আমাকে একটু একা থাকতে দাও
লিখেছেন লিখেছেন অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী ১৪ এপ্রিল, ২০১৪, ০৮:০৭:৩৪ সকাল
একঘন্টার জন্য যদি ফোনটা অফ করে রাখি, অথবা তার কাছে না থাকি
পরের ঘণ্টা যাবে শুধু শাসন শোষণ আর উপদেশ শুনে,একটু নীরবতা বা একাকীত্বের স্বাদ নেয়ার সুযোগ কই? নিজের স্বাথে কথা বলতে পারিনা কতদিন! আত্মাটা পাথরের চেয়ে কঠিন হয়ে গেছে বোধহয় ভালবাসার রস থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে দিনের পর দিন হেতু এই অবস্থা। তাইতো একটি কবিতার জন্য হাজার বার হাতে পায়ে ধরে টানাটানি করতে হয়। এত টানা হেচড়ার পর কবিতার রস যে তেতো হবেই তাতে আর সন্দেহ কি? পোস্টবক্সের নিচের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে টেনে হিচড়ে যে খামটি বের করা হয় তা আর ডাকে পাঠাবার মত চেহারা থাকেনা আমার লেখার অবস্থা তার চেয়েও করুণ।
যেখানেই যাই সাথে রাখতেই হবে ওই যন্ত্রণাদায়ক যন্ত্রটি, তার মানে কি দাঁড়ায় সারাক্ষণই নিজের অবস্থান জানাতে হবে সবাইকে। ফোন করেই তুমি কোথায়? কেন কেমন আছি তা জিজ্ঞেস করা যায় না। আমার মত নিরীহ গোবেচারা মানুষটি যে ছোটবেলা থেকেই ( এখন যে খুব বড় হয়েছি তা নয়, তবে সরকারী বয়স ২১ পার হয়ে গেছে) যে বনে বাদাড়ে একা ঘুরে বেড়াতে ভালবাসত তাকে যান্ত্রিক বানিয়ে ফেললে তোমরা। হাটতে শেখার পর থেকে কতবার হারিয়ে গিয়েছি তা মা’ ই ভাল বলতে পারবে। যদি এমন কোন ভাইরাস বা অন্য কিছু আসত যার কারণে পৃথিবীর সব মোবাইল ফোন (আগে আমার নিজেরটা) নষ্ট হয়ে যেত তাহলে আমার চেয়ে কেউ বেশি খুশি হতনা তা আমি হলপ করে বলতে পারি। আসলে যন্ত্রণা দেয় যা তাকেই বোধহয় যন্ত্র বলা হয়।
কে বলেছে স্বাধীন আমি কে বলেছে মুক্ত
কত শত জিঞ্জির আছে দু’পায়েতে যুক্ত
বাবা-মায়ের শাসন আছে, আছে ভাইয়ের তাড়া
ঝাড়ি খেয়ে পার পাইনা ফোনে না দিলে সাড়া
বন্ধু আছে বান্ধবী নাই (তাও ভাল, অশান্তি কম) আছে কত ভক্ত
সারাক্ষণই মোবাইলে করে যে বিরক্ত
ফেবু আছে টুইট তাও আছে এস এম এস
যখন তখন আত্মাটাকে জ্বালিয়ে করছে শেষ।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে
আছাড় দিয়ে যন্ত্রটারে ফেলি গুড়ো করে ।
বিষয়: বিবিধ
১২৬৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এত সুন্দর একটা লেখনি। কবিতার শব্দে নিজেকে বন্দী জাল হতে মুক্তির অব্যক্ত বেদনা। এসব কবিকে সাহস না দিলে কাকে দেবো?
আপনার কবিতা লিখা সবই ভাল লেগেছে। সরি। অনেক দেরী হযে গেল। আসতে পারিনা। অনেক ব্যস্ত। সিরিজটি ধরেও বিপাকে আছি। কখনযে শেষ দেই তাড়ায় আছি।ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন