৪৮ঘণ্টা একটু বেশি না? START. রাজনীতির খেলা শুরু আর আমরা বল ।
লিখেছেন লিখেছেন সুপ্ত আত্তাঁ ০৪ মে, ২০১৩, ০৭:০৭:৪১ সন্ধ্যা
তত্ত্বাবধায়কের জন্য ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম
‘স্বরাষ্ট্রমন্ত ্রী একটা উম্মাদ’
‘প্রধানমন্ত্রীর মুখে মানবতার কথা শোভা পায় না’
‘আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল’
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের ঘোষণা দিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলশাপলা চত্বরে ১৮ দলীয় জোট আয়োজিত সমাবেশে দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আলটিমেটাম দেন।
এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনাকে নিজের বাসায় চায়ের আমন্ত্রণ জানান বিরোধী দলীয় নেতা।
শনিবার দুপুর দুইটা ১০ মিনিটে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ শুরু হয়। বেগম খালেদা জিয়া বেলা সাড়ে তিনটায় মঞ্চে এসে পৌঁছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, বিচারকরা নিরপেক্ষভাবে বিচার করতে পারেন না। কারা জামিন পাবে, কারা পাবেন না তা নির্ধারণ করে দেয়া হয় মন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে।
দেশে উন্নয়ন হচ্ছে না অভিযোগ করে তিনিবলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখেছি কিন্তু কোথাও উন্নয়ন হচ্ছে না। গার্মেন্ট শিল্পও ধ্বংসের মুখে। বায়াররা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বাংলাদেশকে।
সাভার ট্রাজেডিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড আখ্যায়িত করে তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। রানাকে সরকার বিভিন্নভাবে বাচাতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্ রীকে রাজাকার উল্লেখকরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্নকরেন, রাজাকার কিভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্ রী হন?
বিএনপির নেতৃত্বে জোট ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের সব রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধী দের বিচার করা হবে বলে ঘোষণা দেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেনআমরাও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চাই, কিন্তু নির্দোষ ব্যক্তিকে অস্বচ্ছভাবে শাস্তি দেয়া হবে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়।
বিরোধী দলের মিছিল সমাবেশে গুলি চালানোর তীব্র সমালোচনা করে খালেদা বলেন, কোনো পাগল ছাড়া কেউ গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে পারে না।
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সমালোচনা করেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ওই ব্লগাররা পাশের দুটি হাসপাতালের অসংখ্য রোগীকে কষ্ট দিয়েছে। তাদেরকে সহযোগিতা করেছে সরকার।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসীদল। তারা ৭১ থেকে ৭৫ পর্যন্ত সন্ত্রাসকরেছে। এখনো সন্ত্রাস করছে। তারা সংবাদত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছিল। আবারো তারা সংবাদপত্র দলনে লিপ্ত হয়েছে।
সাগর-রুনি হত্যার জন্য সরকারকে দায়ী করে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, তারা সরকারের গ্যাস দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্টকরতে চাওয়ায় তাদেরকে হত্যা করা হয়। এইসরকারের হাতে সাংবাদিক-রাজনীতিক, সাধারণ মানুষ কেউ নিরাপদ নয়।
আমার দেশ বন্ধ এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদককে গ্রেফতার ও নির্যাতনের সমালোচনা করে সকল মামলা প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্টদের মুক্তি দাবি করেন। এ সময় প্রেস খুলে দেয়ারও দাবি তিনি।
সমাবেশের শুরুতে সাভার বিপর্যয়ে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের আরোগ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্বে করেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যা ন সাদেক হোসেন খোকা।
বিষয়: বিবিধ
১১৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন