এ কে খন্দকারের স্মৃতিচারণ মূলক বই এবং কিছু কথা -একটি ব্লগ-মন্তব্য
লিখেছেন লিখেছেন এম_আহমদ ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১২:০৫:৪৮ রাত
আমি আপনার (মহি১১মাসুম ) ব্লগে 'ব্যান' মারা। এ নিয়ে আমার কোনো কথা নেই, এটা হতেই পারে। কিন্তু আপনার এ কে খন্দকারের স্মৃতিচারণ মূলক বই এবং কিছু কথা-এই ব্লগটি পড়ে কিছু মন্তব্য করতে ইচ্ছে হয়েছে তাই আলাদাভাবেই করতে হল। আমার মন্তব্য কাঁটা-গায়ে লবণ ছিঁটার মত হতে পারে। হোক, যা বলার তা বলতে হয়। আমার মন্তব্য আপনার কথার পাশাপাশি স্কয়ার বন্ধনীর ভিতরে।
_________________
সম্প্রতি এই সশস্র যুদ্ধের একজন অন্যতম প্রধান সমর নায়ক একটি স্মৃতিচারণ মূলক বই লিখে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। [হ্যাঁ, তা কেবল এক শ্রেণীর ফ্যাসিস্ট বঙ্গাল-মূর্খদের মধ্যে জন্ম দিয়েছে যারা মুজিব-ভক্তি আর স্তুতির বাইরে কিছুই শুনতে চায় না। ] উনার লিখাকে কেউই পুরোপুরি সমর্থন করছেন না, ['কেউই' না? ইতিহাসের ব্যাপার নিয়ে সমর্থনের কি আছে? তিনি নিজেই যেখানে এই ইতিহাসের বাস্তবতা ও স্তম্ভ, সেখানে কার 'সমর্থন' তিনি পাওয়া দরকার? তার দেখা ও 'কর্মে রচিত' ইতিহাস আর অভিজ্ঞতা বলতে কোন শালার সমর্থনের দরকার এবং কেন?] সমর্থন করছেন সেইটুকু, যেটুকু যার পক্ষে যাচ্ছে অথবা যেটুকুতে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর বিব্রত হওয়ার উপাদান আছে । তাতে এতোটুকু বলা যায় বইটিতে আংশিক সত্য ওঠে এসেছে, পুরোপুরি সত্য বইটিতে প্রকাশ পায়নি। বইটি যদি পুরোপরি স্মৃতিকথার বই হতো, এতে ক্ষুব্ধতা প্রকাশের জায়গা থাকতো না। [এই ধরণের মন্তব্য হচ্ছে খাটি বঙ্গাল মূর্খতা। “পুরোপুরি-সত্য” কোনটি? তাঁর কাছে যা 'পুরোপুরি', তাই তিনি লিখেছেন। যে ইতিহাসের নায়ক তিনি, যে ইতিহাস তার চোখের সামনে ছিল, সেই ইতিহাসের সবক কি তিনি ফ্যাসিস্ট বঙ্গালদের কাছ থেকে শিখে, তবেই, 'শুদ্ধ ইতিহাস' লিখবেন?] সমস্যা হচ্ছে উনি এই বইটিতে ইতিহাসের অনেক বিতর্কিত তথ্য তুলে ধরেছেন [না বরং যারা ইতিহাস বিকৃত করেছে, তাদের কাছে এটা বিকৃত লাগবে। তিনি নিজেই যেখানে ইতিহাসের সাক্ষী সেখানে, কোন ফালতু সম্প্রদায়ের কাছে কি বিতর্কিত, তা কি তার কাছে আদৌ গুরুত্বপূর্ণ কিছু?] এবং কিছু প্রতিষ্ঠিত সত্য তথ্যের বিকৃতি ঘটিয়েছেন, [কোন প্রতিষ্ঠিত সত্য? কে সেই সত্য ‘প্রতিষ্ঠা’ করল? ইতিহাস “প্রতিষ্ঠা” করার অধিকার কার? ইতিহাস কি?] কিন্তু উনি এসব তথ্যের অনুকূলে ইতিহাস অনুসৃত যথোপযুক্ত তথ্য-উপাত্তের সন্নিবেশ ঘটাননি [কোনটি ঘটাননি? এই বই লেখার আগে সম্ভবত তাঁকে আপনার সাথে কন্সাল্ট করা দরকার ছিল।]। কোথাও বলেছেন শুনেছেন, কিন্তু কার কাছে কোথায় শুনেছেন তা নেই, [সেই কথাগুলো কি?] আবার কোথাও বলেছেন উনি মনে করেন [তার মনে করাও সেদিনের ইতিহাস, কেননা তিনি ঐ সময়ের নায়ক, things would surely occur to him in light of the reality which he lived. ] । যাহোক শুনা কথা, কান কথা বা উনি মনে করেন এমন যুক্তি দিয়ে ইতিহাসের বিতর্কিত তথ্য উপস্থাপন ঠিক না [আপনি যান তাকে গিয়ে উপদেন দিয়ে আসেন। ৩ আনার রাস্তার পোলাপানগণ আজ বড় বড় লোকেদেরকে ইতিহাস শিখায়! একাত্তরের ইতিহাস নিয়ে কথা বলতে হলে, সেই বলার অধিকার তার আছে, আপনি কে এভাবে কথা বলার? আপনি কি দেখেছেন, কোন যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন? বঙ্গাল সমাজের একাংশ আজ মূর্খতার এই পর্যায়ে চলে এসেছে]।
ইতিহাসের অন্যতম সমর নায়ক, মুক্তিযুদ্ধের উপ-প্রধান এ কে খন্দকার (বীর উত্তম) সাহেবের এই ধরনের স্পর্শকাতর ইতিহাস চর্চা, তথ্য উপস্থাপনে খামখেয়ালীপনা এবং মনগড়া তথ্য উপস্থাপনে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন [ কারা বিস্মিত হয়েছেন? মনতাসীর, শারহরিয়ার, মুজিব বাহিনীর কিছু লোক? আর কোন কোন কথা মন গড়া? কাদের কথায় মোকাবেলায় 'মনগড়া']। এই বইটি উনাকে বর্তমানে বিতর্কিত অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে সত্য [একটি ফালতু সম্প্রদায়ের কাছে!]। কিন্তু এজন্য উনার অতীত বীরত্বপূর্ন অবদানকে খাটো করে দেখাও ঠিক হবে না, যারা খাটো করে দেখার চেষ্টা করছেন, তারা অন্যায় করছেন [এই অন্যায় আপনিই করছেন এবং করেই যাচ্ছেন] । ইতিহাসকে ইতিহাসের কাঠগড়ায় ছেড়ে দেয়া উচিত [আপনি তা ছেড়ে দিয়েছেন? ইতিহাসের কাঠগড়া কোনটি? যে ইতিহাসের নায়ক সে তার ইতিহাস ফ্যাসিস্ট মূর্খদের 'কাটগড়ায়' কেন ছেড়ে দেবে?]। ইতিহাস নগ্নসত্য বা অমোঘ সত্য বা অবধারিত সত্যকেই স্বীকৃতি দেয় [তিনি যা দেখেছে, যা করএছেন, সেটাই অমোঘ সত্য।]। অসত্য তথ্য সম্বলিত ইতিহাস একদিন না একদিন ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেই [কে করবে? যে যুদ্ধ করেছে, যে নেতৃত্ব দিয়ে দিয়েছে –তার মোকাবেলায় কে ইতিহাসবেত্তা হবে? তার নিজের সম্পাদিত কর্ম, কর্ম-দর্শন ও অভিজ্ঞতা বুঝি আরও কেউ এসে তাকে বুঝিয়ে দেবে?]।
এ কে খন্দকারের ১৯৭১ ভেতরে বাহিরে স্মৃতিচারন মূলক বইটি ইন্টারন্যাটের মাধ্যমে ডাউনলোড করে পড়েছি । [আমরাও পড়েছি।] মোদ্দাকথায় বলতে গেলে বইটিতে উনি যে শুধু কিছু বিতর্কিত তথ্যকে পুনরায় টেনে এনেছেন তা নয়, উনি কিছু নতুন বিতর্কও জন্ম দিয়েছেন । উনি বলেছেন সশস্র যুদ্ধের পরিকল্পনা রাজনীতিকদের ছিলনা, [ 'বিতর্কিত' বলেই এক ধাপ্পাবাজ শ্রেণী নিজেদের মিথ্যাকে জাস্টিফাই করতে চায়। যদি কিছু বিতর্কিত হয়েই তাকে তবেই যারা সেদিনের প্রত্যক্ষদর্শি, যারা নায়ক, তারাই কথা বলবে যেন সেই বিতর্ক সম্পর্কে বাকিরা আরও ওয়াকিফহাল হতে পারেন। তারপর সেই 'পরিপ্লপনাটি' কোথায় ছিল? তিনি তো সেই পরিকল্পনা দেখেন নি। আপনি কি যুদ্ধ করেছেন, যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন? আপনি কেডা? যুদ্ধের স্ট্রাটেজি বলতে আপনি কি বুঝেন?] রাজনৈতিক নেতারা পাকিস্তান সরকারের দুরভিসন্ধিকে বুঝতে পারেননি এবং রাজনৈতিক নেতাদের অদূরদর্শীতা এবং যুদ্ধ ঘোষনা করতে ব্যর্থতার কারনে দেশের অনেক ধ্বংসযজ্ঞ ও অধীক সংখ্যক প্রাণহানী ঘটেছে, ৭ মার্চ যুদ্ধ ঘোষনা করলে কম ক্ষয়ক্ষতি ও অল্প সময়ের ব্যবধানে আমাদের স্বাধীনতা আসতো । তাছাড়া ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাসায় থেকে স্বেচ্ছায় এ্যারেষ্ট হওয়া ঠিক হয়নি, আত্মগোপনে গিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করা উচিত ছিল [এখানেই আপনার মতোদের চিত্তে কালিমা পড়েছে। মুজিবের নামে ছড়ানো মিথ্যার গায়ে তিনি হাত দিয়েছেন –তাই কাল্টিস্টদের সহ্য হচ্ছে না।]। বইটির বিভিন্ন অংশে সমালোচনার তীর্যক তীড় বঙ্গবন্ধুসহ অন্যান্য রাজনীতিকদের ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে [তিনি বাস্তব ময়দানে যা দেখেছেন, যা বুঝেছেন, তারই আলোকে কথা বলেছেন। It’s tough luck for the Mujib cultists]।
সশস্র যুদ্ধের সেনা উপ-প্রধান বীর উত্তম এ কে খন্দকারের মত একজন শ্রদ্ধাভাজন প্রবীন ব্যক্তির লিখার সাথে দ্বিমত করার মত দৃষ্টতা আমার নেই [ইস, কিছু বঙ্গাল এত মূর্খ হতে হবে কেন? আপনি দ্বিমত করছেন, ধৃষ্টতা দেখাচ্ছেন কিন্তু নিজের অবস্থান সম্পর্কে নিজেই গাফিল হয়ে আছেন। How low the logical intelligence can get to?!]। কারন যে সময়টাতে উনারা জীবনবাজী রেখে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে আমাদেরকে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন সেই সময়ে আমার বয়স এক বৎসর পূর্ণ হয়নি । তারপরও লিখছি এই জন্য উনার লিখা নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক ভাবে লিখা-লিখি হচ্ছে । স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি বিরোধীতাকারী দল সমূহের বর্তমান সময়ের কর্মী সমর্থকদের উচ্ছাসের অন্ত নেই, এসব দেখে বিস্ময় লাগে, উনার লিখুনীর কোন অংশে ওদের জন্য প্রশংসাসূচক বক্তব্য নেই । অথচ ওরা বগল বাজিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করছে এবং মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, প্রবাসী সরকার, বঙ্গবন্ধু এমনকী মহান মুক্তিযুদ্ধের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার মত মন্তব্য ছুঁড়ে দিচ্ছে [মিথ্যার নামে আবার কীসের ভাবমূর্তি, কে নাচল, কে গান গাইল, এজন্য বুঝি তার অভিজ্ঞতা, তার দেখা ও কর্মে রচিত ইতিহাস বলা যাবে না? এটা কি "ওরা/আমরা" দ্বন্দ্বে সত্যে/অসত্যে মিশ্রিত কালান্তরে চলতে থাকবে? আমি তো তার বই পড়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অধিক শ্রদ্ধাশীল হয়েছি। শত সহস্র প্রতিকূল অবস্থা পেরিয়ে যে যুদ্ধ হয়েছে সেই প্রতিকূলতা উপলব্ধি করতে তিনি আমাদেরকে সাহায্য করছেন। মুজিবের কাল্ট তৈরিতে সেই উপলব্ধির কিছু নেই। এই বইটি কাল্টিস্টদের জন্য নিঃসন্দেহে বক্ষ বিদারক, দুঃসংবাদ!] ।
যাহোক, ইতিহাসের সত্যতা ঝাচাই বাছাই ঐতিহাসিকরাই করবেন, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু জয় বাংলার পরে জয় পাকিস্তান বলেছিলেন কী বলেননি, সেই বিতর্কের সমাধান হয়তঃ বক্তব্যের রেকর্ড অর্থাৎ তৎকালিন পাকিস্তান রেডিওর আর্কাইভে খুঁজলে পাওয়া যেতে পারে । তবে ঐ সময়ে বঙ্গবন্ধুর সাথে মঞ্চে থাকা আ স ম আবদুর রব, তোফায়েল আহমেদ ও নূরে আলম সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজন টিভি টকশো এবং পত্রিকায় লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু তাজউদ্দীনের নিকট কেন স্বাধীনতার ঘোষনা রেকর্ডে সম্মতি দেননি এবং না পালিয়ে গিয়ে বাসায় থেকে এ্যারেষ্ট হওয়াতে স্বাধীনতা যুদ্ধের কী লাভ-ক্ষতি হয়েছে, তা ইতিহাসের বিশ্লেষকদের উপর ছেড়ে দিয়ে সাধারণ দৃষ্টিতে যে অসংগতি ও স্ববিরোধী বক্তব্যগুলো দৃষ্টিগোচর হয়েছে, তা সামান্য আলোকপাত করবো [ইতিহাসের কথা কারো লাভ ক্ষতির বিবেচনায় হয় নাকি? এই বুঝি ইতিহাস জ্ঞান? খন্দকার সাহেব যা জানেন, যা বুঝেন, তাই উল্লেখ করেছেন। তার লেভেলের অন্য কারও যদি পালটা কিছু বলার থাকে তবে সে বলুক। কোনো এক পক্ষের দেখাকে ইতিহাসের “লাভের” নামে ছড়ানো ইতিহাস বিকৃতি]। এক ভূমিকাতেই লিখেছেন মার্চ মাসের দিকেই বুঝা যাচ্ছিল বাংলাদেশ স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, অথচ উনিই অন্য জায়গায় লিখলেন রাজনীতিবিদদের স্বাধীনতার পরিকল্পনা ছিলনা [স্বাধীনতার দিকে অনুভূতি লাভ আর স্বাধীনতা যুদ্ধের পরিকল্পনা কী এক জিনিস? এই ধরণের মুর্খতা নিয়েই মিডিয়াহয় বেওকুবগণ কথাবলে যাচ্ছে। People of his level are military strategists, they know what strategy is. ]। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে তাহলে কারা দেশকে স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর করছিলো? [স্বাধীনতার আওয়াজ তোলা আর পরিকল্পনা প্রণয়নের মধ্যে যারা পার্থক্য বুঝে না কেবল তাদের মত মূর্খমনে এই ধরণের প্রশ্ন জাগা ইতি স্বাভাবিক। আপনার দীর্ঘ নিয়ে আর কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে না] দুই) উনি লিখেছেন ফেব্রয়ারী-মার্চ মাসের দিকে পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তারা বাঙ্গালী সৈনিক অফিসারদের বিশেষ নজরে রাখছিলেন, তাই উনি ভয়ে অপরিচিত বাঙ্গালী সদস্যদের সাথেও আন্দোলন সম্পর্কে কোন কথা বলতেন না [That doesn’t speak of his ‘fear’ rather it shows his intelligence so as to act prudently। That also shows how the situation was at the time and that understanding comprises part of the historical reality of time, what you know of history? Nonsense!]। আবার অন্য জায়গায় লিখেছেন উনাদের সাথে রাজনৈতিক নেতারা যোগাযোগ রাখলে সেনা সদস্যদের সংগঠিত করে অল্প সময়ে দেশকে স্বাধীন করতে পারতেন । প্রশ্ন আসে, যিনি অপরিচিত বাঙ্গালী সেনা সদস্যদের সাথে ভয়ে আন্দোলন প্রসঙ্গে কথাই বলতেন না, উনি কিভাবে অপরাপর বাঙ্গালী সেনা সদস্যদের যুদ্ধের জন্য সংগঠিত করতেন [The one who knew the reason to act intelligently at serious time, especially within and in relation to armed and air intelligentsia had the calibre to do it, what you know of his ‘situation’? Who pays you to write these garbage here?]!
তাছাড়া উনি বলেছেন রাজনৈতিক নেতাদের স্বাধীনতার প্রস্তুতি ছিলনা, তাহলে প্রশ্ন জাগে, তৎকালিন ছাত্রনেতারা যে ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানচিত্র খচিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন, জাতীয় সংগীত গাইলেন এবং ৩রা মার্চ পল্টনে বিশাল ছাত্র সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে শাহজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইস্তেহার পাঠ করলেন, ২৩ মার্চ পল্টন ময়দানে তৎকালিন ছাত্রনেতারা বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি এবং বাঙ্গালী জাতির জনক হিসেবে ঘোষনা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সামরিক ঢংয়ে কুচকাওয়াজের মাধ্যমে অভিবাদন জানালেন এবং বঙ্গবন্ধুর হাতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিলেন, তারও অনেক আগে ৫৮ সালে সিরাজুল আলম খান, শেখ মনি, আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমদদের নেতৃত্বে স্বাধীনতার লক্ষ্যে সশস্র প্রস্তুতির জন্য স্বাধীন বাংলাদেশের নিউক্লিয়াস ও বি এল এফ গঠন করে অস্র সংগ্রহ ও অস্র প্রশিক্ষন দিচ্ছিলো, তাছাড়া ৬৯ সালে কম বয়সী তরুনদের দিয়ে ভিত্তি ফৌজ নামক বাহিনী গঠন করে আগরতলায় অস্র প্রশিক্ষন দিচ্ছিলো, এসব কী স্বাধীনতার প্রস্তুতী ছিল না [Were these a battle strategy to win war against the 7th powerful arm force? Get a life boy!]!
তাছাড়া পাকিস্তানীরা যে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দিয়েছিল, তার কী কোন বাস্তবতাই ছিলনা [এটা কি একাত্তরের মিলিটারি স্ট্রাটেজি?]! ৭০ এ নির্বাচনে বিশাল জয়ের পর বঙ্গবন্ধু এম এ জী ওসমানীকে উনার সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন, তাতে কী কোন ইঙ্গিত ছিলনা ! [এটা কি মিলিটারি স্ট্রাটেজি?]মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে তোফায়েল আহমেদ ও আবদুর রাজ্জাক ও আ স ম আবদুর রবদের বঙ্গবন্ধু কলকাতার একটি ঠিকানা মুখস্ত করিয়ে বলেছিলেন- সব ঠিক করা আছে, তোরা সময় মত ঐখানে গেলেই সব পাবি । [এটা কি মিলিটারি স্ট্রাটেজি?] এই সব কী স্বাধীনতার প্রস্তুতীর অর্থ বহন করে না [আপনি বইটি পড়ে কিছুই বুঝতে পারেননি। আপনাদের মতো মস্তিষ্কশুন্য মুজিব কাল্টিষ্টরা কখনো ইতিহাস বুঝবে না]!
বাস্তবতা হচ্ছে, খন্দকার সাহেব বিমান কর্মকর্তা হিসেবে ৫১ থেকে ৬৯ পর্যন্ত পশ্চিম পাকিস্তানে স্বপরিবারে থেকেছেন । উনার বইতে উনি পাকিস্তানে থাকাকালিন সময়ে পাকিস্তানীদের আন্তরিকতায় মুগ্ধতার কথা উল্লেখ করেছেন [এখানেই তার গলদ তাই না? তিনি ফ্যাসিস্ট কুকুরদের মতো আলোচনা করতে পারেননি তাই তাদের বড় দুঃখ]। উনি পশ্চিম পাকিস্তানে বিমান কর্মকর্তা হিসেবে আয়েশী জীবন এবং ওদের আতিথেয়তার মুগ্ধতায় মোহাবিষ্ট থাকলেও [এসব ধৃষ্ট কথার কারণ কি? এর সাথে তার একাত্তরের যুদ্ধের ইতিহাসের কি সম্পর্ক?] ঠিক একই সময়ে যে পূর্ববাংলার জনগন বাংলার জন-মানুষের অধিকার আদায়ে ৫২ ৬২ ৬৬ ৬৯ এ বুকের তাজা রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করেছিল, সেই মর্মস্পর্শী হৃদয় বিদারক কষ্টের দিনগুলির ছোঁয়া উনার বইয়ে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত [এই জন্য বুঝি তার একাত্তর নিয়ে লেখা ইতিহাস হবে না? What is an idiotic comment that is!]। তাই স্বভাবতঃই বলা যায় বিমান বাহিনীর ব্যারাকে থাকার কারনে শ্রদ্ধাভাজন [তিনি আপনার কাছে মোটেই শ্রদ্ধাভাজন দেখাচ্ছে না, you are blowing hot and cold.] এ কে খন্দকার সাহেব ছাত্র-জনতার আন্দোলনের গতি প্রকৃতি ও যুদ্ধের প্রস্তুতীকে ভালো ভাবে উপলব্ধিতে আনতে পারেননি [Stupid comment]। তাই উনার কাছে মুক্তিযুদ্ধকে প্রস্তুতীহীন যুদ্ধ মনে হয়েছে এবং এর দায়ভার রাজনীতিবিদ ও সর্বোপরি বঙ্গন্ধুর উপর চাপিয়েছেন [তখন যুদ্ধের স্ট্রাটেজিটা কি ছিল? এই স্ট্রাটেজি এখনো মূর্খরা দেখাতে পারে। পারবে কি? মূর্খিরা কি যুদ্ধের স্ট্রাটেজি বুঝে?]। তবে উনার মতামতটা ঠিক না, রাজনীতিবিদরাই জাতিকে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করিয়েছে । তারই অংশ হিসেবে উনি নিজেও যুদ্ধ প্রক্রীয়ায় যুক্ত হতে পেরেছিলেন এবং অধীকতর বাস্তবতা হচ্ছে উনি নিজেও রাজনীতিবিদদের দ্বারা গঠিত মুজিব নগর সরকারের অধীনে সেনা উপ-প্রধানের দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে । [তিনি একটি পরিকল্পনাহীন পরিসরে প্রবেশ করেই সেই পরিসরের অবস্থা বুঝতে পারেন এবং যে chaos দেখতে পান, সেই chaos কীরূপ ছিল তা তিনি দেখিয়েছেন -অস্ত্র, ট্রানিং, নেতৃত্ব, দলাদলি, কোন্দল, ভারতের অপর্যাপ্ত সাহায্য, প্রথম দিকে নামেমাত্র সাহায্য –এসবে কোথায় স্ট্রাটেজি ছিল?] অধিকন্ত আমাদের মুক্তিযুদ্ধ [তোমাদের যুদ্ধ? তোমরা কারা?] যে একটা জনযুদ্ধ ছিল, তা তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এছাড়াও উনি মুজিব বাহিনীর সরাসরি সম্মূখ যুদ্ধে অংশ গ্রহন নিয়েও সন্দেহ পোষন করেছেন এবং মুজিব বাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর বিভিন্ন গন্ডগোল ও গোলাগুলির কথাও লিখেছেন এবং মুজিব বাহিনীকে লুটপাটকারী হিসেবে তুলে ধরেছেন । মুজিব বাহিনীর স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের পাশাপাশি ছোটখাটো ত্রুটি-বিচ্যুতি স্বীকার করেই বলছি উনি বইটিতে পাক হানাদার ও ওদের এদেশীয় দোসর রাজাকারদের নৃশংসতাকে পুরোপুরি এড়িয়ে গেছেন [তিনি যা দেখেছেন তাই বলেছেন। অকেজো ফালতুরা যারা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলতে গিয়েছিল তারা তার কথাতে স্বস্তি পাবার মত নয়।]। এ কেমন স্মৃতিচারণ [এটাই সঠিক স্মৃতিচারণ। তারই স্মৃতিচারণ যিনি যুদ্ধ করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। আপনার কাছ থেকে কি তাকে স্মৃতিচারণ করা শিখতে হবে? নিজের চরকার তেল দিয়ে এটাকে প্রথমে উপযুক্ত করে তুলুন। তারপর বড় বড় বড় কথা বলতে আসবেন।! যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন, ওরাই আপনার স্মৃতিতে ধরা পড়ছেনা, ওদেরকে নিরাপদে রাখলেন, ওদের কোন নৃশংসতাই তুলে ধরলেন না অথচ কলমের খোঁচায় আহত করলেন স্বাধীনতার অন্যতম প্রধান প্রানপুরুষ বঙ্গবন্ধুকে [আহ, হায় হায়রে এখানেই তার sacrilege! এখানে মুজিব কীভাবে আহত হন? মুজিবের নামে, মুজিব-পূজকরা যে স্তূপীকৃত মিথ্যার পাহাড় তৈরি করেছে, এজন্য মূলত, মুজিব নন, বরং কাল্টিস্ট পূজকসম্প্রদায়ই দায়ী।]।
বিষয়: বিবিধ
১৬৪০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এখন তার বিরুদ্ধাচরণ শুরু হয়ে গিয়েছে।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2014/09/19/256986#.VBwbcxZPB_Q
মন্তব্য করতে লগইন করুন