পরকাল না দুনিয়া,বিয়ে করতে চাই এখনই
লিখেছেন লিখেছেন অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০১:১৪:৩৮ রাত
মাসিক হাজিরা দেওয়ার জন্য আজ আবার তাগুতী আদালতে যেতে হয়েছিল। ৬ মাস ধরেই যাচ্ছি এবং অনেক কিছুই দেখছি কিন্তু আজ একটা বিষয় না দেখে পারলামনা। এক বৃদ্ধ ব্যক্তি, বেশবাস দেখে ধার্মিক মনে হয়। মাথায় টুপি গায়ে লম্বা জুব্বা, আবক্ষ শ্মশ্রুমণ্ডিত। দুই পায়ে চলাফেরা করতে পারেন না তাই তার এখন তিন পা। সাথে একজন নাতী বয়সের যুবকের পাশাপাশি হেটে আসছেন। টলটলায়মান পদযুগল দেখে মনে হচ্ছে এই বুঝি পড়ে গেল। তাকে দেখে আমার হঠাৎ মনে হল তিনি তো মহান আল্লাহর আদালতের মুখোমুখি হওয়ার উপক্রম হয়েছেন এখন এই বয়সে তাকে আবার তাগুতি আদালতে আসতে হচ্ছে। জানিনা কোন মামলায় তাকে হাজিরা দিতে আসতে হয়েছিল। এই বিষয়টি অবশ্য নতুন নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যার জমিজমা সংক্রান্ত মামলা। কি হবে এই জমি দিয়ে? দাদা পরদাদা থেকে একই জমির উপর বসবাস করে আসছি কেউতো জমি নিয়ে যেতে পারলনা। অথচ এই জমি নিয়ে আমার জানামতে ভাই বোনদের সাথে মাথা ফাটাফাটি পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে। ছেলে পিতাকে খুন করছে। সেদিন বাসার বুয়ার কাছে শুনলাম উনি নাকি জমি দখল করার জন্য নিজের গা কেটে আপন ভাইদের নামে মামলা করে জেল খাটিয়েছে, নিজেও বছর খানিক ছিল। সব শেষ যেখানকার জমিন সেখানেই পড়ে রইল। ক্ষণিকের জমিজমা পাওয়ার জন্য আমরা কত লড়াই প্রতিনিয়ত করে চলেছি যা অল্প সময়ের অথচ চিরস্থায়ী জমিন (জান্নাত) যেখানে আমাদের অনন্তকাল থাকতে হবে তার ব্যাপারে কোনো খবর নাই। বয়স বেশি নয় ২৪ এ পা দিয়েছি সবে কিন্তু আমার আর মাত্র বছর বিশেক বাচার আশা আছে। বেশিদিন মঞ্চে থাকলে বেশি হিসাব দেওয়া লাগবে, যদিও পরিচালকের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। এজন্যই প্রতিষ্ঠিত হওয়া অর্থে যা বুঝায় যেমন চাকরী, ব্যবসা-বাণিজ্য এগুলি হওয়ার আগেই দুনিয়া ও আখেরাতের সাথী (স্ত্রী) বানিয়ে ফেলতে চাই। সমাজের তোয়াক্কা আমি করিনা। কারণ আমার কবরে সামাজিক অবস্থার কারণে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবেনা, সুতরাং সমাজের মুখের দিকে তাকিয়ে যদি কোন গুনাহ করে ফেলি সেজন্য তো আমাকেই পস্তাতে হবে। “রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনয়া হাসানাতাও,ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাহ” এই দোয়ায় হাসানাহ শব্দের ব্যাখ্যায় কেহ কেহ নেককার স্ত্রী বুঝিয়েছেন। যারা সোস্যাল স্ট্যাটাস নিয়ে খুব চিন্তিত তাদের জন্য বলছি ‘মৃত্যু যে আসবে এতে যদি কোনো সন্দেহ না থাকে তাহলে পরের জীবন কে প্রাধান্য দিতে কার্পণ্য করবেন না’’। ‘‘ফাল ইয়াওমা লা ইয়ানফাউ মালু ওয়ালা বানুন, ইল্লা মান আতাল্লাহা বি ক্বাল্বিন সালিম’’ সেদিন তাদের সম্পদ এবং সন্তান সন্ততি কোন কাজে আসবেনা কিন্তু যদি কেহ পরিশুদ্ধ আত্মা নিয়ে আগমন করে (তা তার জন্য উপকারে আসবে)।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ একজন ছেলের বিয়ের উপযুক্ত হওয়া বলতে কি বুঝায় ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন