প্রতিবেশী দাদাদের গুন কীর্তন
লিখেছেন লিখেছেন মুিজব িবন আদম ২৯ জুলাই, ২০১৪, ১০:১৩:০৪ সকাল
বাংলাদেশে অন্যদের বৃষ্টিতে ছাতা ধরার প্রচলন ও খ্যাতি সবারই জানা। এক সময় পিকিং বা মস্কোতে বৃষ্টি হলে আমরা ঢাকায় ছাতা ধরার জন্য ব্যস্ত হয়ে যেতাম। এখন মনে হয় পিকিং বা মস্কোর বদলে তা দিল্লীর জন্য প্রযোজ্য। কী সরকারী দল, কী বিরোধী দল, কী সুশীল সমাজ - সবাই দাদাদের গুন কীর্তনে অজ্ঞান। এক প্রস্ত গুন বলতে বা লিখতে যেন অনেকের ঠোঁট ও হাত নিশপিশ করতে থাকে।
নিজেকে তাদের দলে ভিড়ানোর হাজার চেষ্টায় ব্যর্থ্ মনোরথ। সব যোগ্যতা সবার হয় না। বরং বিপদের কথা যে, এই দাদাদের কিছু নেগেটিভ গুন কেন যেন সামনে আসে।
যেমন, দাদারা বীরপুরুষ। তাদের এ বীরত্বের ফলে সেখানে এখন ধর্ষণ মহামারীর রূপ নিয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে প্রকাশ যে, দেশটিতে প্রতি ৩০ মিনিটে একটি করে, দিনে ৫৬টি করে ধর্ষণ ঘটনা ঘটছে। কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০০১ থেকে ২০১৩ সালে ২৮টি রাজ্যে ও সাতটি বিশেষ অঞ্চলে ১৩ বছরে ২,৬৪,১৩০ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। রাজধানী দিল্লিতেই কেবল ধর্ষণ ঘটেছে ৮,০৬০টি।
এছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে বেশী ক্রীতদাস আছে ভারতে। India has the most enslaved people in the world - এটা আমার কথা নয়। গবেষকদের কথা।
নিজেদেরকে বড়ই অসম্প্রদায়িক মনে করেন দাদারা। কোন কোন দাদাতো অসম্প্রদায়িক মনের প্রকাশ সরূপ কুরআনের অমানবিক জিহাদ নিয়ে গবেষনায় ব্যস্ত। কুরআনের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে বির্তকে জিতার চ্যালেঞ্জ দেয়। তাদের আক্রমনাত্মক ভাব ভংগি দেখেই দাপট বুঝা যায়। অথচ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় দাদারা মোটেও পিছিয়ে নেই। বরং বিশ্ব তালিকার শীর্ষ দিকেই অবস্থান।
এত কিছুর পরও গাইতে হবে দাদদের জয় গান। কেননা তাদের আমি ভীষণ ভয় পাই। ভয় পাই, কখন যেন গুম হয়ে যাই। লাশেরও যেন খোঁজ নাই। জানাযা নাই, কবরের চিহ্নটুকুও নাই। তাই আমি তাদের ভয় পাই। ভীষণ ভয় পাই। কারন, তারা যে দাদা - BIG BROTHER।
বিষয়: বিবিধ
১২৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন