কোটা নিয়ে কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন সাইফ সানি ১২ জুলাই, ২০১৩, ০৬:৫৫:১০ সন্ধ্যা
কোটা যদি সত্যিই মুক্তিযোদ্ধা আর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাজে লাগতো তাহলে তো কোন কথাই ছিলোনা। সার্টিফিকেটধারী ২ লাখ মুক্তিযোদ্ধা কথা বলেন, ৩০ লাখ শহীদদের জন্য কিছু করার কথা বলেন না। ১৯৭১ সালে দেশের আপামর জনসাধারন (কিছু কুলাঙ্গার ছাড়া) মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছে, তারা কি মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী নয়? তারা কেন বঞ্চিত হবে? আর প্রতিনিয়ত এইসমস্ত কোটার নামে তাদের কে অন্যান্য সাধারন জনগনের কাছে বিশেষ সুবিধাভোগী শ্রেনী হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। এটা মুক্তিযোদ্ধাদের পাওনা না, তারা আমাদের সবার কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে থাকেন সেটাই কাম্য।
বিশ্বের অনেক দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটার ব্যবস্থা আছে, অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু কোথাও দেখিনি তাদের সন্তানের জন্য, নাতি পুতি ১৪ গোষ্ঠীর জন্য বিশেষ সুবিধা বরাদ্দ রাখতে। বছর খানেকে প্রথম আলোতে বীরশ্রষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলে কে নিয়ে একটা প্রতিবেদন দেখেছিলাম। তার জীবন কাটে চায়ের দোকানের পানি টেনে। নিজের বাবার কবর টা দেখার মত আর্থিক সামর্থ তার হয়নি। এদের জন্য কী করি আমরা? কিছুই না। কোটার নামে কিছু সুবিধাভোগীর স্বার্থউদ্ধার আর কত?
যারা মনে করেন কোটা বাতিল মানে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, এইভাবে কোটা চালিয়ে যাওয়াটাই সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমানজনক। তারা যখন যুদ্ধ করেছেন, চিন্তা করেন নি যে কী স্বার্থ উদ্ধার করবেন সেটা দিয়ে।
নিচের এই অংশটুকূ ব্লগার সীমানা পেরিয়ে'র স্ট্যাটাস থেকে নেওয়া,
খবরঃ ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ নামের একটি সংগঠন বিবৃতি প্রদান করেছে ... "এই কোটা কারো দয়ার দানে প্রাপ্ত নয়। এটি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সাংবিধানিক অধিকার"।
মন্তব্যঃ সংবিধানে এমন কোন কথা নেই। বরং সংবিধানে সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নাগরিকের সমান অধিকারের কথা লিখিত আছে। বুঝাই যাচ্ছে অবৈধ কোটায় চাকুরী নিশ্চিত জেনে তারা জ্ঞান অর্জনের ধার ধারেন না। কোটার কল্যাণে এমন মূর্খেই আজকাল প্রশাসন ভারী হয়ে উঠেছে।
বিষয়: রাজনীতি
১২৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন