গোলাম আজম কি এদেশের নস্ট্রাডেমাস (জ্যোতিষী) হিসাবে চিহ্নিত হবেন?
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তির মিছিল ২৫ অক্টোবর, ২০১৪, ০৫:৩৯:৫৯ বিকাল
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত এবং সমালোচিত নাম অধ্যাপক গোলাম আজম। বর্তমান সময়ের সকল রাজনীতিবিদদের বায়োডাটা নিয়ে বসলে তার CV টি সবচেয়ে ভারী বলে মনে হবে।
বিরানব্বই বছর বয়সে গত বৃহশ্পতিবার রাত ৬:৩০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (পারিবারিক সুত্রমতে)। সেঞ্চুরী করতে পারেননি এই খুশীতে শাহবাগীরা আনন্দ মিছিল বের করেছে।
১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ তাদের রাষ্ট্রপতি প্রার্থীকে জনাব আজমের পদধূলি নিতে পাঠিয়েছিল। তাঁর উদ্ভাবিত ফর্মূলা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ দীর্ঘ একুশ বছর পর ক্ষমতায় ফিরে আসতে সক্ষম হয়।
বিএনপির সঙ্গেও তাঁর রাজনৈতিক যোগাযোগ মোটেই কম ছিল না। তারপরেও দুটি প্রধান দলই মৃত্যু পরবর্তি প্রতিক্রিয়া দেখাতে একই রূপ অনাগ্রহ অথবা সংকীর্ণতা দেখিয়েছে। বিএনপির অবস্থা হয়েছে - কথা বললেও বিপদ, না বললেও বিপদ। বিএনপির মুখ থেকে এরকম একটি সহানুভূতিসূচক শব্দের জন্যে চাতক পাখির মত ওৎ পেতে বসে আছে হাছান মাহমুদ, হানিফ, মতিয়া প্রমূখরা।
কাজেই বোবার শত্রু নেই এই গুরুবাক্য মেনে মুখে কুলুপ এটে বসে থাকাকেই নিরাপদ ভাবছে বিএনপি । এটা দেখে মিডিয়া শিরোনাম করছে - বিএনপি এবারো নিরব। বিএনপির এই বেকায়দা অবস্থা দেখে মনে হয়, বোবারও শত্রু আছে। প্রতিপক্ষ বিএনপির বিরুদ্ধে যে রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক ফাঁদ পেতেছে সেটা টের পেলেও তা থেকে বের হওয়ার কোন যুতসই কৌশল বের করতে পারেনি।
জনাব আজম নিন্দিত ও নন্দিত হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা ও আগ্রহ নিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরে। জীবনভর অনেক গালি খেলেও তিনি তাঁর এই অবস্থান থেকে সরে আসেননি। নির্মম পরিহাসের কথা হলো, তেতাল্লিশ-চুয়াল্লিশ বছর আগে তিনি যে শংকার কথা বলেছেন তাই আজ সর্বাংশে সত্য হতে চলেছে।
ভারতের কারনে আমাদের স্বাধীনতা হয়ে পড়েছে গরীবের ঘরের সুন্দরী বউয়ের মতো । একে অর্জনের চেয়ে রক্ষা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
কাজেই অনাগত ইতিহাসে গোলাম আজম এদেশের রাজনীতিতে নস্ট্রাডেমাস হিসাবে বিবেচিত হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
মিনার রশীদের ফেসবুক থেকে।
বিষয়: বিবিধ
১৫৪৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মানুষের ভালবাসা দেখে ওরা এখন আরও হতাশ হয়ে যাবে!
মন্তব্য করতে লগইন করুন