ইসলামে জিম্মির অধিকার
লিখেছেন লিখেছেন এম_আহমদ ২৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:৪৫:১১ রাত
এখানে ইসলামী রাষ্ট্রে অমুসলিমের সরকারী নিরাপত্তা বা জিম্মাহ নিয়ে সামান্য কিছু কথা বলা হবে। ইসলাম বিদ্বেষী মহলে্র কেউ কেউ 'জিম্মাহ' কথায় আপত্তি তুলেন। ড.তাইইয়ার বলেন, ‘هذا اللقب في الحقيقة إنما هو للتكريم وليس للتحقير كما أذهن بعض الناس এই পরিভাষা (জিম্মাহ) সত্যিকার অর্থে সম্মানের, এটা কোনো হীন বা নীচ অর্থের নয় যেমনটি কিছু লোকের চিন্তায় রয়েছে’ (তাইইয়ার, (২০০২), হুকুক গাইরিল মুসলিমীন ফিদ-দাওলাহ আল-ইসলামিয়্যাহ, রিয়াদ: ফাহরাসাহ মাকবাতিল মালিক ফাহদ আল-ওয়াতানিয়্যাহ আছনা আন-নাশর, পৃ.৪৮ পিডীএফ ভার্সন অনলাইনে প্রাপ্তব্য)।
জিম্মাহ শব্দের অর্থ চুক্তি ও সন্ধি (عهد وعقد) এবং এতে নিরাপত্তা ও হেফাজতের ধারণা নিহিত। হাজার হাজার আরবি ও বিদেশি শব্দ যেভাবে বাংলা হয়ে গিয়েছে সেভাবে এই শব্দটিও। আমি যদি বলি যে ছেলেটি এখন তার নানার জিম্মায়। তাহলে জিম্মা শব্দের অর্থ যে কি তা বুঝতে কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ঠিক সেভাবে যে অমুসলিম গোত্র বা দল ইসলামী রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় আসেন তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা, চলাফেরার স্বাধীনতা ও তাদের জান ও মালের হেফাজত বিধান করা রাষ্ট্রের জন্য ওয়াজিব হয়ে পড়ে। আল্লাহর রাসূল বলেন (সা.), ‘ذمي رهينة وأنا به زعيم আমার জিম্মি আমার হেফাজতে, আমি তাদের নিরাপত্তা বিধানকারী’ (প্রাগুক্ত, পৃ.৪১)। এই নিরাপত্তা তাদের সকলের জন্য: ধনী, গরীব, সম্মানী, কম সম্মানী, দাস-দাসী যেই হোক। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘يسعي بذمتهم أدناهم’ সর্বনিম্ন বা শেষ জনও তাদের নিরাপত্তা নিয়ে বিচরণ করবে’ (হাকিম নিশাপুরী/মুস্তাদরাক)। রাসূলুল্লাহ (সা.) সতর্ক করেন, ‘من قتل قتيلاً من أهل الذمة لم يرح رائحة الجنة، وإن ريحها ليوجد في مسيرة مائة عام’ যে ব্যক্তি নিরাপত্তা-বিধিত জনগোষ্ঠীর (আহলুল জিম্মাহ) কোনো লোককে হত্যা করল, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না যদিও এই ঘ্রাণ শত বছরের দূরত্ব থেকেও পাওয়া যাবে’ (আব্দুল্লাহ বিন আমর/তিবরানী)।
বাংলাদেশের অমুসলিম, অপরাধী কারা?
[/b]অমুসলিমদের ব্যাপার প্রবীণ সাংবাদিক আফসান চৌধুরী বলেন, আমি নিজে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক হিসেবে বলছি, একাত্তর সাল থেকে বাংলাদেশে হিন্দু সম্পত্তি দখল করা শুরু হয়েছে এবং সেটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে হয়েছে। পরবর্তীতে ’৭২ থেকে ’৭৫ এই লুট করা সম্পত্তি হালাল করা হয়েছে। ... পাকিস্তান আমলে বরং হিন্দুদের কিছু সুবিধা ছিলো। হিন্দুদের ভোট দেয়ার বিশেষ সুবিধা ছিলো। আজকে হিন্দুরা যতটা খারাপ অবস্থায় পড়েছে, আমার মনে হয়না ইতিহাসে হিন্দুদের এতো খারাপ অবস্থা কোন সময় ছিলো না' (আমাদের সময়, লিঙ্ক এখানে)। ।
এমন বিবরণ সংখ্য রয়েছে। এবারে অন্য ধরণের কিছু অপরাধের উদাহরণ দেখা যাক। এই গত কয়েক মাসে যা হয়েছে তার কয়েকটি সংবাদ শিরোনাম দেখা যাক:
(১) হিন্দু বাড়ীঘরে হামলাকারীরা মন্ত্রীর সাথে ঘোরে বেড়ানোয় মিজানের (আমাদের সময়, ০৭/১১/২০১৩)
(২) “বরিশালে মন্দির ও বাড়িতে আগুন দেয় ছাত্রলীগকর্মীরা! (কালের কণ্ঠ, ২১/১১/২০১৩)
(৩) ঠাকুরগাঁওয়ে হিন্দু বাড়িতে হামলা, ২ আওয়ামী লীগ কর্মী আটক, (বিডি-টুমোরো, ০৯/০১/২০১৪)
(৪) আ.লীগের নেতৃত্বেই সাঁথিয়ায় হিন্দুদের ওপর হামলা হয়, (আ রটি এন এন, ১৯/১১/২০১৩)
(৫)সাতক্ষীরায় হিন্দু বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে যুবলীগ নেতা, (আমাদের সময়, ১৫/১২/২০১৩)(৪)
(৬) পাবনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ভাঙচুর :নেপথ্যে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি! (আওয়ামীক্রাইম ব্লগস্পট নভেম্বর ২০১৩)
(৭) এই[সব] হামলার সাথে আওয়ামী লীগের নেতারা সরাসরি জড়িত - হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ, (আমাদের সময়, ০৯/০১/২০১৪)
(৭) ভোট না দেয়ায় হিন্দু ব্যবসায়ীর উপর যুবলীগ নেতার হামলা (মানব জমিন, ১৭/০১/২০১৪)
(৮) সংখ্যালঘু ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দায়ী -বাসদ/সিপিবি
(৯) ভোটে হেরে পটিয়ায় হিন্দু বাড়িতে আগুন দিলো আ.লীগ
(১০) হিন্দু জমি দখল: আ.লীগ নেতাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
(১১) হিন্দু বাড়িতে যুবলীগ নেতার হামলা: প্রতিমা ভাঙচুর-লুটপাট, শিশুসহ আহত ৫
(১২) Hindu's land grabbed by AL leader
[পূর্ণ লেখাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন Click this link]
(১৩) সংখ্যালঘু নির্যাতনে সরকারপন্থীরাই জড়িত: ড. মিজান, আমাদের সময়, (ঢাবি প্রতিনিধি) ২১/০৩/২০১৪ Click this link
বিষয়: বিবিধ
১৩২২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন