সংলাপের ভবিষৎ কি????
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তমঞ্চ ১৯ মে, ২০১৩, ০২:০৫:১৬ রাত
প্রথমে আসি সংলাপ কি? সংলাপ হচ্ছে কোন নিদ্দিষ্ট বিষয় নিয়ে দুই বা ততোধিকের মধ্যে পারস্পারিক আলোচনা। আর বাংলাদেশে এই মূহুতে সংলাপ বলতে বুঝাচ্ছে দই নেত্রী সাক্ষাৎ। আসলে দুই নেত্রী সাক্ষাতে কি সমস্যা সমাধান করা সম্ভাব হবে?
এখন আসি বাংলাদেশে এমূহুতে সমস্যা কি ?
প্রথম সমস্যা হলো দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্লদলীয় তত্বাবাধক সরকারের অধীনে হতে হবে, যার জন্য বিএনপি দীর্ঘদিন আনোদালন করে আসছে এখনো করছে।
দ্বিতীয় সমস্যা হলো যুদ্ধঅপরাধীর বিচার যার থেকে শাহবাগ সৃষ্টি হয় আর এর থেকে হেফাজত সৃষ্টি হয়
তাহলে এখন এ সমস্যা গুলো কি দুই নেত্রী সাক্ষাতে সমাধান করা যাবে?
তবে নেত্রীদ্বয়ের দর্শনে কিছু সমস্যা সমাধান করা সম্ভাব হত কিন্তু তাও অনিশ্চিত কারণ আওমীলিগ সরকার শর্তহীন সংলাপ করবে আর বিএনপি নির্লদলীয় তত্বাবাধক সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় বসতে চায়।
তাহলে কি করে নেত্রীদ্বয়ের দর্শন সম্ভব হবে তবে ৫শে মে কে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সংলাপে কথা বলেছিলেন
তার পরপরি সেয়দ আশরাফ বলেন দুই -এক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠনিক প্রস্তাব যাবে কিন্তু হেফাজতের অবরোধকে বাধা দিতে না পরে রাত্রে গণহত্যা চালিয়ে তাদের হঠিয়ে দেয়। আর এখন বলছে সংলাপ হবে না বর্তমান সরকারের অধীনে না কি নির্বাচন হবে।
আরেক দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় কিছু দিন আগে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে সর্বজনীন নির্বাচন করার জন্য সকল দলের প্রতি আহবান করেন এবং বারবার একটি কথা তারা বলেছেন যে বেশি সময় নয় তাড়াতাড়ি সংলাপ করে সমস্যা সমাধান করুন।
সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল বলা হয়েছে কোন প্রস্তাব তারা দিবে না আর বিএনপি এখনো সংলাপের আশাবাদী নিদিষ্ট বিষয়টি নিয়ে তাহলে এমন অবস্থায় সংলাপের ভবিষৎ কি হতে পারে?
এখন দেখি দ্বিতীয় সমস্যা, বাংলাদেশে বির্তকিত ট্রাইবুনার মাধ্যমে যুদ্ধঅপরাধী যে বিচার চলছে তা আন্তজাতিক সহ বিভিন্ন
মহলে তা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে কিছু দিন আগে মার্কিন যুদ্ধঅপরাধী বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি দল সংবাদ সম্মেলনে বলেন তারা এই বিচারের উপর আশাবাদী নই এত বুঝা যায় বিচারের অবস্থা কি?
গত দুই দিন আগে আল্লামা সাঈদীর একজন সাক্ষীকে গুম করে ভারতের কারাগারে রাখা হয়েছে কারণ তিনি ন কি সত্য সাক্ষী দিতে চেয়েছিল তাই রাষ্ট্রপক্ষ তাকে গুম করে।
আর এই অপরাধে যাবতজীবন সাজা প্রাপ্ত আসামি কাদের মোল্লার রায়ের পর শাহবাগের যে নাটক শুরু হয় সেখান প্রিয়নবী (সঃ) কে নিয়ে যে অশ্লীলও অবমানা করে আর সেখান থেকে হেফাজতই ইসলাম নামক সংগঠন খুব তৎপর হয়ে ওঠেঅ আর তাদের দাবী হল নবী (সঃ) অবমানাকারীদের ফাসী দিতে হবে এটা ৯০% মুসলিমের দাবী তারা তাদের দাবী আদায় কারা জন্য স্বরণকালের শ্রেষ্ঠ লংমার্চ করেছেন আর এতে বর্তমান সরকারের ভীত নড়ে যায় এবং তারা সরকারকে একমাস সময় দেয় কিন্ত আলটিমেটাম শেষে ৫শে মে ঢাকা অবরোধ সফল করে রাত্রে অবস্থানের ঘোষনা দেন কিন্তু এ জালিম সরকার রাত্রের অন্ধকারে সকল মিডিয়া সরিয়ে নাটকীয় ভাবে এক গণহত্যা চলাই যা ২৫শে রাত্রকে হার মানাই। আর এটাকে বিশ্বগণমাধ্যম গুলো যখন প্রচার করছিল ঠিক তে মূহুতে সেটাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য রেশমা নামক নাটক সাজিয়ে বলে ১৭ দিন পরে ধ্বংসস্তুপ থেকে স্ত্রীকরা জামা পরিহিত এক জনকে উদ্ধার করে সে না কি প্রথম প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলে। এই খবর আন্তজাতিক মিডিয়াতে গুরুত্বসহ কারে প্রচার করে।এতে কিছুটা হলে ৫শে মের ঘটনা অন্যদিকে চলে যায় কিন্তু এতে এখন কাজ হচ্ছে না কারণ ২/৩ দিন আগে আল-জাজিরা এ নিয়ে রির্পোট করেছে সেখানে লাশ গুম হওয়া কথা বলা হয়েছে।
এত কিছু ঘটে যাওয়ার পরেও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তারা না কি সংলাপের প্রস্তব দিবে না।
তাহলে সংলাপের ভবিষৎ কি এটা হবে যে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচন হবে? আর এর সাথে এটাও হতে পারে যুদ্ধঅপরাধী ট্রাইবুনার জাতিসংঘের মাধ্যমে বিচারকার্য সম্পূন্ন হতে পারে বলে আশংকা করার হচ্ছে।
তাহলে আপনারা বলুন সংলাপের ভবিষৎ কি????????????
বিষয়: বিবিধ
২৩৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন