেন, এক-আধটু দেখিয়ে দিলে বাকীটা তারাই করতে পেরেছে। কিন্তু এখন জিপিএ-৫ পাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছ শিক্ষার্থীরা, এরই সাথে কোচিং সেন্টারগুলোতে চলছে রমরমা বাণিজ্য। এ এক দুর্বিষহ ও ব্যয়বহুল শিক্ষা পদ্ধতি। এ পদ্ধতির শিক্ষায় শিশুরা মানবিক গুণসম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের মানসিক গঠন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং তাদের মেজাজ-মর্জি ও আচরণ উগ্র হয়ে ওঠছে। তারা স্বাবলম্বী ও আত্মবিশ্বাসী হতে পারছে না। অবশেষে হতাশগ্রস্ত হয়ে অনৈতিক কাজের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।

আমাদের বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে আদর্শ শিক্ষক, নীতিবান পেশাজীবি, দেশপ্রেমিক নেতা, ন্যায়নিষ্ঠ প্রশাসক, দক্ষ ও নিষ্ঠাবান আমলা, সৎ ব্যবসায়ী, সাহসী সাংবাদিকের বড়ই অভাব। কারণ আমাদের পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষাই নীতি ও আদর্শের ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়। শিক্ষার মহৎ লক্ষ্য ও আদর্শকে আমরা খাটো করে ফেলেছি। মানবিক গুণাবলী নয়, বরং ধনোপার্জনই এখনকার শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্য। অর্থাৎ শিক্ষা এখন বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। পরীক্ষা পাশ, জিপিএ-৫ পাওয়া, বেশী জিপিএ পাওয়া প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানো, প্রতিটি পাঠ্য বিষয়ের জন্য কোচিং সেন্টারের দ্বারস্থ হওয়া, অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও প্রকৌশল বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রী লাভ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ, এসবই এখন আমাদের শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। এসব ডিগ্রী অর্জনের মাধ্যমে আমাদের সন্তানেরা কতটুকু বিবেকবান, নীতিবান ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হতে পেরেছে তা এখন আমাদের নিকট গৌণ বিষয়। মুখ্য বিষয় হলো যেনতেন প্রকারে চাকুরীতে নিয়োগপ্রাপ্তি ও যেনতেন প্রকারে অর্থোপার্জন। মেধা ও সততার তেমন কোন মূল্য নেই। তাই কর্মক্ষেত্রে পেশাধারী দায়িত্ব পালনে সততা ও নিষ্ঠার অভাব এখন অনেক বেশী। ফলে জাতি দিকনির্দেশনাহীন হয়ে পড়ছে, সর্বমহলে দুর্নীতির বিস্তার লাভ ঘটছে। আমাদের কপট চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্যের কারণে আত্মস্বার্থে জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে দেওয়ায় বিবেক বাধ সাধছে না। নিজের আখের গোছাতে গিয়ে দশের অকল্যাণ সাধনে বিবেকের দংশন নেই বললেই চলে। প্রতারণা আমাদের মজ্জাগত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

আমাদের বর্তমান প্রজন্ম যা শিখছে তাতে মানবিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্মেষের কোন নৈতিক শিক্ষা নেই। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষ গড়ার কারিগরের দায়িত্ব পালনে কার্যত ব্যর্থ । এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা অধিকাংশ ছেলেমেয়েরা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে কি ধরনের ভূমিকা রাখছে তা আমাদের সমাজ দর্পনে দেখতে পাচ্ছি। যারা সৎ ও মেধাবী, টাকা ও মামার জোর না থাকলে অথবা রাজনৈতিক দলের ক্যাডার না হলে, তারা চাকুরীর বাজারে হাল পাচ্ছে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধার চেয়ে মাস্তানীই প্রাধান্য পাচ্ছে। এই হলো আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ফসল। এ অবস্থায় আমাদের বস্তুগত উন্নয়ন কখনোই টেকসই হতে পারবে না। সাময়িকভাবে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসলেও নৈতিক শিক্ষার অভাবে এর স্থায়িত্ব হবে স্বল্পকালীন। ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির মধ্যে দেশ আটকে আছে এক যুগ ধরে। অর্জিত প্রবৃদ্ধির হারের ফসলও সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছুতে পারছে না ব্যাপক দুর্নীতির কারণে। সুবিধাভোগী কিছু লোকের হাতে পুঞ্জিভূত হয়েছে সম্পদের পাহাড়। আমরা যে অনৈতিক পন্থায় দেশের ও দশের সম্পদ লুন্ঠন করছি তাতে একসময় ধস নেমে আসবে। এ লুটেরা অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ভিত্তি হল লোভ ও স্বার্থপরতা। দেশপ্রেমের অভাব ও লোভের কারণে আমাদের নদী-নালা-খাল-বিল দখল হয়ে যাচ্ছে, পানির অভাবে ফসলহানি ঘটছে, নদ-নদীর পানির দূষণে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ ধ্বংস হচ্ছে, প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। অপরদিকে উন্নয়নের নামে যে রাস্তাঘাট, সেতু, অট্টালিকা ও স্থাপনা গড়ে ওঠছে তাতে পরিবেশ-বান্ধব সঠিক পরিকল্পনার অভাব বিদ্যমান। তা ছাড়া নিম্ন মানের উপকরণ দ্বারা এগুলো নির্মিত হওয়ায় যেকোন সময় ধসে পড়ার আশংকাও বাড়ছে। অর্থাৎ এসব উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদী উপকার জনগণ ভোগ করতে পারবে কী না তাতে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এসব আশংকার কথা ভাববার সময় এখনই। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুশিক্ষার মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকারেই থেকে যাবে।

নৈতিক শিক্ষা শিশুর জীবনকে একজন সুনাগরিকে পরিণত হতে সহায়তা করে। ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য এবং এর ফলাফল ও পরিণতি সম্পর্কে উপলব্ধী যখন শিশুর মনে জাগ্রত করা যাবে তখনই নৈতিক শিক্ষার সুফল পাওয়া যাবে। একমাত্র নৈতিক শিক্ষাই পারে শিশুর মনে সততা, আন্তরিকতা, নৈতিক সাহস, দায়িত্বশীলতা, সেবা, ইত্যাদি সৎ গুণাবলী ও মানবিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলতে। তাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলার মনোবৃত্তি নৈতিক শিক্ষার দ্বারাই গড়ে ওঠে। সৎ কাজের প্রতি আগ্রহ ও উৎসাহ এবং অসৎ কাজের প্রতি অনীহা ও প্রতিরোধ সৃষ্টির মনোভাব নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমেই অর্জিত হয়। আমাদের দেশে নৈতিক শিক্ষার অবনমন ও মূল্যবোধের অবক্ষয় জাতীয় জীবনে বিপর্যয় ডেকে এনেছে। ফলে যাবতীয় অপকর্মে ছেয়ে গেছে সমাজ ও রাষ্ট্র। সর্বত্রই মন্দের দৌরাত্ম, ভালোর গুরুত্ব এখন প্রায় শূণ্যের কোঠায়। ফলে ঘরে বাইরে কোথাও শান্তি ও স্বস্তি নেই। এহেন পরিস্থিতিতে শুধু বর্তমান প্রজন্মই নয় ভবিষ্যত প্রজন্মও সমূহ বিপদের সম্মুখীন। তাই বর্তমান প্রজন্মের ভাবনা হওয়া উচিত এ অবস্থা থেকে উত্তরণ। দেশ উন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে এটা যেমন সুখকর ব্যাপার, ঠিক তেমনি এ উন্নয়নের ধারাকে টেকসই ও অব্যাহত রাখাটা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। উন্নয়নের সংজ্ঞা অনেক ব্যাপক। উন্নয়নের নির্দেশক প্রতিটি সূচকে যথাযথ অগ্রগতি হলেই সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব হয়। এসব দিক বিবেচনায় নিলে আমাদেরকে আরো অনেকগুলো সূচকে অগ্রগতি সাধন করতে হবে। তবে সর্বাগ্রে ভাবতে হবে আমাদের নতুন প্রজন্মের উন্নয়ন ভাবনা। আমাদের ভরসা আমাদের নব্য প্রজন্মের ওপর। তাদেরকে নৈতিক গুণাবলী ও মানসম্পন্ন শিক্ষা দিয়ে সুনাগরিক হিসেবে গড়তে পারলে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব। এটা সম্ভব হলে তারা দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেদেরকে নিয়োজিত করতে পারবে। আর তখনই দেশবাসী দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের পথে অগ্রসর হতে পারবে।

বিষয়: বিবিধ

১৬৩৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

368739
১১ মে ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আমাদের মধ্যে আদর্শ শিক্ষক নীতিবান পেশাজীবি দেশপ্রেমিক নেতা ন্যায়নিষ্ঠ প্রশাসক দক্ষ ও নিষ্ঠাবান আমলা সৎ ব্যবসায়ী সাহসী সাংবাদিকের বড়ই অভাব। এসব ইসলামী চেতনার অভাবের কারনে। লেখাটি ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File