ধনী দরিদ্রের বৈষম্য
লিখেছেন লিখেছেন শিহাব আহমদ ০৭ জানুয়ারি, ২০১৫, ০১:২৪:৩১ রাত
ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে আয় ও সম্পদগত অসমতাকেই অর্থনৈতিক বৈষম্য বলা হয়। সম্পদের অসম বন্টন এবং আয়ের পার্থক্যের কারণেই এই বৈষম্যের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এটা যেমন একটি দেশের সমাজিক কাঠামোতে ব্যক্তি, শ্রেণী ও গোষ্ঠীতে বিরাজ করে তেমনি বৈশ্বিক পরিমন্ডলে দেশে দেশে, জাতিতে জাতিতে ও বিভিন্ন ভৌগলিক অঞ্চলের মধ্যেও তা বিরাজমান। ধনী-দরিদ্রের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশ্বের দেশগুলি বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাংক আয়ের ভিত্তিতে সদস্যদেশগুলোকে নিম্ন আয়ের দেশ, নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ, উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং উচ্চ আয়ের দেশএই চার শ্রেণীতে বিভক্ত করেছে। বিশ্বব্যাংকের সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ এখনও নিম্ন আয়ের দেশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র হিসেব অনুযায়ী ২০১৩ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু বার্ষিক আয় ১০৫৪ ডলার। অর্থনৈতিক বৈষম্য একটি স্বাভাবিক ব্যাপার যতক্ষণ তা একটি সহনীয় মাত্রার মধ্যে বিরাজ করে। কিন্তু অনৈতিক শোষণ প্রক্রিয়া এবং দুর্নীতি যখন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তখন সাধারণ জনগণের আয় ও সম্পদ শোষক শ্রেণী ও দুর্নীতিবাজদের হাতে কুক্ষিগত হতে থাকে। সরকারের রাজস্ব ও উন্নয়ন নীতিমালা যদি এদের সহায়ক হয় তবে বৈষম্যের গতি অস্বাভাবিকরূপে বৃদ্ধি পায়। ভাগ্যোন্নয়নের সুযোগ ও উন্নয়নের ফসল সমভাবে তৃণমূল পর্যায়ে না পৌঁছানোর কারণে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ক্রমাগত বাড়তে থাকে।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বড় একটি স্বপ্ন ছিল শোষণ ও বৈষম্যের অবসান হবে, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটবে। ১৯৭১ এর ১০ই এপ্রিল স্বাধীনতার স্থপতিবৃন্দ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে সমতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে সর্বসাধারণের মৌলিক অধিকারগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে এ ঘোষণাপত্রটি স্বাক্ষর করেন। স্বাধীনতার ৪ দশক পেরুলেও স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হয়নি, জনগণ শোষণের যাঁতাকলে আজও নিষ্পেষিত হচ্ছে এবং রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। অপরদিকে কিছুসংখ্যক সুযোগ-সন্ধানী দুর্নীতিবাজের ঠিকই চোখ-ধাঁধাঁনো ভাগ্যোন্নয়ন হয়েছে। সোনার বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর আমল থেকেই একদল 'চাটার’ সব চেটেপুটে খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছিল আর সাধারণ মানুষ কঙ্কালসারে পরিণত হচ্ছিল। দুর্নীতি ও শোষণের এ ধারাটি আজ অবধি বহাল আছে। সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্নীতির ছত্রছায়ায় জবরদখল হয়ে যাচ্ছে সরকারী সম্পদ, লুট হচ্ছে সরকারী ব্যাংকের অর্থ, শেয়ার মার্কেটে চলছে দুর্বৃত্তায়ন। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে ছুটছে পাগলা ঘোড়া, যেনতেন প্রকারে মূল্য বৃদ্ধির চলছে কারসাজি, সেই সাথে মধ্যস্বত্বভোগী দালাল আর রাজনৈতিক তদবিরবাজরা সুযোগ বোঝে লুটে নিচ্ছে মুনাফা। অর্থনৈতিক মুক্তি ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জাতীয় অঙ্গীকার ক্রমশঃই যেন ফিকে হয়ে আসছে।
বাংলাদেশে দারিদ্রের হার কমে আসার কথা সরকার থেকে বলা হচ্ছে। দারিদ্র হ্রাসের বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে দেশ ২০৩০ সাল চরম দারিদ্র থেকে মুক্ত হতে পারবে বলে অর্থনীতিবিদরা আশা প্রকাশ করেছেন। দেশের ১৬ কোটি জনগণের অর্ধেকই দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে, আর এদের মধ্যে চরম দারিদ্র্যসীমায় আছে ৫ কোটি ৭৫ লাখ যাদের দৈনিক খাদ্য-ক্যালোরী গ্রহণের পরিমাণ ১৮০৫ কিলো ক্যালোরির নীচে। দেশে কর্মসংস্থানের যে অবস্থা তাতে পরিবারের একজন উপার্জনক্ষম মানুষ দৈনিক যা মজুরী পায় তা দিয়ে জীবন ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। আমি একটি বেসরকারী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সময় সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চলের গ্রামগুলোতে চরম দারিদ্রের কঠিন রূপটি প্রত্যক্ষ্য করেছি। এ দারিদ্রের রূপটি এমনই যে জীবনের সকল সুযোগ, সম্ভাবনা ও বিকল্প উপায়ের দ্বারগুলোকে অবরুদ্ধ করে দেয়। সাহায্যের হাত প্রসারিত না হলে তাদের পছন্দমত জীবিকার উপায়-অবলম্বনের সুযোগ থাকে না। সব ধরনের সুবিধা বঞ্চিত এ জনগোষ্ঠী প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর অবধি অর্থনৈতিক সিঁড়ির সর্ব নিম্ন ধাপে পড়ে থাকে। আয়-উপার্জনের অভাবে জীবনের ন্যুনতম চাহিদা পূরণে তারা সক্ষম নয়। অসুখে-বিসুখে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুর্বিপাকে টিকে থাকার মত সক্ষমতা না থাকায় তারা অকালেই জীবন থেকে ঝরে পড়ে। শহরের বস্তীর দারিদ্রের রূপটি যেভাবে আমরা দেখতে পাই, দূর-দূরান্তের নিভৃত পল্লীর দারিদ্রের রূপ আমাদের চোখের অন্তরালেই থেকে যায়।
ধনী-দরিদ্রের এই যে বৈষম্যের চিত্র তা আমাদের সামাজিক বৈসাদৃশ্যের এক নগ্ন রূপ। একদিকে সম্পদ পুঞ্জীভূত হচ্ছে এক শ্রেণীর বিত্তবানদের হাতে, অপরদিকে শোষণ ও বঞ্চনার কষাঘাতে জর্জরিত হচ্ছে দরিদ্র মানুষের জীবন। সরকারের ২ লক্ষ ৫০ হাজার ৫ শত ৬ কোটি টাকার ব্যয়ের বাজেট। এ বিশাল অর্থের কতটুকু তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছুয় তার খবর কি গরীব জনগণ জানে? সম্প্রতি প্রকাশিত 'দারিদ্রের মানচিত্র - ২০১০’ এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেকই বাস করে দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র রাজধানী শহর ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রাম অঞ্চলে। আর দেশের জিডিপি’তে এ দুটি অঞ্চলের অবদান প্রায় অর্ধেক। দেশের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকান্ডসমূহ অপরিকল্পিতভাবে এ দুটি অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত হওয়ায় কর্মসংস্থানের আশায় এখানেই গ্রামীণ উদ্বাস্তু মানুষের ভীড় জমেছে। চার দশক আগে ঢাকা শহরে দেশের ২ শতাংশ মানুষ বাস করত, এখন তা বেড়ে ১০ শতাংশে পৌঁছে গেছে। উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ না হওয়ায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চলের আয়ের সাথে দেশের অন্য সব অঞ্চলের বৈষম্য বেড়ে চলেছে। একদিকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ১০ শতাংশ ধনীর আয় ১৯৮৪ সালে ২১ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১০ সালে ২৭ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে সর্বনিম্ন স্তরের ১০ শতাংশ গরীবের আয় একই সময়ে ৪.১৩ শতাংশ থেকে কমে গিয়ে ৩.৯৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বেকারত্ব, খাদ্য ও চিকিৎসা ব্যয়সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি গরীবকে আরও গরীব বানিয়ে দিয়েছে। সমষ্টিক অর্থনীতি পর্যায়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রতিভাত হলেও ব্যষ্টিক পর্যায়ে ধনী আরও ধনী হচ্ছে, দরিদ্র দরিদ্রতর হচ্ছে। এর মূল কারণ ধনী-দরিদ্রের আয়ের ব্যবধান ক্রমাগত বাড়ছে।
জাতীয় সম্পদের বন্টন ব্যবস্থায় ন্যায্যতা নেই। একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছি। শহরের ধনী মানুষ জাতীয় গ্রীড থেকে গ্যাস সরবরাহ পাচ্ছে, গ্রামে বা বস্তীতে তা পাচ্ছে না। ফলে মাসিক ৩/৪ শত টাকায় শহরের বাসিন্দাগণ অফুরন্ত গ্যাস পাচ্ছে, অথচ বস্তী ও গ্রামীন জনগণের জ্বালানী খরচ অনেক বেশী। ওয়াসার পানি ও বিদ্যুতের বেলায়ও একই অবস্থা। ধনীরা এসব সুবিধা যেভাবে সস্তায় পাচ্ছে গরীবরা তা পাচ্ছে না। এ যেন 'তেলা মাথায় তেল দেওয়া’ প্রবাদ বাক্যটির মত। ফলে সরকারের অন্যায্য বন্টন ব্যবস্থার কারণেও বৈষম্য বাড়ছে। সরকারের কর আদায়েও অন্যায্যতা রয়েছে। আমাদের দেশে প্রত্যক্ষ করের চেয়ে পরোক্ষ কর আদায়ের পরিমাণ অনেক বেশী। আয়কর প্রত্যক্ষ করের পর্যায়ে পড়ে, ধনী ব্যক্তিবর্গের আয় ও সম্পদ হিসেব করে সরকার তাদের ওপর আয় কর আরোপ করেন। কিন্তু ধনীরা প্রায়ই তাদের সঠিক আয় ও সম্পদ প্রদর্শণ না করে আয় কর ফাঁকি দিয়ে থাকেন। এভাবেই তারা কর ফাঁকি দিয়ে নিজেদের সম্পদ বাড়িয়ে চলেছেন। বিক্রয় কর, ভ্যাট, ইত্যাদি পরোক্ষ কর যা ধনী গরীব নির্বিশেষে পরিশোধ করে থাকে। পরোক্ষ কর নিপীড়নমূলক কর হিসেবে বিবেচিত। কারণ এর বোঝা তুলনামূলকভাবে গরীব ক্রেতা সাধারণের ঘাড়েই বেশী বর্তায়। জাতীয় কোষগারে ধনীরা দিচ্ছে কম, নিচ্ছে বেশী। গরীবদের বেলায় ঠিক উল্টো চিত্র। তারা দিচ্ছে বেশী, ভোগ করছে কম। ফলে করের অন্যায্যতার কারণেও বৈষম্য বাড়ছে।
দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় বৈষম্যের রূপটি প্রকট হয়ে ধরা পড়ছে। নিভৃত পল্লীর কম্যুনিটি চিকিৎসালয়ে নেই কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, চিকিৎসা উপকরণ ও ঔষধ। আধুনিক চিকিৎসার ন্যুনতম সুযোগ সুবিধা গ্রামের হাসপাতালে পাওয়া যায় না বিধায় গ্রামীন রোগীরা সুচিকিৎসার আশায় শহরের হাসপাতালগুলোতে ভীড় করে। সেখানে দালালেরা এসব রোগীদেরকে ফুসলিয়ে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা এক ধরনের প্রতারক ক্লিনিকগুলোতে তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা সর্বস্ব খুঁইয়ে অসুখ না সারিয়েই গ্রামে ফিরে যায়। শহরের ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়গনোস্টিক সেন্টারগুলো রোগীদের সাথে সেবামূলক আচরণ নয়, বরং কসাইসুলভ ও প্রতারণামূলক আচরণ করে থাকে। অপরদিকে ওষুধ প্রশাসনের সহায়তায় দেশ জুড়ে ভেজাল ওষুধের রমরমা ব্যবসা চলছে। দেশের চিকিৎসা জগতে যেভাবে প্রতারণা, দুর্নীতি ও শোষনের জাল বিস্তৃত হয়েছে এর ফলে গরীব জনগণ সর্বসান্ত হয়ে আরো গরীবে পরিণত হচ্ছে।
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বিদ্যমান। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সৃজনশীলতার নামে ছাত্রছাত্রীদেরকে এখন শিক্ষকদের হাতে জিম্মি করে ফেলেছে। শিক্ষকদের রমরমা কোচিং বাণিজ্যে দেশ ছেয়ে গেছে। স্কুলে শুধু নামকাওয়াস্তে পড়াশুনা হয়। স্কুল ছুটি হলেই, এমনকি বন্ধের দিনেও ছাত্রছাত্রীদেরকে দৌঁড়–তে হয় শিক্ষকের গৃহে অথবা তাদের কোচিং সেন্টারে। প্রতিটি বিষয়ে হাজার হাজার টাকা গুনছে তারা সৃজনশীল মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করে। ছাত্রছাত্রীদের মেধা বিকাশের পরিবর্তে তারা এখন মেধা শূণ্যতায় ভুগছে। এত ভাল ভাল জিপিএ পেয়েও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্ত্তী হওয়ার মত যোগ্যতাও অর্জন করতে পারছে না। শহর ও গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গড়ে ওঠেছে বিশাল বৈষম্য। ধনীর সন্তানেরা টাকা খরচ করে উন্নত মানের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার সুযোগ পায়। গরীবের সন্তানেরা নিম্ন মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে যায়। এসব স্কুল-কলেজের কোন কোনটিতে আবার পাশের হার শূণ্য। এভাবেই ধনী-গরীবের বৈষম্য বাড়তে থাকে।
অসম অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার রাশ টেনে ধরা হলে ধনী-দরিদ্রের এ বৈষম্য হ্রাস পেতে থাকবে। প্রগতিশীল কর ব্যবস্থার মাধমে প্রত্যক্ষ করের ওপর বেশী জোর দিতে হবে। অপরদিকে গরীবের ওপর করের বোঝা লাঘবের জন্য পরোক্ষ করের হার কমাতে হবে। 'তেলা মাথায় তেল দেওয়া’র নীতি পরিহার করে জাতীয় সম্পদে ও সুযোগ সুবিধায় গরীবের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে এমন সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে যাতে এর সুফল তৃণমূল পর্যায়ে পেীঁছুয়। উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে এবং তা দূরাঞ্চলে বিস্তৃত করতে হবে। জাতীয় বাজেটে দারিদ্র বিমোচনের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে যাতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী শিক্ষা, স্বাস্থ, পানীয় জল ও সেনিটেশন ব্যবস্থায় প্রবেশের সুযোগ পায়। এছাড়া তাদের অত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য ক্ষুদ্র ঋণের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। সমষ্টিক এবং প্রতিষ্ঠানিক অর্থনীতিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রবেশাধিকারের সুযোগ দিতে হবে। ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সুশাসন ও আইনের শাসন সামাজিক ন্যায় বিচারকে প্রতিষ্ঠিত করে। শুধু ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূরীকরণে সুশাসন প্রয়োজন এমন নয়, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন দুর্নীতিমুক্ত সুশাসন প্রয়োজন। এসব উদ্যোগ সফল হলেই ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য হ্রাস পাবে।
বিষয়: বিবিধ
৪০০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন