লাইলাতুল মিরাজ সম্পর্কে আপত্তিকর প্রশ্নের জবাব (বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা)
লিখেছেন লিখেছেন সূর্য চৌধুরী ০৬ জুন, ২০১৩, ১০:৩৪:৫৯ রাত
লাইলাতুল মিরাজের নিয়ে অমুসলিমদের বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব... (বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যাসহ)
অনেক সময়ই অমুসলিমরা লাইলাতুল মিরাজ সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করে তখন 'আল্লাহর কুদরত' ছাড়া বলার কিছু থাকেনা আমাদের। অবশ্যই এটি আল্লাহর মুজিজা তথাপি এটি একটি বৈজ্ঞানিক নিদর্শনও বটে এবং ব্যখ্যা রয়েছে যাতে অমুসলিমরাও বুঝতে পারে ইসলাম কোন কাল্পনিক ধর্ম নয়।
তেমনি একটা প্রশ্ন, রাসুল সাঃ মিরাজে যখন গিয়ে গিয়েছিলেন তখন তার ঘরের ছাদ ভেদ করে গিয়েছিলেন। অথচ ছাদ ফাটেওনা এবং কোন দাগও ছিলনা।
এটা কি করে সম্ভব?
জবাবঃ তেজস্ক্রীয় রশ্নির একটি স্বকীয় বৈশিষ্ট হলো এটির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অত্যন্ত ক্ষুদ্র হওয়াতে তা সাধারন বাধা অতিক্রম করে বা ভেদ করে যেতে পারে। x-ray বা এক্স রশ্নি প্রায় ৭ মিলিমিটার পুরু লোহার পাতও অতিক্রম করতে সক্ষম।
যেহেতু ফেরেশতা নুর বা বিশেষ আলোর তৈরী সুতরাং এটি তেজস্ক্রীয় রশ্নির চেয়েও শক্তিশালী। ফলে জিবরাইল আঃ এর পক্ষে বেড়ার ছাদ ভেদ করা একেবারেই স্বাভাবিক এবং বিজ্ঞানভিত্তিক।
২য় প্রশ্নঃ
রাসুল সাঃ যখন মিরাজ সফর থেকে ফিরেছিলেন তখন তার ফেলে যাওয়া বস্তু এবং কাজ ঠিক আগের মতই চলছিল। যেমন শিকল দুলছিল এবং ওজুর পানি গড়িয়ে যাচ্ছিল।
এটা কি করে সম্ভব?
জবাবঃ
আধুনিক বিজ্ঞান আমাদের শোয়ার্টিজ ম্যাট্রিক্সের ধারনা দিয়েছে। এবং ধারনা দিয়েছে ওয়ার্মহোলের। ওয়ার্মহোল তত্বে উদাহরন হিসেবে বলা হয়েছে যে একটি পোকা একটি আপেলের চারিদিক ঘুরে একপাশ থেকে অপরপাশে যেতে যে সময় লাগাবে তার চেয়ে অনেক কম সময় লাগাবে আপেলের মাঝখানে ফুটো করে পার হতে। একারনে এই থিউরির নাম ওয়ার্মহোল।
ইনপুট হিসেবে ব্ল্যাকহোল, মাঝখানে প্রসেস করে ওয়ার্মহোল এবং আউটপুট হিসেবে হোয়াইট হোল। এ নিয়েই একটি শোয়ার্টিজ ম্যাট্রিক বা টাইম মেশিন হয় বলে আধুনিক এস্ট্রোনমী এবং এস্ট্রোলোজি আমাদের বলে।
ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণবিহ্বর সবকিছু তার দিকে টেনে নেয়, ওয়ার্মহোলে অতি দ্রুত (ধারনা করা হয় আলোর বেগে) পার হয়ে ধরা দেয় হোয়াইট হোল বা শ্বেতবিহ্বরের দিকে। হোয়াইট হোলের বৈশিষ্ট হলো সবকিছু উগলে দেওয়া।
এইভাবে শোয়ার্টিজ ম্যাট্রিকের ব্যাপারে আধুনিক বিজ্ঞানের ওয়ার্মহোল থিউরি হিসেবে বলা হয়েছে যে, যদি কোন ব্যক্তি আলোর বেগে ১০ ঘন্টা মহাকাশ পরিভ্রমন করে তবে সে পৃথিবীতে সময় অতিক্রম করবে কেবল প্রায় ১৫ মিনিট। আপনার মনে হবে আপনি অনেক ঘুরেছেন কিন্তু আসল ঘটনা হ্চ্ছে আপনার মস্তিস্কের অরগান এবং নিউরন আলোর বেগের সাথে না চলতে পারার কারনে এমনটা মনে হতে পারে।
অর্থাত্ আপনি যদি মহাকাশ ভ্রমনে আলোর বেগে চলেন এবং ১০ বছর ফিরে আসেন তবে দেখবেন আপনার জমজ ভাইয়ের চেয়ে আপনার বয়স কমে গেছে। এর জন্য দায়ী শোয়ার্টিজ ম্যাট্রিক।
অর্থাত্ শোয়ার্টিজ ম্যাট্রিক বা টাইম ট্রাভেলিং অর্থাত্ সময় পরিভ্রমনে কেউ যদি আলোর বেগে চলে তাহলে পৃথিবীর খুব কম সময়ে মহাকাশের অনেক স্থান ভ্রমন করা যায়।
ঠিক এই শোয়ার্টিজ ম্যাট্রিক্সকেই কাজে লাগিয়ে আল্লাহ সোবহানওয়া তাআলা জিবরাইল আঃ (নুরের তৈরী যাতে আলোর বেগ লব্ধ হয়) এর অধিনে বোরাক (বিশেষ যান) এর সাহায্যে রাসুলে পাক সাঃ কে অতি কম সময়েই অনেক কিছু পরিভ্রমন করিয়ে নিয়েছিলেন। সেই সময় ওয়ার্মহোলের থিউরি অনুসারে পৃথিবীতে অতিক্রান্ত সময় কেবল কয়েক সেকেন্ড হলেও মহাকাশে ভ্রমনে কোন বাধা সৃষ্টি হয়নি। তাই সেখানে দোলনীয় শিকল দুলছিল এবং ওজুর পানি গড়িয়ে পড়েছিল। সবশেষে এটাইক প্রমান করলাম যে লাইলাতুল মিরাজের ঘটনা ১০০% বৈজ্ঞানিক এবং চিরন্তন সত্য এতে কোন সন্দেহ নাই।
আগেই বলে রাখি আমি এস্ট্রোনোমী বিশেষজ্ঞ নই তাই হয়তো ভালোভাবে বোঝাতে পারিনি। আপনারা উইকিপিডিয়া, গুগল কিংবা নাসা ফোরাম অথবা বুয়েটের প্রকাশিত 'জিরো টু ইনফিনিটি' থেকেও শোয়ার্টিজ ম্যাট্রিক এবং ওয়ার্মহোল সম্পর্কে জানতে পারেন। এরপর আমার দেওয়া যুক্তির সাথে মিলান তাহলে মিরাজের সত্যতা বুঝতে পারবেন। আর দয়া করে এটিকে কেউ কারও লেকচার বা প্রবন্ধ বলে লজ্জা দিবেন না। এটি এই হতভাগার আমার নিজেরই লেখা 'আল কুরআন নিয়ে নাস্তিকদের ভন্ডামীর জবাব' শিরোনামের মৌলিক গবেষনামুলক বই এর কিছু অংশ। কিন্তু আর্থিক সহযোগীতা এবং অন্যন্য সহযোগীতা পেলে সামনের বইমেলায় প্রকাশনার ইচ্ছা আছে।
দয়া করে সবাই শেয়ার করুন...
বিষয়: Contest_mother
২৫০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন