Golam Maula Rony কে কয়েকটি প্রশ্ন----
লিখেছেন লিখেছেন মিলন মো রাকিব ০২ জানুয়ারি, ২০১৫, ০২:৩৮:৩৯ দুপুর
আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদকীয় পাতায় ছাপা Golam Maula Rony - এর কলাম
“হায়রে জামাত! হায়রে শিবির ! কবে হবে হুশ ?”
এর কলামের বিপরীতে লেখকের উদ্ধেশ্যে আমার কিছু প্রশ্ন------
১. জামায়াতকে নিজেদের দলে ভিড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের নিরন্তর চেষ্টারত রাজনৈতিক দলগুলোর বেহায়াপনা এবং মোনাফেকী আচরণ দেখে যার পর নাই বেদনাহত হতেন। খুশি হলাম সত্য বলায়। তবে আজকের লেখার বিষোদগার করে আর বেশ কিছু আগে “কাদের মোল্লার চিঠি”সহ মীর কাশেম আলীকে নিয়ে কলাম লিখে আপনি কি দুমুখো আচরণ করেছেন না?
২. আপনি বলেছেন, জামায়াত বিরোধীরা জামায়াতকে প্রবল ভাবে ঘৃনা করে এবং এদের সংখ্যা দেশের রাজনৈতিক সচেতন লোকদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগেরও বেশি। কিন্তু আপনি ব্যক্তিগত ভাবে ঘৃনা করেন কিনা সেটি উল্লেখ করেননি। আপনি কি রাজনৈতিক সচেতন নাকি না?
যারা রাজনৈতিক সচেতন নয়, কিংবা খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ তাদের পরিসংখ্যান উল্লেখ করেন নি। তাদের মাঝে জামায়াতপ্রিতী বাড়ছে না কমছে সেটিও কি উল্লেখ করা উচিৎ নয়?
ভোটের রাজনীতীতে ভোট শুধু সচেতনরাই দেয় না বরং সকলেই দেয়।
৩.জেলে যাওয়ার পর ও জেল থেকে বের হওয়ার পর আপনি অনেক জামায়াত নেতার সাথে কথা বলেছেন এতে আপনার মিশ্র উপলব্ধি হয়েছে। উপলব্ধি মিশ্র হলে জামায়াতের ভবিষ্যত নিয়ে একমুখি মন্তব্য করলেন কেন? কেন বললেন, এ গন্তব্যের শেষ প্রান্তে রয়েছে কেবলই পরাজয়, কেবলই অপমান এবং নিশ্চিত এক ধ্বংশযজ্ঞ ???
৪. আপনি বলেছেন, ২০০৯ সালের শেষে এসে ১৯৭৩ সালের আইনটি সংশোধন হলো। এই আইন প্রনয়নে জাতিসংঘের পাশাপাশি ইউরোপীয়ান ইউনিয়নও সাহায্য করেছিলো। তারা ৩টি রেজুলেশন পাশ করে আইনটিকে সমর্থন জানিয়ে বলে যে- এর মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ গুনগত মান বজায় থাকবে। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল বার এসোসিয়েশনও আইনটি সম্পর্কে লিখিতভাবে ভূয়সী প্রশংসা করে।
আইনের প্রশংসা করেছে কিন্তু সেই আইনের ব্যবহার করে প্রদত্ব ফলাফলের প্রশংসা করেছে নাকি নিন্দা করেছে সেটি কেন বলেননি??
৫. আপনি বলেছেস, ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন বিচারপতি নিজামুল হক। তিনি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে চেষ্টা করছিলেন-বিচারটিকে আর্ন্তজাতিক মানের করার জন্য। এজন্য তিনি দেশ বিদেশের নামকরা আইনবীদদের সাহায্য নিয়ে নিজের বিচারিক মন এবং মস্তিস্ককে সমৃদ্ধ করে যাচ্ছিলেন। স্কাইপের মাধ্যমে তিনি তার এক বন্ধুর নিকট থেকে প্রায়ই আর্ন্তজাতিক আইন এবং কিছু রেফারেন্সের খুঁটি নাটি জেনে নিচ্ছিলেন।
যেখানে একজন বিচারকের কোন বিচার কাজ নিয়ে নিজে স্ত্রীর সাথেও আলোচনা করা আইসিদ্ধ না সেখানে তিনি একজন জামায়াতের তীব্র বিরোধীর সাথে আলোচনা করে আইনের লঙ্ঘন করেছেন কিনা সেটি উল্লেখ করেন নি কেন?
৬. ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল দেয়ার জামায়াত-শিবির ভয়ংকর নজির স্থাপন করেছে বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু রায়ের বিরুদ্ধে যখন গণজাগরণ মঞ্চ বসানো হলো সেটিকে কেন নজির বিহীন বললেন না??
বিষয়: বিবিধ
১৩১১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন