রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কিছুকথা!!

লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া পারভীন হাবিবা ৩০ মে, ২০১৩, ১২:৩১:৪৪ রাত

একেএম আকিমুজ্জামানের স্ট্যাটাস থেকে নেওয়াlink। কিছুদিন আগে হিসেব দিয়েছিলাম, "রামপালে যে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তাতে বিটুমিনাস কয়লা ব্যবহার করা হলে প্রতিটি ৬৬০ মেগাওয়াট ইউনিটে প্রতিদিন ৪,৪০৪.৮৪ টন কয়লা পুড়তে হবে। যা থেকে তৈরী হবে আনুমানিক ১২,৫৯৭.৮৪ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড, ১৭.৩২ কেজি সালাফার ডাই অক্সাইড এবং ১২.১৩ কেজি নাইট্রোজেন অক্সাইড। সালফার ডাই অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড থেকে এসিড বৃষ্টি হয়, আর কার্বনডাই অক্সাইড তো সবচেয়ে ক্ষতিকর গ্রীন হাউস গ্যাস। যদি ভারতীয় লিগনাইট কয়লা ব্যবহার করা হয় তাহলে প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে ৭,৯০৩.৩৯ টন কয়লা। উল্লেখ্য যে লিগনাইট কয়লায় ক্ষতিকর গ্যাসের পরিমানও বেশি। এ ছাড়া রয়েছে ধোঁয়া।

মনে রাখবেন, এটা ৬৬০ মেগাওয়াটের এক দিনের হিসেব। এবার ১৩২০ মেগাওয়াটের ৩৬৫ দিনের হিসেব চাইলে নিজেরা করে নিতে পারেন।"

প্রতি বছর বাংলাদেশে যে সামূদ্রিক সাইক্লোনগুলো আঘাত করে, সেগুলোকে বুক আগলে ঠেকায় আমাদের সুন্দরবন। এই প্রাকৃতিক বর্মকে ধ্বংশ করার বিরুদ্ধে এখনই রাজপথে নামতে হবে। অসম চুক্তি করে ভারতীয় কোম্পানীর কাছ থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কেনার বিষয়টা তো আরেক সর্বনাশা দিক।

গতকাল Anjan Roy রামপাল বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। আজ আমি এই স্ট্যাটাস দেবার জন্য উনার গতকালকের দেয়া স্ট্যাটাসটা খুঁজছিলাম। দেখলাম, সেটা গায়েব। যারা এই স্ট্যাটাস গায়েব করতে পারে, তারা আর যাই হোক বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না। যাই হোক আমিও উনার সাথে গলায় গলা মিলিয়ে বলতে চাই, "এই বিষয়ে ভদ্রলোক সুশীল, শাসকআশ্রিত শিক্ষককুল, প্লট আর ফ্ল্যাটের অনুকম্পা পাওয়া গণমাধ্যমকর্মী, পোষমানা সাংকৃতিককর্মীদের স্পষ্ট বক্তব্য জানতে চাই। মুক্তিযুদ্ধে চেতনা মানে সব লুটেরার বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো- প্রতিবাদহীনতার শীতঘুম নয়।"

বিষয়: বিবিধ

১৬৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File