সাগরে ডুবছে মানুষ ও মানবাধিকার
লিখেছেন লিখেছেন শিহাব আহমদ ২৩ মে, ২০১৫, ১০:৪৪:৫০ রাত
এটা অনস্বীকার্য যে, বর্তমান বিশ্ব শিক্ষা-সভ্যতায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানে, প্রযুক্তি ও উন্নয়নে, সম্পদ ও সমৃদ্ধিতে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বিশ্ব জুড়ে এত উন্নয়নের পরেও এখনও বহু দেশের মানুষ বেকারত্বে, আর্থিক অনটনে, অপুষ্টিতে, অশিক্ষায় ও বিনা চিকিৎসায় জীবন যাপন করছে, দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়ে মারা যাচ্ছে। বিশ্বের এই যে বিপরীতধর্মী চিত্র তা আরও সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে সাগরে হাজার হাজার মানুষের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে। সাম্প্রতিক কালের মানব পাচার ও সাগরের বুকে তাদের করুণ মৃত্যুর দৃশ্য মানবতবাদী আধুনিক বিশ্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে - আসলেই আমরা কি এক উন্নত সভ্যতার অধিকারী? আজকের বিশ্ব দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। উন্নত বিশ্ব আর অনুন্নত বিশ্ব - এ যেন চাঁদের এক পিঠে আলো অন্য পিঠে আঁধারের মত। ধনাঢ্য বিশ্বের চোখ ধাঁধানো সমৃদ্ধি, অঢেল প্রাচুর্য ও উন্নত জীবনযাত্রা দরিদ্র বিশ্বের হতভাগ্য মানুষকে প্রলুব্ধ করে বিদেশে পাড়ি জমানোর। এ সুযোগটিই গ্রহণ করে মানব পাচারকারী আন্তর্জাতিক চক্রের দালালেরা। প্রচুর অর্থের বিনিময়ে এরা অবৈধ পন্থায় মানব পাচার করে থাকে। ভাগ্যান্বেষী দরিদ্র মানুষ এদের প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে নিজেদের সহায়-সম্পদ বিক্রী করে অজানার পথে পাড়ি জমায়। এর পরিণতি যে কত ভয়াবহ ও হৃদয়বিদারক তা আমরা প্রতিদিনই মিডিয়ায় দেখতে পাচ্ছি।
জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত ৫৩ হাজার মানুষ মালয়েশিয়ার উদ্দেশে বঙ্গোপসাগর দিয়ে অবৈধভাবে গেছেন । আগের বছর এ সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৩ হাজার। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশী ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমান। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিবাস হলো মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে। এই সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়টি মিয়ানমার সরকারের সাম্প্রদায়িক নীতির কারণে নিপীড়িত হয়ে দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। বাংলাদেশেও বহু রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিবিরে আশ্রয় পেয়েছে। ফিলিস্তিনীদের মতই এই মুসলিম জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র উপকূল থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৮ হাজার ভাসমান মানুষ। লন্ডন থেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'ইকোনমিস্ট’ এর ভাষ্য অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমুদ্রে নৌকায় ভাসমান মানুষগুলোর প্রায় অর্ধেকই বাংলাদেশী। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দেনেশিয়ার উপকূল রক্ষীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলায় হাজার হাজার মানুষ সাগরে ভাসছে, অনাহার ও পিপাসায় তারা এখন মৃত্যুর দ্বার-প্রান্তে। এ মানবিক বিপর্যয়ের শিকার ভাসমান মানুষগুলোকে উদ্ধার করে আশ্রয় দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ ওই তিনটি দেশকে অনুরোধ জানিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ আহ্বানে এসব দেশ সাড়া দিতে অনাগ্রহী। থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার অনেক অঞ্চলে মানব পাচারকারীরা গড়ে তুলেছে 'জঙ্গল-ক্যাম্প’ নামের বন্দীশিবির, যার ৮০ শতাংশই মালয়েশিয়ায় অবস্থিত। সেই বন্দীশিবিরগুলোতে প্রতিদিনই চরমভাবে নিপীড়িত মানুষগুলো মৃত্যু বরণ করছে, সেখানে বহু গণ-কবরের সন্ধানও মিলেছে। মানব-সৃষ্ট এ ভয়াবহ বিপর্যয় আধুনিক মানব সভ্যতাকে যেন ব্যঙ্গ করছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের তথ্য অনুযায়ী গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৯২০ জন সাগরে ডুবে মারা গেছে। ইতিমধ্যে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দেনেশিয়ায় যারা ঢুকে পড়েছে তাদের অনেককেই রাখা হয়েছে বন্দী-শিবিরে, দাস-শ্রমিকের মতই এদের অবস্থা। অতি অল্প মূল্যে এদেরকে নিযুক্ত করা হচ্ছে কঠোর শ্রমসাধ্য কাজে। আবার অনেককে রাখা হচ্ছে বন্দীশিবিরে, মুক্তিপণ আদায় করে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এই অবৈধ মানব পাচার শুধু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ইউরোপ-আমেরিকায় চলছে একই অবস্থা। আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালি ও অন্যান্য উপকূলীয় ইউরোপীয় দেশ মানব পাচারকারীদের প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। কিছুদিন আগে ভূমধ্যসাগরে ৯০০ জন যাত্রী নিয়ে শরণার্থীদের একটি জাহাজ ডুবে যায়। এদের মধ্যে মাত্র ২৮ জন জীবিত উদ্ধার পায়, উদ্ধারকৃতদের একজন বাংলাদেশী বলে জানা যায়। এদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের নাগরিক।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর পৃথিবী ব্যাপী উপনিবেশবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শাসনের অবসানের সাথে সাথে দাস প্রথাও বিলুপ্ত হয়ে আসে। কিন্তু নব্য অর্থনৈতিক উপনিবেশবাদ ও গোলকায়নের প্রভাবে অবৈধ অভিবাসীরা নতুন করে শ্রমদাসে পরিণত হচ্ছে। উন্নত জীবনমানের অন্বেষণে তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র মানুষ মরিয়া হয়ে উন্নত দেশগুলোতে পাড়ি দেয়। ওই সব দেশে অবস্থানের জন্য তাদের নিকট কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তারা অতি নিম্ন মজুরীতে অধিক সময় কাজ করতে বাধ্য হয়। তারা চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত হয়। ধনী দেশগুলো স্বল্প মজুরী দিয়ে লাভবান হচ্ছে বলে এসব অবৈধ অভিবাসীদেরকে বৈধ করছে না, আবার তাদেরকে দেশেও ফেরত পাঠাচ্ছে না। এভাবে সে সব দেশে অবৈধ শ্রমের রমরমা ব্যবসা গড়ে উঠছে, তাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। মানব পাচারকারীদের বদৌলতে দাস প্রথা পুণরায় বিশ্বে ফিরে এসেছে। এর ফলে থাইল্যান্ডের বহু মাছধরার ট্রলারে বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা দাস-মজুরে পরিণত হয়েছে। এই একই অবস্থা চলছে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার রাবার বাগানে এবং গহীন জঙ্গলে। সে সব দেশে অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রমের কারণে ও বিনা চিকিৎসায় বহু শ্রমিক মারা যাচ্ছে। আমাদের সরকার দায়-দায়িত্ব এড়ানোর জন্য যেন ইচ্ছে করেই এসব দেখেও না দেখার এবং শুনেও না শুনার ভাণ করছে।
টাইম সাময়িকী ও লন্ডনের দৈনিক গার্ডিয়ানের তথ্য মতে, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড এখন অভিবাসী ক্রীতদাস শ্রমিকের এক স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। থাইল্যান্ডের চিংড়ি ও সি-ফুড শিল্পে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ শ্রমিক কাজ করে, যাদের অর্ধেকই ক্রীতদাস। আবার এই ক্রীতদাসদের অধিকাংশই বাংলাদেশী। তাদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে থাইল্যান্ডের উপকূলে বিক্রী করে দেওয়া হয়েছে। এ বিক্রীর প্রক্রিয়াটা শুরু হয় টেকনাফ থেকে, পথে মোট ৪ বার বিক্রিী হওয়ার পর শেষ গন্তব্য হলো মালয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী থাইল্যান্ডের জঙ্গল। তাই বৈধ পন্থায় বিদেশ থেকে শ্রমিক নিতে তারা আগ্রহী নয়, অবৈধ পন্থাই তাদের জন্য বেশি লাভজনক। কথাটি যে কত সত্য তা ২০১২ সালে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে সম্পাদিত শ্রমিক আমদানী-রপ্তানী চুক্তি বাস্তবায়নের চিত্রটি বলে দেয়। চুক্তি অনুযায়ী কথা ছিল, সরকারী পর্যায়ে বাংলাদেশ থেকে প্রথম দফায় ৫০ হাজার শ্রমিক পাঠানো হবে। কিন্ত গত তিন বছরে এ চুক্তির আওতায় পাঠানো হয়েছে মাত্র ৭ হাজার শ্রমিক।
বৈধ উপায়ে বিদেশে কর্মসংস্থান সীমিত হয়ে পড়ায় দেশের যুব সমাজ কর্মসংস্থানের অশায় অবৈধ উপায়ে বিদেশের শ্বাপদসংকুল পথে পাড়ি জমাতে গিয়ে মৃত্যু-ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। দেশে যে হারে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বাড়ছে সে অনুপাতে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হওয়ার কারণেই বিদেশমুখী প্রবণতা বাড়ছে। ঘরে ঘরে কর্মসংস্থানের ওয়াদা ছিল সরকারের, কিন্তু ছিল না রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সঠিক পরিকল্পনা ও এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন। ফলে প্রকট বেকারত্ব জন্ম দিচ্ছে 'ইকোনমিক মাইগ্রেন্ট’ বা অর্থনৈতিক অভিবাসীদের। 'দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে’ - এসব গালভরা বুলি যে কত ফাঁকা ও অন্তঃসারশূণ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমুদ্র উপকূলের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোই এর প্রমাণ। মাথা পিছু আয় বৃদ্ধির খবর শুনে দেশবাসীর কি লাভ? এ আয় তো পকেটস্থ করছে সরকারী দলের মদদপুষ্ট ভাগ্যবানরা। আর অন্যদিকে বিদেশের জঙ্গলে বাংলাদেশীদের গণকবর ও সাগরে ভাসমান মৃতবৎ মানুষগুলোর আহাজারী বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ধূলিসাৎ করে দিচ্ছে।
প্রবাসে আমাদের অভিবাসীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স পাঠালেও তাদের কল্যাণে সরকারের ভূমিকা সবসময়ই অবহেলাপূর্ণ। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের একটি উক্তি এর প্রমাণ। তিনি দাবী করেছেন যে, 'হাজার হাজার বাংলাদেশি সাগরে ভাসছে বলে মিডিয়ায় যেভাবে প্রচার হচ্ছে তা সত্য নয়। হাজার হাজার বাংলাদেশি সাগরে ভাসার কোন প্রমাণ এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, 'অল্প বাংলাদেশি অবৈধ উপায়ে মালয়েশিয়া যাত্রা করে সাগরে ভাসমান রয়েছে। তারা বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি পৌছালে সরকার তাদের উদ্ধার করবে।’ সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রীর কি দায়িত্বহীন বক্তব্য! বিদেশে যাবার সময় যেমন শ্রমিকদেরকে হাজারো ঝামেলা পোহাতে হয়, তেমনই তারা যখন দেশের টানে ফিরে আসে তখনও বিমানবন্দরে তাদেরকে নির্মম হয়রানীর শিকার হতে হয়। অথচ এদেরই পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রায় সরকারের কোষাগার ফুলে-ফেঁপে উঠছে, দেশের আমদানী ব্যয় মিটছে, আর কালো টাকার মালিকেরা এসব মুদ্রা বিদেশে পাচার করছে নিজেদের ভাগ্য গড়ার স্বার্থে।
ভোটার-বিহীন প্রহসনের নির্বাচনে ক্ষমতা দখলে রাখতে পেরে সরকার এখন আর গণতন্ত্রে উৎসাহী নয়। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বদলে সরকার এখন উন্নয়নের জোয়ারে দেশবাসীর মন জয় করতে চায়। অথচ উন্নয়নের জন্য দুর্নীতিমুক্ত সুশাসন যে অপরিহার্য সে ব্যাপারে তাদের কোন লক্ষ্য নেই। গণমুখী উন্নয়নের জন্য যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, একটি দুর্নীতিমুক্ত দক্ষ প্রশাসন ও দূরদর্শী নেতৃত্ব প্রয়োজন তাঁর কোনটিই তো এ সরকারের নেই। 'যখন যেমন তখন তেমন’ নীতিতে বিশ্বাসী এ সরকার প্রায়শই ভোল পাল্টে ফেলে। গণতন্ত্র এখন তাদের কাম্য নয়, বরং একটি পুলিশী-রাষ্ট্র কায়েমের মাধ্যমে 'মালয়েশীয় স্টাইলের’ উন্নয়নের পাঁয়তারা করছে। অথচ এই মালয়েশিয়া লাখো বাংলাদেশী শ্রমিককে ক্রীতদাস বানিয়ে মানবতা ও মানবাধিকারকে চরমভাবে লঙ্ঘিত করছে। শুধু তাই নয়, মালয়েশিয়া নিজ দেশেও গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে অচেতন করে রেখেছে।
বিভিন্ন সময়ে আমাদেরকে সোনালী স্বপ্ন দেখানো হয়েছে - কখনও কখনও সোনার বাংলার স্বপ্ন, কখনও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার, কখনও ভোট ও ভাতের স্বপ্ন, আবার কখনও ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন। প্রতি বছর লক্ষ-কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেটের অর্থ ব্যয় হলেও আমাদের কোন স্বপ্নই পূরণ হয়নি। বরং, সরকারের দুর্নীতি ও অপশাসনের যাঁতাকলে পড়ে সব স্বপ্নই গুঁড়িয়ে যাচ্ছে। একই ধারায় এখন গণতন্ত্রকে পদদলিত করে ধ্বনিত হচ্ছে তথাকথিত উন্নয়নের স্লোগান। এ যেন ক্ষুধার্ত শিশুর কান্নাকে রাক্ষস-খোক্ষসের গল্প আর ঘুম-পাড়ানী গান শুনিয়ে নীরব রাখার মত। এসব কারণেই বারবার আমাদের বিরাট অর্জনগুলো হারিয়ে যায়, সোনালী স্বপ্নগুলো হয় বিলীন, আর বিশ্বের দরবারে আমাদের ভাবমূর্তি হয় ধূলি-মলিন।
বিষয়: বিবিধ
১০৩৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন