এক ফাসিঁ ও এর পরের কথা.......
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তির মিছিল ১১ মে, ২০১৬, ০৯:০০:১৬ রাত
একদিকে ফাসিঁর আয়োজন চলছে কারাগারে অন্য দিকে কিছু লোক জড়ো হয়ে ফাসিঁ চাই ফাসিঁ চাই বলে গলা ফাটানো চিৎকার -- এ চিত্র ছিল গতকালকের বাংলার অনেক গনমাধ্যম সমূহের।
এই চিত্র দেখে পাশে বসা ইতিহাস না জানা স্ত্রী স্বামীকে বলল, নিশ্চই যে আলেমের ফাসিঁ হচ্ছে সে অপরাধী। তা না হলে ওরা ওমন ফাসিঁ চাই ফাসিঁ চাই বলে চিৎকার করতেছে কেন? তখন উচ্চ শিক্ষিত স্বামী বেচারা কিছু ক্ষণ তার মুখের দিকে তাকিয়ে স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করল, যারা ফাসিঁ চাই ফাসিঁ চাই বলে চিৎকার করতেছে তারা কি আলেম, স্ত্রী বলল না। স্বামী আবার জিজ্ঞেস করল, তারা কি প্রাকটিসিং মুসলিম, স্ত্রী জবাব না।
স্বামী আবার জিজ্ঞেস করল, ওরা কি সবাই মুসলিম পরিবারের, স্ত্রী জবাব - তা কি করে হয়, ওখানে তো অধিকাংশ মেয়েই মাথায় সিদুঁর দিয়ে ছেলেদের সাথে ঢালাঢলি করে গভীর রাত অবধি ফাসিঁ চাই ফাসিঁ চাই বলে চিৎকার করতেছে, তাছাড়া অধিকাংশ ছেলেরাই তো হিন্দু নামধারী। ওখানকার সবাই কোন না কোন বাম-নাস্তিক সংগঠনের সাথে জড়িত।
তখন স্বামী বলল, তুমি কি অনেক নাস্তিককে বিশ্বাস করবা নাকি একজন প্রাকটিসিং মুসলিমকে বা আলেমকে বিশ্বাস করবা? স্ত্রীর জাবাব, আবশ্যই একজন আলেম ও প্রাকটিসিং মুসলিমের কথা বিশ্বাস করব।
শেষ কথা: একজন মুসলমানের মূল্য (মর্যাদা) আল্লাহর কাছে শতকোটি নাস্তিকের চেয়েও শতকোটিগুন বেশী।
বিষয়: বিবিধ
১৬২২ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমাদের যুব সমাজের বিশাল একটা অংশ আজ নাস্তিদের কথায় ও তাদের অপপ্রচারে বিমোহিত হয়ে রয়েছে। তাদের যুক্তি দিয়েও বোঝানো যাচ্ছে না যে বাম-নাস্তিকদের মিথ্যা কথা বলতে কোন বাধা নাই। ওরা দুনিয়ার ক্ষমতার লোভে নিত্য নতুন মিথ্যা কথা ও কাজ করতে পারে কোন ধরনের বিরতি ছাড়াই।
কিন্তু একজন বিশ্বাসী continuously মিথ্যা চালিয়ে যেতে পারে না।
মানুষ হত্যা করার পক্ষে কেউ থাকার কথা না। যে সব স্থানীয় রাজাকার পাকিস্থানী বাহীনির সাথে মিলে এসব হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে তারা কেউই আলেম ছিল না, এটা এটা তো পরিস্কার। ঐসব স্থানীয় রাজাকারা এখন আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয়পার্টির কর্মী ও নেতা। আমার এলাকার চিত্র তাই বলে। একই চিত্র সারা বাংলার। ঢালাও মন্তব্য করা যায় শাররিয়ার কবিরদের মত, কিন্তু প্রমান করা যায় না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন