জয় বাঙলা প্রশ্ন সামলা
লিখেছেন লিখেছেন গুপ্ত নেতা ০৮ মে, ২০১৩, ০৫:০৮:৫৯ বিকাল
একচোখা আর আমি...
** ৫ তারিখের সংঘর্ষ এ অনেক মাদরাসার ছাত্র আহত ও নিহত হয়েছে।
এক চোখা:- সব তাদের দোষ।যারা তাদের ওখানে নিয়ে গেছে।এর দায়িত্ব তাদের নিতে হবে।
আমি:-নোপ।তাদের ওপরে যারা গুলি করার আদেশ দিছে,এই দায়িত্ব তাদের নিতে হবে।মাদ্রসার ছাত্ররা তো আর লুটপাত/ডাকাতি করতে যায় নাই যে তাগো উপরে গুলি করা লাগবে।
**রাজধানী জুড়ে হেফাজতের তান্ডব।পুলিশ সহ অনেকেই আহত।
এক চোখা:- ভালই হইছে।তারা আগুন জালাবো,ভাঙ্গচুর করব আর পুলিশ দাড়াইয়া আঙ্গুল চুষব?
আমি:- ভাই আপনার কথাটা একটু উল্টাইয়া পড়েন... মানে পুলিশ যদি টিয়ারশেল মারে গুলি করে তাইলে হেফাজত রা কি আঙ্গুল চুষব?
এক চোখা:- ওরাই আগে হামলা করছে...
আমি:- ওরা কোন দু:খে হামলা করতে যাবে?তাইলে ৬ এপ্রিলের লংমার্চ এ তাইলে কারা আইছিল? ঐ দিন তো এরকম কোন ঘটনা ঘটে নাই।তাইলে আপনার কথামত কইতে হয় ৬এপ্রিল দিন সব ভুতরা আইয়া লংমার্চ কইরা গেছে।
**পুলিশ-র্যাব-বিজিবির যৌথ অভিযানে হেফাজতের ঢাকা ত্যাগ।
এক চোখা:- এই অভিযানে খুব বেশি হতাহত হয় নাই।মাত্র ৮ জন নিহত হইছে।
আমি:- তাইলে এই মাত্র ৮ জনরে মারতে ইলেকট্রিসিটির সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হল কেন?কেন বিনা নোটিশে দিগন্ত আর ইসলামিক টিভি বন্ধ করে দেওয়া হল?কেন গণমাধ্যমকে সরিয়ে দেওয়া হল?
**পুলিশ-র্যাব-বিজিবির যৌথ অভিযানে হেফাজতের ঢাকা ত্যাগ।
একচোখা:- হা হা হা...দেখছ নি তারা কেমনে পালাইয়া গেছে..তারা নাকি একমাস থাকব? এক রাতেই থাকতে পারে না...সাবাশ বেটা..পুলিশ-র্যাব-বিজিবি!
আমি:-গভীর রাতে ইলেকট্রিসিটি বন্ধ করে,ঘুমন্ত/জিকিরত মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি করলেই বীর হওয়া যায় না।এত যখন বিচির জোড় তাইলে সীমান্তে ভারতীয় শুয়োর ফর্স(বি এস এফ) এর সামনে তোরা পুতুল হইয়া যাস কেন? এত যখন বিচির জোড় তাইলে ১০ টাকার সামনে বিচি নেতাইয়া পড়ে কে?
এত যখন বীর হইছস তাইলে,তোরাও লাঠি আর ইট-পাটকেল আর আগুন নিয়া নামতি।তাইলে বুঝতাম কে বীর!
**৫ মের গভীর রাতের অভিযানে কোন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হয় নি!
এক চোখা:- হুমম ঠিক ই বলেছে!
আমি:-তাইলে এত গুলাগুলির শব্দ হইল কই থিকা?নাকি ঐ খানে হলিউডের একশন মুভি দেখানো হইছে?
**হেফাজতের নাশকতায় রক্ষা পেল না পবিত্র কোরআন শরীফ ও!
এক চোখা:-আহারে..ছি ছি..ওগো হাতে থিকা কোরআন শরীফ রক্ষা পায় না।ওরা আর ইসলামের কি রক্ষা করব?
আমি:- আপনাগো কথামত আমি একটু ডিজিটাল হইয়া গুগল মেপে খোঁজ লাগাইলাম।ভাই ঐখানে তো দেখলাম,যেখানে এই কাহিনী ঘটছে সেখান থেকে হেফাজতের অবস্থানের চেয়ে আওয়ামীলীগের অফিস কাছে।
**হেফাজতের কুরআন পুড়ানোর প্রতিবাদে,আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াত,আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন সংগঠনের বিক্ষোভ সমাবেশ।
এক চোখা:- আমি এই বিক্ষোভ সমাবেশের সমর্থন দেই।
আমি:- যখন ব্লগে কিছু ব্লগার ইসলামকে নিয়ে,নবীকে নিয়ে কটুক্তি করল তখন আপনাদের বিক্ষোভ সমাবেশ কইছিল? যখন থাবা বাবকে জাতীয় বীর ঘোষণা করা হল তখন আপনারা কই ছিলেন?নাকি তখন আপনারা কোমায় ছিলেন?আপনাদের স্বার্থে আঘাত হয় নাই তাই চুপ ছিলেন।আর আপনারা যে ৫ মের গভীর রাতে অনেক হাফেজি কুরআন কে মারলেন,এটাকে কি বলবেন?
আমিও এই কুরআন পোড়ানোড় ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।সেই সাথে এটাও বিশ্বাস করি হেফাজত রা এই কাজ কখনও করেনি।সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করছি।অথচ দাবী করে লাভ ও নেই।আসল দায়ীদরে ধামাচাপা দেওয়া হবে।
**************************************************************
জয় বাঙলা
প্রশ্ন সামলা।
বিষয়: রাজনীতি
১৪৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন