হুজুগে বাংগালি মুসলিমদের বলছি

লিখেছেন লিখেছেন অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী ২৮ মার্চ, ২০১৪, ০৪:১৫:৪৩ বিকাল



জীবনে চলার পথে কখনো কখনো আপনাকে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হয় যার জন্য আপনি পূর্ব থেকে মোটেও প্রস্তুত নন । এবং আপনি চান ভবিষ্যতে এহেন বিব্রতকর অবস্থার পুনরাবৃত্তি না হোক। যেমন: আপনি কোথাও গিয়েছেন যেখানে সবাই আপনার অপরিচিত; এমন অবস্থায় নামাজের সময় হয়ে গেল; এখন ইমামতির জন্য কেউ সামনে যেতে চায় না। এমন অবস্থায় আপনি যদি নিজেকে যোগ্য মনে করেন তাহলে ইতস্তত না করে সামনে দাঁড়িয়ে যাবেন। হয়ত আপনার লেবাস দেখে কেউ বাকা চোখে তাকাতে পারে কিন্তু ইমামের স্থানে দাঁড়িয়ে গেলে একবার কেউ আপনাকে জোর করে নামিয়ে দিবেনা। যদি আপনি বড় লেবাসধারী দেখে পিছিয়ে আসেন অথবা সামনে না দাড়ান তাহলে বাংলাদেশি হুজুগে মুসলিম ভাইয়েরা এমন একজনকে সামনে দাঁড়িয়ে দিলেন যিনি সুরা ফাতিহাটিই শুদ্ধ করে পড়তে পারেন না, ফলে আপনি না পারবেন নামাজ ছাড়তে না; পারবেন মনোযোগ দিয়ে দাড়াতে এবং নামাযে তিলাওয়াত আপনার কাছে চরম বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এবং আপনাকে পরে সালাত দ্বিতীয় বার আদায় করা লাগবে। আর যদি বড় জুব্বা ধারীকে আপনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ধুমপান করতে দেখেন যা নিজে অপছন্দ করেন তাহলে তো আর কথাই নেই। আমাদেরকে গোঁড়ামী এবং বাহ্যিক লেবাস ভিত্তিক ইসলাম থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আর এজন্য দরকার দৃঢ় মনোবল আর উপস্থিত সাহসিকতা।

বিষয়: বিবিধ

১১০৮ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

199232
২৮ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:২২
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : অত্যন্ত ভালো কথা বলেছেন। একদম পারফেক্ট! এই হেজিটেশনই আমাদেরকে ডোবালো।
199264
২৮ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৩১
হতভাগা লিখেছেন : ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে উনারা আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধছেন।

মুরসি সাহেবসহ উনার ডানে বামে যে দুজন আছে তাদের কেউই টাখনুর উপর প্যান্টের কাপড় তোলেন নি ।

টাখনুর উপর কাপড় তোলা কি জরুরী ?
২৮ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
149118
বিন হারুন লিখেছেন : ما اسفل من الكعبين من الازار في النار (অর্থাৎ টাখনুর নিচে যে অংশ পায়জামা বা লুঙ্গি দ্বারা ঢাকা থাকে তাহা দোযখে যাবে) -আল্ হাদীস.
199265
২৮ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৬
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : বাহ্যিক লেবাস ভিত্তিক ইসলাম থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আর এজন্য দরকার দৃঢ় মনোবল আর উপস্থিত সাহসিকতা

যথার্থই বলেছেন।
199299
২৮ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৫
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আপনার অভিজ্ঞতার সাথে আমার অভিজ্ঞতার অনেক মিল রয়েছে। একবার তো রমযানে তারাবীহর নামাযে দাঁড়িয়ে বেকায়দায় পড়ে গেলাম। মোটামুটি ভালো তিলাওয়াত জানেন এমন একজন ইমামতি করবেন, এই ভেবে আমিও চেষ্টা করিনি, তিনিও দাঁড়ালেন না, পরে এমন একজন ইমামতি শুরু করলো যিনি সূরা ফাতিহা পাঠেও ৫০ ভাগ ভূল উচ্চারণ করছেন। পরে আর জামায়াতে পড়াই হলোনা।
২৯ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:০৬
149193
অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী লিখেছেন : পাবলিক লাইব্রেরিতে মাগরিবের নামাজ পড়ার সময় এই ঝামেলাটা বেশি হয়, আগে লম্বা জুব্বা পরতাম তখন ইমামতি করলে সমস্যা ছিলনা। এখন পোষাকে একটু পরিবর্তন এনেই ফ্যাসাদে পড়তে হয় মাঝেমধ্যে। গতবছর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের একটা সাক্ষাৎকারে গিয়ে সবচেয়ে বেশি বিরক্ত হই। আসলে আমরা ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানেরা এই ব্যাপারে বেশি গোড়া। আমি তো এলাকায় গেলে মাঝপথে নেমে জুব্বা পাজামা লাগিয়েই তবে বাড়ি যেতে হয় নইলে গায়ের লোক বলবে যে ভার্সিটিতে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।পাবলিক লাইব্রেরিতে মাগরিবের নামাজ পড়ার সময় এই ঝামেলাটা বেশি হয়, আগে লম্বা জুব্বা পরতাম তখন ইমামতি করলে সমস্যা ছিলনা। এখন পোষাকে একটু পরিবর্তন এনেই ফ্যাসাদে পড়তে হয় মাঝেমধ্যে। গতবছর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের একটা সাক্ষাৎকারে গিয়ে সবচেয়ে বেশি বিরক্ত হই। আসলে আমরা ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানেরা এই ব্যাপারে বেশি গোড়া। আমি তো এলাকায় গেলে মাঝপথে নেমে জুব্বা পাজামা লাগিয়েই তবে বাড়ি যেতে হয় নইলে গায়ের লোক বলবে যে ভার্সিটিতে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
199551
২৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:০২
শেখের পোলা লিখেছেন : ঠিক এ জন্যই অনেকে জাকির নায়েককে মুসলীমই বলতে নারাজ৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File