মুক্তমনা বিতর্ক
লিখেছেন লিখেছেন শিহাব আহমদ ১৬ এপ্রিল, ২০১৫, ০৭:২২:০৪ সকাল
সম্প্রতি মিডিয়া জুড়ে 'মুক্তমনা’ শব্দটি বেশ উচ্চারিত হচ্ছে। কিন্তু এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে কিছুটা বিভ্রান্তি আছে বলে মনে হয়। আমরা জানি সংস্কারমুক্ত মনের অধিকারীকেই সাধারণত মুক্তমনা বলা হয়। এ ধরনের মানুষ প্রগতিমনা, আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে থাকেন। তারা উদার মনের মানুষ, অন্য সব মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে তারা স্বাধীন ও সাবলীলভাবে নিজের মতাদর্শ ব্যক্ত করেন। সুন্দর বক্তব্য ও লেখনীর দ্বারা তারা নিজেদের আদর্শ ও চিন্তা-ভাবনাকে সবার সামনে উপস্থাপন করেন। মুক্তমনা বলেই তারা অবাধ ও সীমাহীন স্বাধীনতার অধিকারী নন। জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদের ১৯ ধারায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত অধিকারের সাথে দায়িত্ববোধের কথাটিও বিশেষভাবে যুক্ত হয়েছে যাতে মুক্তমনারা অপরের অধিকার ও মান-ইজ্জতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকেন। পরধর্ম ও পরমতের প্রতি সহনশীল থাকার জন্য তাদের কথা ও লেখনীকে সংযত ও নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব তাদেরই। এ দায়িত্ববোধ থেকেই তারা তাদের মতাদর্শ প্রচারে যৌক্তিক, মার্জিত ও শালীন ভাষা ব্যবহার করবেন। এর বিপরীতে যারা আক্রমণাত্মক, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ ও অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করে তাদের বিরুদ্ধ মতাদর্শের উপর চড়াও হয় তারা কিন্তু মুক্তমনা নন, অনেকটা জঙ্গী মতবাদেরই সমর্থক। শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বিরুদ্ধবাদীদের উপর চড়াও হওয়া যেমন জঙ্গীবাদ, তেমনি আক্রমণাত্মক ও উস্কানীমূলক লেখা ও বক্তব্য দ্বারা বিরোধী মতাদর্শকে আক্রমণ করা জঙ্গীবাদেরই নামান্তর। 'আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা’- এ রকম বল্গাহীন মন মুক্তচিন্তার অধিকারী নয়।
নাস্তিক হলেই মুক্তমনা, আর আস্তিকরা সব গোঁড়া এ রকম একপেশে ধারণা পোষণ করাও ঠিক নয়। আস্তিক-নাস্তিক বিতর্কটি অতি প্রাচীন। তবে সব সমাজেই নাস্তিকের সংখ্যা খুবই স্বল্প। সভ্যতার অগ্রগতিতে আস্তিকের অবদানই বেশী। এ মহাবিশ্ব যেমন অনন্ত অসীম, এর মধ্যে যা কিছু আছে এসবের সৃষ্টি, সূক্ষাতিসূক্ষ পরিকল্পনা, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় ও রক্ষণাবেক্ষণের যে জ্ঞান ও কৌশল কাজ করছে তাও অসীম। মানব সৃষ্টির ঊষালগ্ন থেকেই এ সৃষ্টি রহস্য ও তার স্রষ্টা সম্পর্কে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। মানুষ তার সসীম জ্ঞানের দ্বারা অসীমের রহস্য খুব অল্পই উন্মোচন করতে পেরেছে। মানুষ যেমন তার সীমিত জ্ঞানের দ্বারা পরম সত্যের সন্ধান লাভ করতে পারে না, তেমনই আন্দাজ-অনুমানের উপর ভিত্তি করে সত্য প্রতিষ্ঠা করা যায় না। এ জন্য প্রয়োজন ঐশী জ্ঞানের, কারণ একমাত্র ঐশী জ্ঞানই পরম সত্যের সন্ধান দিতে পারে। সত্য ও মিথ্যা এবং ভাল ও মন্দের দ্বন্দ চিরন্তন। মন্দ প্রবৃত্তি মানুষের মনকে কালিমালিপ্ত করে। একে দমন করতে পারলে মন আলোকিত হয়ে উঠে। কুসংস্কারমুক্ত আলোকিত মন মানুষকে সত্য ও উত্তম পথের দিশা দেয়। অপরদিকে মিথ্যা মানুষকে প্রতারিত করে। সত্য আনে শান্তি, মিথ্যা আনে বিভ্রান্তি ও অশান্তি। তাই ঐশী জ্ঞানের আলোয় সত্য ও উত্তম পথটি বেছে নিতে হয়।
এ কথা সত্য যে কালের বিবর্তনে মানুষের কিছু ধর্মীয় বিশ্বাস, চিন্তা ও কর্ম সত্য ও মিথ্যার মিশেলে এক জগাখিচুড়িতে পরিণত হয়েছে। তাই মানুষকে সত্যের পথে আনার জন্য সুন্দর পন্থা অবলম্বন করা প্রয়োজন। মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস ও আবেগ-অনুভূতির ব্যাপারে আক্রমণাত্মক ও অশ্লীল মন্তব্য করে সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টি করা ঠিক নয়। কোন অসঙ্গতি থাকলে যুক্তির দ্বারা সুন্দর মার্জিত ভাষায় তা ব্যক্ত করা যেতে পারে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ ও ঘৃণাব্যঞ্জক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা সবারই সমীচিন। নতুবা সমাজে অহেতুক অশান্তি ও বৈরীতার সৃষ্টি হতে পারে, যার পরিণতি করুণ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী থাকে।
মুক্তমনাদের এটা অনুধাবন করা উচিত যে, মুক্তচিন্তা কারো আবেগ-অনুভূতি ও বিশ্বাসের উপর চড়াও হওয়ার হাতিয়ার নয়, বরং মুক্তচিন্তাকে দায়িত্ববোধের পরিসরে ব্যবহার করা উচিত। মুক্তচিন্তা যখন স্বেচ্ছাচারিতার পর্যায়ে চলে যায় তখন তা বালসুলভ ও গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে, অবশেষে এক ধরনের গোঁড়ামীতে রূপান্তরিত হয়।
গত জানুয়ারী মাসে প্যারিসে যখন ফরাসী কার্টুন ম্যাগাজিন 'চার্লি হেবডো’ এর উপর আক্রমণের ঘটনাটি ঘটলো তখন পোপ বললেন, "আমি মনে করি ধর্মের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা উভয়ই মৌলিক মানবাধিকার। প্রত্যেকের শুধু স্বাধীনতা ও অধিকারই নয়, সর্বজনীন কল্যাণের জন্য সে কি চিন্তা করে তা বলার দায়িত্বও রয়েছে..... অন্যকে আঘাত না করে আমাদের এ স্বাধীনতা থাকতে হবে।” পোপের এ বক্তব্যকে ধারণ করে আমরা বলতে পারি, নিজের মত প্রকাশের স্বাধীনতার অপব্যবহার করে অন্যের ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর আঘাত করা যাবে না। সব ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা বজায় রেখে সামাজিক শান্তিকে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। এর জন্য নিজের কথা ও লেখনীকে সংযত করতে হবে।
ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধবাদীরা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ ও কটুক্তির দ্বারা ইসলামকে আক্রমণ করে। এটা তাদের অজ্ঞতাপূর্ণ কাজ। অন্যায়কে অন্যায় দ্বারা প্রতিরোধ করা ইসলামে নিষিদ্ধ। আজ যারা ইসলামের নামে জঙ্গীবাদের আশ্রয় নিচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে তারা ইসলামের মর্মবাণী উপলব্ধী করতে পারছে না। ইসলামের নামে যেভাবে চরম পন্থা বেছে নেওয়া হচ্ছে তা কোন অবস্থায়ই ইসলাম সমর্থন করে না। এটা ইসলামের প্রকৃত চিত্র নয়। পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে ইসলামের আসল চিত্রটা এখানে তোলে ধরতে চাই:
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর সময় থেকেই ইসলাম বিরোধীরা এই একই ধরনের আক্রমণ চালিয়ে আসছে। এখনও তা চলছে। এসব বিরোধীতার মুখে আল্লাহ্ তাঁর নবী (সাঃ) কে উপদেশ দিয়ে বলেছেন, "জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে মানুষকে আপনার প্রভুর দিকে আহ্বান করুন এবং তাদের সামনে যুক্তি উত্থাপন করুন সর্বোত্তম পন্থায়” (১৬:১২৫)। নবী (সাঃ) অত্যন্ত মার্জিত, যুক্তিপূর্ণ ও সাবলীল ভাষায় মানুষজনকে ধর্মোপদেশ দিতেন। অবিশ্বাসীরা যখন তাঁকে প্রত্যাখ্যান করত, তাঁকে ও তাঁর অনুসারীগণের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালাত তখন তিনি তাদের অজ্ঞতাপূর্ণ আচরণে খুবই ব্যথিত ও ব্যাকুল হতেন। 'তায়েফে’ ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে নবী (সাঃ) যেভাবে শারীরিক আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন তাতে তাঁর শরীর মোবারক রক্তাক্ত হয়ে পড়েছিল। এতবড় বিপদেও তিনি ধৈর্যহারা হলেন না, নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আল্লাহর দরবারে কোন ফরিয়াদও পেশ করলেন না, বরং তিনি এদের হেদায়েতের জন্য প্রার্থনা করলেন। প্রতিশোধ নয়, ন্যায্য প্রতিকার ও পরিশুদ্ধিই ইসলামের রীতি।
বিরূপ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আল্লাহ্ তাঁর নবী (সাঃ) কে সান্ত¦না দিয়ে বলেছেন, "(হে নবী) ভালো আর মন্দ কখনোই সমান হতে পারে না, আপনি ভালো’র দ্বারা মন্দকে প্রতিহত করুন, তাহলেই আপনার মধ্যে এবং যার সাথে আপনার শত্রুতা - তার মধ্যে এমন (অবস্থার সৃষ্টি) হয়ে যাবে যেন সে আপনার অন্তরঙ্গ বন্ধু। আর এ (অবস্থা) শুধু তাদেরই (ভাগ্যে লেখা) থাকে যারা ধৈর্য ধারণ করে এবং এসব লোক তারাই হয় যারা সৌভাগ্যের অধিকারী” (৪১:৩৪-৩৫)। ব্যঙ্গ-বিদ্রুপকে কঠোরতা দিয়ে নয়, বরং আল্লাহ্ তাঁকে উপদেশ দিলেন, "মন্দকে প্রতিহত করুন সর্বোত্তম পন্থায়" (২৩:৯৬)। ইসলাম একটি মধ্যপন্থী ধর্ম যেখানে বাড়াবাড়ি বা উগ্রবাদীতার কোন স্থান নেই। ইসলামে প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসাবশত নিরপরাধ মানুষকে হত্যা জঘন্যতম অপরাধ। "একজন মানুষকে হত্যা যেন সমগ্র মানবতাকেই হত্যা এবং কারো জীবন রক্ষা করা যেন সবারই জীবন রক্ষা” (৫:৩২) - এটাতো কুরআনেরই কথা।
বিরুদ্ধবাদীদের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের মুখে হিংসাত্মক পন্থায় নয়, বরং উত্তম কথার দ্বারা এর জওয়াব দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ্ বলেন, "আমার বান্দাদেরকে বলে দিন, তারা যেন যা উত্তম এমন কথাই বলে। শয়তান তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধায়। নিশ্চয় শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু” (১৭:৫৩)। যেকোন উস্কানীর মুখে ধৈর্য ধারণ ও সুন্দর আচরণের দ্বারা বিরুদ্ধবাদীদের মোকাবিলা করার নির্দেশ আল্লাহর তরফ থেকেই এসেছে: "দয়াময় (আল্লাহ্) এর বান্দা তো তারাই, যারা পৃথিবীতে বিনম্রভাবে চলাফেরা করে এবং যখন অজ্ঞ লোকেরা (অশালীন ভাষায়) তাদেরকে সম্বোধন করে, তখন তারা প্রশান্তভাবে জবাব দেয়” (২৫:৬৩)।
ইসলাম তাক্বওয়া বা খোদাভীতির মাধ্যমে নম্রতা, ভদ্রতা ও শালীনতা শিক্ষা দেয়। মহান আল্লাহর নির্দেশ, "অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ্ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না” (৩১:১৮)। নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন, "প্রকৃত মুসলমান সে ব্যক্তি যার মুখ (কথা) ও হাত (কাজ) থেকে অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে, আর প্রকৃত মু’মিন সে ব্যক্তি যার ব্যাপারে লোকজন তাদের জান ও মাল সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিরাপদ মনে করে” (বোখারী ও মুসলিম)। মানুষের জীবন, সম্মান ও সম্পদের নিরাপত্তা ইসলামে এক অলঙ্ঘনীয় বিধান।
আল্লাহর নবী (সাঃ) আরও বলেন, 'আল্লাহ্ ও আখেরাতের প্রতি যার বিশ্বাস আছে, সে হয় ভালো কথা বলবে নতুবা চুপ থাকবে।' (বোখারি ও মুসলিম)। নবী (সাঃ) ও তাঁর অনুসারীদের উপস্থিতিতেই বিরুদ্ধবাদীরা তাঁদেরকে অপমান ও অপদস্থ করতে চেয়েছে। রহমতের নবী (সাঃ) তাঁর অপার মহত্ত্ব ও ধৈর্যের দ্বারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে এসব উত্তেজনাকর ও উস্কানীমূলক পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন। দুষ্টান্তমূলক এমন অনেক ঘটনার বিবরণ তো ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ আছে। সুতরাং উস্কানীর মুখে সহিংসতা নয়, বরং সংযত আচরণই ইসলামের কাম্য।
ইসলাম জিহাদকে সমর্থন করে শুধুমাত্র আত্ম রক্ষায়, জুলুম প্রতিরোধে ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায়। যুদ্ধক্ষেত্রেও ইসলাম প্রতিহিংসা ও নিষ্ঠুরতাকে প্রশ্রয় দেয় না। জিহাদের সময় শিশু, নারী ও বৃদ্ধ যারা যুদ্ধরত নয় তাদেরকে হত্যা করা ইসলামের বিধান নয়। নিরীহ মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা ইসলামে এক জঘন্য অপরাধ। আল্লাহর সুস্পষ্ট নির্দেশ, "কারো জীবন নাশ করো না, যাকে আল্লাহ্ হারাম করেছেন; কিন্তু ন্যায়ভাবে” (১৭:৩৩)। মানুষের ধর্মে বিশ্বাস সম্পর্কে আল্লাহ্ তাঁর নবী (সাঃ) কে বলেন, "আর তোমার প্রভু যদি চাইতেন, তবে পৃথিবীর বুকে যারা রয়েছে, তাদের সবাই ঈমান নিয়ে আসতে সমবেতভাবে। তুমি কি মানুষের উপর জোর-জবরদস্তী করবে ঈমান আনার জন্য?" (১০:৯৯)। "ধর্মের ব্যাপারে কোন বল প্রয়োগ বা বাধ্যবাধকতা নেই” (২:২৫৬)।
পরিশেষে বলতে চাই, ইসলাম সম্পর্কে পূর্ব-ধারণা প্রসূত মন নিয়ে কোন বিচার-বিশ্লেষণ করলে তা সত্যান্বেষণের জন্য সহায়ক হবে না। অজ্ঞতা ও সঠিক জ্ঞানের অভাবও ইসলাম সম্পর্কে ভুল বোঝাবোঝি ও বিরূপ মনোভাব পোষণ করার প্রধান কারণ। কুরআন ও হাদীসের বাণীকে খন্ডিতভাবে না দেখে এসবের প্রেক্ষাপটসহ সার্বিকভাবে অধ্যয়ন ও বিশ্লেষণ করলে ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণাগুলোর নিরসন ঘটবে। নবী (সাঃ) এর জীবন চরিত পড়লে ইসলামের একটি পরিপূর্ণ চিত্র মানস পটে ফুটে উঠবে। এর জন্য প্রয়োজন সত্যান্বেষী নিরপেক্ষ খোলা মন। প্রকৃত মুসলমান হতে গেলে যেমন ঈমানের আলোয় আলোকিত একটি তাক্বওয়াপূর্ণ অন্তর থাকা দরকার, তেমনই মুক্তমনা হতে হলে একটি সত্যান্বেষী নিরপেক্ষ মনেরই বেশী প্রয়োজন। আর এটা হলেই সব মত ও পথের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থান সম্ভব।
বিষয়: বিবিধ
১০২৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন