যার চলে যায় সেই বোঝে হায় বিচ্ছেদের কি যন্ত্রণা
লিখেছেন লিখেছেন অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৩:২১:৪৪ দুপুর
বিদায় মানেই কি অশ্রু বিসর্জন, অশ্রু নেই তবে
হৃদয়ে রক্তক্ষরণ।
রক্তের কেউ নয়। বাড়ীর কথায় আমি পাষাণ, নিষ্ঠুর। পাঁচ বছর বয়স হতে আমি মায়ের কোলছাড়া। বিদ্যাশিক্ষার জন্য আজ এখানে কাল ওখানে। এমন হয়েছে যে দেশে অবস্থান করেও ৯ মাস বাড়ীতে যাইনি। নিয়মিত ফোন ও নাকি করিনা বলে বাড়ি থেকে অভিযোগ আসে।
মাঝে মধ্যে পিচ্চি বোন দু’টির জন্য একটু পোড়ে। ওরা দু’জন এবার সিক্সে উঠল। কিন্তু দুরত্বের কারণে আমার মাথায় প্রায়শ ওদের পিচ্চি বেলার ছবি ভেসে ওঠে। সব মিলিয়ে বাড়ী থেকে আসার সময় কখনো কেঁদেছি বা মন খারাপ হয়েছে কিনা মনে পড়েনা। কিন্তু মাত্র কয়েকদিনের (২বছর) পরিচিত একজনকে গতকাল বিদায় দিতে গিয়ে মনে হচ্ছিল বুকভাঙ্গা ব্যথা কি জিনিস। ফিরে এসে তার বসার জায়গায় শোয়ার জায়গায় যতবার যাচ্ছি ততবার মনে হচ্ছে এই বুঝি ভাই আসলেন, ডাকবেন অয়েজ কুরুনী অজু করো নামাজের সময় হয়েছে, ইত্যাদি। সময় বড়ই বেরহম হয় কথাটার বাস্তবতা আজ অনুভব করছি। গতকাল সাবেক সভাপতি ভাইকে বিদায় দিয়ে এলাম, এভাবে আমিও হয়ত একদিন চিরবিদায় হয়ে যাব এবং এটাই চিরন্তন সত্য। কিন্তু আমার আচরণ কর্মকাণ্ডই ইত্যাদির কারণে আমার উত্তরসুরীরা আমার জন্য কাঁদবে নাকি গালাগালি করবে।
বিরল এ ভালবাসা যাকে অন্য কিছুর সাথে তুলনা করা যাবেনা। একজনের ছাত্রত্ব শেষ; সংগঠন থেকে বিদায় নিতে হবে, একজনকে নতুন করে নির্বাচিত করে দায়িত্ব দেয়া হবে। কিন্তু দু’জনেই হাউমাউ করে কাঁদছেন যেন মা-বাবার কেউ একজন মারা গেছেন, অনেকের তো কেউ মারা গেলেও চোখে পানি আসতে দেখিনা। এমন মায়ার বাঁধনে আমাদের এ সংগঠন বেঁধে রেখেছে যা ছিড়তে গেলে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ তো হবেই।
শুধু বারবার মনে হতে থাকে
“যেতে নাহি দিব হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়”।
“ঠাই নাই ঠাই নাই ছোট সে তরী, আমার সোনার ধানে গিয়েছে ভরি”
বিষয়: বিবিধ
১৫৪৯ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগ্লো...
মন্তব্য করতে লগইন করুন