মহানবী (সাঃ) এর বিদায় হজ্বের ভাষণ
লিখেছেন লিখেছেন শিহাব আহমদ ১৯ মে, ২০১৩, ১১:৫৪:৪১ রাত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নবীকুল শিরোমণি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ‘রাহমাতুল্লীল আলামীন’ খেতাবে ভূষিত করে এ দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন। তিনি ছিলেন সৃষ্টিকুলের আশীর্বাদ স্বরূপ (২১:১০৭)। কাবা শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) ও হযরত ইসমাঈল (আঃ) এর পূণ্যভূমি পবিত্র মক্কা নগরীতে ৫৭০ খৃষ্টাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন এবং চল্লিশ বছর বয়সে নব্যুওত প্রাপ্ত হন। তিনি ছিলেন সর্ব গুণে গুণান্বিত একজন আদর্শ মানব যিনি মানব জাতির জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন ‘একজন সাক্ষী, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে এবং আল্লাহ্র অনুমতিক্রমে মানুষকে আল্লাহ্র পথে আহ্বানকারী ও প্রদীপ্ত এক আলোককর্তিকা হিসেবে’ (৩৩:৪৫-৪৬)। আল্লাহ্ তাআলা মানব জাতিকে সুপথ প্রদর্শনের জন্য প্রথম মানব ও প্রথম নবী হযরত আদম (আঃ) থেকে যে ‘রিসালতের’ ধারা শুরু করেন শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাবের সাথে সাথে এই ধারার পূর্ণ সমাপ্তি ঘটে। মহানবী (সাঃ) ছিলেন একজন আদর্শ মানব, তিনি মানব জাতির কল্যাণের জন্য যে দুটি মূল্যবান বস্তু রেখে গেছেন তা হলো তাঁর ওপর নাযিলকৃত আল্লাহ্র পবিত্র কালাম ‘কুরআন‘ এবং তাঁর কথা ও কর্ম-পদ্ধতি ‘সুন্নাহ্’। তাঁর তেইশ বছরের নব্যুওতি মিশন সমাপ্তির শেষ লগ্নে এবং জীবনের অন্তিম পর্বে দশম হিজরীর জ্বিলক্বাদ মাসের নয় তারিখে আরাফাতের ময়দানে বিদায় হজ্বের বিশাল সমাবেশে তিনি যে ভাষণ প্রদান করে ছিলেন তা মানব জাতির ইতিহাসে এক অমূল্য দলিল হিসেবে সংরক্ষিত আছে। তাঁর সে দিনের প্রতিটি কথা ছিল হৃদয়াগ্রাহী, মানব জাতির কল্যাণ ও মুক্তির জন্য নিবেদিত এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা স্বরূপ। মহানবী (সাঃ) ভাষণের প্রারম্ভে মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের প্রতি প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন:
“সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহরই প্রাপ্য, অতএব আমরা তাঁরই প্রশংসা করি, এবং তাঁরই নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করি এবং তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করি। আমরা আমাদের নফসের মন্দ এবং আমাদের কর্মের অশুভ পরিণাম থেকে আল্লাহ্র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি। আল্লাহ্ যাকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে চান তাকে কেহই বিপথে নিতে পারে না; এবং তাকে কেহই সুপথে চালাতে পারে না যাকে আল্লাহ পথভ্রষ্ট করেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি এক, তাঁর কোন অংশীদার নেই। তিনি সার্বভৌম এবং সকল প্রশংসা তাঁরই প্রাপ্য। তিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান এবং সকল কিছুর ওপর রয়েছে তাঁর ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব। আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তিনি একক; তিনি তাঁর অঙ্গীকার পূর্ণ করেছেন এবং তাঁর বান্দাকে বিজয় দান করেছেন, এবং ষড়যন্ত্রকারী শত্রুদেরকে পরাভূত করেছেন”।
এরপর তিনি হজ্বে উপস্থিত লক্ষ জনতার উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্য পেশ করেন:
“হে মানব মন্ডলী, আমার কথায় কর্ণপাত করো, যেহেতু আমি জানি না এ বছরের পর আমি আর তোমাদের সাথে হজ্বব্রত পালন করতে পারব কি না। যারা আজ এখানে উপস্থিত হতে পারেনি আমার বাণী তাদের কাছে পৌঁছে দাও। হে জনমন্ডলী! আল্লাহ বলেন, ‘হে মানুষ, আমরা তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি একজন মানব ও একজন মানবী থেকে এবং গোত্র ও জাতিতে বিভক্ত করেছি যাতে তোমরা একে অপরকে চিনতে পার। নিশ্চয় আল্লাহর দৃষ্টিতে তোমাদের মধ্যে সে-ই সবচেয়ে মর্যাদবান যে সবচেয়ে বেশী খোদা-ভীরু’। সকল মানুষ আদমের বংশধর এবং আদম মাটি থেকে তৈরী। অনারবের ওপর আরবের, আরবের ওপর অনারবের, কালোর ওপর সাদার অথবা সাদার ওপর কালোর কোনই শ্রেষ্ঠত্ব নেই শুধুমাত্র পরহেজগারী ছাড়া”।
“দেখো; কাবা শরীফের দায়িত্বভার ও হাজীদেরকে পানি বিতরণের কাজ ছাড়া রক্ত কিংবা সম্পদসহ সব ধরনের দাবীকে আজ আমি আমার পায়ের তলায় দলিত করে দিলাম। হে কোরাইশ জনগণ, এই দুনিয়ার বোঝা ঘাড়ে নিয়ে (বিচার দিবসে আল্লাহর সামনে) উপস্থিত হয়ো না, যেখানে অন্যেরা পরকালের পুরস্কার নিয়ে হাজির হয়ে যেতে পারে। তখন কিন্তু আল্লাহর বিপক্ষে তোমরা আমাকে পাবে না”।
“লক্ষ্য করো! আজ আমি অজ্ঞতার যুগের সকল প্রথাকে পদদলিত করলাম। অজ্ঞতার যুগের রক্তের প্রতিশোধ রহিত করা হলো। সর্ব প্রথমে ইবনে রাবিয়া বিন্ হারিছ যিনি সা’দ গোত্রে লালিত হয়েছিলেন এবং যাকে হুদাইল হত্যা করেছিল, তার রক্তের দাবী আমি ছেড়ে দিলাম। আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেছেন সুদ গ্রহণ না করতে, সুতরাং অজ্ঞতার যুগের সকল প্রাপ্য সুদ এখন থেকে রদ হয়ে গেলো। তবে তোমাদের মূলধন তোমরা রাখতে পারবে। সর্বপ্রথম আমি আব্বাস ইবনে মুত্তালিবের (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চাচা) প্রাপ্য সুদের দাবী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করে নিলাম।”
“হে লোকসকল! এই মাস, আজকের এই দিন, এই পবিত্র নগরী ঠিক যেমনি পবিত্র ঠিক তেমনি পবিত্র আমানত হলো একজন মানুষের জীবন, সম্পদ ও সম্মান যত দিন পর্যন্ত না তোমরা তোমাদের প্রভুর সামনে হাজির হয়েছো। তোমাদের নিকট গচ্ছিত দ্রব্য তার সঠিক মালিককে ফেরত দাও। কাউকে আঘাত দিও না যাতে কেহ তোমাদেরকে প্রত্যাঘাত করতে পারে। স্মরণ রেখো, তোমাদের প্রভুর সাথে অবশ্যই তোমাদের সাক্ষাত হবে, এবং তিনি নিশ্চিতভাবেই তোমাদের কৃতকর্মের হিসাব নেবেন। তোমরা কারো ওপর অন্যায় করবে না এবং কেহ তোমাদের ওপর অন্যায় করতে পারবে না।”
“তোমাদের দ্বীনের নিরাপত্তার ব্যাপারে শয়তান থেকে সাবধান থেকো। সে তোমাদের মধ্যে সকল বড় ধরনের পদস্খলন ঘটানোর ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গেছে, সুতরাং ছোটখাট পদস্খলনের ব্যাপারে তাকে অনুসরণ করা থেকে তোমরা সাবধান থেকো।”
“হে মানুষ! তোমাদের স্ত্রীদের ওপর তোমাদের কিছু অধিকার রয়েছে আবার স্ত্রীদেরও তোমাদের ওপর কতক অধিকার আছে। তোমাদের দায়িত্ব হলো তাদের বৈবাহিক অধিকারকে সম্মান প্রদর্শন করা, এবং তাদের প্রতি অসদাচরণ করা থেকে বিরত থাকা, যদি তারা কোন অসদাচরণ করে তবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্য জায়েয করেছেন তাদের কাছ থেকে বিছানা পৃথক করে ফেলা এবং মৃদু শাস্তি প্রদান করা, এবং এতে যদি তারা বিরত হয় তবে তাদেরকে সঠিকভাবে খোরপোষ দেবে।”
“দেখো! স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে কোন স্ত্রীরই উচিত নয় স্বামীর সম্পদ থেকে কাউকে কিছু প্রদান করা। স্ত্রীদের সাথে সদয় ব্যবহার করো যেহেতু তারা তোমাদের সাহায্যকারীনি এবং নিজেরা নিজেদের বিষয়সমূহ সামলাতে অপারগ। স্ত্রীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো, যেহেতু তোমরা তাদেরকে বস্তুত আল্লাহ্ প্রদত্ত নিরাপত্তায় গ্রহণ করেছো এবং তাদেরকে আল্লাহর কালাম উচ্চারণের দ্বারা বৈধ করে নিয়েছো।”
“হে লোকসকল! সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাআলা প্রত্যেকের প্রাপ্য উত্তরাধিকার নির্দ্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং কোন উত্তরাধিকারের ব্যাপারে (শরীয়ার দলিল ভিন্ন) অন্য কোন দলিলের প্রয়োজন নেই। বৈবাহিক সূত্রেই শিশুর জন্ম পরিচয় এবং যিনাকারীর শাস্তি প্রস্তরাঘাতে কার্যকর হবে; এবং তাদের কর্মের পরিণাম আল্লাহর হাতে ন্যস্ত। আল্লাহর অভিশাপ তার ওপর যে তার পিতৃ-পরিচয় অস্বীকার করে অথবা যে দাস তার মালিককে অস্বীকার করে।”
“সকল ঋণ পরিশোধ করে দিতে হবে, সকল ধার করা বস্তু ফেরত দিতে হবে, উপহারের প্রতিদান দেওয়া উচিত এবং ক্ষতি হলেও ওয়াদা পূর্ণ করতে হবে।”
“সাবধান! নিজের কৃত অপরাধের দায়িত্ব নিজের ওপরই বর্তাবে, অন্য কারো ওপর নয়। সন্তান পিতৃ-অপরাধে অপরাধী হবে না, না পিতা সন্তানের অপরাধের বোঝা বহন করবে। একজন মুসলমানের জন্য বৈধ হবে না তার ভাইয়ের মাল, যদি না সে স্বেচ্ছায় তাকে দেয়। সুতরাং নিজেরা অন্যায়ে লিপ্ত হয়ো না।”
“হে লোকসকল! প্রত্যেক মুসলমানই পরস্পর ভাই ভাই এবং সবাই একই ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ। সাবধান, তোমাদের দাস সম্পর্কে; তোমরা যা খাও এবং যা পরিধান করো তাদেরকেও তা খাওয়াবে-পরাবে। সাবধান, আমার পরে তোমরা যেন বিপথে চলে না যাও এবং পরস্পরের ঘাড়ে আঘাত না হানো।”
“হে মানুষ! যদি একজন আবিসিনীয় বিকৃতাঙ্গ দাসও তোমাদের নেতা নিযুক্ত হয়, তোমরা তার কথা শুনো এবং তাকে মেনে চলো যতক্ষণ পর্যন্ত সে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী কার্য সম্পাদন করে। হে মানুষ, আমার পরে আর কোন নবীর আগমণ ঘটবে না এবং তোমাদের পরে নতুন কোন উম্মতেরও আবির্ভাব হবে না। বস্তত, আমি তোমাদের মধ্যে রেখে যাচ্ছি আল্লাহর কিতাব এবং আমার সুন্নাহ্ যা আঁকড়ে ধরলে তোমরা কখনোই বিপথগামী হবে না। সাবধান! ধর্মের ব্যাপারে যে সীমারেখা বেঁধে দেওয়া হয়েছে তা ভেঙ্গে ফেলো না, কেননা তোমাদের পূর্বে বহু জাতি ধর্মের বৈধ সীমা লঙ্ঘন করার কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে।”
“হে মানুষ! অবিশ্বাসীরা বর্ষপঞ্জীকে ওলটপালট করে দেয় যাতে করে আল্লাহ যা (যেসব মাসে) হারাম করেছেন তারা তা (ওই সব মাসে) হালাল করে নিতে পারে এবং আল্লাহ যা (যেসব মাসে) বৈধ করেছেন তাকে (ওই সব মাসে) তারা অবৈধ বানিয়ে নিতে পারে। আল্লাহর নিকট মাসের সংখ্যা বারটি, এর মধ্যে চারটি পবিত্র - তিনটি পরপর (জ্বিলক্বাদ, জ্বিলহাজ্ব, মুহররম) এবং একটি জুমাদাআসসানী ও শাবানের মধ্যবর্তী (রজব)।”
“লক্ষ্য করো! তোমাদের প্রভুর ইবাদত করো; দিনে পাঁচবার নামায কায়েম করো; রমযান মাসে রোযা রাখো; তোমাদের সম্পদের যাকাত আদায় করো; আল্লাহর ঘরে হজ্ব পালন করো এবং তোমাদের শাসককে মান্য করো; তা হলে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।”
“আজ যারা এখানে হাজির হয়েছো আমার বাণী পৌঁছে দাও তাদের কাছে যারা এখানে উপস্থিত নেই, হতে পারে উপস্থিত শ্রোতৃমন্ডলীর চেয়ে অনুপস্থিত ব্যক্তিবর্গের নিকট আমার কথাগুলো বেশী গুরুত্ব বহন করবে।”
বক্তব্য শেষে মহানবী (সাঃ) সমবেত মানুষদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হলে তোমরা কি বলবে?” লক্ষ কন্ঠে উচ্চারিত হলো, “আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি দ্বীনের কথা পৌঁছে দিয়েছেন এবং আপনার নবুওতি দায়িত্ব পালন করেছেন এবং আমাদের কল্যাণের প্রতি লক্ষ্য রেখেছেন।” এরপর তিনি অত্যন্ত আবেগভরে আকাশের দিকে তাকিয়ে তাঁর শাহাদাত আঙুলী তুললেন এবং পরে জনতার দিকে আঙুলী নির্দেশ করে বললেন, “হে আমার প্রভু! তুমি সাক্ষী থেকো, আমি তোমার বাণী মানুষের নিকট পৌঁছে দিয়েছি, হে প্রভু! তুমি সাক্ষী থেকো।”
ভাষণ শেষে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যখন আরাফাতের ময়দান থেকে প্রস্থানের জন্য উদ্যত হলেন ঠিক তখনই পবিত্র কুরআনের শেষ আয়াত নাযিল হলো: “আজকের এ দিনে আমি তোমাদের ধর্মকে চূড়ান্ত করলাম, তোমাদের ওপর আমার নিয়ামত পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে ধর্ম হিসেবে তোমাদের জন্য মনোনীত করলাম.....” (৫:৩)।
মহানবী (সাঃ) এর বিদায় হজ্বের এ জ্ঞানগর্ভ ভাষণটি ছিল মানবজাতির হেদায়েতের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা সমগ্র মানবজাতিকে সম্বোধন করেই তিনি তাঁর বক্তব্য পেশ করেছিলেন এবং সকল মানুষকে উদ্দেশ্য করেই ছিল উদাত্ত আহ্বান। তাঁর এ ভাষণে তিনি সকল প্রকার কুপ্রথা ও কুসংস্কারকে পদদলিত করেছেন, শুধু কথায় নয় কাজেও তিনি সর্ব প্রথম এসব কুপ্রথার সাথে নিজের ও নিজ গোত্রের সম্পৃক্ততা ছিন্ন করেন। তাঁর এ ভাষণে তিনি মানুষের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অধিকারকে সমুন্নত করেছেন। তিনি সকল মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে তাদের পারস্পরিক অধিকার আদায়ের তাকিদ দিয়েছেন, সকল কৌলীন্য প্রথার অবসান ঘটিয়ে মানুষে মানুষে সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন, পরহেজগারীর ভিত্তিতে মানুষের মর্যাদা নির্দ্ধারণ করেছেন, এবং মানুষের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও জবাবদিহিতাকে শাণিত করেছেন। তাঁর এ বিশ্বজনীন ভাষণ যুগ যুগ ধরে মানবতার কল্যাণ ও মুক্তির পথকে সুগম করেছে এবং তাঁর ‘রাহমাতুল্লীল আলামীন’ খেতাবের স্বার্থকতাকে সুপ্রমাণ করে চলেছে ।
বিষয়: বিবিধ
২২০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন