বাংলাদেশ প্রতিদিন এবং একটু সমালোচনা
লিখেছেন লিখেছেন প্রশ্ন ১৯ জুন, ২০১৩, ০৮:২৮:১৯ রাত
বাংলাদেশ প্রতিদিন এবং একটু সমালোচনা
বিশাল বিত্তশালীর গনমাধ্যম এবং সর্বাধিক প্রচারিত পত্রিকার সমালোচনা করার দুঃসাহস বা দুঃসাধ্য একটু কঠিন হলেও সংবিধানের তৃতীয় ভাগের ৩৯ অনুচ্ছেদ আলোকেঃ চিন্তা বিবেকের স্বাধিনতা এবং বাক স্বাধিনতার অধিকার নিয়ে বলা যায়- এসব মাধ্যম গুলো নিজেদের অর্জিত বৈধ বা অবৈধ সম্পদ সংরক্ষনের জন্য ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে । নিজের একটু ভালো উদ্দোগ ব্যপক প্রচারনা এবং মন্দ দিক লোকাতে অন্যের সাথে বিবাধে জডিয়ে সহজেই পার পাওয়া যায় । অন্তরালে রয়ে যায় বিশেষ স্বার্থ সংশিষ্ঠ উদ্দেশ্য । সৃষ্ঠি থেকে অল্প দামে অধিক খবর, অধিক পাতার প্রচারনা পিছনে হয়তো অনেক আর্থিক লোকসান দিয়েছে ভবিষৎ বেশী প্রচারনার সুযোগ সৃষ্ঠির জন্য । মানুষ গ্রহন করেছে বুঝে বা না বুঝে অন্তরালে বসুন্ধরার বিভিন্ন প্রচারনা মানুষকে গিলাতে বাধ্য করেছে । আগে ছিলো অল্প বিজ্ঞাপন অধিক সংবাদ আর ১০০% বস্তুনিষ্ঠতা বাদ দিলাম এইভেবে যাচাই করার ক্ষমতা আছে কয়জনার । এখন সত্যকে লুকিয়ে রাখা হয় সত্য ও মিথ্যার মাঝখানে । চিন্তা খাটিয়ে বের করতে হয় নিজের । এক সংবাদ, একেক মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে প্রকাশ করে । যেমন রাজনৈতিক চাকায় পৃষ্ঠ হয়ে রাজাকার মুক্তিযুদ্ধা হয় আবার মুক্তিযুদ্ধা হয় রাজাকার । এত খবর, সংবাদ প্রচার হয় রাষ্ট্র তো সত্য খুঁজে দেখে না, বলে না । বরং রাষ্ট্র নিজেই এই চরকার আবর্তে বিদ্যমান । বীর উত্তম কাদের সিদ্দিকীকে বা জিয়াউর রহমানকে মহান সংসদে আইন প্রনেতারা রাজাকার বা মুক্তিযুদ্ধা বলে, দেশ প্রেমিক বলে আবুলকে, রানা প্লাজার মালিক খুনি রানকে পক্ষে আগলে রাখে এবং বলে ’ও’ আমাদের কেউ না । খবর ,সংবাদ কোন্ মানুষকে সত্য ধরতে শিখিয়েছে ! হাইকোর্ট , সুপ্রিম কোর্ট আদালত অন্যায়কারীকে ফাঁসি দিলেও রাজনৈতিক চরকায় রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে দন্ড মওকুফ করার কি ক্ষমতা রাষ্ট্র দিয়েছে ? তা হলে সত্য কোনটি ? আমি যদি দলীয় ভাব কারো অন্তরে গ্রথিত করি, আমি খুন করে অনুকম্পা পেতে পারি! তাহলে সত্য কোথায় থাকে ? হবে কোথায় অন্যায়ের শাস্তি ?
টাকায়, অন্ধকার করতে পারে আবার আলোকিতও করে । যদি দিগন্তকে রাজাকারের টেলিভিশন মনে করি, বংঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী একটি অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন কিভাবে ? জ্বনাব নঈম নিজাম, জ্বনাব পীর হাবিব, জ্বনাব মিলন এক সময়কার ভুমিদূস্য খ্যাতের মালিকানায় কর্মময় হয় কিভাবে ? যুক্তিটা বড় দোষের না হলেও একটু নৈতিকতার দিকে তাকালে কি দাড়ায় ? তাহলে ”সত্য’ কি সত্য থাকে ? গনমাধ্যম তৈরী হয় সত্য খুঁজতে ’সংবাদ”কে সংবাদ প্রকাশ করতে ।
বংঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী লিখা পড়ে আমার মনে হয় তিনি লিখেন,-”আগে এই ছিলাম, এই হইতো , এই করতো, এখন তারা ”এই” এবং তারা ইহা করছে । মনে হতাশায় ধরু“ ধরু“ এবং তাঁর সন্মান হারাবার ভয়, এ কেমন যুগে আসলাম মাণিরা মান কি পাবে না --ইত্যাদি ভাবনা ।
পীর হাবিবকে মনে হয় আওয়ামীলীগ সমন্ধে স্বঘোষিত বাম,ডান ইতিহাস ও হাইব্রিড দলকানা পর্যবেক্ষক । যখন কাউকে মনে করে তাঁকে উপরে নিতে হবে তখন নিজর তথ্য ভান্ডার থেকে সুউচ্চে তুলে ধরে আবার মনে হলে হাফপেন্ট খুলে ফেলে দেওয়ার বিশেষ ক্ষমতা তার লিখনের মাধ্যমে প্রকাশ করে । যদিও এই কার্যে বিশেষ সত্যগুলো বেশী থাকে মন্দে -মন্দের জন্য, ভালো- ভালোর জন্য কিন্তু একজন মানুষের বেলায় তিনি করতে পারে তার কলমের আছড়ে যা একটা বিশেষ গুন। একুশে টেলিভিশনের ৯জুন’১৩ টকশোতে দেখলাম রাজশাহী সিটি কর্পো: মেয়র প্রার্থী কামরুজ্জামানকে কি সুন্দর বিশেষ বিশেষণে ভূশিত করলেন কথোকথপনের জন্য আর বুলবুলকে আনকৌড় প্রার্থী বললেন ।
নঈম নিজামের লেখায় পাই , আ-লীগের ভালো দিক তুলে ধরার বিশেষ গুন । সমালোচনায় বেশী দেখি বর্তমান সরকারের আমলে টি ভি চ্যনেলগুলোর লাইসেন্স কিভাবে হলো? কার হাতে গেলো ?কেন গেলো? কেন সরকারের গুন গান গায় না বিভিন্ন আফসোস।
বর্তমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মনে হয় বিজ্ঞাপনের আড়ত অন্য ভূমিদূস্যদের সমালোচনা ।
আর আমরা গোলক ধাঁ ধাঁ ’র চক্করে ।
বিষয়: বিবিধ
১১০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন