সুখী হতে চাইলে মেনে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করুন
লিখেছেন লিখেছেন অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০২:০৫:৫৬ রাত
দেখবেন কোথাও আপনি আটকে থাকবেন না। আপনার জীবনসঙ্গীটি একটু খুতখুতে স্বভাবের হতে পারে। কথায় কথায় রেগে যাবেন না। যখন সবকিছু সুনসান হলে, একান্ত নিভৃতে গিয়ে প্রথমে আপনি এভাবে শুরু করবেন যে “আসলে আমারই ভুল হয়েছে, এটা করা উচিৎ হয়নি ইত্যাদি। এরপর বিশ্বাস না হয় করেই দেখুন পুরুষ মানুষ গলে যেতে বাধ্য। সে আপনার কাছে মাফ চাইবেই। তবে কখনোই যে কাজটি করবেন না তা হল কারো সামনে সঙ্গীর সামান্য ভুলও ধরবেন না বরং প্রশংসা করুন।
সংগীকে নিয়ে ঘুরতে বের হন
অনেকেই বিয়ের আগে ঘুরতে অভ্যস্ত আপনি বিয়ের পরে কেন পারবেন না। নদীর তীর, সুর্যাস্ত দেখা। জ্যোস্না রাতে দু’জন একসাথে ছাদে যাবেন। শেষরাতে দু’জন এক সাথে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে এক জায় নামাজে ভাগাভাগি করে ঘুমাবেন।
আমাদের দেশের মেয়েরা জীবনসঙ্গীদেরকে খুব ভালবাসেন কিন্তু সমস্যা হল তাদের Expression টা সুন্দরমত না হওয়ার কারণে সঙ্গী তাকে বুঝতে পারেন না। এজন্যই শুরু হয় অন্য নারীতে/পুরুষে প্রেম খোজা।
আমি আজ এমন কিছু কৌশল বলে দেব যা বিবাহিত ভাই/বোনেরা Apply করে দেখতে পারেন, ৯৯ ভাগ কাজে দেবে ইনশাআল্লাহ।
১। বাসায় অবস্থান কালে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন অযুহাতে সঙ্গীর পাশে গিয়ে পরিধেয় বস্ত্রের ধুলা ঝেড়ে দেয়ার ভান করুন হ্যা তবে সেটা সামনের চেয়ে পিঠের দিকে হলে ভাল হয়, কারণ মানুষ তার পিঠ দেখতে পায়না।
তাহলে সঙ্গীটি বুঝবে যে আপনি তার প্রতি খুব যত্নবান।
কৌশল ২
সঙ্গীটি যখন খুব গভীর কোন কাজে ব্যস্ত এমন সময় তার জন্য তার ঠাণ্ডা পানি/চা/কফি পরিবেশ ও পছন্দ অনুযায়ী সাথে হালকা বিস্কিট বা অন্য কিছু না চাইতেই নিয়ে আসুন। দেখবেন সে এমন কৃতজ্ঞতার হাসি দিবে যা আপনি কল্পনাও করেন নি। আপনিও প্রত্যত্তরে আরো সুন্দর একটি হাসি দিন। আপনার চেহারা যেন মলিন না থাকে বরং কমপক্ষে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুরে নিবেন আর পরিধেয় যেন পরিস্কার থাকে। এরপর আপনি স্ত্রী হলে নিজের ওড়না দিয়ে আর পুরুষ হলে সুন্দর পারফিউমড রুমাল/টিস্যু দিয়ে {খবরদার গামছা নেবেন না }তার কপাল মুছে দিন। এরপর কাছাকাছি ঘেসে চুলের মধ্যে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে বিলি কেটে দিন। যত বদমেজাজী আর খেপাটে হোকনা কেন বশ মানতে বাধ্য।
কৌশল ৩
আপনার স্ত্রীকে কখনো স্ত্রী ভাববেন না ভাববেন সে আপনার প্রেমিকা/বান্ধবী। আর স্বামীকেও স্বামী মনে করবেন না মনে করুন সে আপনার প্রেমিক। এখন প্রেমিকের সাথে প্রেমিকার কোন ধরণের আচরণ করলে সে খুশি হয় এসব আবিস্কার করুন নিত্য নতুন পদ্ধতি। দেখবেন সুখে আছেন।
বাসায় থাকলে কখনো একা সালাত আদায় করবেন না। সাথীকে ডাকুন তারপর একসাথে স্বামী সামনে আর স্ত্রী পিছনে দাঁড়িয়ে জামাতের সাথে সালাত আদায় করুন। এরপর আপনি আপনার সাথীর হাত নিজের হাতে নিয়ে তার হাতের আংগুলের কর গুনে তাসবিহ পড়ুন, এরপর তার দুহাত নিজের দুহাতের মধ্যে নিয়ে মুনাজাত করুন। আপনি আগে নিজের জন্যে তারপর তাকে শুনিয়ে ফিসফিসিয়ে তার মংগলের জন্য দুয়া করুন।
কৌশল ৪
বাইরে থেকে ফেরার সময় ১০/২০ টাকার ফুল কিনে আনুন। ফুল দেয়ার সময় একটু কৃত্রিমতা অবলম্বন করুন যেমন প্রিয় আমি তোমাকে আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালবাসি, আই লাভ ইউ জানু ইত্যাদি। আরে মিয়া বিয়ের আগে তো কত লোক কত জনকে জান বলতে পারে, আপনি হালাল অবস্থায় কেন বলবেন না। রাখুন আপনার লজ্জা। যত লজ্জা বিয়ের পর তাই না? বিয়ের পর আপনি আপনার সাথীর সবকিছু জেনে নিয়ে তার অজান্তেই তা লিখে রাখুন, মনে না থাকার ভয় থাকলে মোবাইলে তার অজান্তেই রেকর্ড করে নিন। যেমন তার প্রিয় ফুল, রঙ, পাখি, লেখক ইত্যাদি যা কিছু সব। এমনকি প্রিয় খাবারও। সুবিধামত সময় ও আর্থিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে মাঝে মধ্যে কিনে এনে তাঁকে সারপ্রাইজ দিন। খাবার হলে বাসায় তৈরি করে ফেলুন, পদ্ধতি না জানলে নেট থেকে শিখে নিন।
বিষয়: বিবিধ
১২৫১ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কাছ থেকে দেখা অনেক বন্ধুর দৃস্ঠিভঙ্গী আজও আমাকে আহত করে। এরা স্বামী। কিন্তু একটি পরিবার বা মেয়েকে চালানোর বা বুঝার যোগ্যতা কয়জন পুরুষের আছে?
তবুও ধন্যবাদ এ বিষয়ে লিখেছেন বলে। ভাল লেগেছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন