সূরা ইখলাস ধর্মতত্তের কষ্টিপাথর

লিখেছেন লিখেছেন কাকলী চূর ২৯ এপ্রিল, ২০১৩, ১০:৪০:০৫ রাত

সূরা ইখলাস অর্থাৎ আল কুরআনের ১১২ নং সুরাটি হচ্ছে ধর্মতত্তের কষ্টিপাথর। Theo শব্দটি গ্রীক যার অর্থ হচ্ছে প্রভু এবং logy অর্থ হচ্ছে তত্ব এভাবে Theology অর্থ হচ্ছে প্রভুতত্ব এবং সূরা ইখলাস হচ্ছে প্রভুতত্তের কষ্টিপাথর। যদি আপনি কোন স্বর্ণ বা মূল্যবান কোন ধাতুর বা পাথরের অলংকার ক্রয় বা বিক্রয় করতে চান তাহলে আপনাকে সর্ব প্রথম এটাকে যাচাই করে নিতে হবে। এধরনের অলংকারের যাচাই-বাচাই ও পরীক্ষা নিরীক্ষা শুধু মাত্র স্বর্ণকারের কষ্টিপাথরের মাধ্যমেই করা সম্বব। স্বর্ণ অলংকার কষ্টিপাথরের সাথে ঘষে ঘর্ষণকৃত পাথরের রংয়ের সাথে তুলনা করে দেখব । এটার রং ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ রঙের মত উজ্জ্বল হলে স্বর্ণকার আপনকে বলবে যে আপনার অলংকারে ব্যবহৃত স্বর্ণ হচ্ছে ২৪ ক্যারেট প্রকৃত স্বর্ণ । যদি এটি উচ্চ গুণসম্পন্ন প্রকৃত স্বর্ণ না হয় তাহলে সে আপনকে বলবে যে- এটা হয়তো ২২ ক্যারট স্বর্ণ, নয়তো ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ অথবা আদৌ স্বর্ণ নয়। এটা হতে পারে জাল কারন, কথায় বলে- “চকচক করলেই সোনা হয়না ” ।

তেমনি সূরা ইখলাস হচ্ছে প্রভুতত্তের কষ্টিপাথর- যার মাধ্যমে এ সত্য যাচাই করা যায় যে, তুমি যে প্রভুর ইবাদাত করছ তিনি প্রকৃত প্রভু নাকি মিথ্যা প্রভু। কারন, সূরা ইখলাস হচ্ছে কোরআনের প্রদত্ত সর্বশক্তিমান প্রভুর চার লাইনে দেয়া সর্ব উত্তম পরিচয় । যদি কেউ সর্বশক্তিমান প্রভু আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী হওয়ার দাবি করে তাহলে তাকে এ চার লাইনের পরিচয়ের প্রতি দৃঢ়তার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করতে হবে। আমরা মুসলমানেরা দেবতা বলতে আল্লাহ কে বুঝি । মহিমান্বিত কোরআনের সুরায়ে ইখলাস হচ্ছে একটি অগ্নি পরীক্ষা । এটা ‘ফুরকান’ যা সত্য মিথ্যার মধ্যে পার্থক্যকারী । যেটা সত্য প্রভু এবং মিথ্যা প্রভুত্তের দাবীদার খোদার মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে । অতএব পৃথিবীতে মানুষ যেসব দেবতার উপাসনা করে সেসব দেবতা যদি পবিত্র কোরআনের এ সুরায় বর্ণিত গুণাবলীর আলোকে আলোকিত হয়, তবেই তার উপাসনা করা অর্থবহ এবং সেই দেবতাই প্রকৃত প্রভু।

[তথ্য সূত্রঃ ডাঃ জাকির নায়েক এর লেকচার , ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের মধ্যে সাদৃশ্য, পৃষ্ঠা নং – (৫৩৭-৫৩৮) ]

বিষয়: বিবিধ

১১১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File