বৈধ (রাজ)নীতি: সিয়াসাহ শারয়্যিয়াহ -পর্ব ২-
লিখেছেন লিখেছেন এম_আহমদ ১১ অক্টোবর, ২০১৩, ১১:১৭:০৯ রাত
আগের পর্ব এখানে দেখুন _______
সংজ্ঞা, অর্থ ও তাৎপর্য
আমরা এবারে সংজ্ঞা-নির্দেশক কিছু আলোচনা দিয়ে শুরু করতে পারি। কামালী (১৯৮৯) বলেন, ‘ইসলামী আইনে সিয়াসাহ শারয়্যিয়াহ হচ্ছে এক প্রশস্ত বিভাগ যা শাসককে (শাসন ব্যবস্থাকে) আইন পরিচালনার পদ্ধতি নির্ধারণ করার ক্ষমতা দান করে। উত্তম শাসনকার্য পরিচালনার স্বার্থে এই আওতায় যথার্থ পদক্ষেপ, বিধিমালা প্রণয়ন ও পলিসি গ্রহণ ইত্যাদিতে শাসককে (শাসন ব্যবস্থাকে) বিচক্ষণ বিচারবুদ্ধি প্রয়োগের ইখতিয়ার দেয়, তবে শর্ত সাপেক্ষে যে এতে শরিয়ার বৃহৎ, গুরুত্বপূর্ণ, বা স্বতন্ত্র কোনো নীতিমালা লঙ্ঘিত হবে না। বিশেষ করে ফৌজদারি আইনের পরিসরে (criminal law), সিয়াসাহ শারয়্যিয়ার আওতায়, শাসকের বিচারকি ইখতিয়ারের ক্ষমতা অনেক প্রশস্ত। কার্যত, রাষ্ট্র-প্রধান এবং কর্মকর্তাগণ (অর্থাৎ উলুল আমর) অপরাধ নির্ধারণের সত্য উদ্ঘাটনে যেসব নিয়ম-নীতি ও কার্য-প্রণালী গ্রহণ করা উপযুক্ত ও সঠিক মনে করবেন তা নির্ধারণ করতে পারেন । ফৌজদারি আইনের স্বতন্ত্র বিষয়েও কোন্ ধরণের আচরণ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং প্রতিটি মামলায় কোন ধরণের শাস্তি প্রয়োগ করা হবে তা নির্ধারণী ক্ষমতাও উলুল আমর রাখেন।’
নৈতিক ও আদর্শ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় সিয়াসাহ শারয়্যিয়াহ নিয়ে অনেক গবেষণা ও অধ্যয়ন রয়েছে যেগুলোতে বিষয়টির সাধারণ ও পারিভাষিক অর্থের ব্যাখ্যা ও রাষ্ট্রযন্ত্রে এর ব্যবহারিক দিগ্বিদিক আলোচনা হয়েছে। উতাইবী বলেন, ‘সিয়াসাহ শারয়্যিয়াহর উপর যেসব লেখা রয়েছে সেগুলোর তাৎপর্যকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। প্রথমত তার ‘আম’ বা সাধারণ অর্থ যা ‘আহকাম সুলতানিয়্যাহ’ যা প্রশাসনিক আইনের সমার্থক হয়। এটি আইন ও তার ব্যবহারবিধির একটি পরিভাষা। এর আওতায় ইসলামী রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে (Home) ও বাহিরের (বৈদেশিক পলিসির) ক্ষেত্রে শরিয়া (ভিত্তিক আইন/নীতি) প্রয়োগ করেন। এই প্রয়োগ টেক্সট (কোরান/হাদিস) সমর্থিত হতে পারে, ইজমা সমর্থিত হতে পারে, কিয়াস সমর্থিত হতে পারে, অথবা শরিয়তের কায়দা অবলম্বনে হতে পারে ...। দ্বিতীয়টি হচ্ছে [সিয়াসার শারয়্যিয়ার] ‘খাছ’ অর্থ যা মূলত ‘আম’ অর্থ (আহকাম সুলতানিয়্যাহ) থেকে উৎসারিত। খাছ অর্থে সিয়াসাহ শারয়্যিয়াহ হচ্ছে তা যা উলুম আমরদের পক্ষ থেকে সার্বিক কল্যাণে (সমাজের মাসলাহাতের স্বার্থে) প্রণীত হয় যেমন আইন, নিয়মবিধি, কার্যপ্রণালী ইত্যাদি যেগুলো প্রণয়নের পক্ষে বিশেষ কোন দলিলের উপস্থিতি নেই কিন্তু এগুলোতে শরিয়ার (আইনের) কোন খেলাফিও নেই। ...সিয়াসাহ শারয়্যিয়াহ শুধু শাসকের তরফ থেকে আসে এমনও নয় বরং যা শাসকের সাথে জড়িত নয় যেমন মুফতিদের অনেক ফাতোয়াও এর অন্তর্ভুক্ত হয় ...’ (উতাইবী, ২০১৩)।
পরিভাষার দিক দিয়ে সিয়াসাহ শারয়্যিয়াহ যেসব মৌলিক ধারণা উপস্থাপন করে সেগুলো সংক্ষেপে নিম্নরূপ:
(১) শরিয়াহ সমর্থিত ব্যবস্থা বা সমাজের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কোরান ও সুন্নাহ মোতাবেক সিয়াসাহ
(২) একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা যা জাগতিক উন্নতি ও ন্যায়-পরায়ণতা নিশ্চিত করে এবং পরকালীন মুক্তির পথ সহজলভ্য করে
(৩) অভূতপূর্ব নানান পরিস্থিতির মোকাবেলায় কোরান, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াসের আলোকে রাষ্ট্র-প্রধান (কাজী, আমলাগণ) যে ব্যবস্থা বা নিয়ম-নীতি অভিযোজন করেন এবং যা ইসলামের মূলনীতির বাইরে যায় না, তা
(৪) মুফতিদের ইজতিহাদ প্রসূত ফয়সালা
(৫) শিক্ষাঙ্গনে ইসলামী শিক্ষার এক বিভাগ
এটা স্পষ্ট যে একটি নৈতিক সমাজ ব্যবস্থা পরিচালনা করা ও প্রতিষ্ঠিত রাখা অনেকাংশে এক দুরূহ কাজ এবং এই কাজের আঞ্জাম দিতে গেলে স্বতস্ফূর্ত সৃষ্টিশৈলী অভিজ্ঞান ব্যবহারের দাবী আসে এবং এতে যেমন স্বাধীন বিচার বিবেচনা প্রয়োগের প্রশ্ন থাকে তেমনি থাকে খোদাভীরু গুণের অন্বয় ও উপস্থিতি। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজে আদল বা ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং সৌষ্ঠব-মণ্ডিত পদ্ধতিতে (ইহসান) সেই অভিলক্ষ্যে পৌঁছা। ঘোড়ার পালকে প্রশিক্ষণের আওতায় রাখতে এবং তাদের বন্য আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে সায়িস (ব্যবস্থাপক/রাখাল) যে কাজ করেন তা অনেকটা সেরূপই। সেখানে প্রতিষ্ঠিত নিয়ম-নীতির পাশে কৌশল (সিয়াসাহ) ব্যবহারেরও প্রয়োজন হয়। এই প্রকৌশল কার্যে আর্ট (فَنٌّ) বা শৈল্পিক ধারণাও থাকে। আরবীতে বলা হয় السياسة فن الممكن অর্থাৎ সিয়াসাহ হচ্ছে সম্ভাবনার এক শিল্প (politics is the art of the possible)। তবে এই কথাটি ঊনবিংশ শতাব্দীতে আরবী থেকে ইউরোপে আসল, না ইউরোপ থেকে আরবীতে গেল, তা স্পষ্ট করে বলতে হলে আলাদা অনুসন্ধানের প্রয়োজন।
তাসউয়িয়াহ বা প্রশস্ততা
সিয়াসাহ শারয়্যিয়াতে যে নীতি রয়েছে তা শরিয়ার পরিচিত ইসতিহসান ও ইসতিসলাহ নীতির অনুকূল। ইসতিহসান (إستحسان) হচ্ছে কিয়াস নির্ভর ফিকহি-নীতি। ইসতিহসানের অর্থ হয় উত্তম সমাধান,পথ, বা ব্যবস্থা বিবেচনা। এটা ‘হাসান’ শব্দ থেকে উৎসারিত, এর মানি হয় ভাল বা সুন্দর। ইমাম আবু হানিফা (র.) এমন কোন সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে যেখানে কোন প্রচলিত নিয়ম প্রয়োগ করলে কোনো সমাধান আসবে না, বা উলটা আরও সমস্যার সৃষ্টি হবে, সেই পরিস্থিতিতে কিয়াসের ভিত্তিতে সৃষ্টিশৈলী সুন্দরের পথ অবলম্বন করতেন। ইমাম শাফিও অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতেন তবে তাঁর মজহাবে এক্ষেত্রে যে পরিভাষা ব্যবহৃত হত তা হল ইসতিসলাহ (إستصلاح) এর অর্থ কোন কিছু ‘উপযুক্ত’ বিবেচনা করা, ‘ভাল’ এর বিকাশ সাধন করা। শব্দটি সুলহ (صلح) থেকে উৎসারিত যার অর্থ মীমাংসা, আপোষ-নিষ্পত্তি ইত্যাদি। সমাজ পরিচালনায় জটিল সমস্যা সব সময় নিত্য-নতুনরূপে উদ্ভাবিত হতে পারে। সবকিছুর উত্তর কোরান হাদিসে পাওয়া যাবে না। তাই আল্লাহর বিধানের উদ্দেশ্যের ‘সমঝ’ উপলব্ধিই প্রধান হয়। যারা গভীর থেকে এই বিধান অধ্যয়ন করেন, এই অঙ্গনে জীবন কাটান, তাদেরকে আল্লাহ উত্তম এহসাসে উপনীত করেন, তাকওয়ার (পরহেজগারীর) পথে আল্লাহই জ্ঞান দান করেন, পথ নির্দেশ করেন। আল্লাহ বলেন, ইত্তাকুল্লাহ ইউয়াল্লিমু কুমুল্লাহ -আল্লাহকে পরহেজ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে শিক্ষা দান করবেন (২:২৮২)।
তবে মনে রাখতে হবে শরিয়াহ এবং সিয়াসাহ শারয়্যিয়াহ একই জিনিস নয়। দ্বিতীয়টি প্রথমটির একটি অংশ মাত্র। দ্বিতীয়টির আওতায় আসে রাষ্ট্র-প্রধান, কাজি, বা কর্তৃত্বের অধিকারীগণের সামাজিক কল্যাণ, দ্বীনের কল্যাণ বা সার্বিক কল্যাণে গৃহীত সিদ্ধান্ত ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার। সমাজের সার্বিক কল্যাণে গৃহীত ব্যবস্থা শরিয়ায় নির্ধারিত বিষয়ের মাত্রা থেকে বেশিও হতে পারে, কমও হতে পারে।
সিয়াসাহ শারয়্যিয়াহ ও আভ্যন্তরিন সতর্কতা
এ পর্যন্ত আলোচনায় হয়ত কারও মনে হতে পারে যে উলুল আমর হয়ত যথেচ্ছ বিবেচনায় যেতে পারেন এবং যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। কিন্তু বিষয়টি সেরূপ নয়। এই ব্যবস্থায় শুরু থেকেই খোদাভীরু ও উপযুক্ত লোক নির্বাচন এবং দ্বীনি নীতি কাজ করে। আবার শেষ পরিণতি পরকালের দিকে নিবদ্ধ হয় কেননা জাগতিক বিচারে যত পদক্ষেপ নেয়া হোক না কেন, তাতে দুর্বল উপাদান ঢুকে যেতে পারে।
কোরানে এসেছে, ‘আল্লাহ তোমাদের আমানতসমূহ প্রাপকদের দিতে নির্দেশ দেন। আর যখন তোমরা মানুষের হুকুম-কার্য পরিচালনা করবে তখন ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে করবে (৪:৫৮)’ এই আয়াতের ব্যাখ্যায় কুরতুবী বলেন, ‘এটা সকল আহকামের মূল, এটা দ্বীন ও শরার যাবতীয় বস্তু অন্তর্ভুক্ত করে। ‘আমানত’ ন্যস্ত হতে হবে তাদের উপর যারা উপযুক্ত (আহল), যারা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম। উল্লেখিত আয়াতটি আমরা জুমার দ্বিতীয় খুতবায় প্রত্যেক সপ্তাহে শুনে থাকি কিন্তু অনেকে বুঝতে পারি না তাতে কী বলা হচ্ছে। কামালী (১৯৮৯) ইবন তাইমিয়াহর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন যে এই আয়াতের শানে নুযূল হচ্ছে কর্মকর্তা-নির্বাচন। এই ‘আমানত’ পরিপূর্ণ তখনই হয় যখন উপযুক্ত (with appropriate education and skill) লোক কর্মপদে নিয়োগ দান করা হয়। হাদিসে এসেছে, ‘যখন কোনো ব্যক্তিকে বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক দায়িত্ব দেয়া হয় এবং সে, পরবর্তীতে, (অর্থাৎ তার অবস্থান থেকে অপরদের নিয়োগ করতে) এমন কোনো ব্যক্তির উপর ক্ষমতা অর্পণ করে (নিয়োগ দেয়) যার চেয়ে অধিক উপযুক্ত লোক সে পেতে পারত, এমতাবস্থায় সে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের সাথে বিশ্বাস-ঘাতকতা করল।’ (প্রাগুক্ত)
কর্মকর্তা নিয়োগ, বরখাস্ত করণ, কর্মকর্তাগণের দান-উপহার গ্রহণ না-করা ইত্যাদির উপর কঠোর নিয়মনীতি রয়েছে যা এই লেখায় সংযোগ করা সম্ভব নয়। সিয়াসাহ শারয়্যিয়ার প্রেক্ষিত থেকে উলুল আমরদের উদার পন্থা অবলম্বনের কথা আসে। অবস্থা এমন যে যদি হুদুদের মত বিষয়ে সন্দেহ দেখা দেয়, তবে ইমামের (উলুল আমরের) পক্ষে হুদুদ ত্যাগ করার ভুল, শাস্তি দানের ভুল থেকে ভাল বিবেচিত (হাদিস/আয়েশা রা.) হয়। রাসূল (সা.) বলেন, উদারতা (gentleness) সৌন্দর্য সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয় না, যেখানে কঠোরতা সম্ভাব্য অপ্রীতিকর পর্যায়ে নিতে পারে। অন্য হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন, আল্লাহ উদারতা (রিফক) পছন্দ করেন এবং উদারতার মাধ্যমে সেই সব জিনিস দান করেন যা তিনি কঠোরতার (উনফ) মাধ্যমে দান করেন না (ইবন তাইমিয়ার লেখা থেকে এই দুটি হাদিস কামালী [২০১৩] উল্লেখ করেন)।
উলুল আমরগণের উপর ইসলামী শারিয়া যে ডিসক্রেশনারি (discretionary) ক্ষমতা দান করে তা একটি ‘আমানাত’ যা তারা কল্যাণের স্বার্থে, মানবতার স্বার্থে ও সমাজের সার্বিক সৌষ্ঠব বিকাশের স্বার্থে ব্যবহার করবেন: নিজের জন্য, নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের জন্য বা বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতবর্গের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নয়। ক্ষমতার দাপট দেখানোর জন্যও নয়। আল্লাহর রাসূল কখনো কাউকে আঘাত করেনি (মারেন নি)। তিনি ব্যক্তি জীবনে তাঁর কোনো চাকরকে মারেন নি, তাঁর কোনো স্ত্রীর গায়ে হাত তুলেন নি। তিনি কারও উপর কখনো প্রতিশোধও নিতেন না। তাঁর সব দেয়া, সব নেয়া ছিল কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যে। এই মর্মে অনেক হাদিস রয়েছে।
ডিসক্রেশনারি ক্ষমতার ব্যবহার রাষ্ট্র পরিচালনার সকল থিওরিতেই রয়েছে (কামালী, ১৯৮৯)। তবে ইসলামের বিষয়টি হচ্ছে কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যে, সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা, সুশাসন ও শান্তির উদ্দেশ্যে।
সিয়াসাহ শারয়্যিয়ার ডিস্ক্রেশনারি ক্ষমতা প্রয়োগের প্রয়োজন এজন্য যে, স্থানভেদে, যেখানে আইন বিহিত হয়ে অবস্থান করছে, অথচ সেখানে স্থান, কাল ও জটিলতার প্রেক্ষিত অন্য কোনোরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি রাখে। কামালী (১৯৮৯) বলেন, ‘যদি ডিসক্রেশনারি নীতির ব্যবস্থা না থাকত, যেমন সিয়াসাহ, মাসলাহাহ ও তা‘জীর, তাহলে শাসক ব্যক্তি ক্ষমতা-বেষ্টিত, সর্বগ্রাহী (authority-oriented and all encompassing) এক আইনী সিস্টেমের কবলে পড়তে হত, যা স্থায়ীভাবে এঁটে দেয়া এবং অনমনীয় (permanently fixed and inflexible)।’ কিন্তু শাসক কখনো শারিয়ার (আইনের) ঊর্ধ্বে নন। ডিস্ক্রেশনারি ক্ষমতা কেবল সামাজিক নিরাপত্তা ও হঠাৎ করে জেগে ওঠা কঠিন সামাজিক সমস্যায়, (যেমন নৈতিক বিপর্যয় ও বিচ্ছিন্নভাবে উদ্ভূত মামলাসমূহের ক্ষেত্রে যেখানে আইনী বাক্যের প্রয়োগে জটিলতা দেখা দেয়, অথবা সুস্পষ্ট আইনের অনুপস্থিতি থাকে সেখানে), সমাধান প্রতিষ্ঠা করে।
বিষয়: বিবিধ
১৩০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন