সিলেট সিটি নির্বাচন : ভোট গ্রহণ চলছে । আশাবাদী উভয় প্রার্থী এবং আমরা . . .
লিখেছেন লিখেছেন সুপ্ত আত্তাঁ ১৫ জুন, ২০১৩, ১২:১৪:২৮ দুপুর
আজ শনিবার ১৫/০৬/২০১৩ইং
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটযুদ্ধ শুরু হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য নতুন নগরপিতা নির্বাচন করতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন ভোটাররা। প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা বিরাজ করছে। নারী ভোটারদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো।
সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। কোন বিরতি ছাড়া বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থানেয়া হয়েছে। ভোট কেন্দ্রের নির্ধারিত সীমানার বাইরে বিভিন্নমেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। অনেক প্রার্থীর পক্ষে অস্থায়ী ক্যাম্পকরে ভোটারদের নাম্বার খুঁজে বের করে দিচ্ছেন।
এবার সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩জন মেয়র প্রার্থী, ১৪০জন পুরুষ ও ৩৪ জন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সিলেট সিটি করপোরেশনে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯১ হাজার ৪৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৮১ জন ও নারী ভোটর ১ লাখ ৩৩হাজার ৮৬৫ জন। সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের এসব ভোটার ১২৮টি কেন্দ্রের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। হালনাগাদ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবার ভোট বেড়েছে প্রায় ৩৪হাজার। গত নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮০ জন।
নির্বাচন কমিশন অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, ১২৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের জন্য ৯০৯টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১ জন করে প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। আর প্রতিটি বুথে রয়েছেন একজন করে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার। পোলিংএজেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন ১ হাজার ৭৯২ জন। প্রতিটি বুথে প্রার্থীদের একজন করে এজেন্ট দায়িত্ব পালন করছেন।
সিলেট মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভোটকেন্দ্রগুলোকে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। ভোটারের আধিক্যের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ এই দুই ভাবে ভোটকেন্দ্রগুলোকে ভাগ করে নিরাপত্তা নিশ্চিতের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
নির্বাচনের দিন তিন হাজারের বেশি পুলিশ ও প্রায় ১৮০০ আনসার সদস্য ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্বে রয়েছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে ২০-৩০ জনের ফোর্স এবং প্রতি ৩-৪টি কেন্দ্র মিলিয়ে পুলিশের একটি মোবাইল টিম এবং ৩০-৪০ সদস্যের একটি স্টাইকিং ফোর্স রয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা মনিটরিংয়ে ৫০ জন পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন।
র্যাবের পাশাপাশি ৬ প্লাটুন বিজিবি সদস্য নগরীতে মোতায়েন রয়েছে। এর মধ্যে ৫ প্লাটুন টহলে ও এক প্লাটুন রিজার্ভ আছে। এছাড়া কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাৎক্ষনিক সাজা দিতে ভ্রাম্যমান আদালতও মাঠে রয়েছে।
এদিকে
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি দুই মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও আরিফুল হক চৌধুরী। ভোট প্রদান শেষে দুই প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে সমান আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীর রায়নগর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দেন ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত সম্মিলিত নাগরিক জোটের প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী শ্যামা হক চৌধুরী, মা ও মেয়ে। ভোট প্রদান শেষে তিনি বলেন, ভোট গ্রহণ এখনো শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। ভোট কেন্দ্র দখল ও মানুষের ভোটাধিকার ছিনিয়ে না নিলে তিনি বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এদিকে, ১৪ দল সমর্থিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান সকাল ৯টায় সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দিতে যান। এসময় সাথে ছিলেন তার স্ত্রী, ছেলে,ছেলের বউ ও মেয়ে। সকাল ৯টা ৫ মিনিটে তিনি ভোট দেন।
ভোট দেয়া শেষে তিনি এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। জনগণ এভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে আনারস প্রতীকের বিজয় হবে।
আমরা চাই সুন্দর একটা নির্বাচন হউক।
বিষয়: রাজনীতি
১৩৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন