মিডনাইট অপারেশন শাপলা, ভিডিওচিত্রঃ মুহূর্তের লাখো মানুষ কি হাওয়া হয়ে গেল?
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তমঞ্চ ০৮ মে, ২০১৩, ১১:০০:৩৫ রাত
মুহূর্তের মধ্যে লাখো মানুষ কি হাওয়া হয়ে গেল তা কয়েকটি ভিডিও সহ লেখাটি পড়লে বুঝতে পারবেন
দেখুন ভিডিওগুলো............
http://www.facebook.com/photo.php?v=334961216631668&set=vb.100003533760563&type=2&theater
http://www.facebook.com/photo.php?v=462343463853623&set=vb.428835640537739&type=2&theater
http://www.facebook.com/photo.php?v=10201293019792071&set=vb.428835640537739&type=2&theater
৫ মে গভীর রাতে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কি ঘটনা ঘটেছে। মুহূর্তের মধ্যেই মানুষ কি হাওয়া হয়ে গেল? এ বিষয়ই ছিল গতকাল টক অব দ্যা কান্ট্রি।
৫ মে রোববার। হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ শেষে মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছিল সমাবেশ। কয়েক লাখ লোকের উপস্থিতি। মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক, মসজিদের ইমাম-খতিব-মুয়াজ্জিন ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষসহ ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ হেফাজতের এ সমাবেশে অংশগ্রহণ করে। সমাবেশের চারদিকে সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় হেফাজতের আমীর আল্লামা আহমদ শফী সমাবেশে আসতে পারেননি। তিনি না আসা পর্যন্ত সারারাত অবস্থান করার ঘোষণা দেয় হয়। সবাই আল্লাহর নাম নিয়ে জিকির করতে থাকে। মাইকে কখনো জিকির, কখনো ইসলামী সংগীত ও কখনো বক্তব্যের আওয়াজ আসতে থাকে। সারাদিনের পরিশ্রমে অনেকে ক্লান্ত হয়ে জায়নামাযেই ঘুমিয়ে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত আড়াইটার দিকে মতিঝিল শাপলা চত্বরের তিন দিক দিয়ে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও গুলী করতে করতে শাপলা চত্বরের দিকে এগুতে থাকে। তাদের সাথে অভিযানে অংশ নেয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বাহিনী। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যায় শাপলা চত্বরসহ আশপাশ এলাকা। শুধু পড়ে থাকে লাখ লাখ জুতা, জায়নামায, খাবারের প্যাকেট, পানির বোতল ও ব্যাগ ইত্যাদি। মানুষগুলো কোথায় গেল? লাখ লাখ মানুষ কি মুহূর্তের মধ্যে হাওয়া হয়ে গেল? দৌঁড়িয়ে পালাতেও তো আরো সময়ের প্রয়োজন। পড়ে থাকা জায়নামাযে রক্তের চিহ্ন, ঘুমিয়ে থাকা মানুষগুলো কি বলতে পারবে কি হয়েছিল? মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে লাখ লাখ মানুষ সরাতে যৌথ বাহিনী কি পদ্ধতি ব্যবহার করেছে? তার কোন সুনির্দিষ্ট তথ্যই দেশবাসীকে জানানো হয়নি। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, সে রাতের অভিযানে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
মানুষের মনে নানা প্রশ্ন। সে রাতে যদি কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটে তাহলে মিডিয়ায় প্রকাশিত লাশের ছবিগুলো কোথাকার। আর মাত্র ১০ মিনিটেই এত মানুষ কীভাবে সরানো হলো? আর কেনইবা দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি বন্ধ করে দেয়া হলো? তারা আসলে কি দেখাতে চেয়েছিল? এসব প্রশ্ন আজ সারা দেশের মানুষের। ফেসবুক ও টুইটারসহ অনলাইন সামাজিক গণমাধ্যমে নানা বক্তব্য ও হতাহতের ছবি প্রকাশিত হচ্ছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতের সাংবাদিকরা ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এমনকি প্রত্যক্ষদর্শী কিছু সাংবাদিক রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন। যা দেখেছেন তা কোন দিন প্রকাশ করার ক্ষমতাও নেই বলে তারা মনে করছেন। এমনকি কেউ কেউ নিজের জীবন নিয়েও সেদিন আতঙ্কে ছিলেন।
বিষয়: বিবিধ
১৭৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন