আল্লামা শফি সাহেব কি তাহলে বিজ্ঞানী হয়ে গেলেন...?

লিখেছেন লিখেছেন পাখি ভাই ১৬ জুলাই, ২০১৩, ০৪:০৪:৩৪ বিকাল

আল্লামা শফি সাহেব কি তাহলে বিজ্ঞানী হয়ে গেলেন? ধুর আমি কি আবোল তাবোল বলছি, আল্লার রাহে যারা আমল করে থাকেন তাঁরা অনেক কিছুই বলতে পারেন। শফি সাহেবের তেতুল থিওরিকে সত্যে পরিনত করলো আমেরিকার শিকাগো ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞরা । তাঁদের গবেষনা প্রবন্ধে বলা হয় সুন্দরী মেয়েদের দেখলে পুরুষের জিহবায় পানি চলে আসে । এবার একটা অংকের মাধ্যমে তেতুল থিওরির সত্যতা যাচাই করি।

(আমেরিকার শিকাগো ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞরা) নারীরা সামনে থাকলে মুখ থেকে লালা ঝরে= তেতুল সামনে থাকলে মুখ থেকে লালা ঝরে

অতএব, নারী = তেতুল (শফি হুজুরের বানী ‘‘নারী তেতুলের ন্যায়’’)

এখন বৈজ্ঞানিক গবেষনা ইঙ্গিত করছে যে শফি হুজুরের বানী ‘‘নারী তেতুলের ন্যায় বিষয়টা আসলেই সত্যি।

এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে আকর্ষণীয় যুবতী মেয়েদের সাথে হালকা কথাবার্তার সময় পুরুষের লালা নাটকীয় পরিবর্তনের সম্মুখীন হয়। এতে আরও বলা হয় যে বিপরীত লিঙ্গের কারো সাথে নিতান্ত অল্প প্রেমভাব দেখিয়ে কথা বলার সময় এমনকি মোটামুটি মুখ বেয়ে লালা বেরিয়ে পড়ার উপক্রম হয়। তারা অপরকে যতই মুগ্ধ করার চেষ্টা করে ততই তাদের লালা বাড়তে থাকে। আমেরিকার শিকাগো ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞরা পুরুষের হরমোন ক্রিয়া পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। বিপরীত লিংগের প্রতি আকর্ষণানুভূতি আছে এমন যে সব কলেজ ছাত্রছাত্রীরা এতে অংশগ্রহন করে তাদেরকে বলা হয় একজন যুবক বা যবতীর সাথে হালকা কথাবার্তা চালানোর জন্য।

অংশগ্রহনকারীরা, যাদের বেশিরভাগই তাদের কৈশোরে রয়েছে, তাদের কাছ থেকে এই কাজটির আগে এবং পরে লালার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।ফলাফলে দেখা যায় যে কেবল পাঁচ মিনিট অল্পবয়সী মেয়েদের সাথে কথাবার্তা চালানোর পরে ছেলেদের লালাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে। এদিকে যাদেরকে অন্য পুরুষদের সাথে জোড়া করে দেয়া হয়েছিলো তাদের ক্ষেত্রে খুবই কম কিংবা কোন পরিবর্তনই ঘটে নি, যাদেরকে কমবয়সী মেয়েদের সাথে জোড়া করে দেয়া হয়েছিলো তাদের লালাতে অতি উচ্চমাত্রায় পুরুষের সেক্স হরমোন টেসটোস্টেরন উৎপন্ন হয়েছে।

সবচেয়ে নাটকীয় পরিবর্তন পাওয়া গেছে সেসব পুরুষের ক্ষেত্রে যারা (বিপরীত লিংগকে) মুগ্ধ করার চেষ্টা করছিলো। ড. জেইমস্ রনি, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের মন ও জীববিদ্যার অধ্যাপক যিনি এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, তিনি বলেন, "আমি এমনটা বলবো না যে লোকগুলোর লালা সত্যিকার অর্থে বেয়ে বেয়ে পড়ছিলো, তবে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ছিলো তাদের লালায়। মহিলাদের সাথে তাদের এইসব কথাবার্তার পরে, তারা বিরাট টেসটোস্টেরনের পরিবর্তন দেখিয়েছে।"

"পরিবর্তনের এই মাত্রা এতটাই ছিলো যে সংশ্লিষ্ট মেয়েগুলো ভাবতে শুরু করছিলো যে তারা (পুরুষগুলো) তাদের প্রতি প্রেমিক হিসেবে বেশ কৌতুহলী কিংবা তাদের সামনে ভাব নেওয়ার চেষ্টা করছিলো।"

গবেষণায় অংশগ্রহনকারীদেরকে তারা যেসব মেয়েদের সাথে কথা বলেছিলো তাদেরকে শারীরিকভাবে কতটা আকর্ষণীয় বলে মনে হয়েছে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, "যৌন আবেদনময়ী" এবং "আকর্ষনীয়" ইত্যাদি শ্রেণীতে ফেলার জন্য।

পাঁচ মিনিটের এই পর্বের পর, মহিলাদেরকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো পুরুষদের আচরণ সম্পর্কে, মূলত তাদেরকে (পুরুষদের) কতটা কৌতুহলী এবং ব্যাস্ত বলে মনে হয়েছে, এবং তাদেরকে মুগ্ধ করার চেষ্টারত বলে মনে হয়েছে কি হয় নি এগুলোর ওপর জোর দেয়া হয়। মেয়েদের মধ্যে যারা এই গবেষনায় অংশগ্রহন করেছে তারা কেউই পেশাদার মডেল কিংবা আহামরি সুন্দরী কেউ ছিলেন না যে তাদের পুরুষদের জ্বিভে জল এনে ফেলার ক্ষমতা থাকতে পারে কারোর। অর্থাৎ যে কোন মেয়ের ক্ষেত্রেই তেতুল থেরাপি প্রযোজ্য। আর শফি সাহেবের মতে যারা পর্দা করেন না তাদের ক্ষেত্রে তো আরোও বেশি জল আসার কথা। সব বাস্তবই মাঝে মাঝে টক লাগে। আমরা যারা শফি সাহেবের সমালোচনায় মুখর তারাও ভালোভাবেই জানে এ সত্য কথাটি। আজ তারা বিবেক বন্ধক রেখে শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন।

"বিবর্তন ও মানবিক আচরণ" নামে বের হওয়া একদম নতুন সংস্করণে ছাপানো এই গবেষণাপত্রে আমেরিকান দলটি এই প্রক্রিয়াকে "কোর্টশিপ রিসপন্স" নামে আখ্যায়িত করেছে।

সূত্র:

http://www.dailymail.co.uk/health/article-201319/Pretty-women-make-mans-mouth-water.html

বিষয়: বিবিধ

২০৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File