সূরা, আর-রহমান এর সরল আনুবাদ, ও আমার কিছু কথা!!!

লিখেছেন লিখেছেন আমি আব্দুল্লাহ ১৪ জুন, ২০১৩, ১০:০৩:৪০ রাত



সূরা, আর-রহমান এর সরল আনুবাদ ও আমার কিছু কথা।

সূরা-আর রাহমান

মদীনায় অবতীর্ণ, আয়াতঃ৭৮, রুকুঃ৩

বাংলা অনুবাদকঃ

মুহিউদ্দীন খান,

হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ,

প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান,

কাউসার বিন খালেদ,

আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান,

আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী,

সানাউল্লাহ নজির আহমদ,

জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের,

আনোয়ার হোসাইন মোল্লাহ,

আ.ন.ম. হেলালউদ্দিন,

যুবায়ের মোহাম্মদ এহসানুল হক,

মুহাম্মদ মুখতার আহমেদ।

( সকল অনুবাদ একত্রে সংকলন করে- সহজ সরল আনুবাদ করা হল )

*আল্লাহ্‌র নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু*

১. পরম করুণাময়(আল্লাহ্‌ তায়ালা )।

২. তিনিই(তোমাদের)শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন,

৩. তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষ,

৪. (ভাব প্রকাশের জন্য)তিনি তাকে (কথা) বলা শিখিয়েছেন।

৫. সূর্য ও চন্দ্র উভয়ই নির্ধারিত হিসাব মোতাবেক (অবিরাম কক্ষপথ ধরে) চলছে।

৬. এবং তৃণলতা ও বৃক্ষাদি (সব) তাঁরই সেজদা করে।

৭. তিনি আকাশকে করেছেন সমুন্নত এবং স্থাপন করেছেন মানদন্ড।

৮. যাতে তোমরা সীমালংঘন না কর মানদন্ডে।

৯. তোমরা ন্যায্য ওজন কায়েম কর এবং ওজনে কম দিয়ো না।

১০. তিনি পৃথিবীকে স্থাপন করেছেন সৃষ্টজীবের জন্যে।

১১. তাতে রয়েছে (অসংখ্য) ফলমূল, এবং রয়েছে খর্জুর, যা (আল্লাহ্‌র কুদরতে) খোসার আবরণে (ঢাকা)।

১২. আর আছে খোসাবিশিষ্ট শস্য ও সুগন্ধি ফুল।

১৩. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

১৪. তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুষ্ক মৃত্তিকা থেকে।

১৫. এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখা থেকে।

১৬. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

১৭. তিনি দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচলের নিয়ন্ত্রণকারী।

১৮. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

১৯. তিনি দু’টি সমুদ্রকে (বয়ে চলার জন্য) ছেড়ে দিয়ে রেখেছেন যেন তা একে অপরের সাথে মিশে যেতে পারে।

২০. (তারপরও) তাদের উভয়ের মাঝখানে রয়েছে একটি অন্তরাল, যা সীমা তারা কখনো অতিক্রম করতে পারে না।

২১. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

২২. এ উভয় সমুদ্র থেকে উৎপন্ন হয় মোতি (মুক্তা) ও প্রবাল।

২৩. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

২৪. সমুদ্রে বিচরণশীল পাহাড়সম (বড়ো বড়ো) জাহাজসমূহ তো তাঁরই (ক্ষমতার প্রমাণ)

২৫. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

২৬. ভূপৃষ্টের যা কিছু আছে সবকিছুই (একদিন) ধ্বংসশীল।

২৭. বাকী থাকবে শুধু তোমার মালিকের সত্তা,যিনি পরাক্রমশালী ও মহানুভব।

২৮. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

২৯. নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সবাই নিজ নিজ প্রয়োজনে তাঁর কাছেই চায়, (আর) তিনি সর্বদাই কোন না কোন কাজে তৎপর রয়েছেন।

৩০. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৩১. হে মানুষ ও জ্বিন ! আমি শীঘ্রই তোমাদের প্রতি (হিসাব-নিকাশের জন্য) মনোনিবেশ করবো।

৩২. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৩৩. হে জিন ও মানবকূল, যদি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের এ সীমারেখা অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়, তবে অতিক্রম কর।

(কিন্তু আমার দেয়া বিশেষ) ক্ষমতা ছাড়া তোমরা তা কিছুতেই (এ সীমা) অতিক্রম করতে পারবে না।

৩৪. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৩৫. ছাড়া হবে তোমাদের প্রতি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ও ধুম্রকুঞ্জ তখন তোমরা সেসব প্রতিহত করতে পারবে না।

৩৬. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৩৭. যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে তখন সেটি রক্তবর্ণে রঞ্জিত চামড়ার মত হয়ে যাবে।

৩৮. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৩৯. সেদিন কোনো মানুষ ও জ্বিনের (কাছ থেকে তার) অপরাধ সম্পর্কে (কোনো কৈফিয়ত ) জানতে চাওয়া হবে না।

৪০. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৪১. অপরাধীদের পরিচয় পাওয়া যাবে তাদের চেহারা থেকে; অতঃপর তাদের কপালের চুল ও পা ধরে টেনে নেয়া হবে।

৪২. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৪৩. (সেদিন তাদের বলা হবে,) এটাই সেই জাহান্নাম,যাকে অপরাধীরা মিথ্যা বলতো।

৪৪. তারা (সেদিন) জাহান্নামের অগ্নি ও ফুটন্ত পানির মাঝখানে প্রদক্ষিণ করবে (ঘুরতে থাকবে)।

৪৫. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৪৬. আর যে (ব্যক্তি) তার পালনকর্তার সামনে দাঁড়াতে ভয় করে,তার জন্যে রয়েছে দু’টি বাগান।

৪৭. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৪৮. উভয়ই (বাগানে) ঘন শাখাপল্লব বিশিষ্ট বৃক্ষে ভরপুর;

৪৯. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৫০. উভয় (বাগানের) মধ্যে থাকবে দু’টি ঝর্ণাধারা যা প্রবাহিত হবে।

৫১. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৫২. উভয়ের মধ্যে প্রত্যেক ফল বিভিন্ন রকমের হবে।

৫৩. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৫৪. তারা তথায় রেশমের আস্তরবিশিষ্ট বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে। উভয় বাগানের ফল হবে তাদের নিকটবর্তী।

৫৫. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৫৬. সেখানকার (অগণিত নেয়ামতের) মধ্যে থাকবে আনত নয়না (স্বামীর প্রতি দৃষ্টি সীমিতকারী) হুরগণ, যাদের (জান্নাতের) এ (অধিবাসী)-দের আগে কোন মানুষ কিংবা জ্বিন কখনো স্পর্শও করেনি,

৫৭. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৫৮. এরা যেন এক একটি প্রবাল (মতি) ও পদ্মরাগ (হীরা) সদৃশ রমণীগণ।

৫৯. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৬০. উত্তম কাজের প্রতিদান উত্তম ছাড়া আর কী হতে পারে?

৬১. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৬২. এই দু’টি (বাগান) ছাড়াও (সেখানে) আরও দু’টি (ভিন্ন ধরনের) বাগান রয়েছে।

৬৩. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৬৪. সে দু’টো বাগান হবে চির সবুজ ও ঘন।

৬৫. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৬৬. সেখানে থাকবে দুটো ঝর্ণাধারা, ফোয়ারার মতো সদা উচ্ছল গতিতে তা অবিরাম বইতে থাকবে।

৬৭. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৬৮. তথায় আছে ফল-মূল, খর্জুর ও আনার।

৭৯. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৭০. সেখানে থাকবে সচ্চরিত্রা (অনিন্দ্য) সুন্দরী রমণীগণ।

৭১. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৭২. তাঁবুতে (সুরক্ষিতা) অবস্থানকারিণী হুরগণ।

৭৩. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৭৪. এদের আগে অন্য কোনো মানুষ কিংবা জ্বিন এদের স্পর্শও করেনি,

৭৫. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৭৬. তারা সবুজ বালিশে ও সুন্দর কারুকার্য খচিত গালিচার উপর হেলান দেয়া অবস্থায় থাকবে।

৭৭. অতএব,(হে মানুষ ও জ্বিন), তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

৭৮. কতো মহান তোমার পালনকর্তার নাম, তিনি মহাপ্রতাপশালী (মহিমাময়) ও পরম অনুগ্রহশীল (মহানুভব)।

জাযাকাল্লাহ !!!

এই সূরাটিতে মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা, তাঁর সৃষ্টির এই দুনিয়া ও আখেরাতের সুন্দর বর্ননা ও অনুগ্রহ সমূহ তুলে ধরেছেন।

এই সূরাটির তেলাওয়াত শুনুন! যা আমার কাছে খুবই ভাল লাগে, আশা করি আপনাদের ও ভাল লাগবে।

যিয়াদ পাটেলঃDownload ziyad patel-Surah , Ar Rahman

মিশারি রাশিদ আলাফসেঃ Download Syeikh Mishary Rashid Al-Afasi - Ar-Rahman

আমার বক্তিগত মতঃ আমার কাছে যিয়াদ পাটেলেরটাই খুব ভাল লাগে।

আপনাদের মত জানাবেন প্লীজ!?

আমার কিছু কথা যা না বললেই নয়!!!

*আল-কুরআনের একটি আয়াত পড়া খুবই কষ্টকর,

অথচ ২০০-৩০০ পৃষ্ঠার উপন্যাস পড়া কতইনা সহজ।

*গান বাজনা শুনে কত সময়ই নষ্ট করি,

কিন্তু কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত শুনতে সময়ই পাইনা।

* মানুষের লিখিত বই এর পড়া বুঝতে কত প্রতিষ্ঠান আর ছারের পিছনে টাকা খরছ করি,

কিন্তু কুরআন বুঝতে একটি মুফাস্বির (হুজুর) এর কাছে যাই ও না।

* কেনাকাটা করার সময় কত যাচাই বাঁচাই করে নেয়,

অথচ ইবাদতের(সকল কাজের)ক্ষেত্রে তা সঠিক কি না তা একবারও কুরআন/সহী-হাদীস দিয়ে যাচাই করি না।

*বিজ্ঞাপন বা লিফলেট কত সহজে প্রচার করি,

কিন্তু আল্লাহ্‌র বাণী প্রচারে আমরা হাজার বার চিন্তা করি।

পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহ!

বিষয়: বিবিধ

৩১০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File