হিজরী ক্যালেন্ডার ও আমার কিছু প্রশ্ন
লিখেছেন লিখেছেন মুিজব িবন আদম ১০ জুলাই, ২০১৩, ০৯:১২:৩০ সকাল
ইসলামের নীতি পালনে হিজরী ক্যালেন্ডার মানতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে আমি নানা অসুবিধায় আছি। কেউ দয়া করে আমার নিচের প্রশ্নের উত্তর দিলে খুব উপকৃত হব এবং উত্তরদাতার জন্য থাকবে অনেক দোয়া।
১/ আজ ১০ জুলাই ২০১৩ এবং পৃথিবীর অনেক স্হানে ১ম রমাদান। মক্কা মদিনা মালয়সিয়া ইন্দোনেসিয়া এবং আরও অনেক জায়গায় আজ রোজা। তাই প্রশ্ন: "চাঁদ দেখে রোজা রেখো এবং চাঁদ দেখে রোজা ভাংগো এবং মেঘের কারনে চাঁদ দেখা না গেলে শাবান মাসের ৩০ পূর্ণ কর" হাদিসটি কোন দেশের সীমারেখায় বদ্ধ করার সুযোগ আছে? যদি হাদিসটি কোন দেশের সীমানায় আটকানো না যায় তবে আমাদের পূর্ব এবং পশ্চিম দিকের মানুষ রমাদান শুরু করলেও আমরা কেন করি না? আমরা কেন বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমানায় চাঁদ দেখার জন্য আমাদের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির দিকে সিদ্ধান্তের জন্য তাকিয়ে থাকি? পাকিস্তান আমলে পিন্ডিতে, বেলুচে অথবা পান্জাবে চাঁদ দেখে আমরা রোজা রাখতাম। অথচ স্হানীয় সময়ের মধ্যে তখন একঘন্টা ব্যবধান ছিল। এটা কি ঠিক ছিল?
২/ লাইলাতুল কদর রাত একটি নাকি একাধিক? আমার বিবেচনায় প্রতি মাহে রমাদানে সারা দুনিয়ায লাইলাতুল কদর রাত মাত্র একটি। হাদিস মোতাবেক রমাদানের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতে আমাদেরকে সেই লাইলাতুল কদর তালাশ করতে বলা হয়েছে। এ রাতে জিব্রাইল কাবা বরাবর অবতীর্ন হন বলে জানি। একথা যদি সঠিক হয় তবে আমাদেরও উচিত সেই বরকতের রাত ঠিকভাবে খুজে নেয়া। কিন্তু প্রায় বছরই যখন মক্কায় জোড় রাত তখন আমাদের দেশে বেজোড় রাত খুজি। যদি মাহে রমাদানে লাইলাতুল কদর রাত একাধিক না থাকে তবে আমরা ভিন্ন রাতে তালাশ করে আসলে কি মহিমান্মিত রজনী ও তার মাধ্যমে নাজতের সুযোগ পাবো?
৩/ এরপর আসে ঈদ। ঈদের দিনে রোজা রাখা হারাম। যখন মক্কায় ঈদ তখন আমরা রোজা। শুধু পশ্চিমের মক্কায় কেন আমাদের পূর্ব দিকের দেশ জাপান, ইন্দোনেসিয়া ইত্যাদি দেশের মানুষ ঐদিন ঈদ পালন করছে। তখন আমরা রোজা রেখে কি হারাম কাজ করছি না? জাতীয় চাদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্তে আমরা হারাম কাজ করলে তার দায় ভার কার হবে?
বিষয়: বিবিধ
১৯৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন