বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত মানবাধীকার লঙ্ঘিত হচ্ছে; বিভিন্ন মহলের উদ্বেগ

লিখেছেন লিখেছেন শিব্বির আহমদ ওসমানী ২৯ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:০৭:৪৫ রাত

শিব্বির আহমদ ওসমানীঃ বর্তমানে বাংলাদেশ এক সংকটময় মূহুর্ত অতিক্রম করছে। বিষন্নতায় কাটছে দেশের সকল মানুষের দৈনন্দিন জীবন। দিন দিন মানবাধীকার পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। দেশ কোথায় গিয়ে ঠেকবে কেউ বলতে পারছেন না। আজ জনগনকে দু‘ভাগে বিভক্ত করা হচ্ছে। সরকার বিরোধী মতাদর্শকে দমন করতে সবকিছু করতে প্রস্থুত। পুলিশ নির্বিচারে গুলি করে শতাদিক মানুষ হত্যা করছে। এমনকি সংবাদকর্মীরাও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। পুলিশের গুলাগুলিতে প্রায় সময় মনে হয় যেন দেশে যুদ্ধ চলছে। বিরোধীদল দাবি করছে দেশে সরকার গনহত্যা শুরু করেছে। পুলিশ ও অন্নান্য নিরাপত্তা কর্মীদের গুলিতে নির্বিচারে নারী-শিশু’সহ শতাদিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।

কিন্তু সরকার ও তার মন্ত্রীরা বলছেন, বিরোধীদল দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে মানুষ হত্যা করছে। ৫ মার্চ সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর জানান, বিরোধীদল বিএনপি-জামাত দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে পুলিশসহ ৬৭ জন মানুষকে হত্যা করছে। তবে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী দাবি করছে পুলিশের গুলিতে সাধারণ মানুষ’সহ তাদের দের-শতাদিক নেতা কর্মী নিহত হয়েছেন। গুলিবদ্ধি হয়েছেন আরো কয়েক হাজার।

এমন পরিস্থিতিতে দেশ-বিদেশের প্রায় সকল সচেতন মহল ও মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানাচ্ছেন। প্রায় সকল মানবাধিকার সংগঠন বলছে ‍পুলিশের গুলিতে নির্বিচারে শতাদিক নারী ও শিশুসহ সাধারণ মানুষ নিহিত হয়েছে। এহনে পরিস্থিতিতে দেশ-বিদেশের সচেতন মহল ও মানবাধীকার সংগঠনগলো তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।

বাংলাদেশের অন্যতম মানবাধিকার সংগঠন অধিকার এক প্রতিবেদনে এ উদ্বেগের কথা জানায়, প্রতিবেদনে বলা হয়, সহিংসতা দমনের অজুহাতে ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ তারিখ থেকে মার্চের ৪ তারিখ পর্যন্ত পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অন্ততপক্ষে ৯৮ জনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। রাজনৈতিক কর্মী ছাড়াও এর মধ্যে রয়েছেন নারী, শিশু ও সাধারণ মানুষ। এই সময়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন এবং ৫ জন পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হাতে নিহত হয়েছেন। অধিকার এই সমস্ত প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বিগ্ন। অধিকার মনে করে, দেশব্যাপী এক চরম নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সমাবেশ শুরু হবার পর কয়েকজন ব্লগারের ব্লগে আল্লাহ ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. সম্পর্কে কটুক্তি করে, এই ঘটনার জের ধরে সহিংসতা ও এই সময় পুলিশের নির্বিচারে চালানো গুলিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২২ জন নিহত হয়েছেন। এই সময়ে নারী, শিশুরাও হতাহতের শিকার হয়েছেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি সহিংসতা মারাত্মক আকার ধারণ করে। এদিন জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-১ একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ফাঁসির আদেশ দেয়ার পর জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ শুরু করে। এতে পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গুলি চালালে বিভিন্ন জায়গায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশ ও অন্যান্য আাইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অনেক মানুষকে হত্যা করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অধিকার এর সাথে সংশ্লিষ্ট মানবাধিকার কর্মীদের বিভিন্ন জেলা থেকে পাঠানো তথ্য থেকে জানা যায়, গুলিতে নিহত ব্যক্তিদের অনেকেই ছিলেন সাধারণ ছাত্র-কৃষক-জনতা এবং যারা রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলেও পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিক্ষোভরত নিরস্ত্র জনগণের দিকে অস্ত্র তাক করে গুলি ছুঁড়তে দেখা গেছে।

অধিকার এই হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সহিংসতায় ব্যাপক প্রাণহানি এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছে। অধিকার সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছে, অবিলম্বে নির্বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে এবং বিদ্যমান সহিংস পরিস্থিতি সমাধানের লক্ষে এবং মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও সর্বোপরি দেশের সার্বভৌমত্ব রার্থে রাজনৈতিক দল-মত নির্বিশেষে সব পরে সাথে আলোচনা করে দ্রুত এই সঙ্কটের মোকাবেলা করতে হবে।

বাংলাদেশের জন্মগ্রহণকারী বৃটিশ এমপি রুশনারা আলী বলেছেন, বাংলাদেশে বাস্তবেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। নিহত ও আহতের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক অলিম্পিক এম্বাসেডর ওয়েছ ইসলাম ও বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এবং তিনি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ আদালত যে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে নিন্দা জানাতে। তিনি দাবি করে বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে ঘাটতি রয়েছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও মানবাধিকার আইনের। তিনি জানান, লন্ডনের ইস্ট এন্ডে বসবাসকারী বেশির ভাগ বাংলাদেশী যুদ্ধাপরাধের ন্যায়বিচার চাইলেও মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী।

সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠন এসএও ফাউন্ডেশন এক বিবৃতিতে বলছে, সারা দেশে আজ মানবাধিকার ব্যাপক ভাবে লঙ্ঘন হচ্ছে। সংগঠনটি জানায়, বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে, অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়া থেকে লক্ষ করা হচ্ছে বিরোধীদলের কর্মী ও সাধারণ ছাত্র-কৃষক-জনতাকে পলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যে ভাবে পাখির মতো গুলি করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে তা সত্যিই উদ্বেগজনক। আরো দেখা যাচ্ছে সরকার শাহবাগের আন্দোলনরত কর্মীদেরকে সকল ধরণের সুবিধা প্রদান করছে। কিন্তু বিরোধী মতাদর্শ সংগঠন ও মিডিয়া’কে দমন করার হুমকি দিচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক।

এসএও ফাউন্ডেশন সাম্প্রতিক সহিংসতায় ব্যাপক প্রাণহানি এবং ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠির ওপর হামলার ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছে। সংগঠনটি সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছে, অবিলম্বে নির্বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে এবং বিদ্যমান সহিংস পরিস্থিতি সমাধানের লক্ষে এবং মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও সর্বোপরি দেশের সার্বভৌমত্ব রার্থে রাজনৈতিক দল-মত নির্বিশেষে সকলের সাথে আলোচনা করে দ্রুত এই সঙ্কটের সমাধান করতে হবে।

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ‘নিম্নমানের’ আখ্যা দিয়ে হংকংভিত্তিক খ্যাতনামা মানবাধিকার সংগঠন এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন (এএইচআরসি) বলেছে, ওই ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশকে গৃহযুদ্ধের কিনারায় নিয়ে গেছে।

৬ মার্চ এক বিবৃতিতে কমিশন বলেছে, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। যারা আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ তাদের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করা হচ্ছে না। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা ও সরকার পক্ষের আইনজীবীদের এবং বিচারের ক্ষেত্রেও পক্ষপাতের অভিযোগ রয়েছে। রায়ে স্বভাবতই এসব বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা, সরকার পক্ষের আইনজীবী এবং রায় নির্ধারণী অঙ্গগুলো নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশ এখনই এমন রসাতলে পতিত হয়েছে যে যেখানে আইনের শাসনের ধারণাটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বাংলাদেশের ট্র্যাজেডি হলো, অতীতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের জন্য যে প্রতিষ্ঠান (যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল) গঠন করা হয়েছিল তা দেশকে গৃহযুদ্ধের কিনারায় নিয়ে গেছে। বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠান বর্তমানে যে গভীর সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে, রক্ত দিয়ে তার অনিবার্য মূল্য দিতে হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষমতায় যাওয়ার উন্মত্ততায় রাজনৈতিক দলগুলো দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কথা ভুলে গেছে। এর ফলে ন্যায়বিচার অস্বীকার করা হয়েছে। নিম্নমানের ট্রাইব্যুনাল এভাবে আক্ষরিক অর্থেই আইনগত ন্যায়বিচারের সম্ভাবনাকে তিরোহিত করেছে। এটা শুধু অতীতে যারা সহিংসতার শিকার হয়েছিলেন তাদের ক্ষেত্রেই নয়, সমগ্র জাতির মননে ন্যায়বিচারের অনুপস্থিতির কথা বিরাজ করছে। উপরন্তু এই ট্রাইব্যুনাল নিজেই আরও সহিংসতার সৃষ্টি করেছে এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার জাতীয় আকাঙ্ক্ষাকে আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেছে।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক গণহত্যার কথা তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, ভয়ঙ্কর ওই ঘটনায় মনে হচ্ছে দেশে দৃশ্যত সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকার বেপরোয়াভাবে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর অপব্যবহার করছে। সংস্থার ওয়েবসাইটে দুটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রকাশ্যেই রাষ্ট্রীয় বাহিনী নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে (মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশের দিন) নারী, শিশু ও পুলিশসহ প্রায় ১০০ লোক নিহত হয়েছে। এতে শত শত লোক আহত হয়েছে। যেসব লোক নিহত অথবা আহত হয়েছে তারা কোনো সশস্ত্র প্রতিবাদ করেনি। তাদের দুর্ভাগ্য যে তারা ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিলেন। এসব বীভত্স ঘটনার জন্য রাষ্ট্র যেমন দায়ী, তেমনি দায়ী রাষ্ট্রবহির্ভূত উপাদান।

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের কড়া সমালোচনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রাইব্যুনাল ও তার রায়ের পর সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল ফৌজদারি বিচারের কিছু মৌলিক নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। যেমন তারা অশরীরি বিচার করেছে। ট্রাইব্যুনাল বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীকে টার্গেট করেছে, যে দলটি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। ভিকটিমরা জামায়াত ও সহযোগীদের বিচার চায়। ক্ষমতাসীন সরকার বিষয়টি ভালো করেই জানে। প্রকৃত ঘটনা হলো, এই রাজনৈতিক বিচারকে বৈধতা দিচ্ছে নিম্নমানের ট্রাইব্যুনাল। এই ট্রাইব্যুনালের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারে ঘাটতি রয়েছে।

দুর্ভাগ্যজনক হলো, জামায়াতের সহায়তায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে বর্বরতা চালিয়েছিল এখন সেই বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালের ভুলত্রুটি, সাংবিধানিক বৈধতা ও বিচারের উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বললেই হুমকি দেয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিপীড়নের কথা উল্লেখ করে বিবৃবিতে বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলো এ নিয়ে একে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটছে তা নিয়ে নিরপেক্ষভাবে আলোচনা করার পরিবেশও স্পষ্টতই সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। মানবাধিকার কর্মীদের ওপর নানা ধরনের নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে কিছু তথ্যপ্রবাহের ঘটনা ঘটলেও এর ওপর কঠোর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা’র উদ্বেগ প্রকাশ: বাংলাদেশে সাম্প্রতি পুলিশের গুলিতে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা। তিনি বলেন, জানমালের ক্ষতি, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় ও তারা উদ্বিগ্ন। ১১ মার্চ আমেরিকান সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার উদ্বেগের কথা জানান।

বাংলাদেশে প্রধান দুটি রাজনৈতিক শক্তির মত-পার্থক্য সম্পর্কে মজীনা বলেন, ‘বাংলাদেশে সংঘাতমূলক রাজনীতি এখনো অব্যাহত রয়েছে। তাই প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমার আহ্বান থাকবে একটি অবাধ, নিরপে ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তাঁরাই সমাধানের পথ খুঁজে নেবেন। সহিংস তত্পরতার পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলা যায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মজীনা বলেন, ‘আমি যতটা জানি, জামায়াত একটি স্বীকৃত দল। দলটির একাধিক সাংসদ রয়েছেন।’

লেখক: শিক্ষক, সাংবাদিক ও মানবাধীকার কর্মী।

E-mail:

বিষয়: বিবিধ

১৪৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File