বাংলাদেশে সত্য নির্বাসিত। জাতীয় নির্বাচনে সবার সমান সুযোগ কোথায়??

লিখেছেন লিখেছেন মুিজব িবন আদম ২০ নভেম্বর, ২০১৩, ০৯:১৬:৩৭ সকাল

নির্বাচনের জন্য একটি সমতল খেলার মাঠ কী করে তৈরি করতে হয় তা বাংলাদেশে সত্য নির্বাসিত। কেউ যেন ঠিক কি বললে তার নেতা নেত্রী খুশি হয়, তাই নিয়ে মুখ বা লেখনী চালাতে মহাব্যস্ত। কে আছে ঠিক কথাটা ঠিক সময় বলবে? কেউ নেই। চারিদিকে কেবল মিথ্যার বেসাতি। দু এক জন বড়ই ক্ষীণস্বরে ভয়ে ভয়ে আধা আধি করে কবিতার মত বলার চেস্টা করেন। তা শক্তিধরদের কর্ন পর্যন্ত পৌছে না।

তাই সাধারনের বেদনা শুনবার কেউ নেই। কেউ নেই সত্যকে তুলে ধরবার বা প্রতিষ্ঠিত করবার। আপামর জনতা কেবল বুকের মধ্যে কষ্ট চাপা দিয়ে দূর আকাশ পানে তাকিয়ে উপায় খুজে ফিরে। যারা বলতে চেয়েছেন যে যদি কোন প্রার্থীকেই পছন্দ না হয় তাহলে "কাউকে নয়" ভোট দিতে চাই, তাদের সেই গণতান্ত্রিক ক্ষমতাটুকুও কেড়ে নেয়া হল। এখন আমরা কি করব? যদি কোন জায়গায় কেবল শিয়াল, শুকুর কিংবা গাধাদের প্রার্থীতা দেখা যায় তাদের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে কেন? আমি কেন এদেরকে বাদ দিবার ক্ষমতা হারালাম? ভোটার হিসেবে আমার অধিকার এদেশে কেউ কি কোনদিন আবার দিবে?

ভোটে যারা দাঁড়াবেন তারাও কি তাদের সম আইনী সুযোগ পাবার উপায় এদেশে আছে? আসলে আমরা অসভ্যতার দিকে যাচ্ছি না? আর তারই পথ ধরে ধ্বংস ডেকে আনছি না?

এর মধ্যে বর্তমানের সর্বনিম্ন প্রয়োজনীয়তা হল জাতীয় নির্বাচনে সবার সমান সুযোগ। আমরা জনগণ হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো দেখেছি। পরাজিত দল কারচুপি, সুক্ষ্ম কারচুপি ইত্যাদি অভিযোগ করলেও ভোটার হিসেবে মোটামুটি সস্থিতে ছিলাম। কিন্তু দলীয় প্রশাসনের অধীন নিবাচন মারাত্মক ভয়ে আছি। কেননা এবার যা দেখা যাচ্ছে না তাহলোঃ

ক। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান নেই।

খ। বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সরকারী গণমাধ্যম দলীয় প্রভাবমুক্ত নয়।

গ। দলীয়ভাবে চিহ্নিত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল।

ঘ। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহকে দল-নিরপেক্ষ নয়।

ঙ। নির্বাচন কমিশন জাতীয় বৃহত্তর পরিসরে নির্বাচন পরিচালনার জন্য অপ্রস্তুত।

এ অবস্থায় জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবার সুযোগ আছে কি?

বিষয়: বিবিধ

১০৪৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File