আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর (বাহির).....।

লিখেছেন লিখেছেন জীবিত যাযাবর ০৯ জুন, ২০১৩, ০৬:১২:৫৯ সন্ধ্যা





সরকার এদেশের কিছু বামপন্থিকে দিয়ে এদেশ থেকে ইসলামের নাম মুছে ‍দেয়ার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছে।

তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চের মাধ্যমে তারা যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে এদেশের বিশ্ব নন্দিত আলেম ওলামার ফাঁসি চেয়েছে। তারা ইসলামের মহান নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর অপমান করেছে।

এগুলো করার মূল লক্ষ হল এদেশ থেকে ইসলাম কে বিতাড়িত করা, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কে এদেশে শান্তিতে থাকতে না দেয়া।

গণজাগরণ মঞ্চের মাধ্যমে তারা তাদের উদ্যেশ্যের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল।



তারা নারী-পুরুষ অবাধ মেলামেশা নিশ্চিত করতে পেরেছিল।



তারা জোর করে স্কুল থেকে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে এসে সমাবেশ সফল করার চেষ্টা করেছে।



তারা দাড়ি-টুপি দেখলেই আক্রমন করেছে।

রাতে নারী-পুরুষ এসাথে থেকেছে, এক সাথে গাঁজার আসর বসিয়েছে।

তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে।

(এটাকে ২য় মুক্তিযুদ্ধ বলে)

তাদের দম্ভ-অহংকার এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে, মনে হয় দেশে কোন সরকার নেই। পুরো দেশ যেন তাদের নিয়ন্ত্রনে।



তারা রাজাকারের বিচারের নামে দাড়ি-টুপির অপমান করেছে।

অবশেষে আল্লাহর মাইর........।

১। সরকার চেয়েছিল ‘‘““““””’’’জয় বাংলা স্লোগান কে সার্বজনিন করতে,

কিন্তু একমাত্র সার্বজনিন স্লোগান হল আল্লাহু আকবার’।

আল্লাহ রানা প্লাজার উদ্ধার কাজের সময় বাংলাদেশ আর্মির সদস্যদের মুখে আল্লাহু আকবার স্লোগান দিয়ে সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন।

২। তারা চেয়েছিল ইসলামকে গণজাগরণ মঞ্চের মাধ্যমে মুছে দিতে,

আর আল্লাহ হেফাজতে ইসলামের শহীদ ভাইদের

রক্তের লাল রং দিয়ে গণজাগরণ মঞ্চকে মুছে দিলেন।

৩। বারডেম হাসপাতালের পাশে ট্রাকের চাকা ফাটার শব্দে গণজাগরণ মঞ্চের ‍নেতা-কর্মিরা ফালিয়ে যায়,

আল্লাহ ও তার রাসুলের ভালবাসায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা তাদের জীবন দান করেছে। এর দ্বারা আল্লাহ আমাদের বুঝিয়ে দিলেন, গণজাগরণের নারী আর টাকার প্রেম হতে আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রেম কত মজবুত।

৪। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ( ১লা বৈশাখ, ২১শে ফেব্রুয়ারী, ২৬শে মার্চ) তারা সমাবেশের ডাক দিয়ে সাধারণ মানুষকে তাদের সমাবেশের লোক বলে প্রচার করে আর বলে এটা নাকি গণজাগরণ।

কিন্তু হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে অগনিত মানুষের ঢল দিয়ে আল্লাহ দেখিয়ে দিলেন গণজাগরণ কাকে বলে।

৫। তারা আলেম ‍ওলামাদের ফাঁসি চাই স্লোগান দিলে আল্লাহ এদেশের লক্ষ-কোটি তাওহীদী জনতার মুখে তাদের ফাঁসির দাবির স্লোগান তুলে দিলেন।



শহীদের রক্তের বন্যায়,

ভেসে যাবে অন্যায়।।

আজ কোথায় সেই গণজাগরণ মঞ্চ?

হেফাজত লেঙ্গুর গুটিয়ে পালিয়েছে,

১০ মিনিটে হেফজত শেষ,

হেফাজত সুবানআল্লাহ বলতে বলতে পালিয়েছে।

এমন মন্তব্যকারী মন্ত্রীদের বলছি,

হেফাজতে ইসলাম এদেশের কোটি কোটি মানুষের অন্তরে আজও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। ইনশাআল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে বড় বড় কথা আর দামী গাড়িতে না ছড়ে, বোরখা পরে পাবলিক বাসে চড়ে দেখুন, শুনুন, বুঝুন, জনগন কি চায় আর আপনারা কোথায়?

বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মান নিয়ে আজ আন্তর্জাতিক মহলে ঝড় উঠেছে, তানজির গার্মেন্টসে আগুন ও রানা প্লাজা ধ্বস নিয়ে সারা বিশ্বে তোলপাড় চলছে, ডঃ ইউনুসের অপমানে বিশ্বের আইকনরা অপমান বোধ করছে, বিডিআর বিদ্রোহের শহীদ সেনাদের পরিবারের আকুতি আজও সারা দেশের মানুষের কানে বাজছে, ইলিয়াস আলীর ছোট্ট শিশুটির চোখের পানিতে আজ বাংলার মানুষ অশ্রুসিক্ত,

হেফাজতে ইসলাম আর আল্লামা সাইদীর রায় পরবর্তী সহিংসতায় শহীদের রক্তের প্রবাহে আজ দেশের মানুষ আবেগ আপ্লুত।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

সম্মানের বিদায় বুঝি আর আপনাদের হলনা।

আমরা আর একটা আল্লাহর মাইরের অপেক্ষায় বসে আছি........।

বিষয়: রাজনীতি

৩৯৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File