আহ! কি লজ্জা....... “ প্রধানমন্ত্রীকে STOP বললেন আমানপোর”
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তমঞ্চ ০৪ মে, ২০১৩, ১২:২৬:২৯ রাত
আজ CNN এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী আবার প্রমাণ করল যে তিনি একজন বিশ্ববরেণ্য মিথ্যুক>......।
দেখুন একজন বিশ্ববরেণ্য মিথ্যুকের মিথ্যাচার...................
আমানপোর : দেশের কয়েক হাজার গার্মেন্ট কারখানা পরিদর্শন করতে মাত্র ১৮ জন ইন্সেপক্টর রয়েছে। এতো কম সংখ্যক ইনসেপক্টর দিয়ে কিভাবে এসব কারাখানা পরিদর্শন সম্ভব? (কারখানা ও ইনসেপক্টেরর এই হারেক ক্রেজি রেশিও বলে মন্তব্য করেন আমানপুর)
প্রধানমন্ত্রী: এই দূর্ঘটনার আগে আমরা শ্রমিক আইন করেছি। ইতিমধ্যে আমাদের মন্ত্রীপরিষদে এই আইন অনুমোদন করা হয়েছে এবং জাতীয় সংসদে তা পাস হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আমরা শ্রম নীতি গ্রহণ করেছি। আমরা এসব ব্যাপারে সচেতন এবং তা বাস্তবায়নে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কিন্তু, পৃথিবীর যেকোন জায়গায় যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আপনি কিছুই আগে অনুমান (প্রেডিক্ট) করতে পারেন না। উন্নত দেশগুলোতেই আমরা এ ধরণের ঘটনা দেখছি। সাম্প্রতিককালে টেক্সাসে সারকারখানায় সংঘটিত দূর্ঘটনা আমরা দেখেছি। সুতরাং দূর্ঘটনা ঘটতেই পারে। যেহেতু এই শিল্প (গার্মেন্টস শিল্পের কথা বলতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী) ক্রমবর্ধমান শিল্প এবং বায়ার এবং ইনভেস্টররাও এগিয়ে আসছে, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য গুড কনডিশনে আছে। .. ..
আমানপুর: প্রাইম মিনিস্টার….. (তিনি প্রশ্ন করার চেষ্টা করেন এবং বিরক্তি প্রকাশ করে মাথা নাড়তে থাকেন। )
আমানপোর: প্রাইম মিনিস্টার… এসব কিছুই এখন হুমকিতে (আমানপুর প্রশ্ন করার চেষ্টা করেন)।
প্রধানমন্ত্রী: (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেসে বলেন) আমাকে কথা শেষ করতে দেয়া হোক।
আমানপোর: আমি আপনাকে কথা শেষ করার সুযোগ দিবো। কিন্তু, আপনি বলেছে দূর্ঘটনা প্রেডিক্ট করা যায় না। অবশ্যই আপনি তা করতে পারেন না। কিন্তু, দূর্ঘটনার আগের রাতে বিভিন্ন টেলিভিশনের খবরে দেখা যায় ফ্যাক্টরিটির বড় ধরণের ফাটলের চিত্র দেখানো হয়। মালিকরা বলেন, এটা কিছুই না। ভবনের প্লাস্টার খসে পড়েছে। আর তার পরদিনই ভবনটি ধসে পড়ে। আপনি হয়তো প্রেডিক্ট করতে পারবেন না। কিন্তু, এই ঘটনার জন্য কারা দায়ী?
প্রধানমন্ত্রী: জি, আপনিই সম্পূর্ণ ঠিক বলেছেন। (ফাটল দেখা দেয়ার পর) স্থানীয় প্রশাসন ও শিল্প পুলিশ কারখানার কাজ বন্ধ করে দেয়। এবং তারা সব শ্রমিককে আগের রাতে ভবন থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে কারখানার মালিকরা সকালে শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে চাপ দেয়। তবে, স্থানীয় প্রশাসন ও শিল্প পুলিশ তাদেরকে থামাতে চেষ্টা করে। কিন্তু, মালিকপক্ষ বলে ভবনটি ধসে পড়বে না এবং পরিস্থিতি অতোটা খারাপ না এবং তারা শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বলে। শিল্প পুলিশরা তখনো বলে শ্রমিকদের এই অবস্থায় কাজ করতে দেয়া ঠিক হবে না। কিন্তু সেই মুহুর্তে দূর্ঘটনা ঘটে যায়। তাই এটা সত্য না যে সরকার কোন ব্যবস্থা নেয় নাই। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম এবং আমরা তাদের ঠেকাতেও চেষ্টা করেছিলাম।
আমানপোর: সেটাই করা উচিত। জানা গেছে ভবনটির মালিক এই এক ব্যক্তি (সোহেল রানার ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়) এবং সে ক্ষমতাসীন দলের উচু পদের নেতা, যে দলটি আপনার। সে ইয়ুথ উইং (যুবলীগ বোঝাতে) এর শীর্ষ নেতা…
প্রধানমন্ত্রী: না। এটা সত্য না।
আমানপোর: আমরা সেভাবেই জেনেছি…
প্রধানমন্ত্রী: না। এটা সত্য না।
আমানপোর: ইউথ উইং এর… আপনি বলছেন এটা ঠিক না?
প্রধানমন্ত্রী: না না না… ভুল তথ্য
আমানপোর: অলরাইট…
প্রধানমন্ত্রী: আমি আপনাকে বলতে চাই, ভবনটিতে ৫ টি গার্মেন্টস কারখানা ছিলো। ৫ জন মালিক। তারা শ্রমিকদের উপর চাপ সৃষ্টি করে। তারা শ্রমিকদের কাজে যোগ পাঠায়।
আমানপোর: ওকে
প্রধানমন্ত্রী: সে (সোহেল রানাকে উদ্দেশ্য করে) একাই ভবনটির মালিক না। আমরা ইতিমধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। আমরা সব মালিককে গ্রেপ্তার করেছি। প্রকৌশলীসহ সবাইকে। আমরা সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমরা সবাইকে গ্রেপ্তার করেছি।
আমানপোর: তাদের ব্যাপারে কি ঘটতে যাচ্ছে? (প্রশ্ন শেষ করতে পারেননি আমানাপুর)
প্রধানমন্ত্রী: আমরা তাদেরকে রক্ষা করার চেষ্টা করছি না। (কয়েক সেকেন্ড দু’জনই চুপ..)
প্রধানমন্ত্রী: অপরাধী অপরাধীই..।
তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এটা জনগণকে দেয়া আমাদের ওয়াদা। আমরা তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছি। সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যেই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। ভবনটির মালিক এবং গার্মেন্ট মালিকদের বিরুদ্ধে। সুতরাং আমাদের সরকার .. আমরা সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
আমানপোর: সমস্যা হলো জনগণ এ ধরণের প্রতিশ্রুতি অতীতে দেখেছে এবং তারা বিশ্বাস করে না যে অভিযুক্তদের শাস্তি হবে। তারা অপেক্ষায় আছে কিভাবে মামলাটি আগায়। কিন্তু আমি এই সেক্টরে দূর্নীতির বিষয়ে কিছু জানতে চাই… নানা প্রতিবেদনে জানা গেছে সে (সোহেল রানা) স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার সাথে যোগসাজশ করে এবং নানা ধরণের অনিয়ম করে তার পরিবার সম্পদ করেছে। কিছুর তোয়াক্কা না করেই সে ভবন গড়ে তোলে। আরেকটা কথা… ১০ শতাংশ সংসদ সদস্য এই ধরণের ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত। এই সেক্টরে কি আপনি নানা ধরণের দূর্নীতির মুখোমুখি হচ্ছেন না?
প্রধানমন্ত্রী: দেখুন, আপনি অন্য বিষয়ে চলে যাচ্ছেন।
আমানপোর: না প্রধানমন্ত্রী। আমি অন্য বিষয়ে যাচ্ছি না।
প্রধানমন্ত্রী: আমি আপনাকে বলতে চাই ২০০৫ সালে এই জমিটি তারা দখল করে এবং ভবনটি গড়ে তোলে। সে সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলো না। এটা আপনার জানা উচিত। আর এসব ফ্যাক্টরীর মালিক ব্যবসায়ীরা। যে কোন ব্যবসায়ী যদি কোন ধরণের অপরাধ করে আমাদের সরকার তার/তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা এখানে জনগণকে সেবা দিতে এসেছি। দূর্নীতিবাজদের আশ্রয়প্রশ্রয় দিতে না। অন্তত আমাদের সরকার এটা করে না। এটা আমি আপনাকে নিশ্চয়তা দিতে পারি।
আমানপোর: অলরাইট। এটা শুনে জনগণ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে। এমনকি গত বছর বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা বলেছিলেন আমেরিকায় বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। ইতিমধ্যেই ডিজনি, যা অনেক বড় ক্রেতা, তারা বলেছে বাংলাদেশ থেকে কোন পণ্য নয়। কানাডাও আপনাদের সাথে ব্যবসার বিষয়টা নিয়ে ভাবছে। তারাও আপনাদের বড় ব্যবসায়ী পার্টনার। এটা আপনাদের জন্য বড় ধরণের ক্রাইসিস সৃষ্টি করতে পারে। আপনি কি একমত?
প্রধানমন্ত্রী: তারা যদি ব্যবসা করতে চায় তাহলে তাদেরকে পণ্যের দাম বাড়াতে হবে যাতে ব্যবসা ভালোমতো চলে এবং শ্রমিকরা ন্যায্য পারিশ্রমিক পায়। তারাও (ডিজনি, কানাডা ও অন্যান্য ক্রেতা) এসবে ঘটনার জন্য কিছুটা দায়ী। সস্তা শ্রম পায় বলেই বিনিয়োগকারীরা এখানে আসে। আমাদের শ্রমিকরা নিষ্ঠাবান ও পরিশ্রমী এবং তারা যথাযথভাবে কাজ করে। এজন্যই বিনিয়োগকারীরা এখানে আসে। এবং তারা আসবে এবং ব্যবসা করবে বলে আমি মনে করি।
আমানপোর: আপনার ভালো শ্রমিক আছে এবং পণ্যও ভালো। কিন্তু আপনার সরকার শ্রমিক ইউনিয়ন ও শ্রমিকদের প্রতি অনেক বেশি আগ্রাসী বলে অভিযোগ রয়েছে। আপনি জানেন গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব হিলারী ক্লিনটান বাংলাদেশে গিয়েছিলেন এবং তিনি আপনার সরকারকে একটি প্রধান শ্রমিক ইউনিয়ন এর নেতা আমিনুল হত্যার ঘটনা তদন্ত করতে বলেছিলেন। আমিনুলকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। তাকে কেনো হত্যা করা হলে এর উত্তর হয়তো জানা নেই। আমিনুল ইসলাম ইস্যুতে আপনার বক্তব্য কি?
প্রধানমন্ত্রী: আমিনুল ইসলাম কোন ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন?
আমানপোর: আমি আপনাকে বলতে পারি…. (তিনি কথা শেষ করতে পারেন নি।
প্রধানমন্ত্রী: তিনি কোন ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন? আপনি কি নাম বলতে পারেন?
আমানপোর: তিনি (আমিনুল ইসলাম) শ্রমিকদের সংগঠিত করার কাজ করছিলেন যেখানে শ্রমিকদের জিম্মি করে রাখা হয়। আপনি নিজেই বলেছেন কিছু মানুষ বেআইনী কাজ…
প্রধানমন্ত্রী: না। আপনি ভুল
আমানপোর: স্টপ! আমি কি ভুল বললাম?
প্রধানমন্ত্রী: আপনি ভুল। আপনি ভুল।
আমানপোর: কি ভুল?
প্রধানমন্ত্রী: কেউ জানে না তিনি (আমিনুল) শ্রমিক নেতা ছিলেন। বাংলাদেশের কেউ জানে না না তিনি (আমিনুল) শ্রমিক নেতা ছিলেন। তিনি খুন হন অথবা কিছু ঘটেছে। চারদিন পর তার মৃতদেহ উদ্ধার করে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এটা আমাদের পুলিশ। আমাদের পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। আমরা জানতাম না তিনি ইউনিয়ন নেতা ছিলেন বা অন্য কিছু। কিন্তু তার প্রতি সিমপ্যাথি আছে। মামলা তদন্ত হচ্ছে। আমরা আমাদের দায়িত্ব বুঝি। সুতরাং এই ব্লেম গেইম থাকা উচিত না।
আমানপোর: অল রাইট। আপনি জানেন না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে গিয়ে এ ব্যাপারে তদন্ত করতে বলেছেন। আপনি বলেছেন আপনি আপনাদের জনগণ ও শ্রমিকদের ব্যাপারে সচেতন…
প্রধানমন্ত্রী: তদন্ত চলছে…
আমানপোর: ওকে..
প্রধানমন্ত্রী: মন দিয়ে শোনে। মন দিয়ে শোনে। তদন্ত চলছে…।
আমানপোর: আমি অনুমান করতে পারি যে আপনার সরকারের উচিত জনগণের প্রতি ও শ্রমিকদের প্রতি আরো সচেতন হওয়া এবং শ্রমিকদেরকে তাদের ইউনিয়ন করতে দেয়া উচিত…। পোপ গতকাল বলেছেন বাংলাদেশে গার্মেন্টস শ্রমিকরা কৃতদাসের মতো কাজ করে। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি?
প্রধানমন্ত্রী: শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আমি মাঝে মাঝে মালিকদের সাথে দরকষাকষি করি। যাতে তারা ন্যায্য মজুরী ও অন্যান্য সুবিধাদি পায়। আমাদের সরকারের তরফ থেকে তাদের জন্য ডরমেটরি তৈরী করাসহ নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আমরা তাদের স্বাস্থ্য সমস্যা সহ অন্যান্য চাহিদাও নিশ্চিত করেছি। আমরা সবসময় শ্রমিকদের পক্ষে। তাদের ভালো অবস্থা নিশ্চিত করার বিষয়টি সব সময় বিবেচনা করি।
আমানপোর: প্রধানমন্ত্রী এখানে স্বচ্ছতার একটা বড় ঘাটতি চোখে পড়েছে। আমি এজন্য বলছি যে সিএনএন বাংলাদেশে গিয়ে এই দূর্ঘটনা কাভার করার অনুমতি পায়নি। আপনি বলছেন সব ভালো। অন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও অনুমতি পায়নি (কথা শেষ করতে পারেননি আমানপোর)
প্রধানমন্ত্রী: আমি দু:খিত, সিএনএন কি বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি পায়নি?
আমানপোর: না। না। আমি আপনাকে বলতে চাই এই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলুন। (কথা শেষ করতে পারেননি আমানপোর)
প্রধানমন্ত্রী: আপনি কি তাই বলছেন?
আমানপোর: জি আমি তাই বলছি। সিএনএন কে স্টোরি কাভার করতে অনুমতি দেয়া হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী: না। না আমি দু:খিত।
আমানেপার: নো ম্যাম।
প্রধানমন্ত্রী: আপনি কি বলছেন?
আমানপোর: জি আমি তাই বলছি। এই ঘটনা কাভার করতে সিএনএন এবং অন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোকে বাংলাদেশে প্রবেশে অনুমতি দেয়া হয়নি।তারা (কর্তৃপক্ষ) অদ্ভূত সব শর্ত আরোপ করেছে… (কথা শেষ করতে পারেননি)
প্রধানমন্ত্রী: না। এটা সত্য না।
আমানপোর: এটা সত্য
প্রধানমন্ত্রী: না না না।
আমানপোর: হ্যা হ্যা। এটা সত্যি
প্রধানমন্ত্রী: বাংলাদেশ একটি উন্মুক্ত দেশ। বাংলাদেশে প্রাইভেট টেলিভিশন আছে (এই বক্তব্যের সময় আমানপোর হেসে উঠেন)।
নিষেধাজ্ঞা থাকলে কেনো আমি আপনার সাথে কথা বলছি?
আমানপোর: কারণ আমি বাংলাদেশে নেই।
প্রধানমন্ত্রী :আমিতো আপনার সাথে কথা বলতাম না!
আমানপোর: (হেসে) প্রধানমন্ত্রী আমি সেখানে (বাংলাদেশে) নই।
প্রধানমন্ত্রী: আমরা যদি সিএনএন কে প্রিভেন্ট করতাম তাহলে আমি কেনো আপনার সাথে কথা বলছি? তাহলে আপনি এটা বন্ধ করুন। এটা প্রচার করবেন না। আপনি যদি মনে করেন সিএনএন কে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি তাহলে আপনি আমার সাক্ষাৎকার প্রচার করবেন না। ঠিক আছে?
আমানপোর: আমাদের সিএনএন কর্তৃপক্ষ এবং সাংবাদিকদের বলা হয়েছে তাদেরকে অবশ্যই একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে হবে (আমানপোর একটা কাগজ পড়ার চেষ্টা করেন).. ভিসা কর্তৃপক্ষ বলেছেন, তারা রিভিউ করা, জব্দ করা..
প্রধানমন্ত্রী: (মাথা নেড়ে) মন দিয়ে শোনেন.. না।
আমানপোর: না না।
প্রধানমন্ত্রী: কেউ যদি কোন দেশে প্রবেশ করে…. (বক্তব্য শেষ না করে) না না। আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। হ্যা, অবশ্যই সেখানে কিছু নিয়ম কানুন থাকে
(আমানপোর মাথা নাড়তে থাকেন। না না।)
প্রধানমন্ত্রী: সব দেশেরই কিছু নিয়ম কানুন থাকে। সবাইকেই তা অনুসরণ করতে হবে। আমরা আমাদের মানুষ হারিয়েছি। আমি এসব মানুষের জন্যই রাজনীতি করি। সুতরাং প্রতিটি জীবনই আমার জন্য কষ্টদায়ক। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাদের জন্য দু:খপ্রকাশ করছি। এবং এটা আমার দায়ভার। আমি এটা দেখভাল করবো এবং আমি তা করছি।
আমানপোর: প্রধানমন্ত্রী আপনাকে ধন্যবাদ
প্রধানমন্ত্রী: ধন্যবাদ।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন